দুনিয়া ও আখিরাতে নিরাপত্তা কামনা করে দো‘আ

দো‘আ : اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْمُعَافَاةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ‏ ‏.

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল মুআফাতা ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ।

অর্থ : ’’হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে দুনিয়া ও আখিরাতে নিরাপত্তা কামনা করি’’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৮৫১; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১১৩৮)

ফযীলত : আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, বান্দা যত রকম দোআ করে তার মধ্যে اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْمُعَافَاةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ অর্থাৎ- ’’হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের নিরাপত্তা কামনা করি’’ এ দোআর চেয়ে উত্তম কোন দোআ নাই’’(ইবনু মাজাহ হা/৩৮৫১; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১১৩৮)

শিক্ষণীয় বিষয়:

১। প্রকৃত ইসলামের শিক্ষার আলোকে এই দোয়াটির মাধ্যমে মহান আল্লাহর কাছে অধিকতর প্রার্থনা করা একটি সৎকর্ম। তাই আন্তরিকতার সহিত বিনয়ী, অনুতপ্ত ও অবনত মস্তকে এবং অকপট হৃদয়ে এই দোয়াটি সদা সর্বদা পাঠ করা উচিত। কেননা মহান আল্লাহর প্রতি মানুষের ভালো ধারণা ও আশা সঠিক পন্থায় স্থাপিত হলে, সেই ভালো ধারণা ও আশাকে মহান আল্লাহ কোনো সময় নষ্ট করেন না। তাই এই রকম ভাবে মানুষ মহান আল্লাহর কাছে অধিকতর প্রার্থনা করলে নিরাপত্তা ও সুস্থতা, শান্তি, নিশ্চিন্ততা এবং সুখ লাভ করতে পারবে।

২। এই মহা দোয়াটিকে সদা সর্বদা পাঠ করার প্রতি এই হাদীছটি মুসলিম ব্যক্তিকে উৎসাহ প্রদান করে। যাতে তাকে মহান আল্লাহ সকল প্রকারের বিপদ, ফ্যাসাদ, কষ্ট, বিভ্রম, শয়তানের কুমন্ত্রণা এবং অন্যান্য ক্ষতিকর জিনিস থেকে রক্ষা করেন।

৩। দুনিয়া ও পরকালের সার্বিক নিরাপত্তা, সফলতা এবং পরিত্রাণ লাভ করার অর্থ হলো এই যে, মানুষ মহান আল্লাহর কাছ থেকে লাভ করবে সংরক্ষণ, শান্তি, যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ। তাই সুরক্ষিত ব্যক্তি তাকেই বলা যাবে, যে ব্যক্তি সংরক্ষিত হবে সুস্থতা, শান্তি ও নিরাপত্তা এবং সুখ লাভের মাধ্যমে। আর এই ভাবে সংরক্ষিত হওয়ার বিষয়টি প্রকৃতপক্ষে মানুষ লাভ করতে পারে কল্যাণদায়ক মহান আল্লাহর সংরক্ষণে থেকে। কেননা মহান আল্লাহ তাকে ওই সমস্ত ক্ষতিকর জিনিস থেকে রক্ষা করেন, যে সমস্ত জিনিসকে সে অপছন্দ করে বা ঘৃণা করে, আর যে সমস্ত জিনিস তার ধর্মের এবং দুনিয়া ও পরকালের ক্ষতি সাধন করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

loader-image

Scroll to Top