মুসলমানদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য

দরসে কুরআন : সৎ কাজের আদেশের উদ্দেশ্য হবে কল্যাণকামিতা

উত্তম আচরণের মাধ্যমে হক্ব জানিয়ে দেয়া বা উপদেশ প্রদান করা হ’ল কল্যাণকামিতা। কেননা, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,  وَ لَا تَسۡتَوِی الۡحَسَنَۃُ وَ لَا السَّیِّئَۃُ ؕ اِدۡفَعۡ بِالَّتِیۡ هِیَ اَحۡسَنُ فَاِذَا الَّذِیۡ بَیۡنَکَ وَ بَیۡنَهٗ عَدَاوَۃٌ کَاَنَّهٗ وَلِیٌّ حَمِیۡمٌ ‘ভাল আর মন্দ সমান নয়। উৎকৃষ্ট দিয়ে মন্দকে দূর কর। তখন দেখবে, তোমার আর যার মধ্যে শত্রুতা আছে সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু’ (হা-মিম-সাজদা ৪১/৩৪)। এখানে অতীব গুরুত্বপূর্ণ এক চারিত্রিক শিক্ষা যে, মন্দকে দূরীভূত কর ভাল দ্বারা। যা উৎকৃষ্ট তা দিয়ে নিকৃষ্ট প্রতিহত কর। অর্থাৎ, অন্যায়ের বদলা নাও ন্যায় […]

দরসে কুরআন : সৎ কাজের আদেশের উদ্দেশ্য হবে কল্যাণকামিতা বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : হাজ্জাজ বিন ইউসুফের কঠোরতা

আবূ নাওফাল মু’আবিয়াহ্ ইবনু মুসলিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদীনামুখী মক্কার গিরিপথে আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-কে (অর্থাৎ তাঁর মৃত লাশ) দেখতে পাই। তিনি বলেন, তাঁর কাছ দিয়ে কুরায়শ ও অন্যান্য বহু লোকই অতিক্রম করে যাচ্ছিল, অবশেষে ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) তার পার্শ্ব দিয়ে যাওয়ার বেলায় দাঁড়িয়ে বললেন, ’আস্সালামু আলাইকা ইয়া আবা খুবায়ব, আসসালামু আলাইকা ইয়া আবা খুবায়ব, আসসালামু আলাইকা ইয়া আবা খুবায়ব। অতঃপর বললেন, জেনে রাখ! আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় আমি তোমাকে এমন কাজ হতে নিষেধ করেছিলাম যার ফলে এটা হয়েছে, জেনে রাখ! আল্লাহর

দরসে হাদীস : হাজ্জাজ বিন ইউসুফের কঠোরতা বিস্তারিত পডুন »

আধুনিক বিজ্ঞান ও ইসলাম

বিজ্ঞান অর্থ বিশেষ জ্ঞান। আমাদের চারপাশে দৃশ্যমান মানব, জীবজগত ও বিভিন্ন বস্ত্ত মানুষের মনে কৌতুহল সৃষ্টি করে এবং এসবের সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে সন্তোষজনক সমাধান খুঁজে ফিরে। এই বিশাল বিশ্বজগত কেমন করে চলছে সেই সত্য উদঘাটনই বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য। কিন্তু বাহ্যিকভাবে পঞ্চেন্দ্রিয়লব্ধ জ্ঞানকেই বিজ্ঞান একদিন শ্বাশত সত্য বলে যাহির করেছিল এবং ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত আল্লাহর বাণীকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। অথচ বিংশ শতাব্দীতে এসে বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষের যুগে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন বললেন, Science without religion is lame and religion without science is blind অর্থাৎ ধর্মহীন বিজ্ঞান খোড়া এবং বিজ্ঞানহীন ধর্ম

আধুনিক বিজ্ঞান ও ইসলাম বিস্তারিত পডুন »

উয়াইস কারনীর মর্যাদা

উসাইর ইবনু জাবির (রাঃ) বলেন, ইয়ামানে বসবাসকারীদের পক্ষ থেকে ওমর (রাঃ)-এর নিকট সাহায্যকারী দল আসলে তিনি তাদেরকে প্রশ্ন করতেন, ‘তোমাদের মাঝে কি উয়াইস ইবনু আমির আছে’? অবশেষে (একদিন) উয়াইস (রহঃ) এসে গেলেন। তাকে ওমর প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি কি উয়াইস ইবনু আমির’? সে বলল, হ্যাঁ। ওমর (রাঃ) আবার বললেন, ‘মুরাদ’ সম্প্রদায়ের উপগোত্র ‘কারনের’ লোক? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, ‘আপনার কি কুষ্ঠরোগ হয়েছিল, আপনি তা হ’তে সুস্থ হয়েছেন এবং মাত্র এক দিরহাম পরিমাণ স্থান বাকী আছে’? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, ‘আপনার মা জীবিত আছে কি’?

উয়াইস কারনীর মর্যাদা বিস্তারিত পডুন »

ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর জীবনী

লেখক : ড. নূরুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী।  [ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর রচনা সমূহ] ২. আত-তাযকিরাহ বি-আহওয়ালিল মাওতা ওয়া উমূরিল আখিরাহ : ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর গ্রন্থ সমূহের মাঝে তাফসীরে কুরতুবীর পর এটি সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ও বহুল পঠিত। শায়খ মুহাম্মাদ মাখলূফ (মৃঃ ১৩৬০ হিঃ) উক্ত গ্রন্থের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, كتاب ليس له مثيل فى بابه ‘এটি এমন একটি গ্রন্থ, যার তুলনীয় কোন গ্রন্থ নেই’।[1] হাজী খলীফা বলেন, هو كتاب مشهور فى مجلد ضخم ‘বৃহৎ একটি খন্ডে সংকলিত এটি একটি প্রসিদ্ধ গ্রন্থ’।[2] শায়খ শিহাবুদ্দীন করাফী

ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর জীবনী বিস্তারিত পডুন »

ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর জীবনী

লেখক : ড. নূরুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী। ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর রচনা সমূহ : ইমাম কুরতুবী (রহঃ) সর্বদা ইবাদত-বন্দেগী ও জ্ঞান সাধনায় নিয়োজিত থাকতেন। তিনি শহরের কোলাহলমুক্ত নির্ঝঞ্ঝাট গ্রামীণ পরিবেশে নীরবে রচনা করে গেছেন তাঁর সুবিশাল সাহিত্যকর্ম।[1] এসব রচনা বিভিন্ন শাস্ত্রে তাঁর অগাধ পান্ডিত্য ও গভীর জ্ঞানের পরিচয় বহন করে। তাইতো ঐতিহাসিকগণ বলেছেন,لَهُ تصانيف مفيدة تدل على كَثْرَة اطلاعه ووفور فضله ‘তাঁর অনেক উপকারী গ্রন্থ রয়েছে। যা তাঁর অধিক অধ্যয়ন ও অনন্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর বহন করে’।[2] আধুনিক গবেষক মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান বিন

ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর জীবনী বিস্তারিত পডুন »

ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর জীবনী

লেখক : ড. নূরুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী। কর্মজীবন : ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর কর্মজীবন সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায় না। তিনি যেসব শহরে-নগরে অবস্থান করেছিলেন, সে সকল স্থানে দরস প্রদানের কোন তথ্যও ইতিহাস ও জীবনীগ্রন্থগুলিতে পাওয়া যায় না। আসলেই কি তার দরসের কোন হালাকা ছিল না? এর সঠিক উত্তর দেওয়া বেশ মুশকিল। কারণ তাঁর যুগের ইলমী পরিবেশ দরস ও সংলাপে গুঞ্জরিত থাকত। তাছাড়া শেষ জীবনে তিনি মিসরের ‘মুনয়াতু বানী খাছীব’ নামক যে স্থানে বসবাস করতেন তা ইলমে দ্বীন চর্চার কেন্দ্রস্থল ও আলেম-ওলামার

ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর জীবনী বিস্তারিত পডুন »

ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর জীবনী

লেখক : ড. নূরুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী। ভূমিকা : ইমাম কুরতুবী (রহঃ) হিজরী ৭ম শতকের একজন প্রখ্যাত স্প্যানিশ মুফাস্সির, ফকীহ ও ধর্মতাত্ত্বিক। কর্ডোভার পতনের পর এই অনন্য ইলমী প্রতিভার দ্যুতি নীলনদ বিধেŠত মিসরে বিচ্ছুরিত হয়। নিরলস জ্ঞানসাধনার মাধ্যমে তিনি রচনা করেন তাঁর জগদ্বিখ্যাত তাফসীর ‘আলে-জামে লি-আহকামিল কুরআন’। যা ‘তাফসীরে কুরতুবী’ নামে খ্যাত। আহকামুল কুরআন বিষয়ক এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ও অসাধারণ তাফসীর। তাফসীর সাহিত্যের দিগ্বলয়ে এটি চির ভাস্বর। নাম ও বংশ পরিচয় : ইমাম কুরতুবীর আসল নাম মুহাম্মাদ। কুনিয়াত বা উপনাম আবু

ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর জীবনী বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top