বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান

মানুষ সামাজকি জীব। সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করা মানুষরে সহজাত প্রবৃত্ত।ি একে অন্যরে সহযোগতিা ছাড়া মানুষ একদনিও চলতে পারে না। তাই সামাজকি জীবনে পরস্পরকি সাহায্য-সহযোগতিা খুবই গুরুত্বর্পূণ। ইসলাম সমাজকল্যাণমূলক র্ধম। মানব কল্যাণ ও সমাজকল্যাণ ইসলামরে অন্যতম লক্ষ্য। ইসলাম ও সমাজকল্যাণ একটরি সাথে অন্যটি ওতপ্রোতভাবে জড়তি। সমাজকল্যাণ বলতে মানুষরে কল্যাণে র্কাযকর পদক্ষপে গ্রহণ বুঝায়। আর ইসলাম মানুষকে অন্যরে কল্যাণে পারস্পরকি সাহায্য-সহযোগতিা করতে অনুপ্রাণতি কর।ে মহান আল্লাহ বলনে, وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ، ‘তোমরা সৎর্কম ও আল্লাহভীতরি কাজে পরস্পরকে সহযোগতিা কর এবং পাপ ও সীমালংঘনরে কাজে পরস্পরকে সহযোগতিা করো না’ (মায়দোহ ৫/২)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলছেনে,إِنَّ الدِّينَ النَّصِيحَةُ إِنَّ الدِّينَ النَّصِيحَةُ إِنَّ الدِّينَ النَّصِيحَةُ، ‘(অন্যরে) কল্যাণকামতিাই দ্বীন, (অন্যরে) কল্যাণকামতিাই দ্বীন, (অন্যরে) কল্যাণকামতিাই দ্বীন’। (নাসাঈ হা/৪২১০; আবূদাঊদ হা/৪৯৪৪; ছহীহ ইবনু হবিবান হা/৪৫৭৫, ছহীহ আত-তারগীব হা/১৭৭৬)
বর্ন্যাতরা আমাদরে প্রতবিশেী ও মুসলমি ভাই। তাদরে উপর যে অত্যাচার নমেে এসছেে তা মানুষ হসিাবে কারো কাম্য নয়। ভারতরে র্টাগটে একমাত্র মুসলমি জাত।ি একটি মাত্র অপরাধ আমরা মুসলমি। মহান আল্লাহ আমাদরেকে হযরত আদম ও হাওয়া (আঃ)-এর মাধ্যমে সারা দুনয়িাতে গোত্র, ভাষা ও র্বণরে বভিাজনে সমস্ত মানুষকে সৃষ্টি করছেনে। এ সর্ম্পকে মহান আল্লাহ বলনে, يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِّنْ ذَكَرٍ وُّأُنْثَى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوْباً وَّقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوْا إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللهِ أَتْقَاكُمْ إِنَّ اللهَ عَلِيْمٌ خَبِيْرٌ. ‘হে মানব জাত!ি আমি তোমাদরেকে একজন পুরুষ ও একজন নারী হ’তে সৃষ্টি করছেি এবং তোমাদরেকে বহু সম্প্রদায় ও গোত্রে বভিক্ত করছে।ি যাতে তোমরা পরস্পর পরচিতি হ’তে পার। তবে আল্লাহর নকিটে সইে শ্রষ্ঠে, যে সবচয়েে বশেী আল্লাহভীরু। নশ্চিয়ই আল্লাহ সব কছিুর খবর রাখনে’ (হুজুরাত ৪৯/১৩)। এ র্মমে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলছেনে, النَّاسُ بَنُوْ آدَمَ وَآدَمُ مِنْ تُرَابٍ ‘মানুষ আদমরে সন্তান, আর আদম মাটরি তরৈী’।[আহমাদ হা/৮৯৭০; তরিমযিী হা/৩৯৫৬ হাদীছ হাসান।]


বর্ন্যাতরা আমাদরে ভাই ও প্রতবিশেী :
বর্ন্যাতরা আমাদরে মুসলমি ভাই ও উত্তম প্রতবিশেী। সারা পৃথবিীর মুমনি-মুসলমান আমাদরে একে অপররে ভ্রাতৃত্ব সর্ম্পকে আবদ্ধ। এসর্ম্পকে মহান আল্লাহ বলনে,إِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ إخوة ‘নশ্চিয়ই মুমনিরা পরস্পর ভাই ভাই (হুজুরাত ৪৯/১০)।
মুমনি মুসলমিরা আমাদরে ভাই তাদরেকে অন্যায়ভাবে কউে অত্যাচার করলে তাদরেকে সাহায্য করতে হব।ে পক্ষান্তরে তাদরে প্রতি যুলুম করা যাবে না এবং যালমিরা তাদরেকে ফরেত চাইলে ফরেত দয়ো যাবে না। এর্মমে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলছেনে,اَلْمُسْلمُ أَخُوْ الْمُسْلم لاَ يَظْلِمُهُ وَلَا يُسْلِمُهُ ‘মুসলমি অপর মুসলমিরে ভাই। তার উপর সে যুলুম করবে না এবং (কাফরেদরে নকিট) তাকে সোর্পদ করবে না…’।[মুত্তাফাক্ব আলাইহ; মশিকাত হা/৪৯৫৮ ‘শষ্টিাচার’ অধ্যায়।]


আর প্রত্যকে মুমনি পরস্পর এক দহেরে মত। দহেরে একস্থানে ক্ষত হ’লে যমেন অন্য পাশর্বে ব্যথা অনুভব কর,ে ঠকি তমেনি মুমনিদরে সর্ম্পক। এসর্ম্পকে রাসূল (ছাঃ) বলনে,اَلْمُؤْمِنُوْنَ كَرُجُلٍ وَاحِدٍ إِنِ اشْتَكَي عَيْنُهُ اشْتَكَي كُلُّهُ وَإِنِ اشْتَكَي رَأْسُهُ اشْتَكَي كُلُّهُ- ‘সকল মুমনি এক অখন্ড ব্যক্তরি মত। যদি তার চক্ষু ব্যথতি হয় তাহ’লে সমস্ত শরীর ব্যথতি হয়। আর যদি তার মাথা ব্যথতি হয় তাহ’লে পুরোটাই ব্যথতি হয়’।[মুসলমি, মশিকাত হা/৪৯৫৪।]
প্রতবিশেী সর্ম্পকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জবিরীল (আঃ) যভোবে অছয়িত করতনে সে সর্ম্পকে রাসূল (ছাঃ) বলনে,مَا زَالَ يُوصِينِي جِبْرِيلُ بِالْجَارِ حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ سَيُوَرِّثُهُ ‘জবিরীল (আঃ) আমাকে সব সময় প্রতবিশেী সর্ম্পকে অছয়িত করে থাকনে। এমনকি আমার মনে হ’ল য,ে তনিি প্রতবিশেীকে ওয়ারছি বানয়িে দবিনে।[বুখারী হা/৬০১৪-১৬।]


প্রতবিশেী যে র্ধমাবলম্বী হোক না কনে তারা যদি অভুক্ত থাকে তবে যতই ইবাদত করি না কনে আমরা মুমনি হ’তে পারব না। আমরা যমেন পটেপুরে খাব তাদরেকওে তমেনি খাবাররে ব্যবস্থা করে দতিে হব।ে এসর্ম্পকে হাদীছে এসছে,ে عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لَيْسَ الْمُؤْمِنُ الَّذِى يَشْبَعُ وَجَارُهُ جَائِعٌ إِلَى جَنْبِه ‘ইবনে আববাস (রাঃ) বলনে, আমি আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনছে,ি সে মুমনি নয়, যে পটে পুরে খায় অথচ তার পাশে তার প্রতবিশেী অনাহারে থাক’ে।[বায়হাকী, মশিকাত, হা/৪৯৯১; আল-আদাবুল মুফরাদ হা/১১২, হাদীছ হাসান।]


যে ব্যক্তি পরতিৃপ্তি সহকারে খয়েে রাত্রী যাপন করনে। তার জ্ঞাতসারে তার প্রতবিশেী ক্ষুর্ধাত অবস্থায় রাত্রীযাপন করে সে মুমনি নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলনে,مَا آمَنَ بِيْ مَنْ بَاتَ شَبْعَانًا وَجَارُهُ جَائِعٌ إلَى جَنْبِهِ وَهُوَ يَعْلَمُ بِهِ ‘সে আমার প্রতি ঈমান আননে,ি যে ব্যক্তি পরতিৃপ্ত হয়ে রাত্রি যাপন কর,ে অথচ তার পাশে তার প্রতবিশেী ক্ষুর্ধাত থাকে এবং এ কথা সে জান’ে।[ছহীহুল জামে হা/৫৫০৫]
ক্ষুর্ধাতকে অন্ন দান করা ইসলামে উত্তম কাজ হসিাবে র্বণনা করা হয়ছে।ে এর্মমে রাসূল (ছাঃ) বলনে,أَنَّ رَجُلاً سَأَلَ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَىُّ الْإِسْلاَمِ خَيْرٌ قَالَ: تُطْعِمُ الطَّعَامَ وَتُقْرِئُ السَّلاَمَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَّمْ تَعْرِفْ- ‘এক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-কে জজ্ঞিসে করল, ইসলামে কোন্ কাজ উত্তম? (জবাব)ে তনিি বললনে, অভুক্তকে খানা খাওয়ানো এবং চনো-অচনো সকলকে সালাম করা’।[বুখারী, মুসলমি, মশিকাত, হা/৪৬২৯।] একজন ভাই অপর ভাইকে এবং একজন প্রতবিশেী অপর প্রতবিশেীকে কভিাবে ভুলে থাকতে পার?ে আরাকানীরা আমাদরে প্রতবিশেী। তারা আমাদরে কাছে বাঁচার জন্য আশ্রয় চাচ্ছ।ে আমরা কি তাদরেকে আশ্রয় ও খাবার দতিে পারি না? আমাদরে মাঝে কি সামান্যতম ঈমানী চতেনা নইে?


বর্ন্যাতদরে সাহায্য করা যরূরী :


বর্ন্যাতদরে সাহায্য করা আমাদরে জন্য আবশ্যকি হয়ে গছে।ে মহান আল্লাহ বলনে,وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا ‘তোমাদরে কি হ’ল য,ে তোমরা আল্লাহর পথে লড়াই করছ না? অথচ র্দুবল পুরুষ, নারী ও শশিুরা র্প্রাথনা করে বলছ,ে হে আমাদরে প্রতপিালক! আমাদরেকে এই অত্যাচারী জনপদ হ’তে মুক্ত কর এবং আমাদরে জন্য তোমার পক্ষ হ’তে অভভিাবক প্রদান কর এবং আমাদরে জন্য তোমার পক্ষ হ’তে সাহায্যকারী প্ররেণ কর’ (নসিা ৪/৭৫)।


ইসলামী শরী‘আতে মুমনিরে পারস্পরকি সর্ম্পক হ’ল একটি দহেরে ন্যায়। দহেরে একটি অঙ্গ যকেোন ধরনরে বপিদে পড়ার সাথে সাথে অন্য অঙ্গ তাকে সাহায্যরে জন্য তরৈী হয়। অনুরূপ কোন মুসলমান ভাই যখন কোন প্রকার বপিদে পড়,ে তখন অপর মুসলমান ভাইয়রে র্কতব্য তাকে সাহায্য করা। কনেনা যে মুসলমি ভাইকে সাহায্য করে আল্লাহ তাকে সাহায্য করনে। এসর্ম্পকে রাসূল (ছাঃ) বলনে,
مَنْ نَفَّسَ عَنْ مُسْلِمٍ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الدُّنْيَا نَفَّسَ اللهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَمَنْ يَسَّرَ عَلَى مُعْسِرٍ فِى الدُّنْيَا يَسَّرَ اللهُ عَلَيْهِ فِى الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَمَنْ سَتَرَ عَلَى مُسْلِمٍ فِى الدُّنْيَا سَتَرَ اللهُ عَلَيْهِ فِى الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَاللهُ فِى عَوْنِ الْعَبْدِ مَا كَانَ الْعَبْدُ فِى عَوْنِ أَخِيهِ-
‘যে ব্যক্তি কোন মুমনিরে র্পাথবি দুঃখ-কষ্ট দূর করব,ে আল্লাহ ক্বয়িামতে তার দুঃখ-কষ্ট দূর করবনে। যে ব্যক্তি কোন সংকটাপন্ন ব্যক্তরি সংকট নরিসন করব,ে আল্লাহ তার দুনয়িা ও আখরিাতরে যাবতীয় সংকট নরিসন করে দবিনে। যে ব্যক্তি কোন মুসলমিরে দোষ-ত্রুটি গোপন রাখ,ে আল্লাহ দুনয়িা ও আখরিাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবনে। আর আল্লাহ ততক্ষণ র্পযন্ত বান্দার সাহায্য করে থাকনে, যতক্ষণ র্পযন্ত বান্দা নজি ভাইয়রে সাহায্যে রত থাক’ে।[মুসলমি, তরিমযিী হা/১৯৩০; আবুদাঊদ হা/৪৯৪৬।]


অন্যত্র রাসূল (ছাঃ) বলনে, ‘যে ব্যক্তি কোন মুসলমান ভাইয়রে অভাব মোচনে সাহায্য করবে আল্লাহ তা‘আলা তার অভাব মোচন করবনে। যে ব্যক্তি কোন মুসলমান ভাইয়রে দুঃখ-কষ্ট দূর করব,ে আল্লাহ তা‘আলা ক্বয়িামতরে দনি তার দুঃখ-কষ্ট দূর করবনে।[বুখারী, মুসলমি, মশিকাত হা/৪৯৫৮।]
অপর এক হাদীছে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলছেনে, ‘প্রত্যকে মুসলমানরে উপর ছাদাক্বা করা ওয়াজবি। একজন প্রশ্ন করলনে, যদি কারো সে সার্মথ্য না থাক,ে তবে কি হব?ে … ছাহাবাদরে র্পযায়ক্রমকি প্রশ্নরে উত্তরে এক র্পযায় তনিি বলনে, فَيُعِيْنُ ذَا الْحَاجَةِ الْمَلْهُوْفَ ‘তাহ’লে কোন দুঃখে বা বপিদে পততি ব্যক্তকিে সাহায্য করব’ে।[মুত্তাফাক্ব আলাইহ; আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/২২৫; মশিকাত হা/১৮৯৫।]
ক্ষুর্ধাতকে খাবার দয়ো, রুগ্ন ব্যক্তকিে সাহায্য করা এবং বন্দীদরেকে মুক্ত করা ইসলামে র্সবোত্তম কাজ। এসর্ম্পকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলছেনে,أَطْعِمُوا الْجَائِعَ وَعُوْدُوا الْمَرِيْضَ وَفُكُّوا الْعَانِىَ- ‘ক্ষুর্ধাতকে খাদ্য দান কর, রুগ্ন ব্যক্তরি দখোশুনা কর এবং বন্দীকে মুক্ত কর’।(বুখারী, মশিকাত, হা/১৫২৩)।


মুসলমি উম্মাহর দায়ত্বি হ’ল, প্রতবিশেী মুসলমি ভাইদরে পাশে দাঁড়ানো। সংশ্লষ্টি র্কতৃপক্ষরে নকিটে আবদেন মুসলমি হসিাবে প্রতবিশেী মুসলমান ভাইদরে আশ্রয় দনি এবং তাদরে সাহার্য্যাথে এগয়িে আসুন। আল্লাহ আপনাদরেকে সাহায্য করবনে ইনশাআল্লাহ। হে আল্লাহ! মাযলূম বাংলাদশেী ভাই-বোনদরেকে রক্ষা করুন এবং যারা মারা গয়িছেনে তাদরেকে শহীদরে র্মযাদা দয়িে তাদরেকে কবুল করুন-আমীন!

যালেমের যুলুম সম্পর্কে কিছু কথা :


যুলুম র্অথ অন্যায়, অবচিার, নিপীড়ন ইত্যাদী এটা হক বা ন্যায়রে বপিরীত। যুলুমরে শাস্তি সর্ম্পকে আল্লাহ বলনে, وَمَنْ يَظْلِمْ مِنْكُمْ نُذِقْهُ عَذَابًا كَبِيْرًا، ‘বস্ত্ততঃ তোমাদরে মধ্যে যারা সীমালংঘন করব,ে আমরা তাদরে বড় শাস্তরি স্বাদ আস্বাদন করাব’ (ফুরক্বান ২৫/১৯)। তনিি আরো বলনে, وَالظَّالِمُوْنَ مَا لَهُمْ مِنْ وَلِيٍّ وَلَا نَصِيْرٍ، ‘আর যালমেদরে কোন বন্ধু নইে বা কোন সাহায্যকারী নইে’ (শূরা ৪২/৮)।
হাদীছে কুদসীতে আল্লাহ বলনে,يَا عِبَادِىْ إِنِّىْ حَرَّمْتُ الظُّلْمَ عَلَى نَفْسِىْ وَجَعَلْتُهُ بَيْنَكُمْ مُحَرَّمًا فَلاَ تَظَالَمُوْا، ‘হে আমার বান্দাগণ! আমি আমার ওপর যুলুম করাকে হারাম করে দয়িছে।ি তাই আমি তোমাদরে জন্যও যুলুম করা হারাম করে দলিাম। অতএব তোমরা (পরস্পররে প্রত)ি যুলুম করো না’।(মুসলমি হা/২৫৭৭; ছহীহুল জাম‘ে হা/৪৩৪৫; মশিকাত হা/২৩২৭।)
আরকেটি হাদীছে এসছে,ে عَنْ أَبِى مُوسَى رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ لَيُمْلِى لِلظَّالِمِ حَتَّى إِذَا أَخَذَهُ لَمْ يُفْلِتْهُ قَالَ ثُمَّ قَرَأَ (وَكَذَلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَى وَهْىَ ظَالِمَةٌ إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيمٌ شَدِيدٌ).
আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ) হ’তে র্বণতি, তনিি বলনে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলছেনে, ‘আল্লাহ যালমিদরে অবকাশ দয়িে থাকনে। অবশষেে যখন তাকে ধরনে, তখন আর ছাড়নে না। (রাবী বলনে,) এরপর নবী করীম (ছাঃ) এ আয়াত পাঠ করনে, ‘আর এরকমই বটে আপনার রবরে পাকড়াও, যখন তনিি কোন জনপদবাসীকে পাকড়াও করনে তাদরে যুলুমরে দরুন। নঃিসন্দহেে তাঁর পাকড়াও বড় যন্ত্রণাদায়ক, অত্যন্ত কঠনি’ (হূদ ১১/১০২)। (বুখারী হা/৪৬৮৬; মশিকাত হা/৫১২৪; ছহীহাহ হা/৩৫১২।)


অপর একটি হাদীছে এসছে,ে
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ كَانَتْ عِنْدَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهَا، فَإِنَّهُ لَيْسَ ثَمَّ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ مِنْ قَبْلِ أَنْ يُؤْخَذَ لأَخِيهِ مِنْ حَسَنَاتِهِ، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ أَخِيهِ، فَطُرِحَتْ عَلَيْهِ،
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে র্বণতি, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলছেনে, ‘যে ব্যক্তি তার ভাইয়রে ওপর যুলুম করছেে সে যনে তার কাছ থকেে ক্ষমা নয়িে নয়ে। তার ভাইয়রে পক্ষে তার নকিট হ’তে পুণ্য কটেে নয়োর আগইে। কারণ সখোনে কোন দীনার বা দরিহাম নইে। তার কাছে যদি পুণ্য না থাকে তবে তার (মাযলূমরে) গোনাহ এনে তার উপর চাপয়িে দয়ো হব’ে। (বুখারী হা/৬৫৩৪, ২৪৪৯।)
যুলুম-নর্যিাতনরে শকিার হয়ে মানুষ অনকে সময় প্রভাবশালী ব্যক্তকিে কছিু বলতে পারে না, তার প্রতি কৃত যুলুমরে প্রতকিার করতে পারে না, নতিে পারে না প্রতশিোধ। পশেী শক্ত,ি বাহুবল, জনবল ও র্অথ-বত্তিরে প্রভাবে অনকে মানুষ নীরবে অশ্রু ঝরায়, কঁেদ-েকটেে ন্যায়বচিারক মহান আল্লাহর কাছে তার মনরে আকুতি পশে করে ও বচিার দায়রে কর।ে আল্লাহও তার দো‘আ কবুল করনে। রাসূল (ছাঃ) বলছেনে, وَاتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ، فَإِنَّهُ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ اللهِ حِجَابٌ. ‘আর মাযলূমরে বদদো‘আ থকেে বঁেচে থাকব।ে কনেনা তার (বদদো‘আ) এবং আল্লাহর মাঝে কোন র্পদা থাকে না’। (বুখারী হা/১৪৯৬, ৪৩৪৭; মুসলমি হা/১৯; মশিকাত হা/১৭৭২।)
সুতরাং দুনয়িার যালমেরা সাবধান হৌন। পরকালরে কঠনি আযাবকে ভয় করুন। মাযলূমদরে নকিট থকেে ক্ষমা চয়েে ননি। অন্যথা পরকালে ভয়াবহ শাস্তি ভোগ করতে হব।ে

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

loader-image

Scroll to Top