দুনিয়া ও আখিরাত/ আখেরাত

উয়াইস কারনীর মর্যাদা

উসাইর ইবনু জাবির (রাঃ) বলেন, ইয়ামানে বসবাসকারীদের পক্ষ থেকে ওমর (রাঃ)-এর নিকট সাহায্যকারী দল আসলে তিনি তাদেরকে প্রশ্ন করতেন, ‘তোমাদের মাঝে কি উয়াইস ইবনু আমির আছে’? অবশেষে (একদিন) উয়াইস (রহঃ) এসে গেলেন। তাকে ওমর প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি কি উয়াইস ইবনু আমির’? সে বলল, হ্যাঁ। ওমর (রাঃ) আবার বললেন, ‘মুরাদ’ সম্প্রদায়ের উপগোত্র ‘কারনের’ লোক? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, ‘আপনার কি কুষ্ঠরোগ হয়েছিল, আপনি তা হ’তে সুস্থ হয়েছেন এবং মাত্র এক দিরহাম পরিমাণ স্থান বাকী আছে’? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, ‘আপনার মা জীবিত আছে কি’? […]

উয়াইস কারনীর মর্যাদা বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : অন্তরের ধনীই হ’ল প্রকৃত ধনবান

রাসূল (ছাঃ) আরো বলেন, لَيْسَ الْغِنَى عَنْ كَثْرَةِ الْعَرَضِ، وَلَكِنَّ الْغِنَىْ غِنَى النَّفْسِ ‘ধনের আধিক্য হ’লেই ধনী হয় না, বরং অন্তরের ধনীই হ’ল প্রকৃত ধনী’। [মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫১৭০। ] ব্যাখ্যা  : মনের সুখই তো প্রকৃত সুখ। আর অন্তরের ধনাঢ্যতাই প্রকৃত সম্পদশালী।  : (لَيْسَ الْغِنَى عَنْ كَثْرَةِ الْعَرَضِ وَلَكِنَّ الْغِنَى غِنَى النَّفس) উল্লেখিত হাদীসে (الْعَرَضُ) শব্দটি যদি ‘হরকত’ যোগে পড়া হয় তবে অর্থ হবে টাকা-পয়সা যাবতীয় সম্পদ। আর ‘সাকীন’ যোগে পড়া হলে অর্থ হবে টাকা-পয়সা ব্যতীত অন্যান্য সকল সম্পদ।  আবূ ‘উবায়দ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন,(الْعَرَضُ) হলো সব ধরনের ভোগ্য সামগ্রী। তবে জীবজন্তু

দরসে হাদীস : অন্তরের ধনীই হ’ল প্রকৃত ধনবান বিস্তারিত পডুন »

দুনিয়ার খেজুর বাগানের বিনিময়ে জান্নাতে বাগান খরিদ করেন !

মদীনার বাগান সমূহের মধ্যে এক ইয়াতীম বাচ্চার একটি বাগান ছিল। তার বাগানের সাথে অন্য এক লোকেরও একটি বাগান ছিল। যার নাম ছিল আবু লুবাবা। ইয়াতীম চিন্তা করল, আমি জমির সীমানা বরাবর প্রাচীর নির্মাণ করে বাগানটি আদালা করে নেব। যাতে  প্রত্যেকের অংশ পৃথক হয়ে যায়। যখন প্রাচীর দিতে শুরু করল তখন দেখা গেল তার প্রতিবেশীর একটি খেজুর গাছ সীমানার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। যার কারণে প্রাচীরটি সোজা হচ্ছে না। তাই সে তার প্রতিবেশীর নিকট গিয়ে বলল, আপনার বাগানে অনেক খেজুর গাছ। আমি একটি প্রাচীর দিতে চাচ্ছি, কিন্তু

দুনিয়ার খেজুর বাগানের বিনিময়ে জান্নাতে বাগান খরিদ করেন ! বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : দেখতে মানুষ হলেও দেহে শয়তানের অন্তর

হুযায়ফাহ্ (রাঃ) বলেন, লোকেরা রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর নিকট কল্যাণ সম্পর্কে প্রশ্ন করত। আর আমি ক্ষতিকর বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করতাম এই ভয়ে যেন আমি তাতে লিপ্ত না হই। হুযায়ফাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা এক সময় মূর্খতা ও অকল্যাণের মাঝে নিমজ্জিত ছিলাম অতঃপর আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে এই কল্যাণ (দীন-ইসলাম) দান করেন। তবে কি এ কল্যাণের পর পুনরায় অকল্যাণ আসবে? তিনি (সা.) বললেন, হ্যা, আসবে। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম সেই অকল্যাণের পরে কি আবার কল্যাণ আসবে? তিনি (সা.) বললেন, হ্যা আসবে, তবে তা

দরসে হাদীস : দেখতে মানুষ হলেও দেহে শয়তানের অন্তর বিস্তারিত পডুন »

সর্বোত্তম আমল হ’ল সালাত

হিজরতের পূর্বে মি’রাজ রজনীতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হয়েছে। এর পূর্বে দু’ ওয়াক্ত সালাত ফরয ছিল। সূর্যোদয়ের পূর্বে অর্থাৎ- ফজরের সালাত। আর সূর্যাস্তের পূর্বে অর্থাৎ- ’আসরের সালাত। আল্লাহ তা’আলা বলেন, وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ بِالْعَشِيِّ وَالْإِبْكَارِ ’’সকাল ও সন্ধ্যায় তোমার প্রভুর প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা বর্ণনা করো’’- (সূরাহ্ আল গাফির/মু’মিন ৪০: ৫৫)। সর্বোত্তম আমল সালাত : মানুষ সালাত-সিয়াম পালন করার সাথে সাথে যদি কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ হতে বাঁচতে পারে তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তার সগীরাহ্ গুনাহগুলো সালাত-সিয়ামের মাধ্যমে ক্ষমা করে দিবেন। আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণনা

সর্বোত্তম আমল হ’ল সালাত বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : জান্নাতের বাজার

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:  «إِنَّ فِي الْجَنَّةِ لَسُوقًا يَأْتُونَهَا كُلَّ جُمُعَةٍ فَتَهُبُّ رِيحُ الشَّمَالِ فَتَحْثُو فِي وُجوهِهم وثيابِهم فيزدادونَ حُسنا وجمالاً فيرجعونَ إِلى أَهْليهمْ وَقَدِ ازْدَادُوا حُسُنًا وَجَمَالًا فَيَقُولُ لَهُمْ أَهْلُوهُمْ وَاللَّهِ لَقَدِ ازْدَدْتُمْ بَعْدَنَا حُسْنًا وَجَمَالًا فَيَقُولُونَ وَأَنْتُم واللَّهِ لقدِ ازددتم حسنا وجمالا» জান্নাতে একটি বাজার আছে। জান্নাতবাসীগণ সপ্তাহের প্রত্যেক জুমু’আর দিন সেখানে একত্রিত হবে। তখন উত্তরী বাতাস প্রবাহিত হবে এবং তা তাদের মুখমণ্ডলে ও কাপড়চোপড়ে সুগন্ধি নিক্ষেপ করবে, ফলে তাদের রূপ-সৌন্দর্য আরো অধিক বৃদ্ধি পাবে। অতঃপর যখন তারা

দরসে হাদীস : জান্নাতের বাজার বিস্তারিত পডুন »

দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত হোন !

দুনিয়া ভোগ বিলাসের স্থান নয়। এটা পরীক্ষাগার মাত্র। এখানে আমরা সবায় মুসাফীর। একজন মুসাফীরের জীবন যেমন হওয়া উচিৎ ঠিক তেমনি হতে হবে। আর দুনিয়ার কর্মফল ভোগ করব আখিরাতে। তাই সাবধান! দুনিয়া হলো একটি অভিশপ্ত স্থান। আবু হুরায়রাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: সাবধান! নিশ্চয় দুনিয়া অভিশপ্ত, তন্মধ্যে আল্লাহর যিকির ও আল্লাহ যা কিছু ভালোবাসেন এবং জ্ঞানী ও জ্ঞান অনুসন্ধানকারী ব্যতীত সব কিছুই অভিশপ্ত। (হাসান : তিরমিযী ২৩২২)। .অন্যত্র এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী (সা.) একটি চাটাইয়ে ঘুমিয়েছিলেন, তা হতে উঠলে তাঁর

দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত হোন ! বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীছ : অধিকাংশ ব্যক্তির স্বভাবে ইহুদীদের সাদৃশ্যপূর্ণ

আমাদের গোত্র সাদৃশ্য হলে ভালো ব্যক্তি, আর সাদৃশ্য না হলেই সে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি। এহেন হীন মনোভাব প্রদর্শনকারী ব্যক্তিরা ইহুদীদের সাদৃশ্য স্বরূপ অপবাদ ও কুৎসারটনাকারী ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত হয়। আনাস (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু সালামের কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মদিনায় আগমনের খবর পৌঁছল, তখন তিনি তাঁর কাছে আসলেন। এরপর তিনি বলেছেন, আমি আপনাকে এমন তিনটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে চাই যার উত্তর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া আর কেও অবগত নয়। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কিয়ামতের প্রথম নিদর্শন কি? আর সর্বপ্রথম খাবার কি, যা জান্নাতবাসী

দরসে হাদীছ : অধিকাংশ ব্যক্তির স্বভাবে ইহুদীদের সাদৃশ্যপূর্ণ বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top