(এক) আল্লাহর নূর (আলো) কামনা করে দো‘আ :
اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُورًا وَفِي بَصَرِي نُورًا وَفِي سَمْعِي نُورًا وَعَنْ يَمِينِي نُورًا وَعَنْ يَسَارِي نُورًا وَفَوْقِي نُورًا وَتَحْتِي نُورًا وَأَمَامِي نُورًا وَخَلْفِي نُورًا وَعَظِّمْ لِي نُورًا ”
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মাজ আল ফী ক্বলবী নূরাওঁ ওয়া ফী বাসারী নূরাও, ওয়া ফী সামঈ নূরাও ওয়া আই ইয়ামীনী নুরাওঁ, ওয়া আই ইয়াসা-রী নূরাওঁ, ওয়া ফাওকী নূরাওঁ, ওয়া তাহতী নূরাওঁ, ওয়া আমামী নূরাওঁ, ওয়া খালফী নূরাওঁ,ওয়া আয্যিমলী নূরাওঁ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার কলবে নূর দান করুন, আমার দৃষ্টিতে নূর দান করুন, আমার শ্রবণশক্তিতে নূর দান করুন, আমার ডানদিকে নূর, আমার বামদিকে নূর, আমার উপরে নূর, আমার নিচে নূর, আমার সামনে নূর, আমার পিছনে নূর এবং নূরের বিশালতা দান করুন’ (বুখারী হা/৬৩২৬; মুসলিম হা/৭৬৩; মিশকাত হা/১১৯৫)।
ফযীলত :
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার খালা মায়মুনার ঘরে রাত্রি যাপন করলাম। রাতের বেলা এক সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে নিজের প্রয়োজন সমাধা করলেন। তারপর নিজের হাত-মুখ ধুয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। পরে (পানির) মশকের কাছে গিয়ে বন্ধন খূললেন। তারপর দুই ওযুর মাঝামাঝি ওযু করলেন। অতিরিক্ত পানি খরচ করলেন না। তবে পূর্ণাঙ্গ ওযু করলেন। তারপর দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করলেন। আমি জেগে মোড়ামুড়ি দিলাম। আমার পছন্দ ছিল না যে, আমি জেগে জেগে তাঁকে লক্ষ্য করছিলাম, তা তিনি বুঝে ফেলেন। এরপর আমি ওযু করলাম। তিনি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করেছিলেন। আমি তাঁর বামপাশে দাঁড়ালাম। তিনি আমাকে হাতে ধরে ঘুরিয়ে তাঁর ডান দিকে আনলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর রাতের সালাত (তাহাজ্জুদ) তের রাকআত হল।
তারপর তিনি শুয়ে পড়লেন এবং ঘুমিয়ে নাক ডাকতে লাগলেন। তিনি ঘূমালে তাঁর নাক ডাকত। তখন বিলাল (রাঃ) এসে তাঁকে সালাতের সময় হওয়ার খবর দিলেন। তিনি উঠে সালাত আদায় করলেন এবং ওযু করলেন না। (এ রাতে) তাঁর দু’আর মধ্যে ছিলঃ
হে আল্লাহ! আমার কলবে নূর দান করুন, আমার দৃষ্টিতে নূর দান করুন, আমার শ্রবণশক্তিতে নুর দান করুন, আমার ডানদিকে নূর, আমার বামদিকে নূর, আমার উপরে নূর, আমার নিচে নূর, আমার সামনে নূর, আমার পিছনে নূর এবং বিরাট নূর দান করুন।
রাবী কুরায়ব (রহঃ) বলেন, আরও সাতটি বিষয় যা আমার অন্তরে রয়েছে। সালামা ইবনু কুহায়ল বলেন, এরপর আমি আব্বাস পরিবারের কোন একজনের সঙ্গে সাক্ষাত করলে তিনি ঐ বিষয়গুলো আমাকে বর্ণনা করলেন। আমার শিরায়, আমার মাংসে, আমার রক্তে, আমার পশমে এবং আমার বুকে… আরও দু’টি বিষয় বললেন’ (মুসলিম হা/৭৬৩)।
(দুই) পঞ্চ ইন্দ্রিয়র কুমন্ত্রণা থেকে আশ্রয় কামনার দো‘আ :
أَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِيْ وَمِنْ شَرِّ بَصَرِيْ وَمِنْ شَرِّ لِسَانِيْ وَمِنْ شَرِّ قَلْبِيْ وَمِنْ شَرِّ مَنِيِّيْ ” .
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী ‘আউযুবিকা মিন শার্রী সাম‘য়ী, ওয়া মিন শার্রী বাছারী, ওয়া মিন শার্রী লিসানী, ওয়া মিন শার্রী ক্বালবী, ওয়া মিন শার্রী মানীয়্যি।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কানের অশ্লীল শ্রবণ, চোখের কুদৃষ্টি, জিহ্বার কুবাক্য, অন্তরের কপটতা ও কামনার অনিষ্টতা হতে আশ্রয় চাই’ (আবূ দাঊদ হা/১৫৫১)।