Author name: লিলবর আল-বারাদী

সালাফীবাদ নয় সালাফী পথ

ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব আমীর, আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ (সম্পাদকীয়, আত-তাহরীক, মে 2018 সংখ্যা) ‘সালাফী’ অর্থ পূর্বসূরীদের অনুসারী। ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের তরীকার অনুসারী। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ইহূদীরা ৭১ ফের্কায়, নাছারারা ৭২ ফের্কায় এবং আমার উম্মত ৭৩ ফের্কায় বিভক্ত হবে। তার মধ্যে মুক্তিপ্রাপ্ত দল হবে মাত্র একটি। যারা আমার ও আমার ছাহাবীগণের তরীকার উপরে চলবে’ (তিরমিযী হা/২৬৪১; ইবনু মাজাহ হা/৩৯৯২)। এক্ষণে সেই হকপন্থী জামা‘আত বা নাজী ফের্কা কোনটি, সে সম্পর্কে সালাফে ছালেহীন বিদ্বানগণ এক বাক্যে বলেছেন যে, তারা হ’ল আহলুল হাদীছ-এর […]

সালাফীবাদ নয় সালাফী পথ বিস্তারিত পডুন »

মীরাছ বণ্টন : শারঈ দৃষ্টিকোণ

ড. শিহাবুদ্দীন আহমাদ সহকারী শিক্ষক, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী। অনুকম্পা নয়; বরং আল্লাহ্র পক্ষ থেকে তাদের জন্য নির্ধারিত অংশ। মীরাছের আয়াত সমূহ নাযিল হ’লে আরবদের কাছে তা অত্যন্ত কঠিন বলে মনে হয়। তাই তারা এ হুকুমের বিলুপ্তি কামনা করতে থাকে। কেননা এ নির্দেশ ছিল তাদের অভ্যাসের পরিপন্থী। ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে ইবনু জারীর ত্বাবারী বর্ণনা করেন, যখন ফারায়েয সম্পর্কিত আয়াত অবতীর্ণ হ’ল, যাতে আল্লাহ তা‘আলা পুত্র ও কন্যা সন্তান এবং পিতা-মাতার অংশ নির্দিষ্ট করেছেন, তখন অনেকেই তা অপসন্দ করল। তারা বলল, স্ত্রীকে এক-চতুর্থাংশ বা

মীরাছ বণ্টন : শারঈ দৃষ্টিকোণ বিস্তারিত পডুন »

পিওর ও পপুলার

—ড. মুহাম্মাদ  আসাদুল্লাহ আল-গালিব সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি মাসিক আত-তাহরীক মানুষের সৃষ্টিকাল থেকেই পিওর ও পপুলারের দ্বন্দ্ব চলছে। জান্নাতে ইবলীস আদম ও হাওয়াকে নিষিদ্ধ বৃক্ষের প্রতি প্রলুব্ধ করেছিল সেখানে তাদের চিরস্থায়ী হওয়ার লোভ দেখিয়ে। সেদিন ইবলীসের পপুলার প্রস্তাবের কাছে পিওরের অনুসারী আদম ভুলক্রমে পরাজিত হন। ফলে তাদেরকে জান্নাত থেকে বেরিয়ে আসতে হয় (ত্বোয়াহা ২০/১২০-২৩)। এভাবে সেদিন পিওরের প্রতি প্রথম হিংসা করেছিল ইবলীস। অতঃপর দুনিয়াতে আদমপুত্র হাবীলের পিওর ঈমানের প্রতি প্রথম হিংসা করেছিল পপুলার বড় ভাই ক্বাবীল। হাবীল তার মেষপালের সেরাটি আল্লাহর জন্য কুরবানী দিয়েছিল। অন্যদিকে ক্বাবীল

পিওর ও পপুলার বিস্তারিত পডুন »

একজন কাঠমিস্ত্রীর অনুপ্রেরণা

_________________________________________ আল-আকসার ঘটনা শুরু হওয়ার পর নিজেকে নির্লিপ্ত রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। ইচ্ছে করেই পত্রিকা দেখছিলাম না। কারণ, ইহুদী কুত্তাদের হাতে ফিলিস্তিনি বোনদের নির্যাতনের ছবি দেখার সাহস খুঁজে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু আল আকসার এই ঘোরতর দুর্দিনে দু’কলম হলেও না লেখলে নিজেকে মুসলমান ভাবতে কষ্ট হচ্ছে। অন্তত নিজের মনকে শান্তনা দেয়ার জন্য হলেও কিছু লেখা দরকার। তাই এলোমেলোভাবে দুয়েকটি ভাবনা শেয়ার করছি। এক. ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে হযরত উমার রা এর খেলাফত আমলে আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ রা এর নেতৃত্বে মুসলমানরা কুদস জয় করে। ১০৯৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম ক্রুসেড

একজন কাঠমিস্ত্রীর অনুপ্রেরণা বিস্তারিত পডুন »

আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব পরিচিতি : প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব

ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব (৭৩) বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা ইসলামী চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ ও গবেষক। তিনি জাতীয়ভিত্তিক ধর্মীয় সংগঠন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমানে সংগঠনটির আমীর হিসাবে দায়িত্বরত আছেন। তিনি গবেষণাধর্মী মাসিক ‘আত-তাহরীক’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক। তাঁর অধীনে বেশ কয়েকটি সমাজকল্যাণমূলক সংস্থা পরিচালিত হয়। ২০১৬ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগ থেকে প্রফেসর হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি : বাংলা ১৩৫৪ সালের ২রা মাঘ মোতাবেক ১৫ই জানুয়ারী ১৯৪৮ রবিবার দিবাগত রাত ১১-টায় তিনি বর্তমান সাতক্ষীরা যেলার সদর থানাধীন বুলারাটি গ্রামের সম্ভ্রান্ত

আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব পরিচিতি : প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব বিস্তারিত পডুন »

ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব : প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ

—লিলবর আল-বারাদী মানব সমাজে ‘শিক্ষা’ হ’ল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জীবনের সফলতা ও বিকাশ লাভের অন্যতম বাহন হ’ল ‘শিক্ষা’। শিক্ষার মাধ্যমেই মানুষের মধ্যে জাগ্রত হয় বিবেক ও সুপ্রবৃত্তি। আর এ জন্যেই বলা হয়, শিক্ষাই হচ্ছে একটি সভ্য সমাজ ও জাতির মেরুদন্ড। সুতরাং শিক্ষা ব্যতিত কোন মানব, সমাজ ও জাতি কখনও উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম নয়। সভ্যতা, সম্মান, মর্যাদা এবং সকল প্রকার সাফল্য ও উন্নতির মূল চাবিকাঠি হ’ল শিক্ষা। শিক্ষার মানদন্ডে প্রত্যেকের স্ব স্ব মর্যাদা পরিলক্ষিত হয়। আর শিক্ষার মর্যাদার মানদন্ডে প্রকৃত মানুষ ও ইতর প্রাণির এ

ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব : প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ বিস্তারিত পডুন »

মানব জীবনে সূদের ক্ষতিকর প্রভাব

ভূমিকা : ইসলামে সূদ হারাম। কুরআন ও হাদীছ দ্বারা এটা প্রমাণিত। এই বিষয়টি জানার পরেও মানুষ সূদ খায়। সূদী লেনদেন করে। দুনিয়া ও আখিরাতে এর পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। এ সম্পর্কেই আলোচ্য নিবন্ধে আলোচনা করা হ’ল।- সূদের পরিচয় ও প্রকার : ‘রিবা’ অর্থ সূদ। ‘রিবা’ শব্দের আভিধানিক অর্থ অতিরিক্ত, বর্ধিত। মূলধনের অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করাকে সূদ বলে। মোটকথা বাকীতে কিংবা নগদে সমজাতীয় পণ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে মূল পণ্যের অতিরিক্ত যা কিছু গ্রহণ করা হয়, তাকে ইসলামী শরী‘আতে সূদ বলা হয়। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,اَلذَّهَبُ بِالذَّهَبِ وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ

মানব জীবনে সূদের ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তারিত পডুন »

হে মানুষ! আল্লাহকে লজ্জা কর

— মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- اسْتَحْيُوا مِنَ اللَّهِ حَقَّ الْحَيَاءِ. قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا لَنَسْتَحْيِى وَالْحَمْدُ لِلَّهِ. قَالَ : لَيْسَ ذَاكَ وَلَكِنَّ الاِسْتِحْيَاءَ مِنَ اللَّهِ حَقَّ الْحَيَاءِ أَنْ تَحْفَظَ الرَّأْسَ وَمَا وَعَى وَتَحْفَظَ الْبَطْنَ وَمَا حَوَى وَتَتَذَكَّرَ الْمَوْتَ وَالْبِلَى وَمَنْ أَرَادَ الآخِرَةَ تَرَكَ زِينَةَ الدُّنْيَا فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدِ اسْتَحْيَا مِنَ اللَّهِ حَقَّ الْحَيَاءِ- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, তোমরা আল্লাহকে লজ্জা কর সত্যিকারের লজ্জা। আমরা

হে মানুষ! আল্লাহকে লজ্জা কর বিস্তারিত পডুন »

Scroll to Top