সংগঠন হারাম বলার পরে এখন আবার বায়‘আত হারাম মনে করছেন…… ‘বায়‘আত’ শব্দের শরীয়াতের পরিভাষায় অর্থ হলো: আনুগত্যের অঙ্গীকার করা, কথা পালন করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়া, দ্বীনের নির্দেশ যথাযথ প্রতিপালনে শপথ করা।
রূহ জগতে প্রথম বায়‘আত :
আল্লাহ নিজেই রূহ জগতে বান্দার নিকট থেকে বায়‘আত গ্রহণ করেছেন। আল্লাহ বলেন, وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِيْ آدَمَ مِنْ ظُهُوْرِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَأَشْهَدَهُمْ عَلَى أَنْفُسِهِمْ أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالُوْا بَلَى شَهِدْنَا أَنْ تَقُوْلُوْا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّا كُنَّا عَنْ هَذَا غَافِلِيْنَ ‘হে নবী! যখন তোমার প্রতিপালক বনী আদমের পৃষ্ঠদেশ হ’তে তাদের সন্তানদেরকে বের করলেন এবং তাদেরকেই তাদের উপর সাক্ষী বানিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমি কি তোমাদের প্রতিপালক নই? তারা বলল, হ্যাঁ! আমরা সাক্ষী থাকলাম। (এই স্বীকৃতি এজন্য যে), যাতে তোমরা ক্বিয়ামতের দিন বলতে না পার আমরা এ বিষয়ে সম্পূর্ণ অনবহিত ছিলাম’ (আ‘রাফ ১৭২)। আমরা আল্লাহ তা‘আলাকে একমাত্র রব হিসেবে সাক্ষ্য প্রদান করেছি।
ক্ষমতা গ্রহণের পূর্বে রাসূল (ছা.)-এর বায়‘আত :
রাসূল (ছাঃ) মদীনার প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেও ৬২১ খৃঃ অনুষ্ঠিত আকাবায় বায়‘আত গ্রহণ করেছেন, রাসূল (ছাঃ) বলেন,
تُبَايِعُونِى عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فِى النَّشَاطِ وَالْكَسَلِ والنَّفَقَةِ فِى الْعُسْرِ وَالْيُسْرِ وَعَلَى الأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْىِ عَنِ الْمُنْكَرِ وَأَنْ تَقُولُوْا فِى اللهِ لاَ تَخَافُونَ فِى اللهِ لَوْمَةَ لاَئِمٍ وَعَلَى أَنْ تَنْصُرُوْنِى فَتَمْنَعُوْنِى إِذَا قَدِمْتُ عَلَيْكُمْ مِمَّا تَمْنَعُوْنَ مِنْهُ أَنْفُسَكُمْ وَأَزْوَاجَكُمْ وَأَبْنَاءَكُمْ-
‘তোমরা আমার নিকটে এই মর্মে বায়‘আত কর যে, সন্তুষ্টি ও অলসতায় তোমরা আমার হুকুম শুনবে ও আনুগত্য করবে। সচ্ছল ও অসচ্ছলতায় সর্বদা আল্লাহর পথে ব্যয় করবে। সৎ কাজের আদেশ দিবে ও অসং কাজের নিষেধ করবে। সর্বদা আল্লাহর পক্ষে কথা বলবে, কোন নিন্দুকের নিন্দাবাদ পরোয়া করবে না। আমি যখন ইয়াছরিবে (মদীনায়) আগমন করব তখন তোমরা আমাকে সাহায্য করবে। তোমরা যেভাবে তোমাদের নিজেদের, সন্তানদের ও স্ত্রীদের নিরাপত্তা দাও সেভাবে আমাকেও নিরাপত্তা দিবে (মুসনাদে আহমাদ হা/১৪৪৯৬, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৬৩)।
উবাদা বিন ছামেত (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, بَايَعْنَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فِى الْعُسْرِ وَالْيُسْرِ وَالْمَنْشَطِ وَالْمَكْرَهِ وَعَلَى أَثَرَةٍ عَلَيْنَا وَعَلَى أَنْ لاَ نُنَازِعَ الأَمْرَ أَهْلَهُ وَعَلَى أَنْ نَقُولَ بِالْحَقِّ أَيْنَمَا كُنَّا لاَ نَخَافُ فِى اللهِ لَوْمَةَ لاَئِمٍ.
‘আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর হাতে আনুগত্যের বায়‘আত নিয়েছিলাম এই মর্মে যে, আমরা নেতার কথা শ্রবণ করব এবং মান্য করব সচ্ছল অবস্থায় হৌক অথবা অসচ্ছল অবস্থায় হৌক। আনন্দে হৌক অথবা অপসন্দে হৌক। সন্তুষ্ট অবস্থায় হৌক অথবা অসন্তষ্ট অবস্থায় হৌক। আমাদের উপরে অন্যকে প্রাধান্য দেওয়ার ক্ষেত্রে হৌক। আমরা নেতৃত্ব নিয়ে কখনোও ঝগড়া করব না। যেখানেই থাকি সদা হক কথা বলব, আল্লাহর জন্য নিন্দুকের নিন্দাবাদকে পরোয়া করব না’।
অপর এক বর্ণনাতে আছে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের থেকে বায়’আত নিলেন যে, আমরা ক্ষমতাশীল শাসকের বিরুদ্ধাচরণ করব না। তবে তোমরা তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে পারো, যদি তাকে প্রকাশ্য কুফরীতে নিমজ্জিত হতে দেখো। আর সে ব্যাপারে তোমাদের নিকট আল্লাহর কুরআন (ও রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস)-এর ভিত্তিতে কোনো দলীল প্রমাণ বিদ্যমান থাকে। (বুখারী হা/৭০৫৫; মুসলিম হা/১৭০৯; মিশকাত ৩৬৬৬)।
অন্য বর্ণনায়, উবাদাহ বিন ছামেত (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদের বললেন যে, তোমরা এসো আমার নিকট বায়’আত করো এই মর্মে যে, ১. তোমরা আল্লাহর সঙ্গে কোন কিছুকে শরীক করবে না ২. চুরি করবে না ৩.যেনা করবে না ৪.নিজেদের সন্তানদের হত্যা করবে না ৫.কাউকে মন গড়া অপবাদ দিবে না ৬. সঙ্গত বিষয়ে আমার অবাধ্যতা করবে না।
তোমাদের মধ্যে যারা এগুলো পূর্ণ করবে, আল্লাহর নিকট তার জন্য পুরস্কার রয়েছে। আর যদি কেউ এগুলোর কোনোটি করে এবং দুনিয়াতে তার শাস্তি হয়ে যায়, তাহলে সেটি তার জন্য কাফ্ফারা হবে। পক্ষান্তরে যদি কেউ এগুলির কোনোটা করে, অতঃপর আল্লাহ তা গোপন রাখেন, তবে তার ব্যাপারটি আল্লাহর উপরই ন্যস্ত থাকবে। চাইলে তিনি বদলা নিবেন, চাইলে তিনি ক্ষমা করবেন। অতঃপর আমরা উক্ত কথা গুলোর উপরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর নিকট বায়’আত করলাম। ইতিহাসে এটি আকাবার প্রথম বায়’আত হিসেবে পরিচিত। ( মুসলিম হা /১৭০৯, বুখারী হা/৩৮৯২)
জামা’আতে খাছছাহর আমীরের বায়‘আত :
আধুনিক যুগে জামা’আতে খাছছাহর আমীর ইমাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব (১১১৫-১২০৬ হি./১৭০৩-১৭৯১ খৃ.)-এর নিকটে ১৭৪৪ সালে দির’ইইয়ার শাসক মুহাম্মাদ বিন সউদ (১৬৯৭-১৭৬৫ খৃ.)-এর বায়’আত গ্রহণের মাধ্যমে বৃহত্তর সউদী ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি রচিত হয়। যা দির‘ইইয়ার বায়’আত নামে খ্যাত। সউদী আরবের সংবিধানে যার প্রতিফলন রয়েছে। [ ১৯৯২ সালের ৩রা জানুয়ারী ৭./رقم أ নম্বর স্মারক অনুযায়ী আধুনিক সঊদী আরবের সংবিধানের ৬ষ্ঠ ধারায় বলা হয়েছে, المادة 6 – يبايع المواطنون الملك على كتاب الله تعالى وسنة رسوله، وعلى السمع والطاعة في العسر واليسر، والمنشط والمكره – ‘দেশের নাগরিকগণ বাদশাহর নিকট আনুগত্যের বায়’আত করবে আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সুন্নাহর ভিত্তিতে, কষ্টে ও স্বচ্ছলতায় এবং পসন্দে ও অপসন্দে’।
অতঃপর ৭ম ধারায় বলা হয়েছে, المادة 7- يستمد الحكم في المملكة العربية السعودية سلطته من کتاب الله تعالى وسنة رسوله. وهما الحاكمان على هذا النظام وجميع أنظمة الدولة – ‘সউদী আরব তার রাষ্ট্রে আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাত থেকে সাহায্য গ্রহণ করবে। এ দু’টি উৎস হবে সঊদী সংবিধানের এবং প্রশাসনের সর্বত্র চূড়ান্ত নির্দেশ দাতা’ ]
শায়খুল ইসলাম মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব রাহিঃ [১৭০৩-১৭৯১ খৃঃ] তৎকালীন ইস্তাম্বুলের মুসলিম খলীফা কিংবা মক্কাস্থ তার প্রতিনিধি শরোফ পাশা অথবা নজদ ও জাযীরা অঞ্চলের কোনো আমীরের অনুমতি তোয়াক্কা না করেই একটি জামায়াত বা দল গঠন করেছিলেন। তিনি তাদের থেকে আনুগত্যের অঙ্গীকার ও বায়াত গ্রহন করেছিলেন। একটি রাষ্ট্রীয় নিয়ম-নীতি খাড়া করেছিলেন। যার সূচনা করেছিলেন তাওহীদের প্রতি দাওয়াত এবং ইসলাম প্রচার ও তার বিধি-বিধান শিক্ষাদানের মাধ্যমে। আর শেষ করেছিলেন ঈমান-আক্বীদা ও জান-প্রাণ রক্ষার্থে আল্লাহর পথে যুদ্ধের মাধ্যমে। তিনি কিন্তু তার কর্মতৎপরতার কোন পর্যায়েই সমসাময়িক খলীফার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেননি। [আত তাহরীক মার্চ ২০১৯]
ভালো কাজ করব এবং মন্দ পরিত্যাগ করব দ্বীনের বুঝ অনুসারে এই প্রতিশ্রুতি গ্রহণে কোন বাঁধা নেই আমীর জামা‘আতের বায়‘আত গ্রহণে।
পৃথিবীতে বহু সংগঠন রয়েছে সবায় বায়‘আত নিয়ে থাকে এবং দিয়ে থাকে। সেখানে আপনার মাথা ব্যাথা নেই শুধুমাত্র আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ক্ষেত্রে আপনার মাথা ব্যাথা কেন?
আপনিও বায়‘আত দিয়েছেন এবং নিয়েছেন, পিতা-মাতাকে বলেন আমি ভালো কাজ করব এবং মন্দ কাজ পরিহার করে চলব,,, শিক্ষকগণ থেকেও বায়‘আত দিয়েছেন ঠিকমত পড়াশুনা করব।
মনে রাখবেন ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি আমরা সবায় দিয়ে থাকি কারণ আল্লাহ তা‘আলা তা বলেছেন।
আপনি আপনার সন্তানদের নিকট থেকেও বায়‘আত গ্রহণ করেছেন যেন তারা মন্দ পরিহার করে সমাজে ভালো প্রতিষ্ঠা করেন।
ইসলামের ইতিহাসে প্রথম সংগঠন :
আমাদের এটাও মনে রাখা উচিৎ- ইসলামের ইতিহাসে প্রথম সংগঠন ছিল হিলফুল ফুযুল (حلف الفضول) অর্থ হলো “কল্যাণের শপথ”। এই সংঘ আরব যুবক ও নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই সংঘ পবিত্র মক্কা শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) ইসলাম পূর্বযুগে নবুওতের ১৫ বছর পূর্বে এই সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠনের কাজ ছিল পীড়িতদের সাহায্যদান, দুস্থদের আশ্রয়দান ও অসহায়দের সহায়তা করা। এই সংগঠনের প্রভাবে মক্কায় অনেক বিপর্যয় থেকে রেহাই পায়। কাবা ঘরের কালোপাথর পুনঃপ্রতিষ্ঠার সময়ও এই সংঘ ভূমিকা নেয়। সংঘ বা সংগঠন হারাম নয়। বরং শান্তি-শৃংখলা ও দ্বীনের স্বার্থে তা প্রতিষ্ঠা করা অতিব জরুরী।
কিন্তু সংগঠনের আমীর যখন তার অধিনস্ত দায়িত্বশীলদের নিকটে বায়‘আত গ্রহণ করে থাকেন, তা কি বলেন সে কথাগুলো আপনাদের জ্ঞাতার্থে নিম্নে তুলে ধরা হলো-
সাংগঠনিক বায়‘আত :
(১) আমি (প্রত্যেকে নিজের নাম বলবেন) আল্লাহ রব্বুল ‘আলামীনকে সাক্ষী রেখে মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের নিকটে এই মর্মে বায়‘আত করছি যে, আমি ইসলামের যাবতীয় ফরয ও সুন্নাত সমূহ পালন করব এবং পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী নিজের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবন গড়ে তুলতে সচেষ্ট থাকব।
(২) আমি যাবতীয় হারাম ও কবীরা গোনাহ হ’তে বিরত থাকব এবং সর্বদা হালাল রূযী গ্রহণে তৎপর থাকব।
(৩) আমি মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের নেতৃত্বে জামা‘আতবদ্ধ জীবন যাপন করব।
হে আল্লাহ! তুমি আমাকে উক্ত শপথ ও অঙ্গীকার পালনের তাওফীক দাও! আমীন!! (সূত্র : গঠনতন্ত্র পৃ: ৩১)
জামা‘আতবদ্ধ জীবন যাপন কল্যাণকর :
পরিশেষে, জামা‘আতকে আঁকড়ে ধরার নির্দেশ এবং তা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার নিষেধের ব্যাপারে কুরআনের দলীলসমূহ অভিন্ন হয়েছে। ইবনু জারীর ত্বাবারী (রহঃ) তার সনদে ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হ’তে নিম্নের আয়াতের ব্যাপারে বর্ণনা করেন যে, وَاعْتَصِمُوْا بِحَبْلِ اللهِ جَمِيْعًا وَلاَ تَفَرَّقُوْا ‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে ঐক্যবদ্ধভাবে ধারণ কর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। এর অর্থ জামা‘আত’। [তাফসীর ইবনে জারীর ৩/৩০]
আল্লাহ তা‘আলার নিম্নের বাণীর ব্যাপারে ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেছেন, وَلاَ تَفَرَّقُوْا ‘তোমরা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’ (আলে ইমরান ৩/১০৩) ‘তিনি তাদেরকে জামা‘আতবদ্ধভাবে বসবাসের নির্দেশ দিয়েছেন এবং দলে দলে বিভক্ত হ’তে নিষেধ করেছেন’। [ তাফসীর ইবনে কাছীর ২/৭৪]
পক্ষান্তরে আল্লাহ তা‘আলা উম্মতে মুহাম্মাদীকে গোমরাহীর উপরে ঐক্যবদ্ধ করবেন না’। [ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৭১৯২; শু‘আবুল ঈমান হা/৭১১১; হাকেম হা/৬৬৬৪, সনদ ছহীহ। দ্র. সিলসিলাতুল আছারিছ ছহীহাহ হা/৮৫।] দ্বীনের ওপর ঐক্যবদ্ধ করবেন।
আমরা জামা‘আতবদ্ধ/ সংঘবদ্ধ/ সাংগঠনিকবদ্ধ থেকে নিজে, পরিবার, ও সামাজে ভালো কাজ করছি এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখতে প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি…..। কারণ একাকী দাওয়াতী কাজের আঞ্জাম দিতে গিয়ে ভারত বর্ষে বহু আলেমে দ্বীন অনেক বাঁধা-বিপত্তিতে পড়েছেন। সুতরাং ভারতবর্ষে দ্বীনের দাওয়াত দিতে গিয়ে সংঘবদ্ধ থাকাটা অতিব কল্যাণকর মনে করি, যা আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন এবং হকের ওপর অবিচল রাখুন, আমীন।