উপদেশ

ঈমানদার যুবক ও আছহাবুল উখদূদের কাহিনী

বহুকাল পূর্বে একজন রাজা ছিলেন। সেই রাজার ছিল একজন যাদুকর। ঐ যাদুকর বৃদ্ধ হ’লে একদিন সে রাজাকে বলল, ‘আমি তো বৃদ্ধ হয়ে গেছি। সুতরাং আমার নিকট একটি ছেলে পাঠান, যাকে আমি যাদুবিদ্যা শিক্ষা দিব’। বাদশাহ তার নিকট একটি বালককে পাঠিয়ে দিলেন। তিনি তাকে যাদুবিদ্যা শিক্ষা দিতে লাগলেন। বালকটি যাদুকরের নিকট যে পথ দিয়ে যাতায়াত করত, সে পথে ছিল এক সন্ন্যাসীর আস্তানা। বালকটি তার নিকট বসল এবং তার কথা শুনে মুগ্ধ হ’ল। বালকটি যাদুকরের নিকট যাওয়ার সময় ঐ সন্ন্যাসীর নিকট বসে তাঁর কথা শুনত। ফলে যাদুকরের […]

ঈমানদার যুবক ও আছহাবুল উখদূদের কাহিনী বিস্তারিত পডুন »

দ্বীনের দাওয়াতে নীতিমালা : সহজপন্থা অবলম্বন করা

মানুষদেরকে আল্লাহ প্রদত্ত সাওয়াব যা তিনি সৎকর্মের জন্য দান করেন তা জানিয়ে দিতে হবে সহজ পন্থায়। আনাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,‌ يَسِّرُوا وَلَا تُعَسِّرُوا وَبَشِّرُوا وَلَا تُنَفِّرُوا ‌‌‘তোমরা সহজ পন্থা অবলম্বন কর, কঠিন পন্থা অবলম্বন করো না, মানুষকে সুসংবাদ দাও, বিরক্তি সৃষ্টি করো না’ (বুখারী হা/৬৯)। অপর বর্ণনায় এসেছে, আবূ মূসা আল আশ্’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই কোনো কাজে কোনো সাহাবীকে পাঠাতেন তখন বলতেন, ‘তোমরা জনগণকে আশার বাণী শুনাবে। হতাশাব্যঞ্জক কথা বলে তাদের জন্য অবহেলা-ঘৃণা

দ্বীনের দাওয়াতে নীতিমালা : সহজপন্থা অবলম্বন করা বিস্তারিত পডুন »

দরূদ পাঠের ফযীলত

(ফযীলতপূর্ণ দো‘আ ও যিকির’ বই থেকে নেয়া) বিদ্বানগণের মতে রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি ছালাতে (দরূদ) পাঠ কখনো ওয়াজিব আবার কখনো মুস্তাহাব। ইমাম শাফেঈ ও আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ)-এর মতে তাশাহহুদের পর দরূদ পাঠ করা ওয়াজিব। আর ইমাম আবূ হানীফা ও মালেক (রহঃ)-এর মতে সুন্নাত।(আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-বাসসাম, তায়সীরুল আল্লাম শরহে উমদাতুল আহকাম, (কুয়েত : জমঈয়াতু ইহয়াইত তুরাছ আল-ইসলামী, ১৯৯৪ খৃঃ), পৃঃ ১/২৬৮।)নবী করীম (ছাঃ) নিজের উপর তাশাহহুদ ও তাশাহহুদের পরে দরূদ পাঠ করতেন এবং উম্মতদেরকে পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন। (আলবানী, ছিফাতু ছালাতিন নাবী (ছাঃ), ‘দরূদ পাঠ’

দরূদ পাঠের ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান

মানুষ সামাজকি জীব। সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করা মানুষরে সহজাত প্রবৃত্ত।ি একে অন্যরে সহযোগতিা ছাড়া মানুষ একদনিও চলতে পারে না। তাই সামাজকি জীবনে পরস্পরকি সাহায্য-সহযোগতিা খুবই গুরুত্বর্পূণ। ইসলাম সমাজকল্যাণমূলক র্ধম। মানব কল্যাণ ও সমাজকল্যাণ ইসলামরে অন্যতম লক্ষ্য। ইসলাম ও সমাজকল্যাণ একটরি সাথে অন্যটি ওতপ্রোতভাবে জড়তি। সমাজকল্যাণ বলতে মানুষরে কল্যাণে র্কাযকর পদক্ষপে গ্রহণ বুঝায়। আর ইসলাম মানুষকে অন্যরে কল্যাণে পারস্পরকি সাহায্য-সহযোগতিা করতে অনুপ্রাণতি কর।ে মহান আল্লাহ বলনে, وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ، ‘তোমরা সৎর্কম ও আল্লাহভীতরি কাজে পরস্পরকে সহযোগতিা কর এবং পাপ ও

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান বিস্তারিত পডুন »

সালাফী দাওয়াতে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধের পদ্ধতি

সালাফীগণ মাঠে ময়দানে দাওয়াত দেয় তাদের দায়িত্ববোধ থেকে। আর সালাফী আলেম সমাজ সঠিক হক্বটা প্রচার করেন এবং যা সহীহ নয়, তা প্রচার থেকে বিরত থাকেন। কেননা এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, «بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا حَرَجَ وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ» ‘আমার পক্ষ হতে (মানুষের কাছে) একটি বাক্য হলেও পৌঁছিয়ে দাও। বনী ইসরাঈল হতে শোনা কথা বলতে পারো, এতে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করবে, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে প্রস্তুত করে নেয়

সালাফী দাওয়াতে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধের পদ্ধতি বিস্তারিত পডুন »

নারীর ফেৎনা

নারীর ফেৎনা মানুষকে বিবেকশূন্য, হিতাহিত জ্ঞান শূন্য, জ্ঞানীকে মূর্খ করে, জ্ঞানীর প্রজ্ঞা কেড়ে নেয়।  বনী ইসরাঈলদের আমলে নারীর ফেৎনার সূচনা হয় এবং এই নারীর ফেৎনার কারণে তাদের মধ্যে মহামারী ব্যাপকভাবে দেখা দেয়। বনী ইসরাঈলদের আমলে এক নারী জনৈক আলেমকে ডেকে যেনায় লিপ্ত হতে বলেন। কিন্তু তিনি তাতে রাজী হোন নাই। তখন নারীটি ছলনা করে ভয় দেখিয়ে বলে, তুমি মদ পান করো অথবা ঐ শিশুটিকে হত্যা করো অথবা আমার সাথে ব্যাভিচারে লিপ্ত হও। আলেম মদ পানে রাজি হলো এবং পান করার সাথে সাথে মতিভ্রম হয়ে শিশুটিকে

নারীর ফেৎনা বিস্তারিত পডুন »

পানি পানের বিধি-বিধান ও এর উপকারিতা

পৃথিবীর সকল কিছু সৃষ্টির মূল উপাদান পানি। এই মৌলিক উপাদান পৃথিবীর সকল জীবদেহের মধ্যে বিদ্যমান। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاءِ كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ ‘আর প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হ’তে’ (আম্বিয়া ২১/৩০)। জীব বিজ্ঞানের মতে, সাগরের অভ্যন্তরের পানিতে যে প্রোটোপ্লাজম বা জীবনের আদিম মূলীভূত উপাদান রয়েছে তা থেকেই সকল জীবের সৃষ্টি। আবার সকল জীবদেহ কোষ দ্বারা গঠিত। আর এই কোষ গঠনের মূল উপাদান হচ্ছে পানি। সুতরাং পরিস্কার পানির অপর নাম জীবন । প্রত্যেক দিন সর্বনিম্ন আট গ্লাস পানি পান করুন। তবে খাবার খাওয়ার ১৬/২০ মিনিট পূর্বে এক/দুই গ্লাস পানি পান করুন। এতে শারীরিক উপকার তিনটি রয়েছে।

পানি পানের বিধি-বিধান ও এর উপকারিতা বিস্তারিত পডুন »

অযথা অন্যের দোষ-ত্রুটি তালাশকারী মুমিন নয়

মানুষের দোষ-ত্রুটি তালাশ করা গর্হিত কাজ। সর্বদা অন্যের নয়, নিজের দোষ-ত্রুটি তালাশ করা উচিৎ। রাসূল (ছাঃ) মানুষের দোষ ও ছিদ্রান্বেষণ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি মানুষকে স্ব-স্ব দোষত্রুটি সংশোধনে আত্মনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেছেন। আল্লাহ্র কাছে যেসব কথাবার্তা-ধ্যানধারণার মূল্য নেই তা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সর্বোপরি মুসলিম ভাইয়ের প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন ও তাদের ছিদ্রান্বেষণকারীর অন্তরে ঈমান থাকে না। আবূ বারযাহ আল-আসলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, يَا مَعْشَرَ مَنْ آمَنَ بِلِسَانِهِ وَلَمْ يَدْخُلِ الإِيمَانُ قَلْبَهُ لاَ تَغْتَابُوا الْمُسْلِمِينَ وَلاَ تَتَّبِعُوا عَوْرَاتِهِمْ فَإِنَّهُ مَنِ اتَّبَعَ عَوْرَاتِهِمْ

অযথা অন্যের দোষ-ত্রুটি তালাশকারী মুমিন নয় বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top