তাহারাত/পবিত্রতা

সৃষ্টি প্রতি দয়া প্রদর্শনে, নিজের কষ্ট দূর হয়

আল্লাহ যে গুণাবলীগুলো বান্দার মধ্যে দেখলে খুশি হয়, তন্মধ্যে অন্যতম হ’ল দয়া, ক্ষমা, ধৈর্য্য ও সত্যবাদিতা। জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, لاَ يَرْحَمُ اللَّهُ مَنْ لا يَرْحَمُ النَّاسَ‏.‏ ‘যে লোক মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহ তার প্রতি দয়ালু হোন না’। মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৪৯৪৭। অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আর যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সাহায্যে থাকবে, আল্লাহ তার সাহায্যে থাকবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ তাকে ক্বিয়ামতের দিনের বিপদ সমূহের একটি বড় বিপদ দূর করে দিবেন’ (বুখারী হা/২৪৪২; মুসলিম […]

সৃষ্টি প্রতি দয়া প্রদর্শনে, নিজের কষ্ট দূর হয় বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : ধনাঢ্যতা ও দরিদ্রতা বান্দার জন্য পরীক্ষা

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ قَطَّعۡنٰهُمۡ فِی الۡاَرۡضِ اُمَمًا ۚ مِنۡهُمُ الصّٰلِحُوۡنَ وَ مِنۡهُمۡ دُوۡنَ ذٰلِکَ ۫ وَ بَلَوۡنٰهُمۡ بِالۡحَسَنٰتِ وَ السَّیِّاٰتِ لَعَلَّهُمۡ یَرۡجِعُوۡنَ ‘আর যমীনে আমি তাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতিতে। তাদের কেউ নেককার আর কেউ অন্যরূপ এবং আমি তাদেরকে পরীক্ষা করেছি ভাল ও মন্দ দ্বারা, হয়তো তারা ফিরে আসবে’ (আরাফ ৭/১৬৮)।.ব্যাখ্যা : আয়াতের শেষাংশে বলা হয়েছে, ‘আমি ভাল-মন্দ অবস্থার দ্বারা তাদের পরীক্ষা করেছি যেন তারা নিজেদের গহিত আচার-আচরণ থেকে ফিরে আসে।’ ‘ভাল অবস্থার দ্বারা’-এর অর্থ হল এই যে, তাদেরকে ধন-সম্পদের প্রাচুর্য ও ভোগবিলাসের উপকরণ

দরসে কুরআন : ধনাঢ্যতা ও দরিদ্রতা বান্দার জন্য পরীক্ষা বিস্তারিত পডুন »

হারাম অর্থ ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়নি কা‘বা ঘর

জাহেলী যুগেও হারাম অর্থ ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়নি কা‘বা বা আল্লাহর ঘর। কা‘বাগৃহ পুনঃর্নির্মাণের উদ্দেশ্যে কুরায়েশ নেতৃবৃন্দ বৈঠকে বসে স্থির করেন যে, এর নির্মাণ কাজে কারু কোনরূপ হারাম মাল ব্যয় করা হবে না। তারা বলেন, হে কুরায়েশগণ! তোমরা এর নির্মাণ কাজে তোমাদের পবিত্র উপার্জন থেকে ব্যয় কর। এর মধ্যে ব্যভিচারের অর্থ, সূদের অর্থ, কারু প্রতি যুলুমের অর্থ মিশ্রিত করোনা’ (ইবনু হিশাম ১/১৯৪)। হারাম অর্থ দিয়ে দুনিয়ার সমস্ত কিছু ক্রয় করা সম্ভব, কিন্তু জান্নাত নয়। মসজিদ জান্নাতের অংশ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য পঙ্গপালের

হারাম অর্থ ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়নি কা‘বা ঘর বিস্তারিত পডুন »

মানুষের কাছে নয়, মুখাপেক্ষী হও আল্লাহর কাছে

আসল ও প্রকৃত সামাদ হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ। সৃষ্টি যদি কোন দিক দিয়ে সামাদ হয়ে থাকে তাহলে অন্য দিক দিয়ে তা সামাদ নয় কারণ তা অবিনশ্বর নয় একদিন তার বিনাশ হবে। কোন কোন সৃষ্টি তার মুখাপেক্ষী হলেও সে নিজেও আবার কারো মুখাপেক্ষী। তার নেতৃত্ব আপেক্ষিক, নিরংকুশ নয়। কারো তুলনায় সে শ্রেষ্ঠতম হলেও তার তুলনায় আবার অন্য কেউ আছে শ্রেষ্ঠতম। কিছু সৃষ্টির কিছু প্রয়োজন সে পূর্ণ করতে পারে। কিন্তু সবার সমস্ত প্রয়োজন পূর্ণ করার ক্ষমতা কোন সৃষ্টির নেই। বিপরীতপক্ষে আল্লাহর সামাদ হবার গুণ অর্থাৎ তাঁর মুখাপেক্ষীহীনতার গুণ

মানুষের কাছে নয়, মুখাপেক্ষী হও আল্লাহর কাছে বিস্তারিত পডুন »

উসূলুল হাদীস

হাদীস কাকে বলে? হাদীস কত প্রকার ও কি কি? সর্বোচ্চ সংখ্যক হাদীস বর্ণনাকারী কয়েকজন সাহাবি এবং প্রধান প্রধান হাদীসগ্রন্থগুলো। প্রাককথন: হাদীসের উপরে বিস্তারিত আলোচনার জন্য বৃহত আকারের পুস্তকের প্রয়োজন। আর একথা জ্ঞানী ব্যক্তি মাত্রেরই জানা রয়েছে যে, শুধুমাত্র হাদীস এবং উসূলে হাদীস বিষয়ের উপরে অসংখ্য বহু মূল্যবান কিতাব বিগত প্রায় দেড় হাজার বছরে পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন ভাষায় রচিত, পঠিত এবং সমাদৃত হয়ে আসছে। আলহামদুলিল্লাহ, কলেবর বৃদ্ধি না হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে অত্র নিবন্ধে শুধু হাদীস বিষয়ক মৌলিক ধারণা তুলে ধরারই চেষ্টা করা হবে ইনশাআল্লাহু তাআ’লা। প্রথমেই

উসূলুল হাদীস বিস্তারিত পডুন »

খোলা তালাক্ব

— (’’তালাক্ব ও তাহলীল’’ বই থেকে নেয়া)……….. ‘খোলা’ (الْخُلْعُ) অর্থ : কাপড় খুলে ফেলা। পবিত্র কুরআনে স্বামী-স্ত্রীকে ‘পরস্পরের জন্য পোষাক’ (বাক্বারাহ ২/১৮৭) স্বরূপ বলা হয়েছে। স্বামীর নিকট থেকে স্ত্রী কোন কিছুর বিনিময়ে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নেওয়াকেই শারঈ পরিভাষায় ‘খোলা’ বলা হয়।[1] মুনাফিক নেতা আব্দুল্লাহ বিন উবাইয়ের কন্যা জামীলা কিংবা সাহ্ল আনছারী (রাঃ)-এর কন্যা হাবীবাহ নাম্নী জনৈকা মহিলা একদিন ফজরের অন্ধকারে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর দরবারে এসে তার স্বামী ছাবিত বিন ক্বায়েস বিন শাম্মাস-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করল যে, সে তাকে মেরেছে ও অঙ্গহানি করেছে। সে বলল, আল্লাহর কসম!

খোলা তালাক্ব বিস্তারিত পডুন »

শহীদের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য

শহীদের পরিচয় : শহীদ আরবী: شهيد‎‎ (šahīd) বহুবচনে: شُهَدَاء শুহাদাʾ ; শব্দটি হলো কুরআনের আরবী শব্দ। যার অর্থ হলো সাক্ষী। এছাড়াও এর অন্য অর্থ হলো আত্ম-উৎসর্গ করা। ইসলামী বিশ্বাসের সাক্ষ্যদানে যে সচেতনভাবে গ্রহণযোগ্য মৃত্যু কামনা করে এবং আত্ম-উৎসর্গ করে তার উপাধি স্বরূপ শহীদ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। মদ্দা কথা, যারা তাওহীদের কালেমাকে সমুন্নত করার খালেছ নিয়তে আল্লাহর পথে লড়াই করে মারা যাবে, তারাই হচ্ছে প্রকৃত শহীদ। আর শহীদের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য হবে এই যে, সে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে লড়াই করবে না, তাকে বাহাদুর বলা হবে এ উদ্দেশ্যে বা লোককে শুনানোর উদ্দেশ্যে

শহীদের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য বিস্তারিত পডুন »

পবিত্রতা অর্জনে ওযূ

আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য। ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত হিসাবে পবিত্রতা অর্জন করা অপরিহার্য। পবিত্রতা ছাড়া ইবাদত হয় না, এমন একটি ইবাদত হলো ছালাত। ছালাতে দাঁড়ানোর পূর্বেই ওযূর মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ ‘তোমার পোষাক-পরিচ্ছদ পবিত্র রাখ’ (মুদ্দাছছির ৪)। অন্যত্র তিনি বলেন, إِنَّ اللهَ يُحِبُّ التَّوَّابِيْنَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِيْنَ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী ও অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালবাসেন’ (বাক্বারাহ ২/২২২)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُوْرٍ وَلاَ صَدَقَةٌ مِنْ غُلُوْلٍ ‘পবিত্রতা অর্জন ব্যতীত কারো ছালাত

পবিত্রতা অর্জনে ওযূ বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top