ভূমিকা : যে ব্যক্তি তাক্বদীর সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করেছে, সে কখনও হতাশ, নিরাশ ও অসন্তুষ্ট হবে না, আর জীবন নিয়ে আফসোসও করবে না। হিংসুক ব্যক্তির অন্তরে তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে। হিংসা না করে, তাক্বদীর বিষয়ে জ্ঞানার্জন করুন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ’’আমার উম্মাতের মধ্যে যারা তাক্বদীর অস্বীকারকারী তাদের মধ্যে ভূমি ধ্বস ও চেহারা বিকৃতি ঘটবে’’(মিশকাত হা/১০৬) ।
জীব সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাযার বছর পূর্বে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,كَتَبَ اللهُ مَقَادِيْرَ الْخَلاَئِقِ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ بِخَمْسِيْنَ أَلْفَ سَنَةٍ- ‘আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টি জগতের ভাগ্য লিখে রেখেছেন আকাশ সমূহ ও যমীন সৃষ্টির পঞ্চাশ হাযার বছর পূর্বে’।[মুসলিম হা/২৬৫৩; মিশকাত হা/৭৯।]
তবে সবার আগে কলম তৈরী হয়েছে। অর্থাৎ জীবের সৃষ্টির আগে ভাগ্য, তারও পূর্বে কলম সৃষ্টি। আর পৃথিবীর সকল কিছু সৃষ্টির মূল উপাদান পানি। এই মৌলিক উপাদান পৃথিবীর সকল জীবদেহের মধ্যে বিদ্যমান। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاءِ كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ ‘আর প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হ’তে’ (আম্বিয়া ২১/৩০)।
জীব বিজ্ঞানের মতে, সাগরের অভ্যন্তরের পানিতে যে প্রোটোপ্লাজম বা জীবনের আদিম মূলীভূত উপাদান রয়েছে তা থেকেই সকল জীবের সৃষ্টি। আবার সকল জীবদেহ কোষ দ্বারা গঠিত। আর এই কোষ গঠনের মূল উপাদান হচ্ছে পানি। ভিন্নমতে, পানি অর্থ শুক্র (কুরতুবী)। তাছাড়া আকাশ ও পৃথিবী বন্ধ ছিল অর্থাৎ পূর্বে আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষিত হ’ত না এবং যমীনে তরুলতা জন্মাত না। আল্লাহর ইচ্ছায় বৃষ্টি বর্ষিত হ’ল এবং মাটি তা থেকে উৎপাদন ক্ষমতা অর্জন করল (ইবনে আব্বাস)।পৃথিবীর জীব কোষের মূল উপাদান যেমন পানি, তেমনি এই পানিই মাটির উৎপাদন ক্ষমতা লাভের প্রধান উপাদান।
ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ তাক্বদীরে বিশ্বাস :
তাক্বদীরের প্রতি ঈমান রাখার গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এই ছয়টি বিষয়ের যে কোন একটি বিশ্বাস বিলুপ্ত হলে নিজেকে ঈমানদার বলে দাবী করতে পারে না। বলা হয় ছয়টি বিশ্বাসের সমন্বয়ে প্রকৃত ঈমান গঠিত হয়। আর সৎ আমলের মাধ্যমে তা দৃঢ় হয়। হাদীছে জিবরীলে বর্ণিত আছে, জিবরীল (আঃ) যখন রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ঈমান কি? তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, أَنْ تُؤْمِنَ بِاللهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَرُسُلِهِ وَكُتُبِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ ‘ঈমান হচ্ছে আল্লাহর উপরে তাঁর ফেরেশতার উপরে, তাঁর রাসূলগণের উপরে, তাঁর কিতাব সমূহের উপরে, বিচার দিবসের উপরে এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের উপরে বিশ্বাস রাখা’ (ইবনু মাজাহ হা/৬৩; তিরমিযী হা/২৬১০, সনদ ছহীহ)।
অন্যত্র তিনি বলেন, لاَ يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتَّى يُؤْمِنَ بِأَرْبَعٍ يَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنِّى مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ بَعَثَنِىْ بِالْحَقِّ وَيُؤْمِنُ بِالْمَوْتِ وَبِالْبَعْثِ بَعْدَ الْمَوْتِ وَيُؤْمِنُ بِالْقَدَر- ‘কোন বান্দাই মুমিন হ’তে পারবে না যতক্ষণ না এই চারটি কথায় বিশ্বাস করবে- ১. এ সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল। তিনি আমাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন। ২. মৃত্যুতে বিশ্বাস করবে। ৩. মৃত্যুর পর পুনরুত্থানে বিশ্বাস করবে। ৪. তাক্বদীরে বিশ্বাস করবে’। (তিরমিযী হা/২১৪৫; ইবনু মাজাহ হা/৮১; মিশকাত হা/১০৪, সনদ ছহীহ)।
তাক্বদীর কী :
‘তাক্বদীর’ হ’ল পূর্ব নির্ধারণ করা বা নির্দিষ্ট করা। পরিভাষায়, আল্লাহ কর্তৃক লাওহে মাহফুযে সংরক্ষিত স্পষ্ট কিতাবে বান্দার জীবনের সকল নির্ধারণ বিষয় লিপিবদ্ধ করে রাখা ভাগ্যলিপিকে তাক্বদীর বলে।
তাক্বদীরের প্রকারভেদ :
আল্লাহর ইচ্ছায় নির্ধারিত তাক্বদীর আগে পরে হ’তে পারে। তাই ভাগ্যের কিছু অংশ পরিবর্তনশীল এবং কিছু অংশ অপরিবর্তনশীল থাকে। আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস বলেন,দু’টি কিতাব আছে। একটি মূলগ্রন্থ যা লাওহে মাহফুযে ঝুলানো রয়েছে। অপর গ্রন্থটিতে কম-বেশী হয়ে থাকে। যেমন কারু দো‘আ কিংবা ভাল-মন্দ কাজের ফলে ভাগ্যলিপিতে যে পরিবর্তন হয় সেটা কোন সময়ে বিশেষ শর্তের সাথে সংযুক্ত থাকে। শর্ত পাওয়া গেলে পরিবর্তন হবে,আর শর্ত না পাওয়া গেলে অপরিবর্তন থাকে (ইবনে কাছীর)।
তাক্বদীর প্রধাণত দুই প্রকার : ১. অপরিবর্তনীয় (مبرم)। ২. পরিবর্তনশীল (معلق)।
১. অপরিবর্তনীয় তাক্বদীর :
মানব জীবনে এমন কিছু বিষয় আছে যা পরিবর্তন হয় না। আর এই অপরিবর্তনশীল লিপিবদ্ধ তাক্বদীরের মূলগ্রন্থ (أُمُّ الْكِتَابِ) লাওহে মাহফুযে রয়েছে, যার কোন পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হতে পারে না(ইবনে কাছীর)। এজন্য ঐসকল বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সময় ও পরিণতি সম্পর্কে কেহ কোন জ্ঞান রাখে না। যেমন সকল প্রাণী মরণশীল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে’(আলে ইমরান ৩/১৮৫)। এমনকি আল্লাহ ব্যতীত আসমান যমিনের সকল বস্তুর ধ্বংস অনিবার্য ও পূর্ব নির্ধারিত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,كُلُّ شَيْءٍ هَالِكٌ إِلاَّ وَجْهَهُ ‘প্রত্যেক বস্ত্তই ধ্বংস হবে তাঁর চেহারা ব্যতীত’(ক্বাছাছ ২৮/৮৮)। এই নির্ধারণ তাক্বদীরের কোন পরিবর্তন নেই। যার ফলে এটাকে অপরিবর্তনীয় তাক্বদীর বলে।
২. পরিবর্তনশীল তাক্বদীর :
একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছায় নির্ধারিত তাক্বদীর শর্ত সাপেক্ষে পরিবতর্ন ও পরিবর্ধন হয়। তাক্বদীরের কিছু অংশ পরিবর্তনশীল এবং কিছু অংশ অপরিবর্তনশীল থাকে, এসম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন,يَمْحُو اللهُ مَا يَشَاءُ وَيُثْبِتُ وَعِنْدَهُ أُمُّ الْكِتَابِ ‘আল্লাহ যা ইচ্ছা মিটিয়ে দেন এবং বহাল রাখেন। আর তাঁর নিকটেই রয়েছে মূল কিতাব’(রা‘দ ১৩/৩৯)।
শর্ত পাওয়া গেলে পরিবর্তন হবে,এই পরিবর্তনের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। আল্লাহ স্বীয় ফায়ছালার পরিবর্তন করেন যখন বান্দা তাঁর নিকটে দো‘আ করে। সালমান ফারসী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, لَا يَرُدُّ القَضَاءَ إِلَّا الدُّعَاءُ، وَلَا يَزِيدُ فِي العُمْرِ إِلَّا البِرُّ. ‘দো‘আ ব্যতীত কোন বস্ত্ত তাক্বদীরের লিখন (আল্লাহর নির্ধারিত ফায়ছালা) পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে না এবং সৎ আমল ছাড়া অন্য কিছু হায়াত বৃদ্ধি করতে পারে না।’ (তিরমিযী হা/২১৩৯; মিশকাত হা/২২৩৩; ছহীহুল জামি‘ হা/৭৬৮৭)।
রিযিক ও হায়াত বর্ধিত হয় সেই ব্যক্তির যে আত্মীয়তার সম্পর্ক বহাল রাখে। আনাস বিন মালিক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُبْسَطَ لَهُ فِىْ رِزْقِهِ، وَيُنْسَأَ لَهُ فِىْ أَثَرِهِ، فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ-‘যে ব্যক্তি পসন্দ করে যে তার রূযী বৃদ্ধি হোক এবং তার আয়ু দীর্ঘায়িত হোক, সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে’ (বুখারী হা/৫৯৮৬; মুসলিম হা/২৫৫৭; মিশকাত হা/৪৯১৮)। তাহলে এটা প্রতিয়মান হয় যে, দো‘আ ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট থাকলে রিযিক্ব ও আয়ু বৃদ্ধি পায়।
সাহাবায়ে কেরামের দৃষ্টিতে তাক্বদীর :
ছাহাবীগণ এভাবেই তাক্বদীর-এর পরিচয় তুলে ধরেছেন। ত্বাউস বলেন, أَدْرَكْتُ نَاسًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُوْنَ كُلُّ شَىْءٍ بِقَدَرٍ- ‘আমি বহু ছাহাবীর সাক্ষাৎ পেয়েছিলাম, তাঁরা বলতেন, প্রত্যেক জিনিসই তাক্বদীর অনুসারে সংঘটিত হয়’ [মুসলিম হা/২৬৫৫; রিয়াযুছ ছালেহীন, পৃঃ ২৮২।] অন্যত্র রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,كُلُّ شَىْءٍ بِقَدَرٍ حَتَّى الْعَجْزُ وَالْكَيْسُ أَوِ الْكَيْسُ وَالْعَجْزُ ‘প্রত্যেক জিনিসই তাক্বদীর অনুসারে সংঘটিত হয়ে থাকে। এমনকি অক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তা’[মুসলিম হা/২৬৫৫; মিশকাত হা/৮০]। সাহাবীগণ তাক্বদীর নিয়ে বিতর্ক করলে তা জেনে রাসূল (ছাঃ) রেগে যান এবং এসব বিষয় থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দেন।
(১) আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বের হয়ে আমাদের নিকট আসলেন আমরা তখন তাক্বদীর সম্পর্কে বিতর্কে লিপ্ত ছিলাম। এ দেখে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদের উপর এত রাগ করলেন যে, রাগে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর চেহারা মোবারক লাল হয়ে গেল, যেন তাঁর গন্ডদেশে আনারের দানা নিংড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর তিনি বললেন, তোমাদেরকে কি এ বিষয়ে হুকুম করা হয়েছে, না কি আমি এ নিয়ে তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছি। তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা এ বিষয়ে বির্তকে লিপ্ত হয়ে ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞার সাথে তোমাদেরকে বলছি, তোমরা এ বিষয়ে কখনো যেন বিতর্কে লিপ্ত না হও’ [তিরমিযী হা/২১৩৩; মিশকাত হা/৯৮, সনদ হাসান]।
(২) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সবল মু’মিন আল্লাহর নিকট দুর্বল মু’মিন অপেক্ষা প্রিয়তর ও ভালো। অবশ্য উভয়ের মাঝেই কল্যাণ রয়েছে। তোমার যাতে উপকার আছে তাতে তুমি যত্নবান হও। আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা কর, আর অক্ষম হয়ে বসে পড়ো না। কোন মসীবত এলে এ কথা বলো না যে, ’(হায়) যদি আমি এরূপ করতাম, তাহলে এরূপ হতো। (বা যদি আমি এরূপ না করতাম, তাহলে এরূপ হতো না।)’ বরং বলো, ’আল্লাহ তক্বদীরে লিখেছিলেন। তিনি যা চেয়েছেন তাই করেছেন।’ (আর তিনি যা করেন, তা বান্দার মঙ্গলের জন্যই করেন; যদিও তুমি তা বুঝতে না পার।) পক্ষান্তরে ’যদি-যদি না’ (বলে আক্ষেপ) করায় শয়তানের কর্মদ্বার খুলে যায়’ (আহমাদ হা/৮৭৯১, ৮৮২৯, মুসলিম হা/৬৯৪৫, ইবনে মাজাহ হা/৭৯, সহীহুল জামে’ হা/৬৬৫০)।
(৩) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একদা আদম ও মূসা আপোসে তর্কাতর্কি করলেন; মূসা বললেন, আপনি পাপ করে আমাদেরকে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে বের করে এনেছেন। আদম বললেন, মূসা! তুমি তো নবী ছিলে। তোমাকে আল্লাহ তওরাত দিয়েছিলেন, যে তওরাত আল্লাহ আমাকে সৃষ্টি করার চল্লিশ বছর পূর্বে লিখেছেন, তাতে কি পেয়েছ যে, ’আদম অবাধ্য হয়ে ভ্রষ্ট হয়ে গেল?’ মূসা বললেন, হ্যাঁ। আদম বললেন, তাহলে সেই ভুলের জন্য আমাকে কেন ভৎর্সনা কর, যা আল্লাহ আমাকে সৃষ্টি করার চল্লিশ বছর আগেই লিখে দিয়েছেন? সুতরাং মূসা এ তর্কে হেরে গেলেন’ (বুখারী ৩৪০৯, ৬৬১৪, মুসলিম ৬৯১৪)।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদের ঈমানকে বারংবার নবায়ন করে দেন এই কামনা করি। আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, إن الإيمان ليخلق في جوف أحدكم كما يخلق الثوب فاسألوا الله تعالى أن يجدد الإيمان في قلوبكم ‘অবশ্যই তোমাদের হৃদয়ে ঈমান জীর্ণ হয়; যেমন জীর্ণ হয় পুরনো কাপড়। সুতরাং তোমরা আল্লাহ তা’আলার কাছে প্রার্থনা কর, যাতে তিনি তোমাদের হৃদয়ে তোমাদের ঈমান নবায়ন করে দেন’ (ত্বাবারানী, হাকেম হা/৫, সহীহুল জামে’ হা/১৫৯০)।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে পরিপূর্ণ ভাবে তাক্বদীরের প্রতি ঈমান রাখার তাওফীক্ব এবং সঠিক বুঝ দান করুন, আমীন।