সুন্নাত ও বিদ‘আত

তায়াম্মুম করার পদ্ধতি

তায়াম্মুম-এর শাব্দিক অর্থ হলো ইচ্ছা করা। পারিভাষিক অর্থে, আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট নিয়মে পবিত্র মাটি দ্বারা মুখমন্ডল ও উভয় হাত মাসাহ করার নাম তায়াম্মুম। [ফিকহুল মুয়াস্সার, পৃঃ ৩২] ক. পবিত্রতা অর্জনে পানির বিকল্প মাটি : ওযূর মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করে যে সকল কাজ করা যাবে, তায়াম্মুম করেও সে সকল কাজ করা যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যদি পানি না পাও, তাহ’লে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর’ (নিসা ৪/৪৩)। অত্র আয়াতে আল্লাহ্ পানির বিকল্প হিসাবে পবিত্র মাটির কথা উল্লেখ করেছেন। পবিত্রতা অর্জনে পানির বিকল্প মাটি এসম্পর্কে […]

তায়াম্মুম করার পদ্ধতি বিস্তারিত পডুন »

‘কুরায়েশ’ নামের পর্যালোচনা

এ বিষয়ে একবার মু‘আবিয়া (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন‘একটি সামুদ্রিক প্রাণীর কারণে, যা সমুদ্রের সকল প্রাণীর চাইতে অধিক শক্তিশালী, যাকে ‘ক্বিরশ’ বলা হয়। যে অন্যকে ধরে খায়। কিন্তু তাকে কেউ খেতে পারে না। সে বিজয়ী হয়। কিন্তু পরাজিত হয় না’ (কুরতুবী)। উপমহাদেশের খ্যাতনামা জীবনীকার ও রাসূল (ছাঃ)-এর জীবনচরিত ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’-এর স্বনামধন্য লেখক ক্বাযী সুলায়মান বিন সালমান মানছূরপুরী (মৃ:১৩৪৯/১৯৩০ খৃ:) বলেন, ‘কুরায়েশ’ অর্থ সাগরের তিমি মাছ। ইয়ামনের বাদশাহ হাসসান একবার মক্কা আক্রমণ করে কা‘বা গৃহ উঠিয়ে নিজ দেশে নিয়ে যেতে চেয়েছিল।

‘কুরায়েশ’ নামের পর্যালোচনা বিস্তারিত পডুন »

লাঠিতে ভর দিয়ে বক্তব্য প্রদানের বিধান

ভালো সত্য কথা বলা উচিৎ এবং মিথ্যা বানোয়াট কথা বলা থেকে বিরত থাকা অতিব জরুরী। তাছাড়া তর্ক সম্পূর্ণ ভাবে এড়িয়ে চলা উচিৎ যদিও আপনি সত্যবাদী তথা হক্বের উপর অবিচল রয়েছেন। যদিও মানুষ তর্ক প্রিয় জীব। এরা বিতর্ক বুঝে না। কেননা, তর্কবাগীশ মূর্খতার বশ্যতা স্বীকার করে, কিন্তু বিতর্ক মানুষকে জ্ঞানী করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,  ‏وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَىْءٍ جَدَلاً‏ ‘মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই বিতর্ক প্রিয়’ (ক্বাহাফ : ৫৪)। রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ইলম শিখে এজন্য যে, তার দ্বারা সে আলেমদের সাথে বিতর্ক করবে ও মূর্খদের সঙ্গে ঝগড়া করবে কিংবা

লাঠিতে ভর দিয়ে বক্তব্য প্রদানের বিধান বিস্তারিত পডুন »

আশুরায়ে মুহাররমের ফযীলত

ইসলামের নামে প্রচলিত অনৈসলামী পর্ব সমূহের মধ্যে একটি হ’ল ১০ই মুহাররম তারিখে প্রচলিত আশূরা পর্ব। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ পর্বের কোন অস্তিত্ব ছিল না। আল্লাহর নিকটে বছরের চারটি মাস হ’ল ‘হারাম’ বা মহা সম্মানিত (তওবা ৯/৩৬)। যুল-ক্বা‘দাহ, যুলহিজ্জাহ ও মুহাররম একটানা তিন মাস এবং তার পাঁচ মাস পর ‘রজব’, যা শা‘বানের পূর্ববর্তী মাস’।(বুখারী হা/৫৫৫০; মুসলিম হা/১৬৭৯; মিশকাত হা/২৬৫৯।)  জাহেলী যুগের আরবরা এই চার মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ করত না।(বুখারী হা/৫৩; মুসলিম হা/১৭; মিশকাত হা/১৭।) দুর্ভাগ্য যে, মুসলমান হয়েও আমরা অতটুকু করতে পারি না। আশূরার গুরুত্ব ও

আশুরায়ে মুহাররমের ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

হাদীছের প্রতি আনুগত্য, রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি আনুগত্যের শামীল

মুমিন সেই ব্যক্তি, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আনুগত্য রাখে। রাসূল (ছাঃ)-এর আনুগত্য করলে সে ব্যক্তি আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে আনুগত্য করবে না, তাকে পিটিয়ে দ্বীনে ভেড়ানো হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে বিমুখ হল, তবে আমি তোমাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক করে প্রেরণ করিনি’  (নিসা ৪/৮০)। তিনি অন্যত্র বলেন, ‘আর তোমরা আল্লাহর  আনুগত্য  কর এবং আনুগত্য কর রাসূলের আর সাবধান হও। তারপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তবে জেনে রাখ যে, আমার রাসূলের

হাদীছের প্রতি আনুগত্য, রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি আনুগত্যের শামীল বিস্তারিত পডুন »

পায়ে হেঁটে হজ্জে যাওয়ার বিধান

কোন ব্যক্তি শুধু পায়ে হেঁটে হজ্জব্রত পালনে যেতে ইচ্ছা পোষণ করলে সে ভুল সিন্ধান্ত নিবে। কেননা দ্বীনের মধ্যে বাড়াবাড়ী সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বাহনে ও পায়ে হেঁটে যাওয়া সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ اَذِّنۡ فِی النَّاسِ بِالۡحَجِّ یَاۡتُوۡکَ رِجَالًا وَّ عَلٰی کُلِّ ضَامِرٍ یَّاۡتِیۡنَ مِنۡ کُلِّ فَجٍّ عَمِیۡقٍ  ‘‘আর মানুষের নিকট হজ্জের ঘোষণা দাও; তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং সর্ব প্রকার ক্ষীণকায় উষ্ট্রসমূহের পিঠে, তারা আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে‘’ (হজ্জ ২২/২৭)। শুধু পায়ে হেঁটে হজ্জে যাওয়ার মানত করে নিজেকে কষ্ট দেওয়া সমীচীন নহে। কেননা

পায়ে হেঁটে হজ্জে যাওয়ার বিধান বিস্তারিত পডুন »

সম্মিলিত মুনাজাতের বিধান

ফরয ছালাত শেষে সালাম ফিরানোর পরে ইমাম ও মুক্তাদী সম্মিলিতভাবে হাত উঠিয়ে ইমামের সরবে দো‘আ পাঠ ও মুক্তাদীদের সশব্দে ‘আমীন’ ‘আমীন’ বলার প্রচলিত প্রথাটি দ্বীনের মধ্যে একটি নতুন সৃষ্টি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম হ’তে এর পক্ষে ছহীহ বা যঈফ সনদে কোন দলীল নেই। বলা আবশ্যক যে, আজও মক্কা ও মদীনার দুই মসজিদে উক্ত প্রথার কোন অস্তিত্ব নেই। আর যা দ্বীনের মধ্যে নেই তা পালনের প্রশ্নই আসে না। তবে মনে রাখা আবশ্যক, কিয়ামত পর্যন্ত একমাত্র মদীনাতেই সঠিক দ্বীন বহাল থাকবে, ইনশাআল্লাহ। ছালাতের সংজ্ঞা : ‘ছালাত’

সম্মিলিত মুনাজাতের বিধান বিস্তারিত পডুন »

ছাদাক্বাতুল ফিতরের বিধান

আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে উদ্দেশ্যবিহীন সৃষ্টি করেননি। তিনি বলেন, وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلاَّ لِيَعْبُدُوْنِ ‘আমি জিন ও মানবজাতিকে কেবল আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি’ (যারিয়াত ৫১/৫৬)। ইবাদত এমন একটি ব্যাপক শব্দ যা প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে পালনকৃত এমন সব কথা ও কাজের সমষ্টি, যা আল্লাহ পসন্দ করেন ও ভালবাসেন। আল্লাহর ইবাদত গ্রহণীয় হওয়ার জন্য দু’টি শর্ত রয়েছে। এক. একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে সমস্ত ইবাদত হ’তে হবে। দুই. রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সুন্নাতী পন্থা অনুযায়ী তা পালন করতে হবে। ইবাদত পালনে ত্রুটি-বিচ্যুতি হ’লে আল্লাহ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ারও ব্যবস্থা রেখেছেন। ছিয়াম

ছাদাক্বাতুল ফিতরের বিধান বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top