যে ব্যক্তি নিজের ভুল স্বীকার করে, সংশোধনের নিমিত্তে ভুল থেকে ফিরে আসে, সে-ই প্রকৃত নিষ্ঠাবান ও জ্ঞানী। নিজেকে ঠিক মনে করা থেকে প্রত্যেকের ফিরে আসা উচিৎ। কেননা মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়। প্রত্যেক মানুষ যুগে যুগে ভুল করেছেন বা করবেন। ভুল থেকে ফিরে আসার যোগ্যতা যে ব্যক্তির রয়েছে, সে ব্যক্তি নেতা হওয়ার অতিব যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষ।
মানুষ আজও উপলব্ধি করবে না? কেন আল্লাহ তা‘আলা তাকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন ? না বুঝে দুনিয়া নিয়ে মাতামাতী। দুনিয়ার প্রতি এত আকৃষ্ট? দুনিয়াতে যত দিন বেঁচে থাকবেন, মনে করবেন সব আমাদের। আপনি যখনই আমার মনে করবেন, তখনই দুনিয়ার প্রতি লোভী হয়ে উঠবেন। আর লোভ ঠিক রাখতে যত অন্যায় রয়েছে তা নির্বিঘ্নে করে যাবেন।
একটিবার চিন্তা করে দেখেছেন (?) আপনার রুযী কতটুকু হালাল রয়েছে? যদি না ভেবে থাকেন তবে আজই একবার চিন্তা করে দেখুন। পড়াশুনা করুন দুনিয়া ও আখিরাত এবং দুনিয়ার সম্পদের আয় ও ব্যয় সম্পর্কে।
আপনি কী ভেবে দেখেছেন সুকৌশলে আপনার আয়ে ভেজাল রয়েছে? বুঝতে পারছেন না তো। এটা স্বাভাবিক বিষয়। কারণ আপনি সঠিক মনে করেন নিজেকে। এটাই আপনার চরম অপরাধ মাত্র। মাত্র কেন বলেছি? কারণ আপনি সেই অপরাধকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে দেখছেন তাই।
ভাবছেন আজীবন ইবাদতের মধ্যে রয়েছেন, ছালাত, ছিয়াম, যাকাত এবং হজ্জ সম্পাদনও করেছেন। কিন্তু কোন একদিন কাউকে ঠকিয়ে একশত টাকা আয় করে আপনার মূলধনে যোগ করেছেন। কিংবা তুচ্ছ ভেবে সম্পদ মর্গেজ রেখে তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকগুলো থেকে লোন করেছেন। ব্যবসাতে খাটিয়ে আপনি সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আপনার সম্মান সর্বত্র বিরাজমান। লম্বা জামা ও পাগড়ী কিন্তু আবু জাহেলও পরিধান করত। এটা আরবের পোশাক মাত্র। সুতরাং সুন্নতি পোশাক পরিধান নয়, হালাল পোশাক পরিধান করুন।
আপনার সকল কর্মফল আখিরাতে মওজুদ রয়েছে। চিন্তা করবেন না, অণূ পরিমাণ এদিক সেদিক হবে না। সঠিক হিসাব পেয়ে যাবেন। আল্লাহর হক্ব ও বান্দার হক্বের অধিকার পরিপূর্ণভাবে প্রতিপালনে সচেষ্ট হোন। দুনিয়াতে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে বোকা যে পরিবারের জন্য হারাম উপাজর্নে নিজেকে ব্যস্ত রাখে। নিজেকে যোগ্য করুন আল্লাহর কাছে, বান্দার নিকট নয়। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন, আমীন।
—– (কথাগুলো আমার একান্ত ব্যক্তিগত উপলব্ধি মাত্র। কারু জীবনে মিলে গেলে লেখক দায়ী নয়)