মানুষের জন্য উচিত নয় যে, সবচেয়ে বড় উপদেশের স্মরণ হতে উদাসীন থাকা আর তা হল মৃত্যু তথা মৃত্যুর স্মরণ। দুনিয়ার ভোগবিলাসের সুখময় স্বাদ বিনষ্টকারী জিনিস হলো মৃত্যু। তাই মৃত্যুকে বেশী বেশী স্মরণ করা উচিৎ। কেননা মৃত্যু প্রত্যেক জীবের জীবনে একটি অপ্রতিরোধ্য বন্ধু। মৃত্যুকে রোধ করার মত কোন বস্তু দুনিয়াতে নেই।
জন্মিলে মরিতে হবে,
চিরন্তন সত্য এ ভূবনে,
সময় থাকতে আখের গোছাও
সুধারনা পোষণ করো মরণে।
মু’মিন ব্যক্তি দুনিয়াতে অবস্থান করবে বিদেশীর অবস্থানের মতো। সুতরাং তার অন্তরকে সম্পর্ক রাখবে না দূরবর্তী দেশের কোন কিছুর সাথে বরং সম্পর্ক রাখবে এমন এক দেশের সাথে সেখানে সে ফিরে যাবে। আর দুনিয়াকে প্রয়োজন মিটানোর অবস্থান হিসেবে গ্রহণ করবে আর প্রস্ত্ততি গ্রহণ করবে তার আসল দেশের প্রত্যাবর্তনের জন্য। এটাই হল গরীব বা বিদেশীর অবস্থা অথবা মুসাফিরের যে সে নির্ধারিত একটি স্থানে অবস্থান করে না বরং সর্বদাই স্থায়ী শহরের দিকে সফর করে যার অবস্থা দুনিয়াতে এরূপ তার চিন্তাই সফরে পাথেয় সংগ্রহকরণ আর দুনিয়া ভোগ বিলাস সামগ্রী গ্রহণ তার নিকট গুরুত্বপূর্ণ নয়।
মৃত্যুর জন্য তৈরী থাকুন :
মৃত্যু এমন এক সাথী যা কখনোও আপনার সঙ্গ ত্যাগ করে না। যে কোন সময় মৃত্যু সাথে করে নিয়ে চলে যাবে। মৃত্যুর সাথে প্রতিটি জীব একদিন সাক্ষাৎ করবে। এজন্য আল্লাহ তা‘আলা মৃত্যুর জন্য প্রস্ত্ততি নিতে বলেছেন। কুরআনের বহু স্থানে আল্লাহ মানুষকে সতর্ক করেছেন। যেমন আল্লাহ বলেন,كُلُّ نَفْسٍ ذَآئِقَةُ الْمَوْتِ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُورَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَمَنْ زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا اِلاَّ مَتَاعُ الْغُرُورِ- ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং ক্বিয়ামতের দিন তোমরা পূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। অতঃপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে ও জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে ব্যক্তি সফলকাম হবে। বস্ত্ততঃ পার্থিব জীবন প্রতারণার বস্ত্ত ছাড়া কিছুই নয়’ (আলে ইমরান ৩/১৮৫)।
তিনি আরও বলেন,أَيْنَمَا تَكُونُوا يُدْرِكْكُمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنْتُمْ فِي بُرُوجٍ مَّشَيَّدَةٍ، ‘যেখানেই তোমরা থাক না কেন, মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই। যদিও তোমরা সুদৃঢ় দুর্গে অবস্থান কর’ (নিসা ৪/৭৮)। আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় নবীকে বলেন,إِنَّكَ مَيِّتٌ وَّإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ ‘নিশ্চয়ই তুমি মৃত্যুবরণ করবে এবং তারাও মৃত্যুবরণ করবে’ (যুমার ৩৯/৩০)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পর শোকাতুর ছাহাবীদের সান্ত্বনা দিয়ে হযরত আবুবকর ছিদ্দীক (রাঃ) অত্র আয়াতটি পাঠ করেছিলেন’।(বুখারী হা/৩৬৬৮)
আল্লাহ তা‘আলা পরকালীন প্রস্ত্ততির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন,يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَلْتَنْظُرْ نَفْسٌ مَا قَدَّمَتْ لِغَدٍ وَاتَّقُوا اللهَ إِنَّ اللهَ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ- ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর। আর প্রত্যেক ব্যক্তির উচিৎ এ বিষয়ে ভেবে দেখা যে, সে আগামী দিনের জন্য কী অগ্রিম প্রেরণ করছে? আর তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে সম্যক অবহিত’ (হাশর ৫৯/১৮)। সাহল বিন সা‘দ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,جَاءَ جِبْرِيلُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، عِشْ مَا شِئْتَ فَإِنَّكَ مَيِّتٌ، وَاعْمَلْ مَا شِئْتَ فَإِنَّكَ مَجْزِيٌّ بِهِ، وَأَحْبِبْ مَنْ شِئْتَ فَإِنَّكَ مُفَارِقُهُ، وَاعْلَمْ أَنَّ شَرَفَ الْمُؤْمِنِ قِيَامُ اللَّيْلِ، وَعِزِّهُ اسْتِغْنَاؤُهُ عَنِ النَّاسِ- ‘জিবরীল এসে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বললেন, হে মুহাম্মাদ! যতদিন খুশী জীবন যাপন কর। কিন্তু মনে রেখ তুমি মৃত্যুবরণ করবে। যার সাথে খুশী বন্ধুত্ব কর। কিন্তু মনে রেখ তুমি তাকে ছেড়ে যাবে। যা খুশী তুমি আমল কর। কিন্তু মনে রেখ তুমি তার ফলাফল পাবে। জেনে রেখ, মুমিনের মর্যাদা হ’ল ইবাদতে রাত্রি জাগরণে এবং তার সম্মান হ’ল মানুষের মুখাপেক্ষী না হওয়ার মধ্যে’।(ছহীহাহ হা/৮৩১; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৩)
একজন মানুষ কোথায় মারা যাবে সে বিষয়েও সে ওয়াকিফহাল নয়। সেজন্য আল্লাহ তা‘আলা সতর্ক করে বলেন, وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ- ‘আর কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন মাটিতে তার মৃত্যু হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত’ (লোকমান ৩১/৩৪)। তিনি আরও বলেন, فَإِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ ‘অতঃপর যখন সেই মেয়াদকাল এসে যায়, তখন তারা সেখান থেকে এক মুহূর্ত পিছাতেও পারে না, আগাতেও পারে না’ (নাহল ১৬/৬১)।
আর এজন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَهُ شَىْءٌ ، يُوصِى فِيهِ يَبِيتُ لَيْلَتَيْنِ ، إِلاَّ وَوَصِيَّتُهُ مَكْتُوبَةٌ عِنْدَهُ- ‘যে মুসলিমের নিকট অছিয়ত করার মত কোন কিছু আছে, তার জন্য সে অছিয়তনামা তার নিকট লিখিত (প্রস্ত্তত) না রেখে দু’রাত কাটানোও জায়েয নয়। মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় তিন রাত কাটানোর কথা রয়েছে। ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন,مَا مَرَّتْ عَلَيَّ لَيْلَةٌ مُنْذُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ذَلِكَ إِلَّا وَعِنْدِي وَصِيَّتِي- ‘আমি যখন থেকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে এ কথা বলতে শুনেছি, তখন থেকে আমার উপর এক রাতও পার হয়নি এমন অবস্থা ছাড়া যে আমার অছিয়তনামা আমার নিকট প্রস্ত্তত আছে’। (বুখারী হা/২৭৩৮; মুসলিম হা/১৬২৭; মিশকাত হা/৩০৭০)
ইবনে ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একদা হাত দিয়ে আমার দু’কাঁধ ধরলেন। তারপর বললেন, كُنْ فِي الدُّنْيَا كَأَنَّكَ غَرِيبٌ أَوْ عَابِرُ سَبِيلٍ . وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقُولُ: إِذَا أَمْسَيْتَ فَلَا تَنْتَظِرِ الصَّبَاحَ وَإِذَا أَصْبَحْتَ فَلَا تَنْتَظِرِ الْمَسَاءَ وَخُذْ مِنْ صِحَّتِكَ لِمَرَضِكَ وَمِنْ حياتك لموتك ‘দুনিয়ায় তুমি এমনভাবে থাক যেমন- তুমি একজন অপরিচিত আগন্তুক অথবা পথিক। (এরপর থেকে) ইবনু ওমর (রাঃ) লোকদের বলতেন, সন্ধ্যা হ’লে আর সকালের অপেক্ষা করবে না। আর যখন সকাল হবে, সন্ধ্যার অপেক্ষা করবে না। নিজের সুস্থতার সুযোগ গ্রহণ করবে অসুস্থতার আগে ও জীবনের সুযোগ গ্রহণ করবে মৃত্যুর আগে’।(বুখারী হা/৬৪১৬; মিশকাত হা/১৬০৪)
প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে :
জনৈক ব্যক্তি একদিন দূর সফরে বেরিয়েছেন। সাথে আছে তার স্ত্রী ও সন্তানেরা। পথিমধ্যে তিনি রাস্তার পাশে কাউকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন। গাড়ি থামিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কে? দন্ডায়মান ব্যক্তি বলল, আমি ধন-সম্পদ। আমি চাই তুমি আমাকে তোমাদের সফরসাথী করে নিবে। মুসাফির ব্যক্তি তার স্ত্রী ও সন্তানদের প্রশ্ন করল, তাকে (ধন সম্পদ) কি আমাদের সফরসঙ্গী করতে পারি? তারা সমস্বরে বলে উঠল, হ্যাঁ! অবশ্যই। সম্পদই তো আমাদের চলার পথের প্রধান অনুষঙ্গ। পর্যাপ্ত পরিমাণ সম্পদ হাতে থাকলে আমরা যা খুশী তাই ক্রয় করতে পারব, যা ইচ্ছা তার মালিক হ’তে পারব। অতঃপর তিনি সম্পদকে সাথে নিয়ে সামনে অগ্রসর হ’লেন।
পথিমধ্যে আরেক ব্যক্তির সাথে তাদের সাক্ষাৎ হ’ল। তাকে পরিচয় জিজ্ঞেস করলে সে বলল, আমি ক্ষমতা ও পদমর্যাদা। তিনি আবার স্ত্রী-সন্তানদের জিজ্ঞেস করলেন, তাকে (ক্ষমতা ও পদমর্যাদা) কি আমাদের সাথে সফরের জন্য আহবান করব? তারা একবাক্যে উত্তর দিল, কেন নয়? ক্ষমতা, পদমর্যাদার মত কাঙ্ক্ষিত সঙ্গী হাত ছাড়া করা কি নিতান্ত বোকামী নয়? অতঃপর তাকে সাথী করে নিয়ে গাড়ী এগিয়ে যেতে থাকল।
পথের বিভিন্ন বাকে বাকে তাদের সাথে আরো অনেকের সাক্ষাৎ হ’ল। যেমন প্রবৃত্তি, লোভ, নানা কামনা-বাসনা, আকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি। তারা সবাইকে তাদের সাথী করে নিল। সফরের এক পর্যায়ে তাদের সাথে সাক্ষাৎ হ’ল আরেকজনের। জিজ্ঞেস করতেই সে বলল, আমি হ’লাম আল্লাহ প্রেরিত একমাত্র দ্বীন তথা ইসলাম। এবার পিতা স্ত্রী-সন্তানদের এ ব্যাপারে কোন প্রশ্ন করলেন না। বরং সবাই সমস্বরে বলে উঠলেন, না না। আমরা এক সুন্দর সফরে বেরিয়েছি। এখানে ধর্মের কোন স্থান নেই। এটা কেবলি ভোগ-বিলাস ও আনন্দ-উল্লাসের সময়। এখানে দ্বীনের আগমন ঘটলে আমাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে। দ্বীনের নানাবিধ বিধি-বিধান তথা ছালাত-ছিয়াম, হালাল-হারাম ইত্যাদি দিয়ে আমাদেরকে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত করে তুলবে। এ মনোহরী সফরে যা সাথী করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। দুনিয়াবী সফর শেষে, দুনিয়াবী ভোগ-বিলাসের যাবতীয় উপকরণ ভোগ করার পর আমরা চেষ্টা করব দ্বীনকে সাথী করার।
অতঃপর তারা দ্বীনকে ছেড়ে তাদের সফর পূর্ণ করার পথে যাত্রা করল। কিছু দূর যাওয়ার পর এবার তারা একটি আওয়ায শুনতে পেল। গাড়ী থামিয়ে পিতা আওয়াজের উৎস অনুসন্ধানে এদিক-ওদিক তাকাতে লাগলেন। অতঃপর দেখলেন এক ব্যক্তি তাকে গাড়ী থেকে নামার জন্য ইশারা করছে। তিনি নেমে তার সাথে মিলিত হ’লে আগন্তুক ব্যক্তিটি বললেন, স্ত্রী-সন্তানদের সাথে তোমার সফর এখানেই সমাপ্ত। এখন তোমাকে যেতে হবে আমার সাথে; দূর সফরে। যে সফরের কোন শেষ নেই। নির্বাক, হতবুদ্ধি পিতা কিছুই বলতে পারলেন না। ঐ ব্যক্তি বললেন, তোমার সাথে কি দ্বীন আছে? কারণ আমার সাথে তোমার সফর নির্বিঘ্ন করা দ্বীন ব্যতীত সম্ভব নয়। পিতা বলল, না, তাকে তো এই অল্প দূরের ব্যবধানে ছেড়ে আসলাম। আমাকে একটু সুযোগ দাও! যাতে আমি দ্রুততার সাথে পিছনে ফিরে গিয়ে তা সাথে নিয়ে আসতে পারি। ঐ ব্যক্তি বললেন, না তা সম্ভব নয়। সফরের এই পর্যায়ে এসে পিছনে ফিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। পিতা বললেন, ধর্ম না থাকলে তাতে কি? গাড়ীতে আমার সাথে নানা প্রকার গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যথা অর্থ, কর্তৃত্ব, ক্ষমতা, স্ত্রী-সন্তান আছে। আরও আছে…। তাকে থামিয়ে দিয়ে আগন্তুক ব্যক্তিটি বললেন, থাম! এই নতুন পথে এসবের কোন কিছুই তোমাকে সহযোগিতা করবে না, শুধুমাত্র দ্বীন ব্যতীত। যা তুমি রাস্তায় ফেলে এসেছ।
হতবুদ্ধি পিতা এবার লোকটিকে বললেন, আপনি কে? তিনি বললেন, আমি ‘মালাকুল মঊত’। এসেছি তোমার জান কবয করতে। তোমার মৃত্যু আসন্ন, যা থেকে তুমি উদাসীন ছিলে। আর সর্বদা আগামীতে সে সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা এবং প্রস্ত্ততি গ্রহণ করবে বলে রেখে দিয়েছিলে। এদিকে পিতা দেখতে পেলেন, পিছনে তার গাড়ী চলতে শুরু করেছে। স্ত্রী নিজেই গাড়ী চালাচ্ছে, সন্তানেরা পিছনে বসে আছে। তার ব্যাপারে তাদের কোনই ভ্রূক্ষেপ নেই। এভাবেই স্ত্রী-সন্তান ও সহায়-সম্পদ সবই চলে গেল। কিছুই তার সাথী হ’ল না। কপর্দকশূন্য অবস্থায় তাকে চলে যেতে হ’ল চিরস্থায়ী ঠিকানা পরপারের উদ্দেশ্যে।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে নবী! তুমি বলে দাও, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা, পুত্র, ভাই, স্ত্রী, স্বগোত্র ও ধন-সম্পদ যা তোমরা অর্জন কর, ব্যবসা যা তোমরা বন্ধ হবার আশংকা কর এবং বাড়ী-ঘর যা তোমরা পসন্দ কর- আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তাঁর রাস্তায় জিহাদ করা হ’তে অধিক প্রিয় হয়, তাহ’লে তোমরা অপেক্ষা কর আল্লাহর নির্দেশ (আযাব) আসা পর্যন্ত। বস্ত্ততঃ আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সুপথ প্রদর্শন করেন না’ (তওবা ৯/২৪)।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং ক্বিয়ামতের দিন তোমরা পূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। অতঃপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে ব্যক্তি সফলকাম হবে। বস্তুতঃ পার্থিব জীবন প্রতারণার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়’ (আলে ইমরান ৩/১৮৫)।
মহান আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে মৃত্যুর পূর্বে মুসলিম হিসেবে কবূল করুন এবং তাঁর প্রতি সুধারনা রেখে বেশী বেশী আমল পূর্বক প্রস্তুত থাকার তাওফীক্ব দান করুন, আমীন