সমকামী একটি শব্দ যা প্রাথমিকভাবে একজন সমকামী ব্যক্তি বা সমকামী হওয়ার বৈশিষ্ট্যকে বোঝায়। ১৯ শতকের শেষের দিকে সমকামী পুরুষ কথা উল্লেখ করে স্বল্প ব্যবহার হয়, অর্থটি ২০ শতকের মাঝামাঝি থেকে ক্রমশ সাধারণ হয়ে ওঠে এবং সমকামী শব্দটি প্রধান স্টাইল গাইড দ্বারা সুপারিশ করা হয়েছিল একই লিঙ্গের সদস্যদের প্রতি আকৃষ্ট ব্যক্তিদের বর্ণনা করার জন্য এটি বিশেষভাবে পুরুষদের বোঝাতে বেশি ব্যবহৃত হয়। এই ব্যবহারগুলি এখনও সমকামিতার সংজ্ঞা ধরে রেখেছে তা নিয়ে বিতর্ক এবং কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে।
বিবাহ বহির্ভূত যৌনাচারের কারণে সিফিলিস, গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া, মোনিলিয়াসিস, ট্রাইকোমোনিয়াসিস, ব্যাকটেরিয়াল ভেজাইনোসিস, জেনিটাল হার্পিস, জেনিটাল ওয়ার্টস প্রভৃতি মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। আর ঘাতক ব্যাধি এইডস ও এ্যাবোলা এখন অপ্রতিরোদ্ধ মরণ ব্যাধি। অথচ অশ্লীলতার নিকটবর্তী হ’তে কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ইসলামে। মহান আল্লাহ বলেন, وَلَا تَقْرَبُوا الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ- ‘তোমরা প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা সমূহের নিকটবর্তী হয়ো না’ (আন‘আম ৬/১৫১)। অন্যত্র তিনি বলেন, وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَا إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيْلًا ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটেও যেও না, কারণ এটি অশ্লীল ও মন্দ পথ’ (বনী ইসরাইল ১৭/৩২)।
ইসলামের আলোকে সমকামীদের শাস্তির বিধান :
সমকামিতা অত্যন্ত ঘৃণ্য পাপ এবং কবীরা গুনাহ। এই পাপের কারণেই বর্তমান পৃথিবীতে এইড্স-এর মত মরণ ব্যধি ছড়িয়ে পড়েছে। এ অপরাধের কারণে বিগত যুগে আল্লাহ তা‘আলা কওমে লূতকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আর (প্রেরণ করেছি) লূতকে। যখন সে তার কওমকে বলল, ‘তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সৃষ্টিকুলের কেউ করেনি’? ‘তোমরা তো নারীদের ছাড়া পুরুষদের সাথে কামনা পূর্ণ করছ, বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী কওম’। আর তার কওমের উত্তর কেবল এই ছিল যে, তারা বলল, ‘তাদেরকে তোমরা তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও। নিশ্চয় তারা এমন লোক, যারা অতি পবিত্র হতে চায়’। অতঃপর আমি তাকে আর তার পরিবার-পরিজনকে রক্ষা করলাম কিন্তু তার স্ত্রী ছাড়া, কেননা সে ছিল পেছনে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত। তাদের উপর এক পাথরের বৃষ্টি বর্ষিয়ে দিলাম। তারপর দেখ, অপরাধীদের পরিণতি কী হয়েছিল! (আ‘রাফ ৭/৮০-৮৪; হিজর ১৫/৭২-৭৬)।
এর শাস্তি হ’ল সমকামী উভয়কে হত্যা করা। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা যাকে লূত (আঃ)-এর সম্প্রদায়ের মত পুরুষে পুরুষে অপকর্ম করতে দেখবে তাদের উভয়কে হত্যা কর (তিরমিযী হা/১৪৫৬; আবুদাঊদ হা/৪৪৬২; মিশকাত হা/৩৫৭৫)।
ব্যাখ্যা: লাওয়াত্বাত (সমকামী)-এর শাস্তির ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে।
ইমাম শাফি‘ঈ-এর দু’ মতের মধ্যে অধিকতর গ্রহণযোগ্য মত এবং ইমাম আবূ ইউসুফ ও মুহাম্মাদ-এর মতে যিনার শাস্তির অবিকল অনুরূপ বিবাহিত হলে রজম করা হবে আর অবিবাহিত হলে একশত বেত্রাঘাত আর যার সাথে লাওয়াতাত করা হয়েছে শাফি‘ঈ-এর মতে তার উপর এবং এক বৎসর নির্বাসন চাই পুরুষ হোক আর নারী হোক।
ইমাম মালিক ও আহমাদ বলেন, বিবাহিত হোক আর অবিবাহিত হোক উভয় অবস্থায় রজম করতে হবে। ইমাম শাফি‘ঈ-এর অন্য একটি অভিমত, যে লাওয়াত্বাত করে এবং যার সাথে করা হয় উভয়কেই হত্যা করতে হবে হাদীসের ভাষ্যানুযায়ী।
কীভাবে হত্যা করা হবে? কারো মতে দেয়াল চাপা দিয়ে, কারো মতে উঁচু স্থান থেকে নিক্ষেপ করে, যেভাবে কওমে লূত্ব-এর ওপর করা হয়েছে। আর আবূ হানীফাহ্-এর মতে তিরস্কার করা হবে হাদ্দ প্রয়োগ করা হবে না। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৪৫৬)
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, «إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلَى أُمَّتِي عَمَلُ قَوْمِ لُوطٍ» . ‘আমি আমার উম্মাতের ওপর সবচেয়ে বেশি যে জিনিসের আশঙ্কা করি, তা হলো লূত (আঃ)-এর গোত্রের কুকর্ম (সমকামিতা)। (তিরমিযী হা/১৪৫৭, ইবনু মাজাহ হা/২৫৬৩, মিশকাত হা/৩৫৭৭)
ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ এটা এমন একটি সামাজিক ও নৈতিক ব্যাধি, যে জাতির মধ্যে এ রোগ দেখা দেয় সে জাতি অচিরেই ধ্বংস হয়ে যায়। বস্তুত সে জাতি নৈতিক দেওলিয়াপনায় পৌঁছে যায় তাদের ধ্বংস অনিবার্য। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৪৫৭) তবে এ শাস্তি কার্যকর করার দায়িত্ব রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীলদের (কুরতুবী)।
সমকামিতার প্রতিফল :
বর্তমানে পুরুষে পুরুষে, নারী-নারীতে ও নারী-পুরুষে সমকামিতায় লিপ্ত হচ্ছে। কুরুচিপূর্ণ পুরুষরা নারীদেরকে সমকামী হিসাবে পায়ু পথে গমন করছে। আর নারী-পুরুষ অবৈধ যৌন মিলনে সিফিলিস, প্রমেহ, গনোরিয়া, এমনকি এইডসের মত মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যে সমস্ত বিবাহিতা নারীর দেহে অস্ত্রপচার করা হয়, তাদের শতকরা ৭৫ জনের মধ্যেই সিফিলিসের জীবাণু পাওয়া যায়। (Dr. Lowry, Her self, P-204.) আর সিফিলিস রোগে আক্রান্ত রোগী সুচিকিৎসা গ্রহণ না করলে মারাত্মক সব রোগে আক্রান্ত হয়।
আজ একবিংশ শতাব্দীতে এসে দ্বীন ইসলামের নির্ভুল বিধানের মাঝে বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন সত্যের সন্ধান ও আশ্রয়। আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকাসহ অন্যান্য উন্নত দেশে মাত্র কয়েক বছর পূর্বে এমন রোগ দেখা দিয়েছে এবং অল্প সময়ে তা বিভিন্ন দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে হাযার হাযার মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। এই ভয়ঙ্কর রোগটি Acquireid Immune Deficiency Syndrome (একোয়ার্ড ইমিউন ডেফিসিয়েন্সি সিন্ড্রম) নামে খ্যাত। একে আরবীতে বলা হয়, انهيار وسائل الدفاع الطبيعية فى الجسم ‘অর্জিত শরীর সুরক্ষাকারী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিলুপ্ত হওয়া’। এইডস রোগের ভাইরাসের নাম Human Immuno Deficiency Virus সংক্ষেপে (HIV) এইচ আই ভি। এ ভাইরাস রক্তের শ্বেত কণিকা ধ্বংস করে। এ রোগ ১৯৮১ সালে প্রথম ধরা পড়ে এবং ১৯৮৩ সালে একজন ফরাসী বিজ্ঞানী এইচ আই ভি ভাইরাসকে এই রোগের কারণ হিসাবে দায়ী করেন। (কারেন্ট নিউজ, ডিসেম্বর ২০০১ সংখ্যা, পৃঃ ১৯।)
এইডসের ফলে সকল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিনষ্ট হয়ে যায়। ফলে ঐ ব্যক্তি যে কোন সময় যে কোন রোগে আক্রান্ত হ’তে পারে। এখন পর্যন্ত এইডসের কোন প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। তাই এইডস হ’লে মৃত্যু অবধারিত। একুশ শতকে বিজ্ঞানীদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এইডসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করা। ১৯৮১ সালের ৫ জুন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম এইডস শনাক্ত করা হয়। অতঃপর এশিয়ার থাইল্যান্ডে ১৯৮৪ সালে, ভারতীয় উপমহাদেশে ১৯৮৬ সালে এবং বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১৯৮৯ সালে এইডস শনাক্ত করা হয়।
এইডস বিস্তারের উল্লেখযোগ্য কারণ অবৈধ যৌনাচার। এছাড়া যেসব কারণে এইডস হ’তে পারে সেগুলো হচ্ছে- পতিতালয়ে গমন, জীব-জানোয়ারের সাথে যৌন মিলন, সমকামিতা ইত্যাদি।
ডাঃ রবার্ট রেডফিল্ড বলেন, AIDS is a sexually transmitted disease. অর্থাৎ এইডস হচ্ছে যৌন অনাচার থেকে সৃষ্ট রোগ। তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সমাজের (মার্কিন সমাজের) অধিকাংশ নারী-পুরুষের নৈতিক চরিত্র বলতে কিছুই নেই। কম-বেশী আমরা সকলেই ইতর রতিঃপ্রবণ মানুষ হয়ে গেছি। এইডস হচ্ছে স্রষ্টার তরফ থেকে আমাদের উপর শাস্তি ও অন্যদের জন্য শিক্ষাও বটে’।
ডাঃ মুহাম্মাদ মনছূর আলী বলেন, বর্তমান কালের সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাধি এইচ.আই.ভি। এইডস এমনই এক সময়ে সমগ্র বিশ্বে চরম আতঙ্ক এবং অতিশয় হতাশা সৃষ্টি করেছে, যখন চিকিৎসা বিজ্ঞান উন্নতির অত্যুঙ্গ শিখরে অবস্থান করছে। এই মরণ ব্যাধির উৎপত্তি এবং বিস্তারের কারণ হিসাবে দেখা গেছে চরম অশ্লীলতা, যৌন বিকৃতি ও কুরুচিপূর্ণ সমকাম ও বহুগামিতার মত পশু সুলভ যৌন আচরণের উপস্থিতি। শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ সমকামী এবং বহুগামী পুরুষ ও মহিলাদের মাধ্যমে এইডস সমগ্র বিশ্বে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। দিন দিন এইডস আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। সারা পৃথিবীতে বল্গাহীন ব্যভিচারের ফলে এই রোগ উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। ডাঃ হিরোশী নাকজিমা বলেন, জনসাধারণের মধ্যে এইডস বিস্তার লাভ করলে সমগ্র মানবজাতির বিলুপ্তি ঘটতে পারে। (The New Straits Jimes, (Kualalampur, Malaysia, 23 june 1988), P-9.)
মহান আল্লাহ সতর্ক করে বলেন,فَأَصَابَهُمْ سَيِّئَاتُ مَا كَسَبُوْا وَالَّذِيْنَ ظَلَمُوْا مِنْ هَؤُلَاءِ سَيُصِيْبُهُمْ سَيِّئَاتُ مَا كَسَبُوْا وَمَا هُمْ بِمُعْجِزِيْنَ ‘তাদের দুষ্কর্ম তাদেরকে বিপদে ফেলেছে, এদের মধ্যে যারা পাপী তাদেরকেও অতিসত্বর তাদের দুষ্কর্ম বিপদে ফেলবে। তারা তা প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না’ (যুমার ৩৯/৫১)। তিনি আরো বলেন,قُلْ هُوَ الْقَادِرُ عَلَى أَنْ يَبْعَثَ عَلَيْكُمْ عَذَابًا مِنْ فَوْقِكُمْ أَوْ مِنْ تَحْتِ أَرْجُلِكُمْ ‘তুমি বল, তিনি (আল্লাহ) তোমাদের উপর থেকে অথবা নীচে থেকে তোমাদের উপর আযাব পাঠিয়ে দিতে সক্ষম’ (আন‘আম ৬/৬৫)।
এ অশ্লীলতা থেকে উত্তোরণের উপায় :
বর্তমান দুনিয়ায় পারিবারিক, সামাজিক, জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে যে অশান্তি বিরাজ করছে তার কারণ পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ বিমুখিতা। অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি এবং বিভিন্ন দুরারোগ্য ও ধ্বংসাত্মক ব্যাধি থেকে মুক্তি লাভের একমাত্র উপায় হ’ল মহান আল্লাহর প্রেরিত পবিত্র কুরআনের শিক্ষা গ্রহণ ও যাবতীয় বিধি-নিষেধ যথাযথভাবে পালন করা। এ মর্মে মহান আল্লাহ বলেন,اسْتَجِيْبُوْا لِرَبِّكُمْ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَ يَوْمٌ لَا مَرَدَّ لَهُ مِنَ اللهِ مَا لَكُمْ مِنْ مَلْجَإٍ يَوْمَئِذٍ وَمَا لَكُمْ مِنْ نَكِيْرٍ ‘আল্লাহর পক্ষ থেকে অবশ্যম্ভাবী দিবস আসার পূর্বে তোমরা তোমাদের পালনকর্তার আদেশ মান্য কর। সেদিন তোমাদের কোন আশ্রয়স্থল থাকবে না এবং তা নিরোধকারী কেউ থাকবে না’ (শূরা ৪২/৪৭)।
বিশ্বের এই মহা দুর্যোগের সময় ইসলামের হুঁশিয়ারী বাণী উপলব্ধি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এইডস প্রতিরোধে ধর্মীয় অনুশাসনের কথা বলছে। WHO এ মর্মে ঘোষণা করেছে, Nothing can be more helpfull in this preventive effort than religious teachings and the adoption of proper and decent behavior as advocated and urged by all divine religions. অর্থাৎ ‘এইডস প্রতিরোধ প্রচেষ্টায় ধর্মীয় শিক্ষাদান এবং যথাযথ নির্মল আচরণ প্রবর্তনের চেয়ে আর কোন কিছুই অধিক সহায়ক হ’তে পারে না, যার প্রতি সকল ঐশ্বরিক ধর্মে সমর্থন প্রদান ও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে’। (The role of Religion and ethics in the prevention and control of AIDS. Page 3, Para 9, Published by WHO.)
মহান আল্লাহর বিরুদ্ধে কোন প্রকার চ্যালেঞ্জ চলে না। আমরা যতই কূট কৌশল করে হারামকে হালাল বানানোর চেষ্টা করি না কেন, আল্লাহ হ’লেন সর্বোত্তম কৌশলী। ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতা জাগিয়ে অবাধ যৌনাচার থেকে বিরত রাখার মধ্যেই রয়েছে এইডস ও এ্যাবেলার মত রোগের একমাত্র প্রতিবিধান। চরিত্রের উত্তম গুণাবলী অর্জন ও পাশবিকতা বর্জন এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে অশ্লীলতা প্রতিরোধ করতে হবে। এ ব্যাপারে সমাজকে সোচ্চার হ’তে হবে। সকলের মাঝে আল্লাহভীতি ও স্ব স্ব মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলতে হবে। পাপের পথ থেকে তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে। নচেৎ আমরা সকলে অচিরেই লূৎ (আঃ)-এর জাতির মত ধ্বংস হয়ে যাব। মহান আল্লাহ আমাদেরকে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার তাওফীক দান করুন-আমীন!!