Author name: লিলবর আল-বারাদী

আক্বীক্বা (العقيقة)

সংজ্ঞা: شعر المولود من بطن امه او الذبيحة التى تُذْبَحُ عن المولود يوم سُبُوْعِهِ عند حلق شعره- ‘নবজাত শিশুর মাথার চুল অথবা সপ্তম দিনে নবজাতকের চুল ফেলার সময় যবহকৃত বকরীকে আক্বীক্বা বলা হয়’।[1] আক্বীক্বার প্রচলন (১) বুরায়দা (রাঃ) বলেন, জাহেলী যুগে আমাদের কারও সন্তান ভূমিষ্ট হ’লে তার পক্ষ হ’তে একটা বকরী যবহ করা হ’ত এবং তার রক্ত শিশুর মাথায় মাখিয়ে দেওয়া হ’ত। অতঃপর ‘ইসলাম’ আসার পর আমরা শিশু জন্মের সপ্তম দিনে বকরী যবহ করি এবং শিশুর মাথা মুন্ডন করে সেখানে ‘যাফরান’ মাখিয়ে দেই’ (আবুদাঊদ)। রাযীন […]

আক্বীক্বা (العقيقة) বিস্তারিত পডুন »

দ্বীন ও দুনিয়া পৃথক বস্তু

মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব    عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ قَدِمَ نَبِىُّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِيْنَةَ وَهُمْ يَأْبُرُوْنَ النَّخْلَ يَقُوْلُوْنَ يُلَقِّحُونَ النَّخْلَ فَقَالَ : مَا تَصْنَعُوْنَ. قَالُوْا كُنَّا نَصْنَعُهُ قَالَ : لَعَلَّكُمْ لَوْ لَمْ تَفْعَلُوْا كَانَ خَيْرًا. فَتَرَكُوْهُ فَنَفَضَتْ أَوْ فَنَقَصَتْ- قَالَ : فَذَكَرُوْا ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ : إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ إِذَا أَمَرْتُكُمْ بِشَىْءٍ مِنْ دِيْنِكُمْ فَخُذُوْا بِهِ وَإِذَا أَمَرْتُكُمْ بِشَىْءٍ مِنْ رَأْىٍ فَإِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ. قَالَ عِكْرِمَةُ أَوْ نَحْوَ هَذَا. قَالَ الْمَعْقِرِىُّ فَنَفَضَتْ. وَلَمْ يَشُكَّ.- رواه مسلم অনুবাদ : হযরত রাফে‘ বিন খাদীজ (রাঃ) বলেন,

দ্বীন ও দুনিয়া পৃথক বস্তু বিস্তারিত পডুন »

অমর বাণী-২

১. হাসান বছরী (রহঃ) বলেন, الدُّنْيَا ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ: أَمَا أَمْسِ فَقَدْ ذَهَبَ بِمَا فِيهِ، وَأَمَّا غَدًا فَلَعَلَّكَ لَا تُدْرِكُهُ، وَالْيَوْمُ فَاعْمَلْ فِيهِ দুনিয়াবী জীবন তিনদিনের। (১) গতকাল- যা ইতিমধ্যে অতিক্রান্ত হয়েছে, (২) আগামীকাল-সম্ভবতঃ তুমি তার নাগাল পাবে না এবং (৩) আজ। অতএব তোমার যা করার তা আজই কর (ইবনু আবিদ্দুনিয়া, আয-যুহুদ, ১৯৭ পৃঃ)। ২. মা‘কিল বিন ওবায়দুল্লাহ জাযারী (রহঃ) বলেন, كَانَتِ الْعُلَمَاءُ إِذَا الْتَقَوْا تَوَاصَوْا بِهَذِهِ الْكَلِمَاتِ، وَإِذَا غَابُوا كَتَبَ بِهَا بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ أَنَّهُ: مَنْ أَصْلَحَ سَرِيرَتَهُ أَصْلَحَ اللَّهُ عَلَانِيَتَهُ، وَمَنْ أَصْلَحَ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ اللَّهِ كَفَاهُ اللَّهُ

অমর বাণী-২ বিস্তারিত পডুন »

তাফসীর : সূরা ইখলাছ

সূরা ইখলাছ (বিশুদ্ধ করণ) মক্কায় অবতীর্ণ। সূরা ১১২, আয়াত ৪, শব্দ ১৫, বর্ণ ৪৭। بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)। (১) বল, তিনি আল্লাহ এক قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ (২) আল্লাহ মুখাপেক্ষীহীন اللَّهُ الصَّمَدُ (৩) তিনি (কাউকে) জন্ম দেননি এবং তিনি (কারও) জন্মিত নন لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ (৪) তাঁর সমতুল্য কেউ নেই। وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ বিষয়বস্ত্ত : আল্লাহ স্বীয় সত্তা ও গুণাবলীতে একক ও অনন্য এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই- সেকথাই আলোচিত হয়েছে পুরা সূরাটিতে। শানে

তাফসীর : সূরা ইখলাছ বিস্তারিত পডুন »

কুরআন-হাদীছের আলোকে ক্ষমা

-রফীক আহমাদ ‘ক্ষমা’ অর্থ- দোষ-ত্রুটি, অপরাধ মার্জনা করে দেওয়া। আলোচ্য প্রবন্ধে আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমাই উদ্দেশ্য। মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল। পবিত্র কুরআনের এই সুসংবাদ হ’তেই মানুষ তাঁর নিকট বিভিন্নভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তওবা করে, নিজের পিতা-মাতা, পরিবারবর্গ, আত্মীয়-স্বজন, সকল ঈমানদার মুমিন-মুসলমানদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। অবশ্য আল্লাহর নিকট প্রত্যেকেরই ক্ষমা প্রার্থনা করা অপরিহার্য কর্তব্য। কারণ স্বয়ং আল্লাহ ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ দিয়েছেন, وَاسْتَغْفِرُوْا اللهَ إِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَحِيْمٌ ‘তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর আল্লাহর কাছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (মুযযাম্মিল ৭৩/২০)। অন্যত্র সবার উদ্দেশ্যে তাঁর প্রিয় হাবীব (ছাঃ)-কে প্রত্যাদেশ করেন,وَقُلْ

কুরআন-হাদীছের আলোকে ক্ষমা বিস্তারিত পডুন »

যিকর : আত্মার সঞ্জিবনী

 শরীফা বিনতে আব্দুল মতীন ‘যিকর’ (ذِكْرٌ ) শব্দের অর্থ স্মরণ করা, মনে করা। স্মরণ বা মনে করা দ্বারা আল্লাহকে স্মরণ করা বুঝায়। আল্লাহকে স্মরণ হ’তে পারে যিকর-আযকার, তাসবীহ-তাহলীলের মাধ্যমে। হ’তে পারে ছালাত-ছিয়াম, হজ্জ-যাকাত প্রভৃতি ইবাদতের মাধ্যমে। অথবা দ্বীনী কোন মজলিসে বসার মাধ্যমে। কিংবা আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-গবেষণার মাধ্যমে। মোটকথা আল্লাহর সন্তুষ্টিমূলক যেকোন বিষয় নিয়ে মনে মনে চিন্তা করা; মুখে প্রকাশ করা এবং কাজে বাস্তবায়ন করা- সবকিছুই যিকর বা আল্লাহকে স্মরণ করার অন্তর্ভুক্ত। ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় যিকরের প্রতি সমধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যিকরকে মানব জীবনের সর্বাপেক্ষা মূল্যবান

যিকর : আত্মার সঞ্জিবনী বিস্তারিত পডুন »

উদাত্ত আহবান

[২২ ও  ২৩শে সেপ্টেম্বর ’৯৪ রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়ায় ‘আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী’ মাদরাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও সুধী পরিষদের ‘আমীর’ হিসাবে নিয়মিত চতুর্মাসিক সম্মেলনের ২য় দিন শুক্রবার সকালে প্রদত্ত ভাষণ] বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম আস-সালামু আলায়কুম ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু নাহমাদুহূ ওয়া নুছাল্লী ‘আলা রাসূলিহিল কারীম, আম্মা বা‘দ সম্মানিত সাথী ও বন্ধুগণ! আহলেহাদীছ আন্দোলনের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের আন্তরিক আহবানে সাড়া দিয়ে দেশের সে সকল আন্দোলনমুখী সুধী ও বিদগ্ধ ওলামায়ে কেরাম আজকের এ সুধী সম্মেলনে তাশরীফ এনেছেন, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও সুধী পরিষদের পক্ষ হ’তে আমি

উদাত্ত আহবান বিস্তারিত পডুন »

আক্বীদা ইসলামিয়াহ

العقيدة ১- আহলেহাদীছগণ (১) আল্লাহর উপরে (২) তাঁর ফিরিশতাগণের উপরে (৩) আল্লাহ প্রেরিত কিতাব সমূহের উপরে (৪) রাসূলগণের উপরে (৫) বিচার দিবসের উপরে এবং (৬) তাক্বদীরের ভাল-মন্দের উপরে ঈমান পোষণ করেন। ব্যাখ্যা: (১) আল্লাহর উপর ঈমান : পারিভাষিক অর্থে আহলেহাদীছের নিকটে ‘ঈমান’ হ’ল হৃদয়ে বিশ্বাস, মুখে স্বীকৃতি ও কর্মে বাস্তবায়নের সমন্বিত নাম। যা আনুগত্যে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় ও গোনাহে হরাসপ্রাপ্ত হয়। বিশ্বাস ও স্বীকৃতি হ’ল মূল এবং কর্ম হ’ল শাখা।[اَلْإِيْمَانُ هُوَ التَّصْدِيْقُ بِالْجَنَانِ وَالْإِقْرَارُ بِاللِّسَانِ وَالْعَمَلُ بِالْأَرْكَانِ، يَزِيْدُ بِالطَّاعَةِ وَيَنْقُصُ بِالْمَعْصِيَّةِ، اَلْإِيْمَانُ هُوَ الْأَصْلُ وَالْعَمَلُ هُوَ الْفَرْعُ- ] যেটা না

আক্বীদা ইসলামিয়াহ বিস্তারিত পডুন »

Scroll to Top