ছালাতের মধ্যে সূরা ফাতিহা পাঠের বিধান : একটি আলোচনা

কুরআন পাঠের সময় চুপ থাকার আয়াত দ্বারা ইমামের পেছনে  সূরা ফাতিহা তেলাওয়া করার বিপক্ষে এবং চুপ থাকার পক্ষে নিম্নোক্ত আয়াত দলিল হিসেবে তুলে ধরেন তাদের জ্ঞাতার্থে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।

 আল্লাহ বলেন, وَ اِذَا قُرِیٴَ الۡقُرۡاٰنُ فَاسۡتَمِعُوۡا لَ وَ اَنۡصِتُوۡا لَعَلَّكُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ ‘আর যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোন এবং চুপ থাক, যাতে তোমরা রহমত লাভ কর’ (আরাফ ৭/২০৪)।

উপরোক্ত আয়াতের প্রেক্ষাপট ছিল ঐ সকল কাফেরদের সম্পর্কে, যারা কুরআন তিলাওয়াতের সময় চেঁচামেচি করত।  আর কাফেরেরা তাদের সঙ্গী-সাথীদের বলত, চেঁচামেচি কর, তালি বাজাও, শিস্ দাও এবং চিৎকার করে কথা বল, যাতে উপস্থিত জনগণের কানে কুরআনের আওয়াজ না পৌঁছে এবং তাদের অন্তর কুরআনের লালিত্যময় ভাষা ও তার চমৎকারিত্বে যেন প্রভাবিত না হয়ে যায়। সে সময় আল্লাহ তাআলা বলেন, وَ قَالَ الَّذِیۡنَ كَفَرُوۡا لَا تَسۡمَعُوۡا لِهٰذَا الۡقُرۡاٰنِ وَ الۡغَوۡا فِیۡهِ لَعَلَّكُمۡ تَغۡلِبُوۡنَকাফিররা বলে- এ কুরআন শুনো না, আর তা পড়ার কালে শোরগোল কর যাতে তোমরা বিজয়ী হতে পার’ (ফুসসিলাত ৪১/২৬)।

কাফেরদের উদ্ধোত কর্মকাণ্ডের জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা উপরোক্ত আয়াত নাযিল করেন। আর তাদেরকে বলা হল যে, এর পরিবর্তে তোমরা যদি মন দিয়ে শোন ও নীরব থাক, তাহলে হয়তো বা তোমাদেরকে আল্লাহ হিদায়াত দান করবেন এবং সেই সাথে তোমরা আল্লাহর দয়া ও রহমতের অধিকারী হয়ে যাবে।

কোন কোন ইমাম সাধারণ আদেশ বলে ব্যক্ত করেছেন। অর্থাৎ, যখনই কুরআন পাঠ করা হবে; সালাতে হোক বা সালাতের বাহিরে তখনই সকলকেই নীরব থেকে কুরআন শ্রবণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই সাধারণ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সশব্দে ক্বিরাআত পড়া হয়, এমন সমস্ত সালাতে মুক্তাদীদের সূরা ফাতিহা পাঠ কুরআনের এই আদেশের পরিপন্থী বলেছেন। পক্ষান্তরে অন্যান্য ইমামদের মত হল, সশব্দে ক্বিরাআত পড়া হয়, এমন সালাতে ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পাঠ করার ব্যাপারে নবী (সাঃ) তাকীদ করেছেন, যা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। তাঁদের নিকট এই আয়াত শুধুমাত্র কাফেরদের জন্য মনে করাই সঠিক। যেমন এই সূরার মক্কী হওয়ার মধ্যেও এর সমর্থন পাওয়া যায়। কিন্তু যদি এটিকে সাধারণ আদেশ মেনে নেওয়া যায়, তবুও নবী (সাঃ) এই সাধারণ আদেশ হতে মুক্তাদীদেরকে আলাদা করে নিয়েছেন। আর এভাবে কুরআনের এই আদেশ সত্ত্বেও মুক্তাদীদের সশব্দে ক্বিরাআতবিশিষ্ট সালাতেও সূরা ফাতিহা পাঠ করা আবশ্যিক হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, فَاقْرَؤُوْا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ  ‘তোমরা কুরআন থেকে যা সহজ মনে কর, তা পাঠ কর’ (মুযযাম্মিল ৭৩/২০)।

প্রত্যেক ছালাতে ওয়াজিব হ’ল কুরআন থেকে কিছু অংশ পাঠ করা। যা হবে একটি দীর্ঘ আয়াত অথবা তিনটি ছোট আয়াত। তারা এটা বলেছেন, রাসূলের এ ছহীহ হাদীছ থাকা সত্ত্বেও যে, لاَصَلَوةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ  ‘ছালাত হয় না ঐ ব্যক্তির, যে সূরা ফাতেহা পাঠ করে না’।[ছহীহুল জামে‘ হা/৭৩৮৯; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৮২২; ‘ছালাতে ক্বিরাআত’ অনুচ্ছেদ]

অন্য হাদীছে এসেছে, مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيْهَا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَهِىَ خِدَاجٌ فَهِىَ خِدَاجٌ فَهِىَ خِدَاجٌ غَيْرُ تَمَامٍ-   ফাতিহা পাঠ করল না, তার ছালাত বিকলাঙ্গ, বিকলাঙ্গ, বিকলাঙ্গ- অসম্পূর্ণ[ছিফাতুছ ছালাত পৃঃ ৯৭; মুসলিম, মিশকাত হা/৮২৩]

কারণ কুরআনের এই সাধারণ আদেশ থেকে সূরা ফাতিহা পাঠ করার আদেশ সহীহ মজবূত হাদীস দ্বারা ব্যতিক্রান্ত। অনুরূপ (فَاستَمِعُوا لَهُ وأَنصِتُوا) এর ব্যাপক আদেশ হতে মুক্তাদীদেরকে আলাদা বা নির্দিষ্ট করে নেওয়া হবে। সুতরাং তাদের সশব্দে ক্বিরাআত হয় এমন সকল সালাতেও সূরা ফাতিহা পাঠ করা জরুরী হবে। কারণ নবী (সাঃ) এর তাকীদ দিয়েছেন। যেমন সূরা ফাতিহার তফসীরে ঐ সকল হাদীস বর্ণিত হয়েছে।

সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে যোগাযোগ স্থাপন :

ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলার সাথে বান্দার সরাসরি যোগাযোগ তৈরী হয়, বান্দার তেলাওয়াতের জবাবে আল্লাহ যা বলেন তা নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,

مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَهْىَ خِدَاجٌ ثَلاَثًا غَيْرُ تَمَامٍ فَقِيْلَ لأَبِىْ هُرَيْرَةَ إِنَّا نَكُوْنُ وَرَاءَ الإِمَامِ فَقَالَ اقْرَأْ بِهَا فِىْ نَفْسِكَ فَإِنِّىْ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ يَقُوْلُ قَالَ اللهُ تَعَالىَ قَسَمْتُ الصَّلَاةَ بَيْنِيْ وَبَيْنَ عَبْدِيْ نِصْفَيْنِ وَلِعَبدِىْ مَا سَأَلَ فَإِذَا قَالَ الْعَبْدُ اَلْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ قَالَ اللهُ حَمِدَنِىْ عَبْدِىْ وَإِذَا قَالَ الرَّحْمَنِ الرَّحِيْمِ قَالَ اللهُ تَعَالى أَثْنَى عَلَىَّ عَبْدِىْ وَإِذَا قَالَ مَالِكِ يَوْمِ الدِّيْنِ قَالَ مَجَّدَنِىْ عَبْدِىْ وَإِذَا قَالَ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُ قَالَ هَذَا بَيْنِيْ وَبَيْنَ عَبْدِيْ وَلِعَبْدِىْ مَا سَأَلَ فَإِذَا قَالَ اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ صِرَاطَ الَّذِيْنَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّيْنَ قَالَ هذَا لِعَبْدِىْ وَلِعَبْدِىْ مَا سَأَلَ-

 ‘যে ব্যক্তি কোন ছালাত আদায় করল অথচ সূরা ফাতিহা পাঠ করল না, তার ছালাত অসম্পূর্ণ রয়ে গেল। এ কথাটি তিনি তিনবার বলেন। তখন আবু হুরায়রাকে জিজ্ঞেস করা হল, আমরা যখন ইমামের পিছনে থাকি? উত্তরে তিনি বললেন, তুমি চুপে চুপে পড়। কেননা আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি,

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি ছালাতকে আমার মাঝে ও আমার বান্দার মাঝে দুই ভাগে ভাগ করেছি। আমার বান্দার জন্য সেই অংশ যা সে চাইবে। বান্দা যখন বলে, ‘আল-হামদুলিল্লা-হি রাবিবল ‘আলামীন’ (যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগৎ সমূহের প্রতিপালক)। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করল।

বান্দা যখন বলে, ‘আর-রহমা-নির রহীম’ (যিনি করুণাময়, পরম দয়ালু)। তখন আল্লাহ বলেন, বান্দা আমার গুণগান করল।

বান্দা যখন বলে, ‘মা-লিকি ইয়াওমিদ্দ্বীন’ (যিনি বিচার দিবসের মালিক) তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমাকে সম্মান প্রদর্শন করল।

বান্দা যখন বলে, ইয়্যা-কানা‘বুদু ওয়া ইয়্যা-কানাসতাঈন (আমরা কেবল আপনারই ইবাদত করি এবং আপনার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করি)। তখন আল্লাহ বলেন, এটা আমার ও আমার বান্দার মাঝে আধাআধি ভাগ (অর্থাৎ ইবাদত আমার জন্য আর প্রার্থনা বান্দার জন্য) এবং আমার বান্দার জন্য সেই অংশ রয়েছে, যা সে চাইবে।

যখন বান্দা বলে, ‘ইহদিনাছ ছিরাত্বাল মুস্তাক্বীম, ছিরা-ত্বল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলায়হিম, গয়রিল মাগযূবি ‘আলায়হিম ওয়ালায য-ল্লীন (আপনি আমাদের সরল পথ প্রদর্শন করুন। তাদের পথ যাদের উপর আপনি রহম করেছেন। তাদের পথ নয় যারা অভিশপ্ত এবং পথভ্রষ্ট)। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা যা চেয়েছে তা তার জন্য’। (আমীন); (মুসলিম হা/৩৯৫, তিরমিযী হা/২৯৫৩, ইবনু মাজাহ্ হা/৮৩৮, আহমাদ হা/৭২৯১, সহীহ ইবনু হিব্বান হা/৭৭৬, মিশকাত হা/৮২৩)।

উপরোক্ত হাদীস থেকে প্রতিয়মান হয় যে, আয়াতগুলোর মধ্যে প্রথম তিনটি আয়াত আল্লাহর জন্যে আর শেষ তিন আয়াত বান্দার জন্যে এবং মধ্যবর্তী আয়াত অর্ধেক আল্লাহর জন্যে আর অর্ধেক বান্দার জন্যে বরাদ্দ করেছেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা। আর এই জন্য আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘সালাতকে আমি ও আমার বান্দার মধ্যে ভাগ করে নিয়েছি’। এখানে উদ্দেশ্য হলো ফাতিহাহ্ পড়া। কারণ সালাত বিশুদ্ধ হবে না সেটা ব্যতীত। এ হাদীসেও প্রমাণ রয়েছে যে, ফাতিহাহ্ পড়া ফরয।

ইমাম আহমাদ, ইমাম শাফি‘ঈ-এর প্রসিদ্ধ মতে সালাতে সূরাহ্ ফাতিহাহ্ পড়া ফরয। এটা ব্যতীত সালাত সহীহ হবে না। ইমাম বুখারী বলেন, সূরাহ্ আল ফাতিহাহ্ ক্বিরাআত ফারযের একটি অংশ।

ইমামগণ স্বপক্ষে দলিল হিসেবে বলেন, রাসূল (ছা.) বলেন,  لاَصَلَوةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ  ‘ছালাত হয় না ঐ ব্যক্তির, যে সূরা ফাতেহা পাঠ করে না’।[ছহীহুল জামে‘ হা/৭৩৮৯; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৮২২; ‘ছালাতে ক্বিরাআত’ অনুচ্ছেদ]

ইমাম বুখারী উক্ত হাদীছ উল্লেখ করার পূর্বে নিম্নোক্ত অনুচ্ছেদ নির্ধারণ করেছেন,  بَابُ وُجُوْبِ الْقِرَاءَةِ لِلْإِمَامِ وَالْمَأْمُوْمِ فِى الصَّلَوَاتِ كُلِّهَا فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ وَمَا يُجْهَرُ فِيْهَا وَمَا يُخَافَتُ  অর্থাৎ- ‘প্রত্যেক ছালাতে ইমাম-মুক্তাদী উভয়ের জন্য ক্বিরা‘আত (সূরা ফাতিহা) পড়া ওয়াজিব। মুক্বীম অবস্থায় হোক বা সফর অবস্থায় হোক, জেহরী ছালাতে হোক বা সের্রী ছালাতে হোক’।(ছহীহ বুখারী ১/১০৪ পৃঃ, হা/৭৫৬-এর অনুচ্ছেদ দ্রঃ।)

উক্ত হাদীছ থেকে প্রমাণিত হয় যে, ইমাম-মুক্তাদী সকলেই সূরা ফাতিহা পাঠ করবে। সূরা ফাতিহা শুধু ইমামের জন্য নয়। কারণ আল্লাহর বান্দা শুধু ইমাম নন, মুক্তাদীও আল্লাহর বান্দা। আর আবু হুরায়রাহ (রাঃ) সেটা বুঝানোর জন্যই উক্ত হাদীছ পেশ করেছেন। অতএব ইমামের পিছনে মুক্তাদীও সূরা ফাতিহা পাঠ করবে।

রিফা‘আ বিন রাফে‘ (রাঃ) বলেন, جَاءَ رَجُلٌ فَصَلَّى فِي الْمَسْجِدِ ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ فَقَالَ النَّبِيُّ أَعِدْ صَلَاتَكَ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ فَقَالَ عَلِّمْنِىْ يَا رَسُوْلَ اللهِ كَيْفَ أُصَلِّي؟ قَالَ إِذَا تَوَجَّهَتَ إِلَى الْقِبْلَةِ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَمَا شَاءَ اللهُ أَنْ تَقْرَأَ..

 জনৈক ব্যক্তি মসজিদে আসল এবং ছালাত আদায় করল। অতঃপর রাসূল (ছাঃ)-কে সালাম দিল। তিনি তাকে বললেন, তুমি ছালাত ফিরিয়ে পড়। নিশ্চয় তুমি ছালাত আদায় করনি। তখন লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমাকে ছালাত শিক্ষা দিন। তিনি বললেন, যখন তুমি ক্বিবলামুখী হবে তখন তাকবীর দিবে। অতঃপর সূরা ফাতিহা পড়বে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় আরো কিছু অংশ পাঠ করবে..। (আবূ দাঊদ হা/৮৫৯, ৮৬০, আহমাদ হা/১৮৫১৬, সহীহ আল জামি‘ হা/৩২৪, মিশকাত হা/৮০৪)

যোহর ও আছরের ছালাতে মুক্তাদীরা সূরা ফাতিহা সহ অন্য সূরাও পাঠ করতে পারবে মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। (ইবনু মাজাহ হা/৮৪৩, পৃঃ ৬১; সনদ ছহীহ, আলবানী, ইরওয়াউল গালীল হা/৫০৬)

পরিশেষে, এটাই প্রতিয়মান হলো যে, সালাতের বাহিরে কুরআন পাঠের সময় সম্পূর্ণ চুপ থাকতে হবে এবং ছালাতের মধ্যে চুপি চুপি ঠোট ও জিহবা নাড়িয়ে সূরা ফাতিহা তেলাওয়াত করতে হবে ও অন্য সূরা বা কুরআনের অংশ মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন, আমীন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

loader-image

Scroll to Top