উপকারী ইলম অর্জন করুন

আল্লাহ তাআলা বলেন, يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ – ‘যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে বহু মর্যাদায় উন্নত করবেন’ (মুজাদালা ১১)তিনি অন্যত্র বলেন, قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ   ‘বল, যারা জানে এবং যারা জানে না তারা কি সমান? (যুমার ৯)

সুতরাং অজ্ঞতাকে না বলতে জ্ঞানার্জন করতে হবে। কেননা অজ্ঞতার ওষুধ হ’ল জানা। তাই আল্লাহর নিকটে উপকারী জ্ঞানার্জনের জন্য প্রার্থনা করতে হবে।

দ্বীনের বুঝের সাথে অল্প আমল উপকারী, অজ্ঞতার সাথে বেশী আমল উপকারী নয়। আর সঠিক পদ্ধতিতে সম্পাদন করা অল্প আমল নাজাতের জন্য যথেষ্ট। এই কারণে প্রত্যেক মুমিনের জন্য উপকারী ইলম ও সালাফদের বুঝ অনুসারে বুঝ গ্রহণ করা একান্ত আবশ্যক।

উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে বলতেন, اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً ‘হে আল্লাহ্! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবূল যোগ্য আমল প্রার্থনা করছি’ (আহমাদ হা/২৫৯৮২, ২৬০৬২, ২৬১৬০, ২৬১৯১)।

এখানে লক্ষণীয় বিষয় : জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের জন্য ফরয। উপকারী জ্ঞানার্জন হলে মানুষ উত্তম রিযিক সন্ধান করবেন। কেননা দ্বীনের সঠিক বুঝ অনুসারে হারামকে হারাম হিসেবে তখন পরিগণিত করবেন। আর হালাল ভক্ষণে দোআ ও আমল কবূল হবে।

পরিশেষে এটা বুঝা যায়, জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে দ্বীনের সঠিক দিক-নির্দেশনা মিলে এবং হক্ব ও বাতিলের সীমানা পরিলক্ষিত হয়। ফলে হারাম থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে হালাল গ্রহণের ফলে দোআ ও যিকির আল্লাহ তাআলা কবূল করে থাকেন।

এই জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইলমের পথ অবলম্বণ করে, আল্লাহ তার জন্য এর বিনিময়ে জান্নাতে যাওয়ার পথ সহজ করে দেন’ (মুসলিম হা/৭০২৮)।

দ্বীনি জ্ঞান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা :

আদম (আঃ) যখন জ্ঞানে শ্রেষ্ঠত্ব পেলেন তখন অপর জ্ঞানী ইবলীস হিংসার বর্শবতী হয়ে অহংকার করল এবং শয়তানে পরিণত হ’ল। জ্ঞানীর মর্যাদা অবিসংবাদিত, তবে ঐ সমস্ত জ্ঞানী ব্যক্তিরা নয়, যারা দম্ভভরে সত্যকে উপেক্ষা করে থাকে। ইসলামের নবজাগরণের প্রথম বাণী বা ‘অহি’ হ’ল اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ ‘তুমি পড় তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন’ (আলাক্ব ৯৬/১)। শিক্ষা ব্যতীত জ্ঞানী হয় না। হোক তা প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা হোক সে নিরক্ষর ব্যক্তি। তবে সার্টিফিকেট জ্ঞানীর মানদন্ড নয়। জ্ঞানীর মানদন্ড হলো আল্লাহভীতি বা তাক্বওয়া। আর তাক্বওয়াশীল ব্যক্তি ইহকালে যেমন শ্রদ্ধার পাত্র হিসাবে বরিত এবং পরকালেও তেমনি সম্মানিত। সুতরাং জ্ঞানী হতে হবে, তবে অহংকারী নয়।

‘ইলম’ আরবী শব্দ العلم মাছদার থেকে উৎকলিত। যার অর্থ বুঝা, উপলব্ধি করা, অবহিত হওয়া, আহরণ করা ইত্যাদি। ইলমের আভিধানিক ও পারিভাষিক এই সংজ্ঞায় ইলমের প্রকৃত উদ্দেশ্য এবং পরিচয় ফুটে ওঠে। দ্বীনের সঠিক বুঝ হ’ল প্রকৃত ইলম। যাকে অহির জ্ঞান বলা হয়। অর্থাৎ যে ইলম তার প্রভুর নৈকট্য এনে দেয়, তা-ই প্রকৃত ইলম।

পক্ষান্তরে যে ইলম তার প্রভুর সন্ধান থেকে গাফেল করে দেয়, তাই শয়তানের পদাঙ্ক অনুকরণীয় ইলম। এই জ্ঞান মানুষের জন্য ক্ষতিকর এবং পরিণাম জাহান্নাম। মোদ্দাকথা যে ইলম আল্লাহ ও তাঁর দ্বীন থেকে বিমুখ রেখে দুনিয়ামুখী করে এবং আখিরাতকে ভুলিয়ে দেয়, তাই শয়তানী ইলম।

ইলম প্রধানত দু’প্রকার। এক. বৈষয়িক জ্ঞান; দুই. অহির জ্ঞান।

এক. বৈষয়িক জ্ঞান :

মানুষ ও সকল প্রাণীর মধ্যে যে ইন্দ্রিয়গুলো রয়েছে তা থেকে লব্ধ জ্ঞান। যেমন- অন্যের প্রতি ভালোবাসা, স্নেহ, মমতা, দয়া এবং দুনিয়াতে চলাফেরা করার জন্য শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানকে বৈষয়িক জ্ঞান বলে।

দুই. অহির জ্ঞান :

কুরআন-সুন্নাহ হ’ল অভ্রান্ত সত্যের চিরন্তন উৎস, যা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে প্রেরিত জ্ঞান। কুরআন-সুন্নাহর মাধ্যমে লব্ধ জ্ঞান ব্যতীত মানুষ পূর্ণাঙ্গ মানুষে রূপান্তরিত হতে পারে না। আর এই জ্ঞানের আলোকে মানুষ অন্য প্রাণীর থেকে আলাদা বিবেকবান মানুষে পরিণত হয়। অহি তথা কুরআন-সুন্নাহ হ’ল জ্ঞানের প্রকৃত আধার। সালাফে ছালেহীন অহির জ্ঞানকে সর্বদা প্রাধান্য দিতেন। কেননা অহির জ্ঞানের সাথে বৈষয়িক জ্ঞানের সংমিশ্রণ ঘটলে তবেই মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের পথে পরিচালিত হয়। আর দুনিয়ার জীবনের চেয়ে আখিরাতকে প্রাধান্য দেয়ার জন্য অহির জ্ঞান অর্জন করা ফরয। আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيضَةٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ ‘প্রত্যেক মুসলিমের উপর দ্বীনী ইলম (অহির জ্ঞান) শিক্ষা করা ফরয’(ইবনু মাজাহ হা/২২৪; ছহীহুল জামি‘ হা/৩৯১৩; ছহীহ হাদীছ; মিশকাত হা/২১৮)।

তাক্বওয়া জ্ঞানের মূলমন্ত্র :

তাক্বওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানুষ ও অমানুষের মর্যাদার মানদন্ড হ’ল তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ حَقَّ تُقَاتِهِ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো সত্যিকারের ভয়’ (আলে ইমরান ৩/১০২)। অন্যত্র তিনি বলেন, إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللهِ أَتْقَاكُمْ ‘তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই আল্লাহর নিকট অধিক মর্যাদাসম্পনণ যে অধিক মুত্তাক্বী’ (হুজুরাত ৪৯/১৩)। একদিন জনৈক ব্যক্তি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-কে তাক্বওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, أَخَذْتَ طَرِيْقًا ذَا شَوْكٍ؟ ‘তুমি কি কখনো কাঁটাযুক্ত পথে চলেছ? লোকটি বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, কীভাবে চলেছ? লোকটি বলল, إِذَا رَأَيْتُ الشَّوْكَ عَدَلْتُ عَنْهُ أَوْ جَاوَزْتُهُ أَوْ قَصُرْتُ عَنْهُ ‘আমি কাঁটা দেখলে তা এড়িয়ে চলি। অথবা ডিঙিয়ে যাই অথবা দূরে থাকি’। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেন, ذَاكَ التَّقْوَى ‘এটাই হ’ল তাক্বওয়া’ (বায়হাক্বী, যুহদুল কাবীর ১/৩৫০, হা/৯৭৩; সনদে হিশাম বিন যিয়াদের মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে)। অর্থাৎ, অন্যায় ও মন্দ পথগুলো থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখে সাবধানে হকের পথ চলাই আল্লাহকে ভয় করে চলা। ইবনু কাছীর বলেন, তাক্বওয়ার মূল অর্থ হ’ল ‘অপসন্দনীয় বিষয় থেকে বেঁচে থাকা’।

তাক্বওয়াই হ’ল প্রকৃত ইলম। হযরত আয়িশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলতে শুনেছি, وَمِلَاكُ الدِّينِ الْوَرَعُ ‘দ্বীনের মূল হ’ল তাক্বওয়া’।[ছহীহুল জামি‘ হা/১৭২৭; সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/২৫৫] তাক্বওয়া ব্যতীত অহির জ্ঞানেরও কোন মূল্য নেই। জনৈক আরবী কবি বলেন,لو كان للعلم شرف من دون التقي* لكان أشرف خلق الله إبليس ‘যদি তাক্বওয়াবিহীন ইলমের কোন মর্যাদা থাকত, তবে ইবলীস আল্লাহর সৃষ্টিকুলের সেরা বলে গণ্য হ’ত।[মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব, নবীদের কাহিনী-১, পৃঃ-১৩] আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) বলেন,لَيْسَ الْعِلْمُ بِكَثْرَةِ الرِّوَايَةِ، إِنَّمَا الْعِلْمُ الْخَشْيَةُ ‘অধিক হাদীছ জানাই প্রকৃত জ্ঞানার্জন নয়। বরং প্রকৃত জ্ঞানার্জন হ’ল আল্লাহভীতি অর্জন করা।[ইবনুল ক্বাইয়িম, আল-ফাওয়ায়েদ, ১৪৭ পৃঃ]

সুতরাং দ্বীনের সঠিক বুঝের মাধ্যমে যে তাক্বওয়া অর্জিত হয়, তাকেই প্রকৃত ইলম বলা হয়। আর এটা সবাই অর্জন করতে পারেন না। আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের বুঝ দান করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, يُؤْتِي الْحِكْمَةَ مَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُؤْتَ الْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْرًا كَثِيرًا وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ ‘আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিশেষ প্রজ্ঞা দান করেন। আর যাকে উক্ত প্রজ্ঞা দান করা হয়, তাকে প্রভূত কল্যাণ দান করা হয়। বস্ত্ততঃ জ্ঞানবান ব্যক্তিগণ ব্যতীত কেউই উপদেশ গ্রহণ করে না’ (বাক্বারাহ ২/২৬৯)। আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করেন। হযরত মু‘আবিয়া (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলতে শুনেছি, مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِى الدِّينِ، وَإِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ وَاللَّهُ يُعْطِى، ‘আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন’। আমি তো বিতরণকারী মাত্র, আল্লাহ (জ্ঞান) দাতা’।[বুখারী হা/৭১, ৩১১৬ ও ৭৩১২; মুসলিম হা/১০৩৭]

দ্বীনের জ্ঞানই প্রকৃত ইলম। আর প্রকৃত ইলমের স্বরূপ তাক্বওয়া। আর অধিক ইলম অর্জনকারী তাক্বওয়াশীল বান্দায় রূপান্তর হয়। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলতে শুনেছি, রাসূল (ছাঃ) বলেন, وَفَضْلٌ فِي عِلْمٍ خَيْرٌ مِنْ فَضْلٍ فِي عِبَادَةٍ ‘অধিক ইবাদত করার চেয়ে অধিক ইলম অর্জন করা উত্তম’।[ছহীহুল জামি‘ হা/১৭২৭; সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/২৫৫]

সালাফে ছালেহীনদের পরিভাষায় জ্ঞানের প্রকৃত অর্থ :

(১) ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, সালাফে ছালেহীন ‘ইলম’ বলতে কুরআন ও সুন্নাহর ইলম বুঝতেন এবং এই ইলম শিক্ষা করা আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) ‘ফরয’ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,إِنَّمَا يَخْشَى اللهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ إِنَّ اللهَ عَزِيزٌ غَفُورٌ ‘নিশ্চয় তাঁর বান্দাদের মধ্যে কেবল আলেমগণই আল্লাহকে ভয় করে। নিশ্চয় আল্লাহ মহাপরাক্রান্ত ও ক্ষমাশীল’ (ফাত্বের ৩৫/২৮)।

(২) ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেন, وما العلم إلا العمل به والعمل به ترك العاجل للآجل ‘ইলম হচ্ছে আমলের নাম। আর আমল হ’ল স্থায়ী জগতের স্বার্থে ক্ষণস্থায়ী জগৎ পরিহার করা।’ অন্যত্র বলেন, ‘ফরয বিষয়াবলী সম্পাদনের পর ইলম অর্জনের চেয়ে সর্বোত্তম আর কোন বিষয় নেই’।[আল-মাদখাল লিল বায়হাক্বী, হা/৪৭৫]

(৩) ইমাম মালেক (রহঃ) বলতেন, الحكمة والعمل نور يهدي به الله من يشاء وليس بكثرة المسائل ، ولكن عليه علامة ظاهرة وهو التجافي عن دار الغرور والإنابة إلي دار الخلود ‘হিকমত ও আমল হচ্ছে একটি নূর। যা দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা যাকে ইচ্ছা তাকে পথ দেখান। আর বেশী বেশী মাসআলা জানার নাম ইলম নয়। এর একটি আলামত আছে। তা হচ্ছে ইলমের বদৌলতে প্রতারণার এই জগত থেকে নিজেকে দূরে রাখা এবং চিরস্থায়ী জগতের দিকে ধাবিত হওয়া’।

(৪) সুফিয়ান ছাওরী (রহঃ) বলেন, ‘ইলমের প্রথম ধাপ হ’ল চুপ থাকা। দ্বিতীয় ধাপ হ’ল মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করা এবং তা মুখস্ত রাখা। তৃতীয় ধাপ হ’ল ইলম অনুযায়ী আমল করা। চতুর্থ ধাপ হ’ল ইলম অন্যকে শিক্ষা দেয়া এবং তা প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করা’।[হিলয়াতুল আউলিয়া ৬/৩৬২] আর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, فَلَوْلَا نَفَرَ مِنْ كُلِّ فِرْقَةٍ مِنْهُمْ طَائِفَةٌ لِيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنْذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ ‘অতএব তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হয় না, যাতে তারা দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করে এবং ফিরে এসে নিজ কওমকে (আল্লাহর নাফরমানী হ’তে) ভয় প্রদর্শন করে যাতে তারা সতর্ক হয়’ (তওবা ৯/১২২)।

আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক বুঝ গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন, আমীন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

loader-image

Scroll to Top