Author name: লিলবর আল-বারাদী

আরাফাহ দিবস : গুরুত্ব ও ফযীলত

নাফীসা বিনতু জালাল যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাহ ময়দানে চিহ্নিত সীমানার মধ্যে অবস্থান করা হজ্জের প্রধান রুকন। এই দিনকেই আরাফার দিন বলা হয়। এ দিনটি অত্যন্ত গুরুত্ববহ ও মর্যাদাপূর্ণ। এ দিনের গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে নিম্নে নাতিদীর্ঘ আলোচনা করা হ’ল।- আরাফাহ দিবসের মর্যাদা : এ দিবসটি অনেক ফযীলত সম্পন্ন দিবসের চেয়ে অধিক মর্যাদার অধিকারী। যে সকল কারণে এ দিবসটির এত মর্যাদা তার কয়েকটি নিম্নে উল্লেখ করা হ’ল।- (১) এ দিন ইসলাম ধর্মের পূর্ণতা লাভ ও বিশ্ব মুসলিমের প্রতি আল্লাহর নে‘মতের […]

আরাফাহ দিবস : গুরুত্ব ও ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

কুরবানীর মাসায়েল

(১) চুল-নখ না কাটা : উম্মে সালামাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী দেওয়ার এরাদা রাখে, তারা যেন যিলহজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর হ’তে কুরবানী সম্পন্ন করা পর্যন্ত স্ব স্ব চুল ও নখ কর্তন করা হ’তে বিরত থাকে’।[1](২) কুরবানীর পশু : এটা তিন প্রকার- উট, গরু ও ছাগল। দুম্বা ও ভেড়া ছাগলের মধ্যে গণ্য। প্রত্যেকটির নর ও মাদি। এগুলির বাইরে অন্য পশু দিয়ে কুরবানী করার প্রমাণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে পাওয়া যায় না। তবে অনেক বিদ্বান গরুর উপরে

কুরবানীর মাসায়েল বিস্তারিত পডুন »

হিংসা

প্রফেসার ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব মানব মনের রোগসমূহের মধ্যে একটি কঠিন রোগের নাম হ’ল ‘হিংসা’। যা মানুষকে পশুর চাইতে নীচে নামিয়ে দেয়। হিংসার পারিভাষিক অর্থ تَمَنَّى زَوَالَ نِعْمَةِ الْمَحْسُوْدِ ‘হিংসাকৃত ব্যক্তির নে‘মতের ধ্বংস কামনা করা’। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, لاَ حَسَدَ إِلاَّ فِى اثْنَتَيْنِ رَجُلٌ آتَاهُ اللهُ مَالاً فَسُلِّطَ عَلَى هَلَكَتِهِ فِى الْحَقِّ ، وَرَجُلٌ آتَاهُ اللهُ الْحِكْمَةَ ، فَهْوَ يَقْضِى بِهَا وَيُعَلِّمُهَا ‘দু’টি বস্ত্ত ভিন্ন অন্য কিছুতে হিংসা সিদ্ধ নয়। ১. আল্লাহ যাকে মাল দিয়েছেন। অতঃপর সে তা হক-এর পথে ব্যয় করে।

হিংসা বিস্তারিত পডুন »

অহংকার

প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব إِنَّ الَّذِيْنَ كَذَّبُوْا بِآيَاتِنَا وَاسْتَكْبَرُوْا عَنْهَا لاَ تُفَتَّحُ لَهُمْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَلاَ يَدْخُلُوْنَ الْجَنَّةَ حَتَّى يَلِجَ الْجَمَلُ فِي سَمِّ الْخِيَاطِ وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُجْرِمِيْنَ- ‘নিশ্চয়ই যারা আমাদের আয়াত সমূহে মিথ্যারোপ করে এবং তা থেকে অহংকারবশে মুখ ফিরিয়ে থাকে, তাদের জন্য আকাশের দুয়ার সমূহ উন্মুক্ত করা হবে না এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ না ছুঁচের ছিদ্রপথে উষ্ট্র প্রবেশ করে। এভাবেই আমরা পাপীদের বদলা দিয়ে থাকি’ (আ‘রাফ ৭/৪০)। অত্র আয়াতে আল্লাহ কুফরী বশে বা অজ্ঞতা বশে বলেননি, বরং ‘অহংকার বশে’ বলেছেন।

অহংকার বিস্তারিত পডুন »

গল্পের মাধ্যমে জ্ঞান : গণ্য-মান্য-নগণ্য-জঘন্য

আরব দেশের জনৈক সাহিত্যিক বর্ণনা করেন যে, আমি বাগদাদ নগরীর দেশবরেণ্য এক ধনী ব্যক্তির মজলিসে আমন্ত্রিত হ’লাম। আমি যাওয়ার পূর্বে শতাধিক ওলামায়ে কেরাম উক্ত মজলিসে উপস্থিত হয়েছিলেন। উপস্থিতিদের অনেকেই আমার পরিচিত ছিলেন, আবার অনেকে ছিলেন অপরিচিত। দাওয়াতদাতা দশ বস্তা ‘আখরোট’ মঞ্চের সামনে উপস্থিত করলেন। উদ্দেশ্য ছিল, দাওয়াতী মেহমানদেরকে ‘আখরোট’ দিয়ে বিদায় জানাবেন। ইতিমধ্যে উষ্কখুষ্ক চুলবিবিষ্ট আলখেল্লা পরিহিত এক পাগল এসে সভাপতির সামনে হাযির হ’ল। সে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে অভিনব কৌশলে সভাপতিকে লম্বা সালাম ঠুকে বলল, ‘মারহাবান বিকা ইয়া রাঈসাল হাফলাহ, মা হাযিহি’? ‘মহামান্য সভাপতি!

গল্পের মাধ্যমে জ্ঞান : গণ্য-মান্য-নগণ্য-জঘন্য বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীছ : উত্তম সমাজ

ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব عَنْ أَبِى مُوسَى عَنِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ : إِنَّ الْمُؤْمِنَ لِلْمُؤْمِنِ كَالْبُنْيَانِ، يَشُدُّ بَعْضُهُ بَعْضًا. وَشَبَّكَ أَصَابِعَهُ- متفق عليه- অনুবাদ : হযরত আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘এক মুমিন আরেক মুমিনের জন্য একটি গৃহের ন্যায়। যার একাংশ অপরাংশকে মযবূত করে’। অতঃপর তিনি তাঁর আঙ্গুলগুলি পরস্পরের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করলেন।[1] হযরত নু‘মান বিন বাশীর (রাঃ) থেকে অন্য বর্ণনায় এসেছে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, الْمُسْلِمُونَ كَرَجُلٍ وَاحِدٍ إِنِ اشْتَكَى عَيْنُهُ اشْتَكَى كُلُّهُ وَإِنِ اشْتَكَى رَأْسُهُ اشْتَكَى كُلُّهُ ‘সকল

দরসে হাদীছ : উত্তম সমাজ বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীছ: উত্তম পরিবার

ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَرْبَعٌ مِنَ السَّعَادَةِ: الْمَرْأَةُ الصَّالِحَةُ، وَالْمَسْكَنُ الْوَاسِعُ، وَالْجَارُ الصَّالِحُ، وَالْمَرْكَبُ الْهَنِيءُ، وَأَرْبَعٌ مِنَ الشَّقَاوَةِ: الْجَارُ السُّوءُ، وَالْمَرْأَةُ السُّوءُ، وَالْمَسْكَنُ الضِّيقُ، وَالْمَرْكَبُ السُّوءُ- অনুবাদ : সা‘দ বিন আবী ওয়াকক্বাছ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, চারটি বস্ত্ত হ’ল সৌভাগ্যের নিদর্শন: পুণ্যবতী স্ত্রী, প্রশস্ত বাড়ী, সৎ প্রতিবেশী ও আরামদায়ক বাহন। আর চারটি বস্ত্ত হ’ল দুর্ভাগ্যের নিদর্শন : মন্দ স্ত্রী, সংকীর্ণ বাড়ী, মন্দ প্রতিবেশী ও মন্দ বাহন।[1] উক্ত হাদীছে একটি

দরসে হাদীছ: উত্তম পরিবার বিস্তারিত পডুন »

জাহান্নামের অধিবাসী ও আযাবের স্তর

জাহান্নামের স্তর হবে ৭টি, যার ভয়াবহতার বর্ণনা ছিল এরূপ – ধাবমান ৭০-গুণ ক্ষমতাধর, জ্বলন্ত আগুন, বিষাক্ত সাপ-বিচ্ছু, কণ্টকময় বিষাক্ত জাক্কুম ফল, খাবার হিসেবে পুঁজ-রক্ত, অদ্ভুদদর্শন কদাকার ভয়াবহ ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম, আগুনের মুগুর-কাঁচি, অনন্ত মৃত্যুহীন যন্ত্রণাময় ধারাবাহিক অগ্নিময় দহনীয় শাস্তি ইত্যাদি। দোযখবাসীর দু’পায়ের তালুতে অঙ্গার রাখা হবে। সূত্রঃ পবিত্র বুখারী শরীফঃ হাদিস শরীফ ৬১০৭। এবং প্রত্যেকঃ পাপীকে কবরে ৭০টি অজগর সাপ খামচাতে-কামড়াতে থাকবে। সূত্রঃ পবিত্র তিরমিজি শরীফঃ হাদিস শরীফ ২৪০২। ওদের জামা হবে দাহ্য আলকাতরার (পবিত্র আল কোরআন উল কারিমঃ আয়াত শরীফ ১৪:৫০)। আরঃ পবিত্র আল কোরআন

জাহান্নামের অধিবাসী ও আযাবের স্তর বিস্তারিত পডুন »

Scroll to Top