আত্নশুদ্ধি

লাইলাতুল ক্বদর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা

বই : রামাযান ও ছিয়াম লেখক : মুহাম্মাদ লিলবর আল-বারাদী একজন মুমিন সারা বছর চাতকের মত রামাযানের প্রতীক্ষায় থাকে। অন্যদিকে রামাযান মাসের শেষ দশকে আগমনে ‘লায়লাতুল ক্বদর’ তথা ক্বদরের রাত্রী তালাশে ব্যাকুল হয়ে থাকে। ক্বদরের রাত একটি মহিমান্বিত ও বরকতময় রজনী। মহান আল্লাহ তা‘আলার কৃপায় এ রাতে সাধ্যমত ইবাদত করা এবং পাপ মোচন করিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে। এ রাত শেষে দশকের বিজোড় রাত্রীতে তালাশ করতে হয়। লায়লাতুল ক্বদরের নামকরণ : ‘ক্বদর’ (اَلْقَدْرُ) অর্থ সম্মান, মর্যাদা। আর لَيْلَةُ الْقَدْرِ অর্থ মর্যাদার রাত্রি, বা মহিমান্বিত রজনী। যেমন […]

লাইলাতুল ক্বদর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা বিস্তারিত পডুন »

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-৪)

৮. শিশু বক্তাদের নিকট থেকে জ্ঞান আহরণে বিরত থাকা : জ্ঞান কার নিকট হ’তে গ্রহণ করা হচ্ছে, তা অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা ইলম বা জ্ঞান হ’ল দ্বীনের স্বরূপ। যেখানে দ্বীন নেই, সেখানে জ্ঞানও নেই। মুহাম্মাদ বিন সিরীন (রাঃ) বলেন, إِنَّ هَذَا الْعِلْمَ دِيْنٌ فَانْظُرُوْا عَمَّنْ تَأْخُذُوْنَ دِيْنَكُمْ ‘নিশ্চয়ই এ জ্ঞান দ্বীন স্বরূপ। সুতরাং তোমরা লক্ষ্য রাখবে কার নিকট হ’তে তোমাদের দ্বীন গ্রহণ করছ’।[1] দ্বীনের নছীহত কাদের থেকে গ্রহণীয় সে সম্পর্কে আব্দুল্ললাহ ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, ‘দ্বীন ইসলাম তখন নষ্ট হয়ে যাবে, যখন মানুষ ছোটদের নিকট

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-৪) বিস্তারিত পডুন »

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-৩)

দ্বীনী জ্ঞানার্জনে কিছু দিক-নির্দেশনা তাক্বওয়ার সাথে ইলম অর্জন করতে হয়। কেননা তাক্বওয়া প্রকৃত ইলমের বাহক। তাক্বওয়াবিহীন ইলম মূলত ফলবিহীন একটি পুষ্ট গাছের মত যা মালিকের বিশেষ কোন কাজে আসেনা। ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে একজন জ্ঞান আহরণকারীর জন্য অবশ্য পালনীয় চারটি ধাপ রয়েছে। বিখ্যাত তাবেঈ সুফিয়ান ছাওরী (রহঃ) বলেন, ইলমের প্রথম ধাপ হ’ল চুপ থাকা। দ্বিতীয় ধাপ হ’ল মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করা এবং শ্রবণকৃত বিষয়সমূহ মুখস্থ রাখা। তৃতীয় ধাপ হ’ল ইলম অনুযায়ী যথাসাধ্য আমল করা। চতুর্থ ধাপ হ’ল ইলমের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করা এবং অন্যকে তা শিক্ষা দেয়া’।[1] ইলম অর্জনের আগে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ছালিহ

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-৩) বিস্তারিত পডুন »

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-২)

জ্ঞানার্জনকারীর মর্যাদা : আল্লাহ তা‘আলাকে চেনার প্রথম স্তর হ’ল জ্ঞানার্জন করা। আল্লাহর নিকট থেকে যে অহির বিধান এসেছে তা হ’ল কিতাবুল্লাহ ও সুন্নাতে রাসূল অর্থাৎ পবিত্র কুরআন মাজীদ ও রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাহ। এই দুই কিতাবের জ্ঞানকে দ্বীনী জ্ঞান বা ইলম বলা হয়। এই ইলম অর্জনকারী সম্পর্কে অনেক ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় সমুন্নত করবেন। আর তোমরা

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-২) বিস্তারিত পডুন »

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-১)

সুশিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। সুশিক্ষা ব্যতীত বৈধ পন্থায় কোন জাতি উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারেনা। শিক্ষা বা জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক জাতির জন্যে বাধ্যতামূলক। কারণ আল্লাহ তা‘আলা আদি পিতা আদম (আঃ)-কে সৃষ্টির পরে সর্বপ্রথম বিশেষ পন্থায় শিক্ষা দেন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, وَعَلَّمَ آدَمَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلَائِكَةِ فَقَالَ أَنْبِئُونِي بِأَسْمَاءِ هَؤُلَاءِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ. ‘অনন্তর আল্লাহ আদমকে সকল বস্ত্তর নাম শিক্ষা দিলেন। অতঃপর সেগুলিকে ফেরেশতাদের সম্মুখে পেশ করলেন এবং বললেন, তোমরা আমাকে এগুলির নাম বলে দাও, যদি তোমরা (তোমাদের কথায়) সত্যবাদী হও’ (বাক্বারাহ ২/৩১)। এই

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-১) বিস্তারিত পডুন »

ষড়রিপু সমাচার (৬ষ্ঠ কিস্তি)

ছয়. মাৎসর্য রিপু : মাৎসর্য হলো ঈর্ষা, হিংসা, পরশ্রীকাতরতা, বিদ্বেষ, অপকার, হনন ইত্যাদি। মাৎসর্যের কোন প্রকার হিতাহিত বোধ নেই। মাৎসর্য উলঙ্গ, অন্ধ ও বিকৃত অবস্থাকে পূজা করে থাকে। মাৎসর্যান্ধ মানুষ নিজে কোন কাজেই কোনকালে সুখ পায় না। নিজের কোন কিছুর প্রতি যত্নবান হওয়া বা খেয়াল করার সুযোগও তার নেই। তার চোখে বুকে অপরের ভাল কাজের প্রতি প্রতিহিংসার আগুন জ্বলতে থাকে। অথচ তার নিজের পক্ষে তা সম্পন্ন করার ক্ষমতাও তার নেই। লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, নিজের স্বার্থকে জলাঞ্জলী দিয়েও সে মাৎসর্যে লিপ্ত হয়। এমনি এ

ষড়রিপু সমাচার (৬ষ্ঠ কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

ষড়রিপু সমাচার (৫ম কিস্তি)

পাঁচ. মদ রিপু : মদ হলো দম্ভ গর্ব, অহংকার, দর্প, মদ্য, প্রমত্ততা, বিহবলভাব ইত্যাদি। যে কোন ধর্মীয় বিধানে মদের কোন স্থান নেই; সে দম্ভ বা মদ্য যাই হোক। মদ মানুষকে তার প্রকৃত অবস্থা থেকে বিকৃত করে দেয়। তার আসল রূপটি লোপ পায়। মদান্ধ মানুষদের অধিকাংশই আত্মশ্লাঘায় ভোগে। এ আত্মশ্লাঘায় বা আত্মম্ভরিতা তার নিজের মধ্যে নিহিত আত্মবোধ বা আত্মদৃষ্টিকে ধ্বংস করে দেয়। ফলে সে পৃথিবীর সবকিছুই তুচ্ছ মনে করে ধরাকে সরাজ্ঞান করে থাকে। জীবনের অর্জিত বা সঞ্চিত যাবতীয় সম্পদকে সে এক ফুৎকারে ধ্বংস করে দিতে পারে।

ষড়রিপু সমাচার (৫ম কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

ষড়রিপু সমাচার (৪র্থ কিস্তি)

চার. মোহ রিপু : মোহ শব্দটি চিত্তের অন্ধতা, অবিদ্যা, মূর্খতা, মূঢ়তা, নির্বুদ্ধিতা, ভ্রান্তি, মুগ্ধতা, বিবেকহীনতা, মায়া, মূর্ছা, বুদ্ধিভ্রংশ ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আসলে মানব রিপুর মধ্যে এটি অন্যতম একটি রিপু। কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ ও হিংসা এসবক’টির উপর মোহ প্রভাব খাঁটিয়ে থাকে। অর্থাৎ মোহ দোষে দূষিত ব্যক্তি বাকি পাঁচটি রিপুকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাকে যে কোন রিপু অতি সহজেই গ্রাস করতে পারে। কারণ অজ্ঞতা বা নির্বুদ্ধিতা থেকেই বিবেকশূন্যতার সৃষ্টি হ’তে পারে। মায়া হ’ল মোহ রিপুর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। অতি মায়া বা দয়া ক্ষেত্র

ষড়রিপু সমাচার (৪র্থ কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top