Author name: লিলবর আল-বারাদী

খিযির (আঃ) সম্পর্কে জ্ঞাতব্য

কুরআনে তাঁকে عَبْداً مِّنْ عِبَادِنَا ‘আমাদের বান্দাদের একজন’ (কাহফ ১৮/৬৫) বলা হয়েছে। বুখারী শরীফে তাঁর নাম খিযির (خضر) বলে উল্লেখ করা হয়েছে’। সেখানে তাঁকে নবী বলা হয়নি। জনশ্রুতি মতে তিনি একজন ওলী ছিলেন এবং মৃত্যু হয়ে গেলেও এখনও মানুষের বেশ ধরে যেকোন সময় যেকোন মানুষের উপকার করেন। ফলে জঙ্গলে ও সাগর বক্ষে বিপদাপদ থেকে বাঁচার জন্য আজও অনেকে খিযিরের অসীলা পাবার জন্য তার উদ্দেশ্যে মানত করে থাকে। এসব ধারণার প্রসার ঘটেছে মূলতঃ বড় বড় প্রাচীন মনীষীদের নামে বিভিন্ন তাফসীরের কেতাবে উল্লেখিত কিছু কিছু ভিত্তিহীন কল্পকথার […]

খিযির (আঃ) সম্পর্কে জ্ঞাতব্য বিস্তারিত পডুন »

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-৪)

৮. শিশু বক্তাদের নিকট থেকে জ্ঞান আহরণে বিরত থাকা : জ্ঞান কার নিকট হ’তে গ্রহণ করা হচ্ছে, তা অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা ইলম বা জ্ঞান হ’ল দ্বীনের স্বরূপ। যেখানে দ্বীন নেই, সেখানে জ্ঞানও নেই। মুহাম্মাদ বিন সিরীন (রাঃ) বলেন, إِنَّ هَذَا الْعِلْمَ دِيْنٌ فَانْظُرُوْا عَمَّنْ تَأْخُذُوْنَ دِيْنَكُمْ ‘নিশ্চয়ই এ জ্ঞান দ্বীন স্বরূপ। সুতরাং তোমরা লক্ষ্য রাখবে কার নিকট হ’তে তোমাদের দ্বীন গ্রহণ করছ’।[1] দ্বীনের নছীহত কাদের থেকে গ্রহণীয় সে সম্পর্কে আব্দুল্ললাহ ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, ‘দ্বীন ইসলাম তখন নষ্ট হয়ে যাবে, যখন মানুষ ছোটদের নিকট

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-৪) বিস্তারিত পডুন »

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-৩)

দ্বীনী জ্ঞানার্জনে কিছু দিক-নির্দেশনা তাক্বওয়ার সাথে ইলম অর্জন করতে হয়। কেননা তাক্বওয়া প্রকৃত ইলমের বাহক। তাক্বওয়াবিহীন ইলম মূলত ফলবিহীন একটি পুষ্ট গাছের মত যা মালিকের বিশেষ কোন কাজে আসেনা। ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে একজন জ্ঞান আহরণকারীর জন্য অবশ্য পালনীয় চারটি ধাপ রয়েছে। বিখ্যাত তাবেঈ সুফিয়ান ছাওরী (রহঃ) বলেন, ইলমের প্রথম ধাপ হ’ল চুপ থাকা। দ্বিতীয় ধাপ হ’ল মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করা এবং শ্রবণকৃত বিষয়সমূহ মুখস্থ রাখা। তৃতীয় ধাপ হ’ল ইলম অনুযায়ী যথাসাধ্য আমল করা। চতুর্থ ধাপ হ’ল ইলমের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করা এবং অন্যকে তা শিক্ষা দেয়া’।[1] ইলম অর্জনের আগে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ছালিহ

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-৩) বিস্তারিত পডুন »

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-২)

জ্ঞানার্জনকারীর মর্যাদা : আল্লাহ তা‘আলাকে চেনার প্রথম স্তর হ’ল জ্ঞানার্জন করা। আল্লাহর নিকট থেকে যে অহির বিধান এসেছে তা হ’ল কিতাবুল্লাহ ও সুন্নাতে রাসূল অর্থাৎ পবিত্র কুরআন মাজীদ ও রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাহ। এই দুই কিতাবের জ্ঞানকে দ্বীনী জ্ঞান বা ইলম বলা হয়। এই ইলম অর্জনকারী সম্পর্কে অনেক ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় সমুন্নত করবেন। আর তোমরা

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-২) বিস্তারিত পডুন »

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-১)

সুশিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। সুশিক্ষা ব্যতীত বৈধ পন্থায় কোন জাতি উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারেনা। শিক্ষা বা জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক জাতির জন্যে বাধ্যতামূলক। কারণ আল্লাহ তা‘আলা আদি পিতা আদম (আঃ)-কে সৃষ্টির পরে সর্বপ্রথম বিশেষ পন্থায় শিক্ষা দেন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, وَعَلَّمَ آدَمَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلَائِكَةِ فَقَالَ أَنْبِئُونِي بِأَسْمَاءِ هَؤُلَاءِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ. ‘অনন্তর আল্লাহ আদমকে সকল বস্ত্তর নাম শিক্ষা দিলেন। অতঃপর সেগুলিকে ফেরেশতাদের সম্মুখে পেশ করলেন এবং বললেন, তোমরা আমাকে এগুলির নাম বলে দাও, যদি তোমরা (তোমাদের কথায়) সত্যবাদী হও’ (বাক্বারাহ ২/৩১)। এই

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-১) বিস্তারিত পডুন »

স্বহস্তে উপার্জন সর্বোৎকৃষ্ট রুযী

হালাল রুযী তারাই গ্রহণ করবে যারা মুমিন বান্দা। আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে বলেন,   إِنَّمَا كَانَ قَوْلَ الْمُؤْمِنِيْنَ إِذَا دُعُوْا إِلَى اللهِ وَرَسُولِهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ أَنْ يَقُوْلُوْا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ- ‘অথচ মুমিনদের কথা তো কেবল এটাই হ’তে পারে যে, যখন তাদেরকে আল্লাহ ও তার রাসূলের দিকে ডাকা হয় তাদের মধ্যে ফায়ছালা করে দেওয়ার জন্য, তখন তারা বলবে আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম। আর এরাই হ’ল সফলকাম’ (নূর ২৪/৫১)।  ধনী-গরীবের মধ্যকার ব্যবধান আল্লাহ তা‘আলারই ব্যবস্থাপনা। তিনি যাকে খুশী অঢেল সম্পদ দিয়ে থাকেন। এটা মেনে

স্বহস্তে উপার্জন সর্বোৎকৃষ্ট রুযী বিস্তারিত পডুন »

চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে ছিয়াম সাধনা

পূর্বাভাষঃ ‘ছাওম’ আরবী শব্দ। এর অর্থ- বিরত থাকা, সংযম, নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি। মানব জাতির প্রতি আল্লাহ তা’আলার আদেশ সমূহের মধ্যে ‘ছিয়াম’ অন্যতম। ছিয়াম একটি আধ্যাত্মিক ইবাদত। সিয়ামের আধ্যাত্মিক গুরুত্ব হচ্ছে মানুষকে মুত্তাক্বী বা আল্লাহভীরু করা। হিজরী দ্বিতীয় সনে সিয়াম ফরয হয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ [٢:١٨٣] ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর ছিয়াম ফরয করা হয়েছে যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা তাক্বওয়া অর্জন করতে পার’[1]। ছিয়াম সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)

চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে ছিয়াম সাধনা বিস্তারিত পডুন »

ষড়রিপু সমাচার (৬ষ্ঠ কিস্তি)

ছয়. মাৎসর্য রিপু : মাৎসর্য হলো ঈর্ষা, হিংসা, পরশ্রীকাতরতা, বিদ্বেষ, অপকার, হনন ইত্যাদি। মাৎসর্যের কোন প্রকার হিতাহিত বোধ নেই। মাৎসর্য উলঙ্গ, অন্ধ ও বিকৃত অবস্থাকে পূজা করে থাকে। মাৎসর্যান্ধ মানুষ নিজে কোন কাজেই কোনকালে সুখ পায় না। নিজের কোন কিছুর প্রতি যত্নবান হওয়া বা খেয়াল করার সুযোগও তার নেই। তার চোখে বুকে অপরের ভাল কাজের প্রতি প্রতিহিংসার আগুন জ্বলতে থাকে। অথচ তার নিজের পক্ষে তা সম্পন্ন করার ক্ষমতাও তার নেই। লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, নিজের স্বার্থকে জলাঞ্জলী দিয়েও সে মাৎসর্যে লিপ্ত হয়। এমনি এ

ষড়রিপু সমাচার (৬ষ্ঠ কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

Scroll to Top