দ্বীনের আদলে দুনিয়া গ্রহণ করুন এবং হারামকে না বলুন!

বাংলাদেশের আহলেহাদীছদের প্রাণপ্রিয় ব্যক্তিত্ব মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহিল কাফী আল-কোরায়শী ৭৫ বছর পূর্বে তাঁর লেখা ‘ইছলামি শাসনতন্ত্রের সূত্র’ বইয়ের ২১ নং পৃষ্ঠায় বলেছেন, ‘দ্বীন ও দুনিয়া বলিয়া দুইটা স্বতন্ত্র ও পৃথক বস্তুর ধারনা করিয়া লইয়াছেন, তাহার কারণ এই যে, তাহারা আখেরাত বা পরবর্তী জীবনকে দ্বীন বলিয়া ধরিয়া লইয়াছেন এবং দ্বীন শব্দের বুৎপত্তি, অর্থ ও প্রয়োগের প্রতি নিদারুণ অবহেলা প্রকাশ করিয়াছেন। দ্বীন ও দুনিয়া আলাদা কোন বিষয়বস্তু নয়। দ্বীন দ্বারা দুনিয়া একই রেখাতে পরিচালিত হবে। আর যারা আলাদা করেছে তারাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সুতরাং দুনিয়া নয়, দ্বীনকে আঁকড়ে ধরুন। […]

দ্বীনের আদলে দুনিয়া গ্রহণ করুন এবং হারামকে না বলুন! বিস্তারিত পডুন »

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর তাৎপর্য

লেখক : নাফিয আল-মাহমূদ(‘আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী’-এর দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র)সম্পাদনা : লিলবর আল-বারাদী ভূমিকা : আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতীকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর একত্ববাদে সাক্ষ্য দেয়া ও ইবাদত করা জন্য। আমলের পূর্বে ঈমানের মজবুতি সুদৃঢ় করা উচিৎ। আর সেই ঈমানের প্রধান শাখা হ’ল لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ. অর্থাৎ- ‘নেই কোন ইলাহ্ (সত্য উপাস্য) আল্লাহ ব্যতীত’। এই বাক্যটির তাৎপর্য অপরিসীম। যা নিচে তুলে ধরা হ’ল- ১. নবী-রাসূলগণের দাওয়াতের প্রথম ধাপ :প্রত্যেক যুগের মানুষ যখনই তাওহীদ থেকে দীরে গিয়ে শিরকের ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে, তখনই আল্লাহ

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর তাৎপর্য বিস্তারিত পডুন »

মুসলমানের মান-সম্মানের প্রতি হস্তক্ষেপ করার বিধান

মানুষ আল্লাহর কাংখিত সৃষ্টির সেরা জীব। সুতরাং একজন আরেকজনকে তুচ্ছজ্ঞান বা হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে না। যখন কোন ব্যক্তি কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে তখন স্বভাবতই সে নিজেকে তার চেয়ে শ্রেয় মনে করে,যা অহংকারের পর্যায়ভুক্ত। আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত একটি হাদীছে জনৈক ছাহাবীর এক প্রশ্নের উত্তরে অহংকারের ব্যাখ্যা দিয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেন, اَلْكِبْرُ بَطَرُ الْحَقِّ وَ غَمْطُ النَّاسِ. ‘অহংকার হচ্ছে সত্যকে অস্বীকার করা এবং লোকদের নীচুজ্ঞান করা’(মুসলিম, মিশকাত হা/৫১০৮)। এজন্য কথা, কর্ম বা আচরণের মাধ্যমে কাউকে তুচ্ছজ্ঞান করা বা হেয় প্রতিপন্ন করা নিষেধ। আবু

মুসলমানের মান-সম্মানের প্রতি হস্তক্ষেপ করার বিধান বিস্তারিত পডুন »

পায়ে হেঁটে হজ্জে যাওয়ার বিধান

কোন ব্যক্তি শুধু পায়ে হেঁটে হজ্জব্রত পালনে যেতে ইচ্ছা পোষণ করলে সে ভুল সিন্ধান্ত নিবে। কেননা দ্বীনের মধ্যে বাড়াবাড়ী সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বাহনে ও পায়ে হেঁটে যাওয়া সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ اَذِّنۡ فِی النَّاسِ بِالۡحَجِّ یَاۡتُوۡکَ رِجَالًا وَّ عَلٰی کُلِّ ضَامِرٍ یَّاۡتِیۡنَ مِنۡ کُلِّ فَجٍّ عَمِیۡقٍ  ‘‘আর মানুষের নিকট হজ্জের ঘোষণা দাও; তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং সর্ব প্রকার ক্ষীণকায় উষ্ট্রসমূহের পিঠে, তারা আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে‘’ (হজ্জ ২২/২৭)। শুধু পায়ে হেঁটে হজ্জে যাওয়ার মানত করে নিজেকে কষ্ট দেওয়া সমীচীন নহে। কেননা

পায়ে হেঁটে হজ্জে যাওয়ার বিধান বিস্তারিত পডুন »

সম্মিলিত মুনাজাতের বিধান

ফরয ছালাত শেষে সালাম ফিরানোর পরে ইমাম ও মুক্তাদী সম্মিলিতভাবে হাত উঠিয়ে ইমামের সরবে দো‘আ পাঠ ও মুক্তাদীদের সশব্দে ‘আমীন’ ‘আমীন’ বলার প্রচলিত প্রথাটি দ্বীনের মধ্যে একটি নতুন সৃষ্টি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম হ’তে এর পক্ষে ছহীহ বা যঈফ সনদে কোন দলীল নেই। বলা আবশ্যক যে, আজও মক্কা ও মদীনার দুই মসজিদে উক্ত প্রথার কোন অস্তিত্ব নেই। আর যা দ্বীনের মধ্যে নেই তা পালনের প্রশ্নই আসে না। তবে মনে রাখা আবশ্যক, কিয়ামত পর্যন্ত একমাত্র মদীনাতেই সঠিক দ্বীন বহাল থাকবে, ইনশাআল্লাহ। ছালাতের সংজ্ঞা : ‘ছালাত’

সম্মিলিত মুনাজাতের বিধান বিস্তারিত পডুন »

আরাফাত দিবসের ছিয়াম

(একটি ব্যাখ্যা স্বরূপ নিবন্ধ) ফযীলত সমূহ :(১) আবু কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে আরাফাহ দিবসের ছিয়াম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ إِنِّى أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِى قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِى بَعْدَهُ- ‘আরাফার দিনের ছিয়াম, আমি মনে করি বিগত এক বছর ও আগত এক বছরের গুনাহের কাফফারা হিসাবে গ্রহণ করা হয়ে থাকে’ (মুসলিম হা/১১৬৩)। (২) আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, مَا مِنْ يَوْمٍ أَكْثَرَ مِنْ أَنْ يُعْتِقَ اللهُ فِيهِ عَبْدًا مِنَ النَّارِ مِنْ يَوْمِ عَرَفَةَ وَإِنَّهُ لَيَدْنُو

আরাফাত দিবসের ছিয়াম বিস্তারিত পডুন »

আদর্শ দাম্পত্য জীবন : স্ত্রীর করণীয়

ভূমিকা : বিবাহ নারী-পুরুষ দু‘জন অচেনা মানুষের মধ্যে গড়ে তোলে আত্মিক সম্পর্ক। মধুর এক সম্পর্কে দু’টি দেহ মন মিলে-মিশে একই সত্ত্বা ও অনুভূতির অনবদ্য বন্ধনে বাঁধা পড়ে। পবিত্র এ বন্ধনে স্বামী-স্ত্রী অকৃত্রিম ভালবাসা, অগাধ বিশ্বাস, অপ্রতিম শ্রদ্ধাবোধ আর পাহাড়সম দায়িত্বের বোঝা নিয়ে জীবনের নতুন এক অধ্যায় শুরু করে। স্বামী চায় সারাদিন ঘামঝরা পরিশ্রম করে এসে স্ত্রীর মিষ্টভাষা আর ভালোবাসার পরশে সিক্ত হ’তে। আবার স্ত্রীও চায় পরিবারের দায়িত্বের বোঝা সামাল দিয়ে স্বামীর স্নেহের প্রশস্ত ছায়ায় সুখের নীড় খুঁজে পেতে। কিন্তু বর্তমান সময়ে কিছু কিছু স্বামী-স্ত্রীর কারণে

আদর্শ দাম্পত্য জীবন : স্ত্রীর করণীয় বিস্তারিত পডুন »

আযানের পরে দো‘আ ও ফযীলত

(ফযীলতপূর্ণ দো‘আ ও যিকির’ বই থেকে নেয়া) আযানের জবাব শেষে প্রথমে রাসূল (ছাঃ)-এর ওপর দরূদ পাঠ করতে হবে এবং এর পরে নিচের দো‘আগুলো। হাদীছে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমার ইবনে ‘আছ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, إِذَا سَمِعْتُمُ الْمُؤَذِّنَ، فَقُوْلُوْا مِثْلَ مَا يَقُوْلُ ثُمَّ صَلُّوْا عَلَيَّ، ‘যখন তোমরা আযান শুনবে, তখন আযানের জবাবে তাই বলবে যা মুওয়ায্যিন বলে থাকেন। অতঃপর আমার উপর দরূদ পাঠ করতে হবে’। মুসলিম হা/৩৮৪; মিশকাত হা/৬৫৭। দরূদ পাঠের পর নিচের দো‘আগুলো পাঠ করতে হবে। দো‘আ-১ (১) أَللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ،

আযানের পরে দো‘আ ও ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top