তাওহীদ ও শিরক

শিরক

শিরক হ’ল সবচেয়ে জঘন্যতম পাপ। এটা কবীরা গুণাহ যা তাওবাহ ব্যতীত ক্ষমা হয় না। শিরকারীর উপর আল্লাহ তা‘আলা ভিষণ রাগান্বিত হোন। শিরক সবচেয়ে বড় পাপ হওয়ার মূল কারণ হল এটা সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর অস্তিত্ব ও সত্তার প্রতি প্রভাব ফেলে। যা মহান আল্লাহ বরদাশত করতে পারেন না। এই পৃথিবীতে হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ) পর্যন্ত যে এক লক্ষ চবিবশ হাযার নবী ও রাসূল এসেছেন, তাঁদের মৌলিক প্রধান কাজ ছিল শিরক উৎখাত করতঃ তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করা। তাঁরা প্রত্যেকেই আজীবন সর্বশক্তি প্রয়োগ […]

শিরক বিস্তারিত পডুন »

তাক্বদীর সম্পর্কে ধারনা

ভূমিকা : যে ব্যক্তি তাক্বদীর সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করেছে, সে কখনও হতাশ, নিরাশ ও অসন্তুষ্ট হবে না, আর জীবন নিয়ে আফসোসও করবে না। হিংসুক ব্যক্তির অন্তরে তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে। হিংসা না করে, তাক্বদীর বিষয়ে জ্ঞানার্জন করুন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ’’আমার উম্মাতের মধ্যে যারা তাক্বদীর অস্বীকারকারী তাদের মধ্যে ভূমি ধ্বস ও চেহারা বিকৃতি ঘটবে’’(মিশকাত হা/১০৬) । জীব সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাযার বছর পূর্বে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,كَتَبَ اللهُ

তাক্বদীর সম্পর্কে ধারনা বিস্তারিত পডুন »

আল্লাহর জন্য তাকবীর দেয়ার বিধান

তাকবীর দেয়া সওয়াবের কাজ। আমরা প্রত্যেক দলের শ্লোগান যখন বলি, তখন ইসলাম পন্থী দলগুলোও একটি শ্লোগান ঠিক করেছেন। কেহ নারায়ে তাকবীর, লিল্লাহে তাকবীর ইত্যাদি। নারায়ে (نعره) শব্দটি উর্দূ। অর্থ: ধ্বনী বা উচ্চ আওয়াজ। তাকবীর শব্দটি আরবী। যার অর্থ: আল্লাহর বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। আর লিল্লাহে আরবী শব্দ। যার অর্থ আল্লাহর জন্য। তবে জন সন্মুখে উচ্চস্বরে তাকবীর দেয়ার বিধান রয়েছে। তবে রাসূল (ছাঃ) এটাকে থামিয়েও দিয়ে ছিলেন। যেমন – আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খায়বার যুদ্ধের জন্য বের হলেন কিংবা

আল্লাহর জন্য তাকবীর দেয়ার বিধান বিস্তারিত পডুন »

গণতন্ত্র কেন জাহেলিয়াত

 ‘গণতন্ত্র’ শব্দটির ব্যুত্পত্তিগত অর্থ জনগণেরক্ষমতা। অর্থাত্ সরকার বা শাসন ব্যবস্থা যখন জনঅভিমত দ্বারা পরিচালিত হয় তখন তাকে গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বলেআখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। তার মানে সরকার পরিচালনায় যখন জনগণেরঅভিমত প্রতিফলিত হয় তখন উক্ত শাসন ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক সরকার বা গণতান্ত্রিকশাসন ব্যবস্থা বলা হয়। আমেরিকার তদানীন্তন প্রেসিডেন্টআব্রাহাম লিংকন তাঁর গেটিসবার্গ এড্রেস-এ বলেছিলেন, গণতন্ত্র জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা গঠিত সরকার এবং জনগণের জন্য সরকার। গণতন্ত্র সম্পর্কে বিভিন্ন জন বিভিন্নঅভিব্যক্তি প্রকাশ করে থাকেন। শুধু তাই নয়, সারাবিশ্ব আজ গণতন্ত্রের প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। অনেকে বলেন, প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীতে গণতন্ত্র বাজনগণের শাসন বলে কিছু নেই। তাদের মতে, ‘গণতন্ত্র’ একটি মুখরোচক শব্দ

গণতন্ত্র কেন জাহেলিয়াত বিস্তারিত পডুন »

আল্লাহর ও তাঁর রাসূল সম্পর্কে সঠিক আক্বীদাহ

আল্লাহ নিরাকার সত্তা নন। বরং তাঁর নিজস্ব আকার রয়েছে। এটাই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের আক্বীদা। এতে কোন কল্পিত ব্যাখ্যা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ নেই। কেননা কুরআনের অসংখ্য আয়াত ও হাদীছে আল্লাহর হাত, পা, চেহারা তথা আকার-আকৃতির প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে তা সৃষ্টিজগতের কোন কিছুর সাথে তুলনীয় নয়। আল্লাহ আরশে সমুন্নীত এবং তিনি অবশ্যই অবতরণ করেন, যেভাবে অবতরণ করা তাঁর মর্যাদার উপযোগী হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ প্রতি রাতের তৃতীয় প্রহরে নিম্ন আকাশে অবতরণ করেন এবং ফজর পর্যন্ত বান্দাদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, কে আছ আমাকে

আল্লাহর ও তাঁর রাসূল সম্পর্কে সঠিক আক্বীদাহ বিস্তারিত পডুন »

আশুরায়ে মুহাররমের ফযীলত

ইসলামের নামে প্রচলিত অনৈসলামী পর্ব সমূহের মধ্যে একটি হ’ল ১০ই মুহাররম তারিখে প্রচলিত আশূরা পর্ব। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ পর্বের কোন অস্তিত্ব ছিল না। আল্লাহর নিকটে বছরের চারটি মাস হ’ল ‘হারাম’ বা মহা সম্মানিত (তওবা ৯/৩৬)। যুল-ক্বা‘দাহ, যুলহিজ্জাহ ও মুহাররম একটানা তিন মাস এবং তার পাঁচ মাস পর ‘রজব’, যা শা‘বানের পূর্ববর্তী মাস’।(বুখারী হা/৫৫৫০; মুসলিম হা/১৬৭৯; মিশকাত হা/২৬৫৯।)  জাহেলী যুগের আরবরা এই চার মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ করত না।(বুখারী হা/৫৩; মুসলিম হা/১৭; মিশকাত হা/১৭।) দুর্ভাগ্য যে, মুসলমান হয়েও আমরা অতটুকু করতে পারি না। আশূরার গুরুত্ব ও

আশুরায়ে মুহাররমের ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর তাৎপর্য

লেখক : নাফিয আল-মাহমূদ(‘আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী’-এর দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র)সম্পাদনা : লিলবর আল-বারাদী ভূমিকা : আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতীকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর একত্ববাদে সাক্ষ্য দেয়া ও ইবাদত করা জন্য। আমলের পূর্বে ঈমানের মজবুতি সুদৃঢ় করা উচিৎ। আর সেই ঈমানের প্রধান শাখা হ’ল لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ. অর্থাৎ- ‘নেই কোন ইলাহ্ (সত্য উপাস্য) আল্লাহ ব্যতীত’। এই বাক্যটির তাৎপর্য অপরিসীম। যা নিচে তুলে ধরা হ’ল- ১. নবী-রাসূলগণের দাওয়াতের প্রথম ধাপ :প্রত্যেক যুগের মানুষ যখনই তাওহীদ থেকে দীরে গিয়ে শিরকের ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে, তখনই আল্লাহ

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর তাৎপর্য বিস্তারিত পডুন »

চেতনার সংঘাত (সম্পাদকীয়, জানুয়ারী ২০২১)

-প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব ————————————————–  তাওহীদের সাথে শিরকের সম্পর্ক যেমন ওযূর সাথে বায়ু নিঃসরণের সম্পর্ক। তাওহীদ থাকলে শিরক থাকবেনা, শিরক থাকলে তাওহীদ থাকবেনা। দু’টির মাঝে আপোষের কোন সুযোগ নেই। তাওহীদের চেতনা হ’ল সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর দাসত্বের অধীনে সকল মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা। আর শিরকের চেতনা হ’ল সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সাথে সৃষ্টির দাসত্ব করা। যেখানে শরীক হয় মুখ্য এবং আল্লাহ হন গৌণ। যেমন মক্কার মুশরিকরা কা‘বাগৃহ ত্বাওয়াফ করার সময় বলত, লাববাইকা লা শারীকা লাকা, ইল্লা শারীকান হুয়া লাক; তামলিকুহু ওয়া মা মালাক’ (আমি হাযির; তোমার কোন শরীক নেই, কেবল

চেতনার সংঘাত (সম্পাদকীয়, জানুয়ারী ২০২১) বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top