আল্লাহ নিরাকার সত্তা নন। বরং তাঁর নিজস্ব আকার রয়েছে। এটাই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের আক্বীদা। এতে কোন কল্পিত ব্যাখ্যা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ নেই। কেননা কুরআনের অসংখ্য আয়াত ও হাদীছে আল্লাহর হাত, পা, চেহারা তথা আকার-আকৃতির প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে তা সৃষ্টিজগতের কোন কিছুর সাথে তুলনীয় নয়। আল্লাহ আরশে সমুন্নীত এবং তিনি অবশ্যই অবতরণ করেন, যেভাবে অবতরণ করা তাঁর মর্যাদার উপযোগী হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ প্রতি রাতের তৃতীয় প্রহরে নিম্ন আকাশে অবতরণ করেন এবং ফজর পর্যন্ত বান্দাদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, কে আছ আমাকে আহবানকারী, আমি তার আহবানে সাড়া দেব। কে আছ আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে দান করব। কে আছ আমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করব’। এভাবে বলতে থাকেন যতক্ষণ না ফজরের আলো স্পষ্ট হয়’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২২৩; মুসলিম হা/৭৫৮)। হাদীছটি মুতাশাবিহ। যার অর্থ স্পষ্ট। কিন্তু ধরণ অস্পষ্ট। অতএব আয়াতের প্রকাশ্য অর্থের উপর ঈমান রাখা আবশ্যক। অস্পষ্ট বিষয়ের পিছনে ছুটতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন (আলে ইমরান ৭, ইসরা ৩৬)। আল্লাহর কুরসী আকাশ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টন করে আছে (বাক্বারাহ ২৫৫)। আল্লাহ বলেন, ‘তাঁর তুলনীয় কিছুই নেই। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা’ (শূরা ১১)। তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ সমূহে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে, সবকিছু প্রকাশ্য অর্থে বিশ্বাস করতে হবে কোনরূপ পরিবর্তন, প্রকৃতি নির্ধারণ, শূন্যকরণ, তুলনাকরণ বা ন্যস্তকরণ ছাড়াই (আলোচনা দ্রঃ ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ থিসিস, পৃঃ ১১৭)।
আল্লাহ্ রব্বুল আলামিন বলেনঃ (কিয়ামতের দিন) ভূপৃষ্ঠের সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে । (হে রাসুল) আপনার মহিমাময় ও মহানুভব রবের চেহারা অর্থাৎ সত্ত্বাই একমাত্র বাকি থাকবে। [আর-রাহমান-২৬-২৭]
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “হে ইবলিস , তোমাকে কোন জিনিসটি তাকে সেজদা করা থেকে বিরত রাখল যাকে আমি স্বয়ং নিজের হাত দিয়ে বানিয়েছি,তুমি কি এমনি ওদ্ধত্ত প্রকাশ করলে,না তুমি উচ্চমর্যাদা সম্পূর্ণ কেউ” [সূরা-সদ,আয়াত-৭৫]
আল্লাহ্ সুবাহানাহুয়াতালা বলেনঃ “বরং তাঁর দু হাতই প্রসারিত,যেভাবে ইচ্ছা তিনি দান করেন।” [সূরা-সদ-৬৪]
আল্লাহ্ সুবাহানাহুয়াতালা আরও বলেনঃ “বল -অনুগ্রহ আল্লাহ্রই হাতে” [সূরা-আলে ইমরান-৭৩]
অথচ আল্লাহ্ সুবাহানাহুয়াতাআলা কোরআনে “সেদিন কোন কোন মুখ খুব উজ্জল হবে । তারাই হবে তাদের প্রতিপালকের দর্শনকারী” [সুরা-আল-কিয়ামাহ, আয়াত-২৩]
আল্লাহ্ সুবাহানাহুয়াতাআলা বলেনঃ “দৃষ্টি শক্তি তাকে প্রত্যক্ষ করতে পারে না বরং তিনিই দৃষ্টি শক্তিকে প্রত্যক্ষ করেন এবং তিনিই দৃষ্টি শক্তিকে প্রত্যক্ষ করেন এবং তিনি সুক্ষদরশি,সম্যকপরিজ্ঞাত ।” [সূরা-আনআম,আয়াত-১০৩]
আল্লাহ্ সুবাহানাহুয়াতাআলা বলেনঃ “আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তাঁর মুখমণ্ডল ব্যতীত সব কিছুই ধ্বংসশীল ।” [সূরা-আল কাসাস, আয়াত-৮৮]
আল্লাহ্ সুবাহানাহুয়াতাআলা নবী মূসা (আঃ)কে লক্ষ্য করে বলছেনঃ
“আমি আমার নিকট থেকে তোমার উপর ভালবাসা ঢেলে দিয়েছিলাম যাতে তুমি আমার চোখের সামনে প্রতিপালিত হও।” [সূরা-ত্বহা, আয়াত-৩৯]
এমনিভাবে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে স্বান্তনা দিতে গিয়ে বলেনঃ
“আপনি আপনার রবের নির্দেশের অপেক্ষায় ধৈর্যধারন করুন আপনি আমার চোখের সামনেই রয়েছেন।” [সূরা-আত-তূর, আয়াত-৪৮]
আল্লাহ্ বলেনঃ “নিশ্চয়ই আল্লাহ্ শ্রবণ করেন ও দেখেন ।” [সূরা-মুজাদালাহ, আয়াত-১]
আল্লাহ্ সুবাহানাহুয়াতালা বলেনঃ আল্লাহ্র সাদৃশ্য কোন বস্তুই নেই এবং তিনি শুনেন ও দেখেন ।” [সূরা-আশ-শুরা, আয়াত-১১]
“কিয়ামতের দিনে আল্লাহর হাঁটুর নিম্নাংশ উন্মোচিত করা হবে এবং সাজদা করার জন্য সকলকে আহবান করা হবে, কিন্তু তারা তা করতে সমর্থ হবে না ।” [সুরা-কালাম,আয়াত-৪২]
ছাহাবীগণের আক্বীদা :
আল্লাহ নিরাকার নন। বরং তাঁর নিজস্ব আকার আছে। যেমনটি তাঁর উপযুক্ত। তিনি সাত আসমানের উপরে আরশে সমুন্নীত, প্রত্যেক ছাহাবীর এই আক্বীদা ছিল।
মু‘আবিয়া বিন হাকাম আস-সুলামী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমার একজন দাসী ছিল। ওহোদ ও জাওয়ানিইয়াহ নামক স্থানে সে আমার ছাগল চরাত। একদিন দেখি, নেকড়ে আমাদের একটি ছাগল ধরে নিয়ে গেছে। আমি একজন আদম সন্তান (সাধারণ মানুষ), তারা যেভাবে ক্রুদ্ধ হয় আমিও সেভাবে ক্রুদ্ধ হই। আমি তাকে একটা থাপ্পড় মারি। অতঃপর রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট আসলে তিনি এটাকে গর্হিত কাজ বলে অভিহিত করলেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমি কি তাকে আযাদ করে দেব না? তিনি বললেন, তাকে আমার নিকট নিয়ে এস। আমি তাকে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট নিয়ে আসলাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহ কোথায়? সে বলল, আসমানে। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমি কে? তখন সে বলল, আপনি আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)। তখন নবী করীম (ছাঃ) বললেন, তাকে মুক্ত করে দাও, কারণ সে একজন ঈমানদার নারী’।[মুসলিম হা/৫৩৭ ‘মসজিদ সমূহ ও ছালাতের স্থানসমূহ’ অনুচ্ছেদ।]
উল্লিখিত হাদীছ থেকে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তা‘আলা আসমানে আছেন এমনই ছিল ছাহাবীদের আক্বীদা। কিন্তু দুঃখজনক হ’লেও সত্য যে, মুক্বাল্লিদ ভাইদের আক্বীদা হ’ল আল্লাহ নিরাকার এবং তিনি সর্বত্র বিরাজমান। অথচ তাদের অনুসরণীয় ইমাম আবু হানীফা (রাঃ)-এর আক্বীদা ছিল আল্লাহ নিরাকার নন এবং সর্বত্র বিরাজমান নন, তিনি আসমানের উপরে আরশে অবস্থান করেন। ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) বলেন,من قال لا أعرف ربي في السماء أم في الأرض فقد كفر لأن الله تعالى يقول الرحمن على العرش استوى وعرشه فوق سبع سموات. ‘যে বলবে যে, আল্লাহ আসমানে আছেন না যমীনে তা আমি জানি না, সে কুফরী করবে। কেননা আল্লাহ বলেন, রহমান আরশে সমুন্নীত। আর তার আরশ সপ্ত আকাশের উপর।[ইজতিমাউল জুয়ূশিল ইসলামিয়াহ, পৃঃ ৯৯।] তিনি আরো বলেন,من قال لا أعرف ربي في السماء أو في الأرض فقد كفر وكذا من قال إنه على العرش ولا أدري العرش أفي السماء أو في الأرض والله تعالى يدعى من أعلى لا من أسفل ليس من وصف الربوبية والألوهية في شيء. ‘যে বলবে যে, আল্লাহ আসমানে আছেন না যমীনে আছেন তা আমি জানি না, সে কুফরী করবে। অনুরূপভাবে যে বলবে যে, তিনি আরশে আছেন। কিন্তু আরশ আকাশে না যমীনে, আমি তা জানি না, সেও কুফরী করবে। কেননা উপরে থাকার জন্যই আল্লাহকে ডাকা হয়; নীচে থাকার জন্য নয়। আর নীচে থাকাটা আল্লাহর রুবূবিয়াত এবং উলূহিয়াতের গুণের কিছুই নয়’।[ইমাম আবু হানীফা, আল-ফিক্বহুল আবসাত, পৃঃ ৫১।]
প্রশ্ন : রাসূল (ছাঃ) কি প্রথম সৃষ্টি ও হাযির-নাযির?
রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ সর্বপ্রথম সৃষ্টি করেছেন ‘কলম’। অতঃপর তাকে বলেন, লিখ। সে বলল, কি লিখব? আল্লাহ বললেন, তাক্বদীর লিখ। অতঃপর সে লিখল, যা কিছু ঘটেছে এবং যা কিছু ঘটবে ভবিষ্যতে ক্বিয়ামত পর্যন্ত (আবুদাউদ হা/৪৭০০; তিরমিযী হা/২১৫৫; ছহীহাহ হা/১৩৩)। আলবানী বলেন, أَولُ مَا خلقَ اللهُ نُوْرِ نَبِيِّكَ يَا جابرُ ‘আল্লাহ প্রথম তোমার নবীর নূর সৃষ্টি করেন হে জাবের!’ মর্মে বর্ণিত প্রসিদ্ধ হাদীছটির কোন সনদ আমি জানতে পারিনি (তাহকীক মিশকাত হা/৯৪-এর টীকা ১; ১/৩৪ পৃঃ)। আর لَولاَكَ لماَ خَلقتُ الأَفْلاَك ‘তুমি না হলে আমি আসমান-যমীন কিছুই সৃষ্টি করতাম না’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি মওযূ বা জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/২৮০, ২৮২)।
দ্বিতীয়তঃ রাসূল (ছাঃ) মানুষ ছিলেন (কাহফ ১৮/১১০) এবং তিনি সহ পূর্বেকার সকল নবী মৃত্যুবরণ করেছেন (যুমার ৩৯/৩০)। জীবিত বা মৃত কোন মানুষ কখনো হাযির-নাযির হতে পারে না। এটি সম্পূর্ণরূপে শিরকী আক্বীদা। আর আল্লাহ আরশে সমুন্নীত। অতএব তাঁর সত্তা সর্বত্র হাযির-নাযির নয়। বরং তাঁর জ্ঞান ও শক্তি সর্বত্র বিরাজমান। যেমন তিনি মূসা ও হারূণকে বলেন, ‘আমি তোমাদের সাথে আছি। শুনছি এবং দেখছি (ত্বোয়াহা ২০/৪৬)। অতএব প্রথম সৃষ্টি হ’ল কলম। যা দিয়ে তাক্বদীর লেখা হয়েছে এবং রাসূল (ছাঃ) সর্বত্র হাযির-নাযির নন।
প্রশ্ন : রাসূল (ছাঃ) কি নূরের না মাটির তৈরী?
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মাটির মানুষ ছিলেন; নূরের তৈরী নন। আল্লাহ বলেন, ‘(হে নবী!) ‘তুমি বলে দাও, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মত একজন মানুষ মাত্র। (পার্থক্য হ’ল) আমার নিকট ‘অহি’ করা হয় …’ (কাহ্ফ ১৮/১১০)। এটা কেবল আমাদের নবীই নন, বরং বিগত সকল নবীই স্ব স্ব কওমের উদ্দেশ্যে একথা বলেছিলেন, ‘নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের মত মানুষ মাত্র’ (ইবরাহীম ১৪/১১)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আমি তো একজন মানুষ। আমিও তোমাদের মত ভুলে যাই। সুতরাং আমি (ছালাতে কিছু) ভুলে গেলে তোমরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ো’ (বুখারী হা/৪০১; মুসলিম হা/৫৭২; মিশকাত হা/১০১৬ ‘সিজদায়ে সহো’ অনুচ্ছেদ)। তিনি বলেন, আমি একজন মানুষ। আমি তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে কোন কিছু আদেশ করলে তা গ্রহণ করবে। আর নিজস্ব রায় থেকে কিছু বললে আমি একজন মানুষ মাত্র। অর্থাৎ সে ক্ষেত্রে আমার ভুলও হ’তে পারে (মুসলিম হা/২৩৬৫, মিশকাত হা/১৪৭)।
বস্ত্ততঃ ফেরেশতারা হ’ল নূরের তৈরী, জিনেরা আগুনের তৈরী এবং মানুষ হ’ল মাটির তৈরী মুসলিম হা/২৯৯৬; মিশকাত হা/৫৭০১; মুমিনূন ২৩/১২, আন‘আম ৬/২)।
উল্লেখ্য যে, রাসূল (ছাঃ) নূরের তৈরী ছিলেন মর্মে সমাজে কিছু হাদীছ প্রচলিত রয়েছে। যেমন ‘আল্লাহ সর্বপ্রথম আমার নূর সৃষ্টি করেন’। এ মর্মে বর্ণিত সব বর্ণনাই জাল (‘আজলূনী, কাশফুল খাফা হা/৮২৭; ছহীহাহ হা/৪৫৮-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)।
সূরা মায়েদাহ ১৫ আয়াতে বলা হয়েছে, قَدْ جَاءَكُمْ مِنَ اللهِ نُوْرٌ وَكِتَابٌ مُبِيْنٌ ‘তোমাদের কাছে এসেছে একটি জ্যোতি এবং একটি সমুজ্জ্বল গ্রন্থ’। উক্ত আয়াতে ‘নূর’ বা জ্যোতি দ্বারা কুরআনকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কুরআন শিরকের অন্ধকার হ’তে মানুষকে তাওহীদের আলোর পথে বের করে আনে। এখানে ‘ওয়া কিতাবুম মুবীন’ (وَكتابٌ مبيْنٌ)তার পূর্ববর্তী ‘নূর’ (نُوْرٌ)-এর উপর عطف بيان হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ বলছেন, ‘তোমাদের কাছে আল্লাহর নিকট থেকে এসেছে একটি জ্যোতি ও সমুজ্জ্বল গ্রন্থ’। যেমন ইতিপূর্বে সূরা নিসা ১৭৪-৭৫ আয়াতে بُرْهَانٌ ও نُوْرًا مُبِيْنًا বলে কুরআনকে বুঝানো হয়েছে। অমনিভাবে সূরা আ‘রাফ ১৫৭ আয়াতের কুরআনকে ‘নূর’ বলা হয়েছে।
উক্ত আয়াতের তাফসীরে ‘নূর’-এর ব্যাখ্যায় যাজ্জাজ বলেন, এখানে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে বুঝানো হয়েছে (কুরতূবী)। যদি সেটাই ধরে নেওয়া হয়, তাহ’লেও এর অর্থ এই নয় যে, মুহাম্মাদ (ছাঃ) নূরের তৈরী ছিলেন। কারণ কুরআনেই বলা হয়েছে যে, তিনি তোমাদের মত মানুষ ছিলেন’ (কাহফ ১৮/১১০)। আর মানুষ বলেই তো তিনি পিতা-মাতার সন্তান ছিলেন এবং সন্তানের পিতা ছিলেন। তিনি খানা-পিনা ও বাজার-ঘাট করতেন। অতএব রাসূল (ছাঃ) যে মাটির তৈরী মানুষ ছিলেন, এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।