ইস্তেখারার বিধি-বিধান

ইস্তেখারা শব্দের অর্থ: ইস্তেখারা শব্দটি আরবি। আভিধানিক অর্থ: কল্যাণ প্রার্থনা করা বা এমন কিছু প্রার্থনা করা যাতে কল্যাণ রয়েছে।
ইসলামি পরিভাষায়: দু রাকাআত সালাত ও ইস্তেখারার দুআর মাধ্যমে বিশেষ কোন কাজে আল্লাহর নিকট কল্যাণ প্রার্থনা করাকেই ইস্তেখারা বলা হয়।
ইস্তেখারা করার হুকুম: এটি সুন্নত-যা সহীহ বুখারির হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
🔸 ইস্তিখারা কখন করতে হয়?
মানুষ বিভিন্ন সময় একাধিক বিষয়ের মধ্যে কোনটিকে গ্রহণ করবে সে ব্যাপারে দ্বিধা-ধন্ধে পড়ে যায়। কারণ, কোথায় তার কল্যাণ নিহিত আছে সে ব্যাপারে কারো জ্ঞান নাই। তাই সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য আসমান জমিনের সৃষ্টিকর্তা, অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ সকল বিষয়ে যার সম্যক জ্ঞান আছে, যার হাতে সকল ভাল-মন্দের চাবি-কাঠি সেই মহান আল্লাহর তায়ালার নিকট উক্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করতে হয়। যেন তিনি তার মনের সিদ্ধান্তকে এমন জিনিসের উপর স্থির করে দেন যা তার জন্য উপকারী। যার ফলে তাকে পরবর্তীতে আফসোস করতে না হয়। যেমন, বিয়ে, চাকরী, সফর ইত্যাদি সে বিষয়ে ইস্তেখারা করতে হয়।
শায়খুল ইসলাম ইবনে তায়মিয়া রহ. বলেন, “সে ব্যক্তি অনুতপ্ত হবে না যে স্রষ্টার নিকট ইস্তিখারা করে এবং মানুষের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার উপর অটল থাকে।” আল্লাহ তায়ালা বলেন:
وَشَاوِرْهُمْ فِي الأَمْرِ فَإِذَا عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلَى اللّهِ إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ الْمُتَوَكِّلِينَ
“আর তুমি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মানুষের সাথে পরামর্শ কর। অত:পর আল্লাহর উপর ভরসা করে (সিদ্ধান্তে অটল থাক)। আল্লাহ ভরসা কারীদেরকে পছন্দ করেন।“ (সূরা আলে ইমরান: ১৫৯)
কাতাদা(রহ:) বলেন: “মানুষ যখন আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পরস্পরে পরামর্শ করে তখন আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে সব চেয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছার তওফীক দেন।”
ইমাম নওবী রহ. বলেন: “আল্লাহ তায়ালার নিকট ইস্তেখারা করার পাশাপাশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ভাল লোকদের পরামর্শ গ্রহণ করা দরকার। কারণ, মানুষের জ্ঞান-গরিমা অপূর্ণ। সমষ্টিগতভাবে সে দুর্বল। তাই যখন তার সামনে একাধিক বিষয় উপস্থিত হয় তখন কি করবে না করবে, বা কি সিদ্ধান্ত নিবে তাতে দ্বিধায় পড়ে যায়।”
🔸 ইস্তিখারা করার নিয়ম:
১) সালাতের শুরুতে ওজু করতে হয়।
২) ইস্তিখারার উদ্দেশ্যে দু রাকায়াত নামায পড়তে হয়। এ ক্ষেত্রে সূরা ফাতিহার পরে যে কোন সূরা পড়া যায়।
৩) নামাযের সালাম ফিরিয়ে আল্লাহ তায়ালা বড়ত্ব ও মর্যাদার কথা মনে জাগ্রত করে একান্ত বিনয় ও আন্তরিকতা সহকারে নিচের দুয়াটি পাঠ করা:
اللَّهُمَّ إنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ , وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ , وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيمِ فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلا أَقْدِرُ , وَتَعْلَمُ وَلا أَعْلَمُ , وَأَنْتَ عَلامُ الْغُيُوبِ اللَّهُمَّ إنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ (………) خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي) أَوْقَالَ : عَاجِلِأَمْرِيوَآجِلِهِ) فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ , اللَّهُمَّ وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ(………) شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي (أَوْقَالَ : عَاجِلِأَمْرِيوَآجِلِهِ) فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ وَاقْدُرْ لِي الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ ارْضِنِي بِهِ (……).
জাবের রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক কাজে আমাদের ইস্তিখারা করা সম্পর্কে এমন ভাবে শিক্ষা দিতেন যেভাবে কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেন, তোমাদের কেউ যখন কোন কাজ করার করবে তখন সে দু রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে, এরপর সে পাঠ করবে:
–আল্লা-হুম্মা ইন্নীআস্তাখিরুকা বি ইলমিকা
ওয়া আস্তাকদিরুকা বি ক্বুদরাতিকা
ওয়া আসআলুকা মিন ফাদ্বলিকাল আযীম,
ফা ইন্নাকা তাক্বদিরু ওয়ালা আক্বদিরু,
ওয়া তা’লামু ওয়ালা আ’লামু
ওয়া আন্তা আল্লামুল গুয়ূব।
আল্লা-হুম্মা ইন কুন্তা তা’লামু
আন্না হাযাল আমরা (এখানে নিজের কাজের কথা উল্লেখ করবে)
খাইরুল্লি ফি দ্বীনী ওয়া মাআ’শী, ওয়া আক্বিবাতি আমরী
(অথবা বলবে: আ’ জিলি আমরি ওয়া আজিলিহি)
ফাক্বদিরহু লি ওয়া ইয়াসসিরহু লী-সুম্মা বারিকলী ফিহি।
ওয়া ইন কুনতা তা’লামু আন্না হা-যাল আমরা (এখানে নিজের কাজের কথা উল্লেখ করবে) শাররুল্লী ফী দীনী ওয়া মাআশী ওয়া আক্বিবাতি আমরী
(অথবা বলবে: আ জিলি আমরী ওয়া আজিলীহি)
ফাসরিফহু আন্নী ওয়াসরীফনী আনহু
ওয়াকদির লিয়াল খাইরা হাইসু কানা
সুম্মা আরদ্বিনী বিহি।
(এর পর নিজের কাজের কথা উল্লেখ করবে)
অর্থ: হে আ্ল্লাহ, আমি আপনার কাছে কল্যাণ চাই –আপনার ইলমের সাহায্যে।
আপনার কাছে শক্তি কামনা করি আপনার কুদরতের সাহায্যে।
আপনার কাছে অনুগ্রহ চাই আপনার মহা অনুগ্রহ থেকে।
আপনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী –আমার কোন ক্ষমতা নাই।
আপনি সর্বজ্ঞ – আমি কিছুই জানি না।
আপনি সকল গোপন বিষয় পূর্ণ অবগত।
“হে আল্লাহ, আপনার ইলমে এ কাজ (এখানে নিজের কাজের কথা উল্লেখ করবে) আমার দ্বীন আমার জীবন-জীবিকা ও কর্মফলের দিক থেকে (বা তিনি নিম্নোক্ত শব্দগুলো বলেছিলেন –একাজ দুনিয়া ও আখিরাতের দিক থেকে ভাল হয়) তবে তা আমাকে করার শক্তি দান করুন।
পক্ষান্তরে আপনার ইলমে এ কাজ (এখানে নিজের কাজের কথা উল্লেখ করবে) যদি আমার দ্বীন আমার জীবন-জীবিকা ও কর্মফলের দিক থেকে (অথবা বলেছিলেন, দুনিয়া ও পরকালের দিক থেকে মন্দ হয়) তবে আমার ধ্যান-কল্পনা একাজ থেকে ফিরিয়ে নিন। তার খেয়াল আমার অন্তর থেকে দূরীভূত করে দিন।
আর আমার জন্যে যেখানেই কল্যাণ নিহিত রয়েছে এর ফায়সালা করে দিন এবং আমাকে এরই উপর সন্তুষ্ট করে দিন । (এরপর নিজের প্রয়োজনের কথা ব্যক্ত করবে।) [সহিহ বুখারি]
🔸🔹 যে কোন কাজে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছার দুটি উপায়:
প্রথমত: আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট ইস্তিখারার সালাতের মাধ্যমে কল্যাণ প্রার্থনা করা। কারণ, তিনি অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সব চেয়ে ভাল জানেন। তিনি সব চেয়ে চেয়ে বেশী জ্ঞান রাখেন মানুষের কল্যাণ কোথায় এবং কোন পথে নিহিত আছে।
দ্বিতীয়ত: অভিজ্ঞ, বিশ্বস্ত এবং জ্ঞানী লোকের পরামর্শ গ্রহণ করা। আল্লাহ তায়ালা এ ব্যাপারে বলেন:
وَشَاوِرْهُمْ فِي الأَمْر
“সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের সাথে পরামর্শ করুন।” [সূরা আলে ইমরান: ১৫৯]
🔹 পরামর্শ আগে না ইস্তেখারার সালাত আগে?
এ ব্যাপারে আলেমগণের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। তবে সবচেয়ে সঠিক হল, আল্লামা মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল ইসাইমীন রহ. এর মত-যা তিনি রিয়াদুস সালিহীনের ব্যাখ্যা গ্রন্থে প্রাধান্য দিয়েছেন। তা হল, আগে ইস্তেখারার সালাত আদায় করতে হবে। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأمْرِ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ…
“তোমাদের কেউ কোন কাজের মনস্থ করলে সে যেন, (সালাতুল ইস্তিখারার) দুরাকায়াত সালাত আদায় করে….।” এখানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্ব প্রথম সালাতুল ইস্তিখারা আদায় করার কথা বলেছেন।
🔹🔸 ইস্তিখারা প্রসঙ্গে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন:
১) ছোট-বড় সকল বিষয়ে ইস্তিখারা করার অভ্যাস গড়ে তোলা ভাল।
২) দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করুন, আল্লাহ আপনাকে যে কাজ করার তাওফিক দিয়েছেন তাতেই আপনার কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তাই একান্ত মনোযোগ সহকারে স্থির চিত্তে এবং আল্লাহর মহত্ব ও বড়ত্বের কথা স্মরণ করে তার নিকট দুয়া করুন।
৩) খুব তাড়াহুড়া বা একান্ত জরুরী প্রয়োজন না হলে যে সকল সময়ে সাধারণ নফল নামায পড়া নিষিদ্ধ সে সকল সময়ে সালাতুল ইস্তিখারা আদায় করা থেকে বিরত থাকুন। তবে তাড়াহুড়া থাকলে নিষিদ্ধ সময়গুলোতেও তা পড়া যাবে।
৪) মহিলাদের ঋতু স্রাব বা সন্তান প্রসব জনিত রক্ত প্রবাহের সময় সালাতুল ইস্তিখারা আদায় করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে এমতাবস্থায় নামায না পড়ে শুধু ইস্তিখারার দুয়াটি পড়া যাবে।
৫) ইস্তিখারার দুয়া মুখস্থ না থাকলে দেখে দেখে তা পড়তে অসুবিধা নেই। তবে মুখস্থ করার চেষ্টা করা ভাল।
৬) ইস্তিখারা করার পর তার উদ্দিষ্ট বিষয়ে স্বপ্ন দেখা আবশ্যক নয়। স্বপ্নের মাধ্যমেও সঠিক জিনিসটি জানতে পারে আবার স্বপ্ন ছাড়াও মনের মধ্যে সে কাজটির প্রতি আগ্রহ বা অনাগ্রহ তৈরি হতে পারে।
৭) উক্ত বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হলে আল্লাহর উপর ভরসা করে দৃঢ়ভাবে কাজে এগিয়ে যান। পিছুপা হবেন না বা হীনমন্যতায় ভুগবেন না। আল্লাহ তায়ালা বলেন: “আর যখন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেল তখন আল্লাহর উপর ভরসা কর।”(সূরা আলে ইমরান: ১৫৯)
৮) সালাতুল ইস্তিখারা পড়ার পরও সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত না হতে পারলে একাধিকবার তা পড়া জায়েজ আছে।
৯) ইস্তিখারার দুয়াতে যেন অতিরিক্ত কোন শব্দ যোগ না হয় বা সেখান থেকে কোন শব্দ বাদ না যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখুন। বরং হাদীসে বর্ণিত শব্দাবলী যথাযথভাবে পড়ার চেষ্টা করুন।
১০) যে বিষয়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে চান সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, সৎ ও বিশ্বস্ত ব্যক্তির পরামর্শ গ্রহণ করুন। সেই সাথে সালাতুল ইস্তিখারাও আদায় করুন।
১১) এক জনের পক্ষ থেকে আরেকজন সালাতুল ইস্তিখারা আদায় করতে পারবে না। তবে সাধারণভাবে তার কল্যাণের জন্য দুয়া করতে পারে। যেমন, মা-বাবা তাদের সন্তানের কল্যাণের জন্য নামাযের বাইরে কিংবা নফল নামাজে সিজদা রত অবস্থায় এবং তাশাহুদের দরুদ পাঠের পরে দুয়া করতে পারে।
১২) প্রশ্ন: একাধিক বিষয়ের জন্য কি একবার ইস্তিখারা করাই যথেষ্ট না প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য পৃথকভাবে করতে হবে?
উত্তর: প্রতিটি কাজের জন্য পৃথকভাবে ইস্তিখারা করা উত্তম। তবে একবার ইস্তিখারা করে দুয়ায় সকল বিষয়ের নিয়ত করলেও যথেষ্ট হবে।
১৩) অন্যায় বা হারাম কাজে এমন কি মাকরূহ কাজে ইস্তিখারা করা জায়েজ নাই।
🔸 ইস্তিখারার ব্যাপারে কয়েকজন মনিষীর বক্তব্য:
১) সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রা. বলেন, “আল্লাহর নিকট ইস্তিখারা করা আদম সন্তানদের সৌভাগ্যের বিষয়। অনুরূপভাবে আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকাও তাদের সৌভাগ্যের বিষয়। পক্ষান্তরে আল্লাহর নিকট ইস্তিখারা না করা আদম সন্তানদের দুর্ভাগ্যের বিষয় অনুরূপ ভাবে আল্লাহর ফয়সালায় অসন্তুষ্ট হওয়াও তাদের দুর্ভাগ্যের বিষয়।”
২) উমর ইবনুল খাত্তাব রা. বলেন, “আমার সকালটা আমার কাঙ্ক্ষিত অবস্থায় না কি অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থায় হল তা নিয়ে আমি ভাবি না। কারণ, আমি জানি না কল্যাণ কোথায় নিহিত আছে; যা আমি আশা করি তাতে না কি যা আমি আশা করি না তাতে।”
সুতরাং সুপ্রিয় মুসলিম ভাই ও বোন, বিপদাপদ বা দুর্ঘটনা ঘটলেই তাতে হাহুতাশ করার কারণ নেই। কারণ, আমাদের জীবনে এমন ঘটনা ঘটে যা আমরা চাই না কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার মধ্যেই আমাদের কল্যাণ নিহিত রয়েছে। আবার অনেক সময় এমন কিছু আশা করি যার মধ্যে হয়ত কোন অকল্যাণ ও ক্ষতি অপেক্ষা করছে। আমরা কেউই ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানি না। আল্লাহ তায়ালা বলেন:
وَعَسَى أَن تَكْرَهُواْ شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَعَسَى أَن تُحِبُّواْ شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ وَاللّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ
“তোমাদের কাছে হয়তবা কোন একটা বিষয় পছন্দনীয় নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তো কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুত: আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।” [সূরা বাকারা: ২১৬]
৩) শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন: “সে ব্যক্তিকে অনুতপ্ত হতে হবে না যে স্রষ্টার নিকট ইস্তিখারা করে এবং মানুষের নিকট পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার উপর অটল থাকে।”
আল্লাহ আমাদের সকলকে তার সন্তোষ মূলক কাজ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

loader-image

Scroll to Top