সূচনা :
১ম হিজরীতে জুম‘আ ফরয হয় এবং হিজরতকালে ক্বোবা ও মদীনার মধ্যবর্তী
বনু সালেম বিন ‘আওফ গোত্রের ‘রানূনা’ (رانوناء) উপত্যকায় সর্বপ্রথম
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)
জুম‘আর ছালাত আদায় করেন।[1] যাতে একশত মুছল্লী শরীক ছিলেন।[2]
তবে হিজরতের পূর্বে মদীনার আনছারগণ আপোষে পরামর্শক্রমে ইহুদী ও
নাছারাদের সাপ্তাহিক ইবাদতের দিনের বিপরীতে নিজেদের জন্য একটি ইবাদতের দিন
ধার্য করেন ও সেমতে
আস‘আদ বিন যুরারাহ (রাঃ)-এর নেতৃত্বে মদীনার বনু বায়াযাহ গোত্রের নাক্বী‘উল খাযেমাত (نَقِيعُ الْخَضِمَاتِ) নামক স্থানের ‘নাবীত’ (هَزْمُ
النَّبِيْتِ) সমতল ভূমিতে সর্বপ্রথম জুম‘আর ছালাত চালু হয়। যেখানে চল্লিশ জন মুছল্লী যোগদান করেন।[3] অতঃপর
হিজরতের পর জুম‘আ ফরয করা হয়।
১ম হিজরীতে জুম‘আ ফরয হয় এবং হিজরতকালে ক্বোবা ও মদীনার মধ্যবর্তী
বনু সালেম বিন ‘আওফ গোত্রের ‘রানূনা’ (رانوناء) উপত্যকায় সর্বপ্রথম
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)
জুম‘আর ছালাত আদায় করেন।[1] যাতে একশত মুছল্লী শরীক ছিলেন।[2]
তবে হিজরতের পূর্বে মদীনার আনছারগণ আপোষে পরামর্শক্রমে ইহুদী ও
নাছারাদের সাপ্তাহিক ইবাদতের দিনের বিপরীতে নিজেদের জন্য একটি ইবাদতের দিন
ধার্য করেন ও সেমতে
আস‘আদ বিন যুরারাহ (রাঃ)-এর নেতৃত্বে মদীনার বনু বায়াযাহ গোত্রের নাক্বী‘উল খাযেমাত (نَقِيعُ الْخَضِمَاتِ) নামক স্থানের ‘নাবীত’ (هَزْمُ
النَّبِيْتِ) সমতল ভূমিতে সর্বপ্রথম জুম‘আর ছালাত চালু হয়। যেখানে চল্লিশ জন মুছল্লী যোগদান করেন।[3] অতঃপর
হিজরতের পর জুম‘আ ফরয করা হয়।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, জুম‘আর এই দিনটি প্রথমে ইয়াহূদ-নাছারাদের
উপরে ফরয করা হয়েছিল। কিন্তু তারা এ বিষয়ে মতভেদ করে। তখন আল্লাহ তা‘আলা
আমাদেরকে এই দিনের
প্রতি (অহীর মাধ্যমে) হেদায়াত দান করেন। এক্ষণে সকল মানুষ আমাদের
পশ্চাদানুসারী। ইহুদীরা পরের দিন (শনিবার) এবং নাছারারা তার পরের দিন
(রবিবার)…। [4]
যেহেতু আল্লাহ শনিবারে কিছু সৃষ্টি করেননি এবং আরশে স্বীয় আসনে সমাসীন হন,
সেহেতু ইহুদীরা এদিনকে তাদের
সাপ্তাহিক ইবাদতের দিন হিসাবে বেছে নেয়। যেহেতু আল্লাহ রবিবারে
সৃষ্টির সূচনা করেন, সেহেতু নাছারাগণ এ দিনটিকে পসন্দ করে। এভাবে তারা
আল্লাহর নির্দেশের উপর
নিজেদের যুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়। পক্ষান্তরে জুম‘আর দিনে সকল
সৃষ্টিকর্ম সম্পন্ন হয় এবং সর্বশেষ সৃষ্টি হিসাবে আদমকে পয়দা করা হয়। তাই এ
দিনটি হ’ল সকল
দিনের সেরা। এই দিনটি মুসলিম উম্মাহর সাপ্তাহিক ইবাদতের দিন হিসাবে
নির্ধারিত হওয়ায় বিগত সকল উম্মতের উপর তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়।
[5] কা‘ব বিন মালেক (রাঃ) অন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আযানের আওয়ায শুনে বিগলিত হৃদয়ে বলতেন, ‘আল্লাহ রহম করুন আস‘আদ
বিন যুরারাহর উপর, সেই-ই প্রথম আমাদের নিয়ে জুম‘আর ছালাত কায়েম করে রাসূল (ছাঃ)-এর মক্কা থেকে আগমনের পূর্বে। [6]
উপরে ফরয করা হয়েছিল। কিন্তু তারা এ বিষয়ে মতভেদ করে। তখন আল্লাহ তা‘আলা
আমাদেরকে এই দিনের
প্রতি (অহীর মাধ্যমে) হেদায়াত দান করেন। এক্ষণে সকল মানুষ আমাদের
পশ্চাদানুসারী। ইহুদীরা পরের দিন (শনিবার) এবং নাছারারা তার পরের দিন
(রবিবার)…। [4]
যেহেতু আল্লাহ শনিবারে কিছু সৃষ্টি করেননি এবং আরশে স্বীয় আসনে সমাসীন হন,
সেহেতু ইহুদীরা এদিনকে তাদের
সাপ্তাহিক ইবাদতের দিন হিসাবে বেছে নেয়। যেহেতু আল্লাহ রবিবারে
সৃষ্টির সূচনা করেন, সেহেতু নাছারাগণ এ দিনটিকে পসন্দ করে। এভাবে তারা
আল্লাহর নির্দেশের উপর
নিজেদের যুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়। পক্ষান্তরে জুম‘আর দিনে সকল
সৃষ্টিকর্ম সম্পন্ন হয় এবং সর্বশেষ সৃষ্টি হিসাবে আদমকে পয়দা করা হয়। তাই এ
দিনটি হ’ল সকল
দিনের সেরা। এই দিনটি মুসলিম উম্মাহর সাপ্তাহিক ইবাদতের দিন হিসাবে
নির্ধারিত হওয়ায় বিগত সকল উম্মতের উপর তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়।
[5] কা‘ব বিন মালেক (রাঃ) অন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আযানের আওয়ায শুনে বিগলিত হৃদয়ে বলতেন, ‘আল্লাহ রহম করুন আস‘আদ
বিন যুরারাহর উপর, সেই-ই প্রথম আমাদের নিয়ে জুম‘আর ছালাত কায়েম করে রাসূল (ছাঃ)-এর মক্কা থেকে আগমনের পূর্বে। [6]
শহরে হৌক বা গ্রামে হৌক জুম‘আর ছালাত প্রত্যেক বয়স্ক পুরুষ ও জ্ঞানসম্পন্ন মুসলমানের উপরে জামা‘আত সহ আদায় করা ‘ফরযে আয়েন’।[7] তবে গোলাম, রোগী, মুসাফির, শিশু ও মহিলাদের উপরে জুম‘আ ফরয নয়। [8] বাহরায়েন বাসীর প্রতি এক লিখিত ফরমানে খলীফা ওমর (রাঃ) বলেন, جَمِّعُوْا حَيْثُمَا كُنْتُمْ ‘তোমরা
যেখানেই থাক, জুম‘আ আদায় কর’।[9] অতএব দু’জন মুসলমান কোন স্থানে থাকলেও তারা একত্রে জুম‘আ আদায় করবে।[10] একজনে খুৎবা দিবে। যদি খুৎবা দিতে অপারগ হয়, তাহ’লে দু’জনে একত্রে জুম‘আর দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করবে। [11] কারাবন্দী অবস্থায় অনুমতি পেলে করবে, নইলে করবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তোমাদের সাধ্যমত আল্লাহকে ভয়
কর’ (তাগাবুন ৬৪/১৬)।
যেখানেই থাক, জুম‘আ আদায় কর’।[9] অতএব দু’জন মুসলমান কোন স্থানে থাকলেও তারা একত্রে জুম‘আ আদায় করবে।[10] একজনে খুৎবা দিবে। যদি খুৎবা দিতে অপারগ হয়, তাহ’লে দু’জনে একত্রে জুম‘আর দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করবে। [11] কারাবন্দী অবস্থায় অনুমতি পেলে করবে, নইলে করবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তোমাদের সাধ্যমত আল্লাহকে ভয়
কর’ (তাগাবুন ৬৪/১৬)।
গুরুত্ব
(أهمية الجمعة)
:
(أهمية الجمعة)
:
(১) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘হে মুসলমানগণ! জুম‘আর দিনকে
আল্লাহ তোমাদের জন্য (সাপ্তাহিক) ঈদের দিন হিসাবে নির্ধারণ করেছেন
(جَعَلَهُ اللهُ
عِيْدًا)। তোমরা এদিন মিসওয়াক কর, গোসল কর ও সুগন্ধি লাগাও’।[12] (২) অতএব জুম‘আর দিন সুন্দরভাবে গোসল করে
সাধ্যমত উত্তম পোষাক ও সুগন্ধি লাগিয়ে আগেভাগে মসজিদে যাবে।[13] (৩) মসজিদে প্রবেশ করে সামনের কাতারের দিকে
এগিয়ে যাবে[14] এবং বসার পূর্বে প্রথমে দু’রাক‘আত ‘তাহিইয়াতুল মাসজিদ’ আদায় করবে। [15]
দুনিয়ার সকল গৃহের ঊর্ধ্বে আল্লাহর গৃহের সম্মান। তাই এ গৃহে প্রবেশ করে
বসার পূর্বেই আল্লাহর প্রতি
আনুগত্যের সিজদা করতে হয়। আল্লাহ সবচাইতে খুশী হন বান্দা যখন সিজদা
করে। কিন্তু যারা সিজদা না করেই বসে পড়ে, তারা আল্লাহ ও আল্লাহর গৃহের
প্রতি অসম্মান করে
এবং রাসূল (ছাঃ)-এর অবাধ্যতা করে। (৪) অতঃপর খত্বীব মিম্বরে বসার আগ
পর্যন্ত যত রাক‘আত খুশী নফল ছালাতে মগ্ন থাকবে। [16] (৫) এরপর চুপচাপ মনোযোগ সহকারে খুৎবা শুনবে।[17] (৬)
খুৎবা চলা অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করলে কেবল দু’রাক‘আত ‘তাহিইয়াতুল মাসজিদ’ সংক্ষেপে আদায় করে বসে পড়বে।[18]
(৭) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জুম‘আ থেকে অলসতাকারীদের ঘর জ্বালিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।[19] (৮) তিনি বলেন, জুম‘আ
পরিত্যাগকারীদের হৃদয়ে আল্লাহ মোহর মেরে দেন। অতঃপর তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়’।[20] (৯) তিনি আরও
বলেন, যে ব্যক্তি অবহেলা ভরে পরপর তিন জুম‘আ পরিত্যাগ করল, সে ব্যক্তি ইসলামকে পশ্চাতে নিক্ষেপ করল’।[21]
(১০) অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি বিনা ওযরে তিন জুম‘আ পরিত্যাগ করল, সে ব্যক্তি ‘মুনাফিক’।[22]
আল্লাহ তোমাদের জন্য (সাপ্তাহিক) ঈদের দিন হিসাবে নির্ধারণ করেছেন
(جَعَلَهُ اللهُ
عِيْدًا)। তোমরা এদিন মিসওয়াক কর, গোসল কর ও সুগন্ধি লাগাও’।[12] (২) অতএব জুম‘আর দিন সুন্দরভাবে গোসল করে
সাধ্যমত উত্তম পোষাক ও সুগন্ধি লাগিয়ে আগেভাগে মসজিদে যাবে।[13] (৩) মসজিদে প্রবেশ করে সামনের কাতারের দিকে
এগিয়ে যাবে[14] এবং বসার পূর্বে প্রথমে দু’রাক‘আত ‘তাহিইয়াতুল মাসজিদ’ আদায় করবে। [15]
দুনিয়ার সকল গৃহের ঊর্ধ্বে আল্লাহর গৃহের সম্মান। তাই এ গৃহে প্রবেশ করে
বসার পূর্বেই আল্লাহর প্রতি
আনুগত্যের সিজদা করতে হয়। আল্লাহ সবচাইতে খুশী হন বান্দা যখন সিজদা
করে। কিন্তু যারা সিজদা না করেই বসে পড়ে, তারা আল্লাহ ও আল্লাহর গৃহের
প্রতি অসম্মান করে
এবং রাসূল (ছাঃ)-এর অবাধ্যতা করে। (৪) অতঃপর খত্বীব মিম্বরে বসার আগ
পর্যন্ত যত রাক‘আত খুশী নফল ছালাতে মগ্ন থাকবে। [16] (৫) এরপর চুপচাপ মনোযোগ সহকারে খুৎবা শুনবে।[17] (৬)
খুৎবা চলা অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করলে কেবল দু’রাক‘আত ‘তাহিইয়াতুল মাসজিদ’ সংক্ষেপে আদায় করে বসে পড়বে।[18]
(৭) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জুম‘আ থেকে অলসতাকারীদের ঘর জ্বালিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।[19] (৮) তিনি বলেন, জুম‘আ
পরিত্যাগকারীদের হৃদয়ে আল্লাহ মোহর মেরে দেন। অতঃপর তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়’।[20] (৯) তিনি আরও
বলেন, যে ব্যক্তি অবহেলা ভরে পরপর তিন জুম‘আ পরিত্যাগ করল, সে ব্যক্তি ইসলামকে পশ্চাতে নিক্ষেপ করল’।[21]
(১০) অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি বিনা ওযরে তিন জুম‘আ পরিত্যাগ করল, সে ব্যক্তি ‘মুনাফিক’।[22]
ফযীলত
(فضل يوم الجمعة)
:
(فضل يوم الجمعة)
:
(১) জুম‘আর দিন হ’ল ‘দিন সমূহের সেরা’ (سيد الأيام)। এদিন আল্লাহর
নিকটে ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের দিনের চাইতেও মহিমান্বিত। এইদিন নিকটবর্তী
ফেরেশতাগণ,
আকাশ, পৃথিবী, বায়ু, পাহাড়, সমুদ্র সবই ক্বিয়ামত হবার ভয়ে ভীত
থাকে’।[23] (২) জুম‘আর রাতে বা দিনে কোন
মুসলিম মারা গেলে আল্লাহ তাকে কবরের ফিৎনা হ’তে বাঁচিয়ে দেন’।[24]
(৩) এইদিন আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করা হয়।
এইদিন তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় ও এইদিন তাঁকে জান্নাত থেকে
নামিয়ে দেওয়া হয়। এদিনে তাঁর তওবা কবুল হয় এবং এদিনেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এইদিন শিঙ্গায় ফুঁক
দেওয়া হবে ও ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে। (৪) এদিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর
উপরে বেশী বেশী দরূদ পাঠ করতে হয়।[25]
নিকটে ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের দিনের চাইতেও মহিমান্বিত। এইদিন নিকটবর্তী
ফেরেশতাগণ,
আকাশ, পৃথিবী, বায়ু, পাহাড়, সমুদ্র সবই ক্বিয়ামত হবার ভয়ে ভীত
থাকে’।[23] (২) জুম‘আর রাতে বা দিনে কোন
মুসলিম মারা গেলে আল্লাহ তাকে কবরের ফিৎনা হ’তে বাঁচিয়ে দেন’।[24]
(৩) এইদিন আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করা হয়।
এইদিন তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় ও এইদিন তাঁকে জান্নাত থেকে
নামিয়ে দেওয়া হয়। এদিনে তাঁর তওবা কবুল হয় এবং এদিনেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এইদিন শিঙ্গায় ফুঁক
দেওয়া হবে ও ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে। (৪) এদিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর
উপরে বেশী বেশী দরূদ পাঠ করতে হয়।[25]
(৫) এই দিন ইমামের মিম্বরে বসা হ’তে জামা‘আতে ছালাত শেষে সালাম ফিরানো পর্যন্ত সময়ের মধ্যে[26] এমন একটি
সংক্ষিপ্ত সময় (سَاعَةٌ خَفِيْفَةٌ) রয়েছে, যখন বান্দার যেকোন সঙ্গত প্রার্থনা আল্লাহ কবুল করেন।[27]
দো‘আ
কবুলের এই সময়টির মর্যাদা লায়লাতুল ক্বদরের ন্যায় বলে হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম
(রহঃ) মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জুম‘আর সমস্ত দিনটিই ইবাদতের দিন। অন্য
হাদীছের [28] বক্তব্য অনুযায়ী ঐদিন আছর ছালাতের পর হ’তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দো‘আ কবুলের সময়কাল প্রলম্বিত। অতএব
জুম‘আর সারাটা দিন দো‘আ-দরূদ, তাসবীহ-তেলাওয়াত ও ইবাদতে কাটিয়ে দেওয়া উচিত।[29]
এই সময় খত্বীব স্বীয় খুৎবায়
এবং ইমাম ও মুক্তাদীগণ স্ব স্ব সিজদায় ও শেষ বৈঠকে তাশাহ্হুদ ও
দরূদের পরে সালামের পূর্বে আল্লাহর নিকটে প্রাণ খুলে দো‘আ করবেন। কেননা
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এই
সময়ে বেশী বেশী দো‘আ করতেন।[30]
সংক্ষিপ্ত সময় (سَاعَةٌ خَفِيْفَةٌ) রয়েছে, যখন বান্দার যেকোন সঙ্গত প্রার্থনা আল্লাহ কবুল করেন।[27]
দো‘আ
কবুলের এই সময়টির মর্যাদা লায়লাতুল ক্বদরের ন্যায় বলে হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম
(রহঃ) মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জুম‘আর সমস্ত দিনটিই ইবাদতের দিন। অন্য
হাদীছের [28] বক্তব্য অনুযায়ী ঐদিন আছর ছালাতের পর হ’তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দো‘আ কবুলের সময়কাল প্রলম্বিত। অতএব
জুম‘আর সারাটা দিন দো‘আ-দরূদ, তাসবীহ-তেলাওয়াত ও ইবাদতে কাটিয়ে দেওয়া উচিত।[29]
এই সময় খত্বীব স্বীয় খুৎবায়
এবং ইমাম ও মুক্তাদীগণ স্ব স্ব সিজদায় ও শেষ বৈঠকে তাশাহ্হুদ ও
দরূদের পরে সালামের পূর্বে আল্লাহর নিকটে প্রাণ খুলে দো‘আ করবেন। কেননা
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এই
সময়ে বেশী বেশী দো‘আ করতেন।[30]
(৬) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুম‘আর দিন গোসল করে
সুগন্ধি মেখে মসজিদে এল ও সাধ্যমত নফল ছালাত আদায় করল। অতঃপর চুপচাপ ইমামের
খুৎবা শ্রবণ করল ও
জামা‘আতে ছালাত আদায় করল, তার পরবর্তী জুম‘আ পর্যন্ত এবং আরও
তিনদিনের গোনাহ মাফ করা হয়’।[31]
সুগন্ধি মেখে মসজিদে এল ও সাধ্যমত নফল ছালাত আদায় করল। অতঃপর চুপচাপ ইমামের
খুৎবা শ্রবণ করল ও
জামা‘আতে ছালাত আদায় করল, তার পরবর্তী জুম‘আ পর্যন্ত এবং আরও
তিনদিনের গোনাহ মাফ করা হয়’।[31]
(৭) তিনি আরও বলেন, ‘জুম‘আর দিন ফেরেশতাগণ মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে
থাকেন ও মুছল্লীদের নেকী লিখতে থাকেন। এদিন সকাল সকাল যারা আসে, তারা উট
কুরবানীর সমান নেকী
পায়। তার পরবর্তীগণ গরু কুরবানীর, তার পরবর্তীগণ ছাগল কুরবানীর,
তার পরবর্তীগণ মুরগী কুরবানীর ও তার পরবর্তীগণ ডিম কুরবানীর সমান নেকী পায়।
অতঃপর খত্বীব
দাঁড়িয়ে গেলে ফেরেশতাগণ দফতর গুটিয়ে ফেলেন ও খুৎবা শুনতে থাকেন’।[32]
থাকেন ও মুছল্লীদের নেকী লিখতে থাকেন। এদিন সকাল সকাল যারা আসে, তারা উট
কুরবানীর সমান নেকী
পায়। তার পরবর্তীগণ গরু কুরবানীর, তার পরবর্তীগণ ছাগল কুরবানীর,
তার পরবর্তীগণ মুরগী কুরবানীর ও তার পরবর্তীগণ ডিম কুরবানীর সমান নেকী পায়।
অতঃপর খত্বীব
দাঁড়িয়ে গেলে ফেরেশতাগণ দফতর গুটিয়ে ফেলেন ও খুৎবা শুনতে থাকেন’।[32]
(৮) তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুম‘আর দিন ভালভাবে গোসল করে।
অতঃপর সকাল সকাল মসজিদে যায় পায়ে হেঁটে, গাড়ীতে নয় এবং আগে ভাগে নফল ছালাত
শেষে ইমামের
কাছাকাছি বসে ও মনোযোগ দিয়ে খুৎবার শুরু থেকে শুনে এবং অনর্থক কিছু
করে না, তার প্রতি পদক্ষেপে এক বছরের ছিয়াম ও ক্বিয়ামের অর্থাৎ দিনের
ছিয়াম ও রাতের বেলায়
নফল ছালাতের সমান নেকী হয়’।[33]
অতঃপর সকাল সকাল মসজিদে যায় পায়ে হেঁটে, গাড়ীতে নয় এবং আগে ভাগে নফল ছালাত
শেষে ইমামের
কাছাকাছি বসে ও মনোযোগ দিয়ে খুৎবার শুরু থেকে শুনে এবং অনর্থক কিছু
করে না, তার প্রতি পদক্ষেপে এক বছরের ছিয়াম ও ক্বিয়ামের অর্থাৎ দিনের
ছিয়াম ও রাতের বেলায়
নফল ছালাতের সমান নেকী হয়’।[33]
জুম‘আর আযান
(أذان الجمعة)
:
(أذان الجمعة)
:
খত্বীব ছাহেব মিম্বরে বসার পরে মুওয়ায্যিন জুম‘আর আযান দিবে।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ), আবুবকর ও ওমর (রাঃ)-এর যুগে এবং ওছমান (রাঃ)-এর
খেলাফতের প্রথমার্ধ্বে এই
নিয়ম চালু ছিল। অতঃপর মুসলমানের সংখ্যা ও নগরীর ব্যস্ততা বেড়ে গেলে
হযরত ওছমান (রাঃ) জুম‘আর পূর্বে মসজিদে নববী থেকে দূরে ‘যাওরা’ (زوراء)
বাজারে একটি বাড়ীর
ছাদে দাঁড়িয়ে লোকদের আগাম হুঁশিয়ার করার জন্য পৃথক একটি আযানের
নির্দেশ দেন।[34]
খলীফার এই হুকুম ছিল
স্থানিক প্রয়োজনের কারণে একটি সাময়িক নির্দেশ মাত্র। সেকারণ মক্কা,
কূফা ও বছরা সহ ইসলামী খেলাফতের বহু গুরুত্বপূর্ণ শহরে এ আযান তখন চালু
হয়নি। হযরত ওছমান
(রাঃ) এটাকে সর্বত্র চালু করার প্রয়োজন মনে করেননি বা উম্মতকে
বাধ্য করেননি। তাই সর্বদা সর্বত্র এই নিয়ম চালু করার পিছনে কোন যুক্তি নেই।
তাছাড়া রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ)-এর আচরিত সুন্নাতের অনুসরণই সকল মুমিনের কর্তব্য।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ), আবুবকর ও ওমর (রাঃ)-এর যুগে এবং ওছমান (রাঃ)-এর
খেলাফতের প্রথমার্ধ্বে এই
নিয়ম চালু ছিল। অতঃপর মুসলমানের সংখ্যা ও নগরীর ব্যস্ততা বেড়ে গেলে
হযরত ওছমান (রাঃ) জুম‘আর পূর্বে মসজিদে নববী থেকে দূরে ‘যাওরা’ (زوراء)
বাজারে একটি বাড়ীর
ছাদে দাঁড়িয়ে লোকদের আগাম হুঁশিয়ার করার জন্য পৃথক একটি আযানের
নির্দেশ দেন।[34]
খলীফার এই হুকুম ছিল
স্থানিক প্রয়োজনের কারণে একটি সাময়িক নির্দেশ মাত্র। সেকারণ মক্কা,
কূফা ও বছরা সহ ইসলামী খেলাফতের বহু গুরুত্বপূর্ণ শহরে এ আযান তখন চালু
হয়নি। হযরত ওছমান
(রাঃ) এটাকে সর্বত্র চালু করার প্রয়োজন মনে করেননি বা উম্মতকে
বাধ্য করেননি। তাই সর্বদা সর্বত্র এই নিয়ম চালু করার পিছনে কোন যুক্তি নেই।
তাছাড়া রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ)-এর আচরিত সুন্নাতের অনুসরণই সকল মুমিনের কর্তব্য।
ডাক আযান :
ওমর ইবনু আলী আল-ফাকেহানী (৬৫৪-৭৩৪/১২৫৬-১৩৩৪ খৃঃ) বলেন যে,
ডাক আযান প্রথম বছরায় চালু করেন যিয়াদ এবং মক্কায় চালু করেন হাজ্জাজ। আর
আমার কাছে এখন
খবর পৌঁছেছে যে, নিকট মাগরিবে অর্থাৎ আফ্রিকার তিউনিস ও আলজেরিয়ার
পূর্বাঞ্চলের লোকদের নিকট অদ্যাবধি কোন আযান নেই মূল এক আযান ব্যতীত’।[35] হযরত আলী (রাঃ)-এর (৩৫-৪০ হিঃ) রাজধানী কূফাতেও এই আযান চালু ছিল না। [36] ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, উমাইয়া খলীফা হেশাম বিন আব্দুল মালেক (১০৫-২৫/৭২৪-৭৪৩ খৃঃ)
সর্বপ্রথম ওছমানী আযানকে ‘যাওরা’ বাজার থেকে এনে মদীনার মসজিদে চালু করেন।[37] ইবনুল হাজ্জ মালেকী বলেন,
অতঃপর হেশাম খুৎবাকালীন মূল আযানকে মসজিদের মিনার থেকে নামিয়ে ইমামের সম্মুখে নিয়ে আসলেন’।[38]
ফলে
বর্তমানে খুৎবার প্রায় আধা ঘণ্টা পূর্বে ‘ডাক আযান’ হচ্ছে মিনারে
বা মাইকে। অতঃপর খুৎবার মূল আযান বা কথিত ‘ছানী আযান’ হচ্ছে মিম্বরের
সম্মুখে বা মসজিদের
দরজার বাইরে।[39]
ডাক আযান প্রথম বছরায় চালু করেন যিয়াদ এবং মক্কায় চালু করেন হাজ্জাজ। আর
আমার কাছে এখন
খবর পৌঁছেছে যে, নিকট মাগরিবে অর্থাৎ আফ্রিকার তিউনিস ও আলজেরিয়ার
পূর্বাঞ্চলের লোকদের নিকট অদ্যাবধি কোন আযান নেই মূল এক আযান ব্যতীত’।[35] হযরত আলী (রাঃ)-এর (৩৫-৪০ হিঃ) রাজধানী কূফাতেও এই আযান চালু ছিল না। [36] ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, উমাইয়া খলীফা হেশাম বিন আব্দুল মালেক (১০৫-২৫/৭২৪-৭৪৩ খৃঃ)
সর্বপ্রথম ওছমানী আযানকে ‘যাওরা’ বাজার থেকে এনে মদীনার মসজিদে চালু করেন।[37] ইবনুল হাজ্জ মালেকী বলেন,
অতঃপর হেশাম খুৎবাকালীন মূল আযানকে মসজিদের মিনার থেকে নামিয়ে ইমামের সম্মুখে নিয়ে আসলেন’।[38]
ফলে
বর্তমানে খুৎবার প্রায় আধা ঘণ্টা পূর্বে ‘ডাক আযান’ হচ্ছে মিনারে
বা মাইকে। অতঃপর খুৎবার মূল আযান বা কথিত ‘ছানী আযান’ হচ্ছে মিম্বরের
সম্মুখে বা মসজিদের
দরজার বাইরে।[39]
এইভাবে হাজ্জাজী ও হেশামী আযান সর্বত্র চালু হয়েছে। অথচ জুম‘আর
সুন্নাতী আযান ছিল একটি। ইবনু আব্দিল বার্র বলেন, খত্বীব মিম্বরে বসার পরে
সম্মুখ দরজার বাইরে
দাঁড়িয়ে যে আযান দেওয়া হয় (এবং যা ইসলামের স্বর্ণযুগে চালু ছিল),
এটাই সঠিক। এর বাইরে মিম্বরের নিকটে খত্বীবের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আযান দেওয়া
বিষয়ে একটি বর্ণও
প্রমাণিত নয়’।[40]
অতএব আমাদের উচিত হবে সেই হারানো সুন্নাত যেন্দা করা। কেননা রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) বলেন
إِنَّ مِنْ وَرَائِكُمْ زَمَانَ صَبْرٍ لِلْمُتَمَسِّكِ فِيْهِ
أَجْرُ خَمْسِيْنَ شَهِيْدًا مِّنْكُمْ- ‘তোমাদের পরে এমন একটা কষ্টকর সময়
আসছে, যখন
সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে ধারণকারী ব্যক্তি তোমাদের মধ্যকার পঞ্চাশ জন
শহীদের সমান নেকী পাবে’।[41] তাছাড়া
বর্তমানে মাইক, ঘড়ি, মোবাইল ইত্যাদির যুগে ওছমানী আযানের প্রয়োজনীয়তা আছে কি-না, সেটাও ভেবে দেখার বিষয়।
সুন্নাতী আযান ছিল একটি। ইবনু আব্দিল বার্র বলেন, খত্বীব মিম্বরে বসার পরে
সম্মুখ দরজার বাইরে
দাঁড়িয়ে যে আযান দেওয়া হয় (এবং যা ইসলামের স্বর্ণযুগে চালু ছিল),
এটাই সঠিক। এর বাইরে মিম্বরের নিকটে খত্বীবের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আযান দেওয়া
বিষয়ে একটি বর্ণও
প্রমাণিত নয়’।[40]
অতএব আমাদের উচিত হবে সেই হারানো সুন্নাত যেন্দা করা। কেননা রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) বলেন
إِنَّ مِنْ وَرَائِكُمْ زَمَانَ صَبْرٍ لِلْمُتَمَسِّكِ فِيْهِ
أَجْرُ خَمْسِيْنَ شَهِيْدًا مِّنْكُمْ- ‘তোমাদের পরে এমন একটা কষ্টকর সময়
আসছে, যখন
সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে ধারণকারী ব্যক্তি তোমাদের মধ্যকার পঞ্চাশ জন
শহীদের সমান নেকী পাবে’।[41] তাছাড়া
বর্তমানে মাইক, ঘড়ি, মোবাইল ইত্যাদির যুগে ওছমানী আযানের প্রয়োজনীয়তা আছে কি-না, সেটাও ভেবে দেখার বিষয়।
খুৎবা
(خطبة الجمعة)
:
(خطبة الجمعة)
:
জুম‘আর জন্য দু’টি খুৎবা দেওয়া সুন্নাত, যার মাঝখানে বসতে হয়।[42] ইমাম মিম্বরে বসার সময় মুছল্লীদের
উদ্দেশ্যে সালাম দিবেন।[43] আবুবকর ও ওমর (রাঃ) এটি নিয়মিত করতেন। আবু হানীফা ও মালেক (রহঃ) প্রমুখ মসজিদে
প্রবেশকালে সালাম করাকেই যথেষ্ট বলেছেন।[44] খত্বীব হাতে লাঠি নিবেন। [45] নিতান্ত কষ্টদায়ক না হ’লে সর্বদা দাঁড়িয়ে খুৎবা দিবেন। ১ম খুৎবায় হাম্দ, দরূদ ও ক্বিরাআত ছাড়াও সকলকে
নছীহত করবেন, অতঃপর বসবেন। দ্বিতীয় খুৎবায় হাম্দ ও দরূদ সহ সকল মুসলমানের জন্য দো‘আ করবেন।[46] প্রয়োজনে এই
সময়ও কিছু নছীহত করা যায়।[47]
ইমাম শাফেঈ (রহঃ) হাম্দ, দরূদ ও নছীহত তিনটি বিষয়কে খুৎবার জন্য ‘ওয়াজিব’
বলেছেন। যাতে কুরআন থেকে একটি আয়াত হ’লেও পাঠ করতে হবে। এতদ্ব্যতীত সূরায়ে
ক্বাফ-এর প্রথমাংশ বা অন্য কিছু আয়াত তেলাওয়াত করা মুস্তাহাব।[48] খুৎবা আখেরাত মুখী, সংক্ষিপ্ত ও সারগর্ভ হওয়া বাঞ্ছনীয়। [49] তবে দীর্ঘ হওয়াও জায়েয আছে।[50] খুৎবার সময় কেউ
মসজিদে প্রবেশ করলে সংক্ষিপ্তভাবে দু’রাক‘আত ‘তাহিইয়াতুল মাসজিদ’ ছালাত পড়ে বসবেন’।[51]
উদ্দেশ্যে সালাম দিবেন।[43] আবুবকর ও ওমর (রাঃ) এটি নিয়মিত করতেন। আবু হানীফা ও মালেক (রহঃ) প্রমুখ মসজিদে
প্রবেশকালে সালাম করাকেই যথেষ্ট বলেছেন।[44] খত্বীব হাতে লাঠি নিবেন। [45] নিতান্ত কষ্টদায়ক না হ’লে সর্বদা দাঁড়িয়ে খুৎবা দিবেন। ১ম খুৎবায় হাম্দ, দরূদ ও ক্বিরাআত ছাড়াও সকলকে
নছীহত করবেন, অতঃপর বসবেন। দ্বিতীয় খুৎবায় হাম্দ ও দরূদ সহ সকল মুসলমানের জন্য দো‘আ করবেন।[46] প্রয়োজনে এই
সময়ও কিছু নছীহত করা যায়।[47]
ইমাম শাফেঈ (রহঃ) হাম্দ, দরূদ ও নছীহত তিনটি বিষয়কে খুৎবার জন্য ‘ওয়াজিব’
বলেছেন। যাতে কুরআন থেকে একটি আয়াত হ’লেও পাঠ করতে হবে। এতদ্ব্যতীত সূরায়ে
ক্বাফ-এর প্রথমাংশ বা অন্য কিছু আয়াত তেলাওয়াত করা মুস্তাহাব।[48] খুৎবা আখেরাত মুখী, সংক্ষিপ্ত ও সারগর্ভ হওয়া বাঞ্ছনীয়। [49] তবে দীর্ঘ হওয়াও জায়েয আছে।[50] খুৎবার সময় কেউ
মসজিদে প্রবেশ করলে সংক্ষিপ্তভাবে দু’রাক‘আত ‘তাহিইয়াতুল মাসজিদ’ ছালাত পড়ে বসবেন’।[51]
মাতৃভাষায় খুৎবা দান
(خطبة الجمعة باللغة الأهلية)
:
(خطبة الجمعة باللغة الأهلية)
:
খুৎবা মাতৃভাষায় এবং অধিকাংশ মুছল্লীদের বোধগম্য ভাষায় হওয়া যরূরী।
কেননা খুৎবা অর্থ ভাষণ, যা শ্রোতাদের বোধগম্য ভাষায় হওয়াই স্বাভাবিক।
আল্লাহ বলেন, وَمَا
أَرْسَلْنَا مِن رَّسُوْلٍ إِلاَّ بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ
لَهُمْ ‘আমরা সকল রাসূলকেই তাদের স্বজাতির ভাষা-ভাষী করে প্রেরণ করেছি,
যাতে তিনি তাদেরকে
(আল্লাহর দ্বীন) ব্যাখ্যা করে দেন’ (ইবরাহীম ১৪/৪)। অতঃপর
আমাদের রাসূল (ছাঃ)-কে খাছ করে বলা হচ্ছে, وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكَ
الذِّكْرَ لِتُبَيِّنَ
لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ إِلَيْهِمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُوْنَ-
‘আর আমরা আপনার নিকটে ‘যিকর’ (কুরআন) নাযিল করেছি, যাতে আপনি লোকদের নিকট
ঐসব বিষয়ে
ব্যাখ্যা করে দেন, যা তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে। যাতে তারা
চিন্তা-গবেষণা করে’ (নাহ্ল ১৬/৪৪)।
কেননা খুৎবা অর্থ ভাষণ, যা শ্রোতাদের বোধগম্য ভাষায় হওয়াই স্বাভাবিক।
আল্লাহ বলেন, وَمَا
أَرْسَلْنَا مِن رَّسُوْلٍ إِلاَّ بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ
لَهُمْ ‘আমরা সকল রাসূলকেই তাদের স্বজাতির ভাষা-ভাষী করে প্রেরণ করেছি,
যাতে তিনি তাদেরকে
(আল্লাহর দ্বীন) ব্যাখ্যা করে দেন’ (ইবরাহীম ১৪/৪)। অতঃপর
আমাদের রাসূল (ছাঃ)-কে খাছ করে বলা হচ্ছে, وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكَ
الذِّكْرَ لِتُبَيِّنَ
لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ إِلَيْهِمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُوْنَ-
‘আর আমরা আপনার নিকটে ‘যিকর’ (কুরআন) নাযিল করেছি, যাতে আপনি লোকদের নিকট
ঐসব বিষয়ে
ব্যাখ্যা করে দেন, যা তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে। যাতে তারা
চিন্তা-গবেষণা করে’ (নাহ্ল ১৬/৪৪)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সময়ের চাহিদা অনুযায়ী খুৎবা দিতেন। নবী আর আসবেন না। তাই রাসূলের ‘ওয়ারিছ’ হিসাবে[52]
প্রত্যেক আলেম ও খত্বীবের উচিত মুছল্লীদের নিজস্ব ভাষায় কুরআন ও
ছহীহ হাদীছের বিধান সমূহ খুৎবায় ব্যাখ্যা করে শুনানো। নইলে খুৎবার উদ্দেশ্য
বিনষ্ট হবে।
প্রত্যেক আলেম ও খত্বীবের উচিত মুছল্লীদের নিজস্ব ভাষায় কুরআন ও
ছহীহ হাদীছের বিধান সমূহ খুৎবায় ব্যাখ্যা করে শুনানো। নইলে খুৎবার উদ্দেশ্য
বিনষ্ট হবে।
হযরত জাবের বিন সামুরাহ (রাঃ) বর্ণিত হাদীছে এসেছে যে, খুৎবার সময়
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর দু’চোখ উত্তেজনায় লাল হয়ে যেত। গলার স্বর উঁচু হ’ত ও
ক্রোধ ভীষণ হ’ত।
যেন তিনি কোন সৈন্যদলকে হুঁশিয়ার করছেন’।[53] ছাহেবে মির‘আত বলেন, ‘অবস্থা অনুযায়ী এবং মুছল্লীদের বোধগম্য
ভাষায় খুৎবা দেওয়ার ব্যাপারে জাবের বিন সামুরাহ (রাঃ) বর্ণিত অত্র হাদীছটিই হ’ল প্রথম দলীল’।[54]
মনে রাখা
আবশ্যক যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মাতৃভাষায় খুৎবা দিতেন। তাঁর ও তাঁর
ছাহাবীগণের মাতৃভাষা ছিল আরবী। তিনি ছিলেন বিশ্বনবী। তাই বিশ্বের সকল
ভাষাভাষী তাঁর
উম্মতকে স্ব স্ব মাতৃভাষায় খুৎবা দানের মাধ্যমে কুরআন ও হাদীছ
ব্যাখ্যা করে দিতে হবে, যা অবশ্য পালনীয়।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর দু’চোখ উত্তেজনায় লাল হয়ে যেত। গলার স্বর উঁচু হ’ত ও
ক্রোধ ভীষণ হ’ত।
যেন তিনি কোন সৈন্যদলকে হুঁশিয়ার করছেন’।[53] ছাহেবে মির‘আত বলেন, ‘অবস্থা অনুযায়ী এবং মুছল্লীদের বোধগম্য
ভাষায় খুৎবা দেওয়ার ব্যাপারে জাবের বিন সামুরাহ (রাঃ) বর্ণিত অত্র হাদীছটিই হ’ল প্রথম দলীল’।[54]
মনে রাখা
আবশ্যক যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মাতৃভাষায় খুৎবা দিতেন। তাঁর ও তাঁর
ছাহাবীগণের মাতৃভাষা ছিল আরবী। তিনি ছিলেন বিশ্বনবী। তাই বিশ্বের সকল
ভাষাভাষী তাঁর
উম্মতকে স্ব স্ব মাতৃভাষায় খুৎবা দানের মাধ্যমে কুরআন ও হাদীছ
ব্যাখ্যা করে দিতে হবে, যা অবশ্য পালনীয়।
যদি বলা হয় যে, রাসূল (ছাঃ) আরবী ভাষায় খুৎবা দিতেন, অতএব আমাদেরও
কেবল আরবীতে খুৎবা দিতে হবে, তাহ’লে তো বলা হবে যে, তিনি যেহেতু সর্বক্ষণ
আরবী ভাষায় কথা
বলতেন, অতএব আমাদেরকেও মাতৃভাষা ছেড়ে সর্বক্ষণ আরবীতে কথা বলতে
হবে। আরবী ব্যতীত অন্য ভাষা বলা যদি নিষিদ্ধ হয়, তাহ’লে আল্লাহর রাসূল
(ছাঃ) যায়েদ বিন ছাবিত
(রাঃ)-কে ইহুদীদের হিব্রু ভাষা শিখতে বললেন কেন? যা তিনি ১৫ দিনেই শিখে
ফেলেন ও উক্ত ভাষায় রাসূল (ছাঃ)-এর পক্ষে পত্র পঠন, লিখন ও দোভাষীর কাজ
করেন। [55]
কেবল আরবীতে খুৎবা দিতে হবে, তাহ’লে তো বলা হবে যে, তিনি যেহেতু সর্বক্ষণ
আরবী ভাষায় কথা
বলতেন, অতএব আমাদেরকেও মাতৃভাষা ছেড়ে সর্বক্ষণ আরবীতে কথা বলতে
হবে। আরবী ব্যতীত অন্য ভাষা বলা যদি নিষিদ্ধ হয়, তাহ’লে আল্লাহর রাসূল
(ছাঃ) যায়েদ বিন ছাবিত
(রাঃ)-কে ইহুদীদের হিব্রু ভাষা শিখতে বললেন কেন? যা তিনি ১৫ দিনেই শিখে
ফেলেন ও উক্ত ভাষায় রাসূল (ছাঃ)-এর পক্ষে পত্র পঠন, লিখন ও দোভাষীর কাজ
করেন। [55]
নওয়াব ছিদ্দীক হাসান খান ভূপালী (রহঃ) বলেন, শ্রোতামন্ডলীকে
জান্নাতের প্রতি উৎসাহ দান ও জাহান্নামের ভয় প্রদর্শন করাই ছিল রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ)-এর খুৎবার
নিয়মিত উদ্দেশ্য। এটাই হ’ল খুৎবার প্রকৃত রূহ এবং এজন্যই খুৎবার
প্রচলন হয়েছে’।[56]
জান্নাতের প্রতি উৎসাহ দান ও জাহান্নামের ভয় প্রদর্শন করাই ছিল রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ)-এর খুৎবার
নিয়মিত উদ্দেশ্য। এটাই হ’ল খুৎবার প্রকৃত রূহ এবং এজন্যই খুৎবার
প্রচলন হয়েছে’।[56]
বিভিন্ন মসজিদে স্রেফ আরবী খুৎবা পাঠের যে প্রচলন রয়েছে, তা
নিঃসন্দেহে খুৎবার উদ্দেশ্য বিরোধী। এটা বুঝতে পেরে বর্তমানে মূল খুৎবার
পূর্বে মিম্বরে বসে
মাতৃভাষায় বক্তব্য রাখার মাধ্যমে যে তৃতীয় আরেকটি খুৎবা চালু করা
হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে বিদ‘আত। কেননা জুম‘আর জন্য নির্ধারিত খুৎবা হ’ল
দু’টি, তিনটি নয়।
তাছাড়া মূল খুৎবার পূর্বের সময়টি মুছল্লীদের নফল ছালাতের সময়।
তাদের ছালাতের সুযোগ নষ্ট করে বক্তৃতা করার অধিকার ইসলাম কোন খত্বীব
ছাহেবকে দেয়নি। অতএব
সুন্নাতের উপরে আমল করতে চাইলে মূল খুৎবায় দাঁড়িয়ে পবিত্র কুরআন ও
ছহীহ হাদীছের আলোকে মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে তাদের বোধগম্য ভাষায় নছীহত করতে
হবে। খুৎবার সময়
কথা বলা নিষেধ। এমনকি অন্যকে ‘চুপ কর’ একথাও বলা চলবে না।[57]
নিঃসন্দেহে খুৎবার উদ্দেশ্য বিরোধী। এটা বুঝতে পেরে বর্তমানে মূল খুৎবার
পূর্বে মিম্বরে বসে
মাতৃভাষায় বক্তব্য রাখার মাধ্যমে যে তৃতীয় আরেকটি খুৎবা চালু করা
হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে বিদ‘আত। কেননা জুম‘আর জন্য নির্ধারিত খুৎবা হ’ল
দু’টি, তিনটি নয়।
তাছাড়া মূল খুৎবার পূর্বের সময়টি মুছল্লীদের নফল ছালাতের সময়।
তাদের ছালাতের সুযোগ নষ্ট করে বক্তৃতা করার অধিকার ইসলাম কোন খত্বীব
ছাহেবকে দেয়নি। অতএব
সুন্নাতের উপরে আমল করতে চাইলে মূল খুৎবায় দাঁড়িয়ে পবিত্র কুরআন ও
ছহীহ হাদীছের আলোকে মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে তাদের বোধগম্য ভাষায় নছীহত করতে
হবে। খুৎবার সময়
কথা বলা নিষেধ। এমনকি অন্যকে ‘চুপ কর’ একথাও বলা চলবে না।[57]
ক্বিরাআত :
জুম‘আর ছালাতে ইমাম প্রথম রাক‘আতে সূরায়ে ‘জুম‘আ’ অথবা সূরায়ে ‘আ‘লা’ এবং
দ্বিতীয় রাক‘আতে সূরায়ে ‘মুনা-ফিকূন’ অথবা সূরায়ে ‘গা-শিয়াহ’ পড়বেন।
[58] অন্য সূরাও পড়া যাবে।[59] জুম‘আর দিন ফজরের ১ম
রাক‘আতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সূরায়ে ‘সাজদাহ’ ও ২য় রাক‘আতে সূরায়ে ‘দাহর’ পাঠ করতেন।[60]
জুম‘আর ছালাতে ইমাম প্রথম রাক‘আতে সূরায়ে ‘জুম‘আ’ অথবা সূরায়ে ‘আ‘লা’ এবং
দ্বিতীয় রাক‘আতে সূরায়ে ‘মুনা-ফিকূন’ অথবা সূরায়ে ‘গা-শিয়াহ’ পড়বেন।
[58] অন্য সূরাও পড়া যাবে।[59] জুম‘আর দিন ফজরের ১ম
রাক‘আতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সূরায়ে ‘সাজদাহ’ ও ২য় রাক‘আতে সূরায়ে ‘দাহর’ পাঠ করতেন।[60]
দো‘আ চাওয়া :
মুছল্লীদের নিকটে বিশেষ কোন দো‘আ চাওয়ার থাকলে খত্বীব বা ইমামের
মাধ্যমে পূর্বেই সকলকে অবহিত করা উচিত। যাতে সবাই উক্ত মুছল্লীর প্রার্থনা
অনুযায়ী আল্লাহর
নিকটে দো‘আ করতে পারে ও নিজেদের দো‘আর নিয়তের মধ্যে তাকেও শামিল
করতে পারে। কেননা সালাম ফিরানোর মাধ্যমে ছালাত শেষ হয়ে যায়। আর ছালাতের
মধ্যেই দো‘আ কবুল হয়।
বিশেষ করে সিজদার হালতে। কিন্তু সালাম ফিরানোর পর ইমাম ও মুক্তাদী
সম্মিলিতভাবে দো‘আ ও ‘আমীন’ ‘আমীন’ বলার প্রচলিত প্রথাটি রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ)-এর সুন্নাতের
পরিপন্থী।
মুছল্লীদের নিকটে বিশেষ কোন দো‘আ চাওয়ার থাকলে খত্বীব বা ইমামের
মাধ্যমে পূর্বেই সকলকে অবহিত করা উচিত। যাতে সবাই উক্ত মুছল্লীর প্রার্থনা
অনুযায়ী আল্লাহর
নিকটে দো‘আ করতে পারে ও নিজেদের দো‘আর নিয়তের মধ্যে তাকেও শামিল
করতে পারে। কেননা সালাম ফিরানোর মাধ্যমে ছালাত শেষ হয়ে যায়। আর ছালাতের
মধ্যেই দো‘আ কবুল হয়।
বিশেষ করে সিজদার হালতে। কিন্তু সালাম ফিরানোর পর ইমাম ও মুক্তাদী
সম্মিলিতভাবে দো‘আ ও ‘আমীন’ ‘আমীন’ বলার প্রচলিত প্রথাটি রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ)-এর সুন্নাতের
পরিপন্থী।
দো‘আ কবুলের সময়কাল :
বিদ্বানগণ জুম‘আর দিনে দো‘আ কবুলের সঠিক সময়কাল নিয়ে মতভেদ করেছেন।
এই মতভেদের ভিত্তি মূলতঃ আমর বিন আওফ (রাঃ) বর্ণিত তিরমিযীর হাদীছ, যেখানে
‘জামা‘আতের
শুরু থেকে সালাম ফিরানো পর্যন্ত’ সময়কালকে এবং অপরটি আব্দুল্লাহ
বিন সালাম (রাঃ) বর্ণিত হাদীছ, যেখানে ঐ সময়কালকে ‘আছরের ছালাতের পর থেকে
সূর্যাস্ত পর্যন্ত’
বলা হয়েছে।[61] এবিষয়ে বিদ্বানগণের ৪৩টি মতভেদ উল্লেখিত হয়েছে। [62]
বিদ্বানগণ জুম‘আর দিনে দো‘আ কবুলের সঠিক সময়কাল নিয়ে মতভেদ করেছেন।
এই মতভেদের ভিত্তি মূলতঃ আমর বিন আওফ (রাঃ) বর্ণিত তিরমিযীর হাদীছ, যেখানে
‘জামা‘আতের
শুরু থেকে সালাম ফিরানো পর্যন্ত’ সময়কালকে এবং অপরটি আব্দুল্লাহ
বিন সালাম (রাঃ) বর্ণিত হাদীছ, যেখানে ঐ সময়কালকে ‘আছরের ছালাতের পর থেকে
সূর্যাস্ত পর্যন্ত’
বলা হয়েছে।[61] এবিষয়ে বিদ্বানগণের ৪৩টি মতভেদ উল্লেখিত হয়েছে। [62]
তিরমিযীর ভাষ্যকার আহমাদ মুহাম্মাদ শাকির (রহঃ) বলেন, শেষোক্ত
হাদীছের রাবী আব্দুল্লাহ বিন সালাম (রাঃ) এখানে রাসূল (ছাঃ)-এর বক্তব্য
وَهُوَ يُصَلِّيْ
(ছালাতের অবস্থা)- কে يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ (ছালাতের অপেক্ষারত)
বলে ব্যাখ্যা করেছেন।[63]
এতেই বুঝা যায়
যে, তিনি এটা সরাসরি রাসূল (ছাঃ) থেকে শুনেছেন বলে বর্ণনা করেননি।
পক্ষান্তরে আমর বিন আওফ (রাঃ) বর্ণিত তিরমিযী ও ইবনু মাজাহর হাদীছটি মরফূ,
যা ইমাম বুখারী
ও তিরমিযী ‘হাসান’ বলেছেন, সেটি রাসূল (ছাঃ)-এর বক্তব্য وَهُوَ
يُصَلِّيْ (ছালাতরত অবস্থা)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যশীল। আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ)
হ’তে ছহীহ মুসলিমে
বর্ণিত অপর একটি হাদীছ একে শক্তিশালী করে। যেখানে এই সময়কালকে هِيَ
مَا بَيْنَ أَنْ يَّجْلِسَ الْإِمَامُ إِلَى أَنْ تُقْضَى الصَّلاَةُ
‘খত্বীব মিম্বরে বসা
হ’তে ছালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত’ বলা হয়েছে।[64] ইবনুল
‘আরাবী বলেন, এই বক্তব্যটিই অধিকতর সঠিক। কেননা
এ সময়ের সম্পূর্ণটাই ছালাতের অবস্থা। এতে হাদীছে বর্ণিত ‘ছালাতরত
অবস্থায়’ বক্তব্যের সাথে শব্দগত ও অর্থগত উভয় দিক দিয়ে মিল হয়’। বায়হাক্বী,
ইবনুল ‘আরাবী,
কুরতুবী, নববী প্রমুখ এ বক্তব্য সর্মথন করেন।[65] অতএব ‘খতীব মিম্বরে বসা হ’তে সালাম ফিরানো পর্যন্ত
ছালাতরত অবস্থায়’ দো‘আ কবুলের মতটিই ছহীহ হাদীছের অধিকতর নিকটবর্তী।
হাদীছের রাবী আব্দুল্লাহ বিন সালাম (রাঃ) এখানে রাসূল (ছাঃ)-এর বক্তব্য
وَهُوَ يُصَلِّيْ
(ছালাতের অবস্থা)- কে يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ (ছালাতের অপেক্ষারত)
বলে ব্যাখ্যা করেছেন।[63]
এতেই বুঝা যায়
যে, তিনি এটা সরাসরি রাসূল (ছাঃ) থেকে শুনেছেন বলে বর্ণনা করেননি।
পক্ষান্তরে আমর বিন আওফ (রাঃ) বর্ণিত তিরমিযী ও ইবনু মাজাহর হাদীছটি মরফূ,
যা ইমাম বুখারী
ও তিরমিযী ‘হাসান’ বলেছেন, সেটি রাসূল (ছাঃ)-এর বক্তব্য وَهُوَ
يُصَلِّيْ (ছালাতরত অবস্থা)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যশীল। আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ)
হ’তে ছহীহ মুসলিমে
বর্ণিত অপর একটি হাদীছ একে শক্তিশালী করে। যেখানে এই সময়কালকে هِيَ
مَا بَيْنَ أَنْ يَّجْلِسَ الْإِمَامُ إِلَى أَنْ تُقْضَى الصَّلاَةُ
‘খত্বীব মিম্বরে বসা
হ’তে ছালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত’ বলা হয়েছে।[64] ইবনুল
‘আরাবী বলেন, এই বক্তব্যটিই অধিকতর সঠিক। কেননা
এ সময়ের সম্পূর্ণটাই ছালাতের অবস্থা। এতে হাদীছে বর্ণিত ‘ছালাতরত
অবস্থায়’ বক্তব্যের সাথে শব্দগত ও অর্থগত উভয় দিক দিয়ে মিল হয়’। বায়হাক্বী,
ইবনুল ‘আরাবী,
কুরতুবী, নববী প্রমুখ এ বক্তব্য সর্মথন করেন।[65] অতএব ‘খতীব মিম্বরে বসা হ’তে সালাম ফিরানো পর্যন্ত
ছালাতরত অবস্থায়’ দো‘আ কবুলের মতটিই ছহীহ হাদীছের অধিকতর নিকটবর্তী।
ঘুমের প্রতিকার :
দো‘আ কবুলের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অনেক মুছল্লী বিশেষ করে খুৎবার
সময় ঘুমে ঢুলতে থাকে। ফলে তারা খুৎবার কিছুই উপলব্ধি করতে পারেনা। এজন্য এর
প্রতিকার হিসাবে
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, তোমাদের কেউ যখন খুৎবার সময় ঘুমে ঢুলতে
থাকে, তখন সে যেন তার অবস্থান পরিবর্তন করে’। [66] এ বিষয়ে মুছল্লীদের পরস্পরকে সাহায্য করা উচিত।
দো‘আ কবুলের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অনেক মুছল্লী বিশেষ করে খুৎবার
সময় ঘুমে ঢুলতে থাকে। ফলে তারা খুৎবার কিছুই উপলব্ধি করতে পারেনা। এজন্য এর
প্রতিকার হিসাবে
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, তোমাদের কেউ যখন খুৎবার সময় ঘুমে ঢুলতে
থাকে, তখন সে যেন তার অবস্থান পরিবর্তন করে’। [66] এ বিষয়ে মুছল্লীদের পরস্পরকে সাহায্য করা উচিত।
এহ্তিয়াত্বী জুম‘আ
(صلاة الظهر بعد الجمعة احتياطاً)
:
(صلاة الظهر بعد الجمعة احتياطاً)
:
এহ্তিয়াত্বী জুম‘আ বা ‘আখেরী যোহর’ নামে জুম‘আর ছালাতের পরে পুনরায়
যোহরের চার রাক‘আত একই ওয়াক্তে পড়ার যে রেওয়াজ এদেশে চালু আছে, তা
নিঃসন্দেহে বিদ‘আত।
কেননা জুম‘আর পরে যোহর পড়ার কোন দলীল নেই। তাছাড়া যে ব্যক্তি জুম‘আ
পড়ে, তার উপর থেকে যোহরের ফরযিয়াত উঠে যায়। কারণ জুম‘আ হ’ল যোহরের
স্থলাভিষিক্ত। এক্ষণে
যে ব্যক্তি জুম‘আ আদায়ের পর যোহর পড়ে, তার পক্ষে কুরআন, সুন্নাহ
এবং কোন বিদ্বানের সমর্থন নেই।[67] গ্রামে
জুম‘আ হবে কি হবে না, এই সন্দেহে পড়ে কিছু লোক দু’টিই পড়ে থাকে।
যোহরের চার রাক‘আত একই ওয়াক্তে পড়ার যে রেওয়াজ এদেশে চালু আছে, তা
নিঃসন্দেহে বিদ‘আত।
কেননা জুম‘আর পরে যোহর পড়ার কোন দলীল নেই। তাছাড়া যে ব্যক্তি জুম‘আ
পড়ে, তার উপর থেকে যোহরের ফরযিয়াত উঠে যায়। কারণ জুম‘আ হ’ল যোহরের
স্থলাভিষিক্ত। এক্ষণে
যে ব্যক্তি জুম‘আ আদায়ের পর যোহর পড়ে, তার পক্ষে কুরআন, সুন্নাহ
এবং কোন বিদ্বানের সমর্থন নেই।[67] গ্রামে
জুম‘আ হবে কি হবে না, এই সন্দেহে পড়ে কিছু লোক দু’টিই পড়ে থাকে।
কোন কোন দেশে জুম‘আর ছালাতের পরপরই পুনরায় যোহরের জামা‘আত দাঁড়িয়ে
যায়। ভাবখানা এই যে, জুম‘আ কবুল না হ’লে যোহর তো নিশ্চিত। আর যদি জুম‘আ
কবুল হয়, তাহ’লে
যোহরটা নফল হবে ও বাড়তি নেকী পাওয়া যাবে। অথচ সন্দেহের ইবাদতে কোন নেকী হয়
না। বরং স্থির সংকল্প বা নিয়ত হ’ল নেকী পাওয়ার আবশ্যিক পূর্বশর্ত। [68] এই সন্দেহযুক্ত ছালাত এখুনি পরিত্যাজ্য।[69] নইলে
বিদ‘আতী আমলের কারণে গোনাহগার হ’তে হবে।
যায়। ভাবখানা এই যে, জুম‘আ কবুল না হ’লে যোহর তো নিশ্চিত। আর যদি জুম‘আ
কবুল হয়, তাহ’লে
যোহরটা নফল হবে ও বাড়তি নেকী পাওয়া যাবে। অথচ সন্দেহের ইবাদতে কোন নেকী হয়
না। বরং স্থির সংকল্প বা নিয়ত হ’ল নেকী পাওয়ার আবশ্যিক পূর্বশর্ত। [68] এই সন্দেহযুক্ত ছালাত এখুনি পরিত্যাজ্য।[69] নইলে
বিদ‘আতী আমলের কারণে গোনাহগার হ’তে হবে।
আববাসীয় খলীফাদের আমলে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ভ্রান্ত ফের্কা
মু‘তাযিলাগণ এটি চালু করে। যা পরবর্তীকালের কিছু হানাফী আলেমের মাধ্যমে
সুন্নীদের অনেকের মধ্যে
চালু হয়ে যায়। অথচ জুম‘আ আল্লাহ ফরয করেছেন। আর কোন ফরযে সন্দেহ
করা কুফরীর শামিল। অতএব যারা জেনে বুঝে আখেরী যোহরে অভ্যস্ত, তাদের এখুনি
তওবা করা উচিত ও
কেবলমাত্র জুম‘আ আদায় করা কর্তব্য। খোদ হানাফী মাযহাবেও ‘আখেরী
যোহর’ না পড়াকে ‘উত্তম’ বলা হয়েছে।[70]
মু‘তাযিলাগণ এটি চালু করে। যা পরবর্তীকালের কিছু হানাফী আলেমের মাধ্যমে
সুন্নীদের অনেকের মধ্যে
চালু হয়ে যায়। অথচ জুম‘আ আল্লাহ ফরয করেছেন। আর কোন ফরযে সন্দেহ
করা কুফরীর শামিল। অতএব যারা জেনে বুঝে আখেরী যোহরে অভ্যস্ত, তাদের এখুনি
তওবা করা উচিত ও
কেবলমাত্র জুম‘আ আদায় করা কর্তব্য। খোদ হানাফী মাযহাবেও ‘আখেরী
যোহর’ না পড়াকে ‘উত্তম’ বলা হয়েছে।[70]
জুম‘আর সুন্নাত
(سنن الجمعة)
:
জুম‘আর পূর্বে নির্দিষ্ট কোন সুনণাত ছালাত নেই। মুছল্লী কেবল
‘তাহিইয়াতুল মাসজিদ’ দু’রাক‘আত পড়ে বসবে। অতঃপর সময় পেলে খত্বীব মিম্বরে
বসার আগ পর্যন্ত যত
খুশী নফল ছালাত আদায় করবে। জুম‘আর ছালাতের পরে মসজিদে চার রাক‘আত
অথবা বাড়ীতে দু’রাক‘আত সুন্নাত আদায় করবে। তবে মসজিদেও চার বা দুই কিংবা
দুই ও চার মোট ছয়
রাক‘আত সুন্নাত ও নফল পড়া যায়।[71] ইবনু ওমর (রাঃ) চার রাক‘আত সুন্নাত এক সালামে পড়তেন। তবে দুই
সালামেও পড়া যায়।[72] জুম‘আর (খুৎবার) পূর্বে এক সালামে চার রাক‘আত পড়ার হাদীছটি ‘যঈফ’। [73]
(سنن الجمعة)
:
জুম‘আর পূর্বে নির্দিষ্ট কোন সুনণাত ছালাত নেই। মুছল্লী কেবল
‘তাহিইয়াতুল মাসজিদ’ দু’রাক‘আত পড়ে বসবে। অতঃপর সময় পেলে খত্বীব মিম্বরে
বসার আগ পর্যন্ত যত
খুশী নফল ছালাত আদায় করবে। জুম‘আর ছালাতের পরে মসজিদে চার রাক‘আত
অথবা বাড়ীতে দু’রাক‘আত সুন্নাত আদায় করবে। তবে মসজিদেও চার বা দুই কিংবা
দুই ও চার মোট ছয়
রাক‘আত সুন্নাত ও নফল পড়া যায়।[71] ইবনু ওমর (রাঃ) চার রাক‘আত সুন্নাত এক সালামে পড়তেন। তবে দুই
সালামেও পড়া যায়।[72] জুম‘আর (খুৎবার) পূর্বে এক সালামে চার রাক‘আত পড়ার হাদীছটি ‘যঈফ’। [73]
জুম‘আ বিষয়ে অন্যান্য জ্ঞাতব্য
(معلومات أخرى فى الجمعة)
:
(معلومات أخرى فى الجمعة)
:
(১)
বাধ্যগত কারণে জুম‘আ পড়তে অপারগ হ’লে যোহর পড়বে।[74] সফরে থাকলে ক্বছর করবে। মুসাফির একাধিক হ’লে জামা‘আতের
সাথে ক্বছর পড়বে।[75]
(২) জুম‘আর ছালাত ইমামের সাথে এক রাক‘আত পেলে বাকী আরেক রাক‘আত যোগ করে পূরা
পড়ে নিবে।[76]
বাধ্যগত কারণে জুম‘আ পড়তে অপারগ হ’লে যোহর পড়বে।[74] সফরে থাকলে ক্বছর করবে। মুসাফির একাধিক হ’লে জামা‘আতের
সাথে ক্বছর পড়বে।[75]
(২) জুম‘আর ছালাত ইমামের সাথে এক রাক‘আত পেলে বাকী আরেক রাক‘আত যোগ করে পূরা
পড়ে নিবে।[76]
(৩)
কিন্তু রুকূ না পেলে এবং শেষ বৈঠকে যোগ দিলে চার রাক‘আত পড়বে’।[77] অর্থাৎ জুম‘আর নিয়তে ছালাতে যোগদান করবে
এবং যোহর হিসাবে শেষ করবে।[78] ‘এর মাধ্যমে সে জামা‘আতে যোগদানের পূরা নেকী পাবে’। [79] অবশ্য রুকূ পাওয়ার সাথে সাথে তাকে ক্বিয়াম ও ক্বিরাআতে ফাতিহা পেতে হবে। কেননা ‘সূরা ফাতিহা ব্যতীত
ছালাত সিদ্ধ হয় না’।[80] উল্লেখ্য যে, ‘যে ব্যক্তি তাশাহহুদ পেল, সে ব্যক্তি ছালাত পেল’ মর্মে মুছান্নাফ
ইবনু আবী শায়বাহ-তে ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বর্ণিত আছারটি যঈফ।[81]
(৪) খত্বীব মিম্বরে বসার পর মুছল্লীগণ
দ্রুত কাছাকাছি চলে আসবে ও খত্বীবের মুখোমুখি হয়ে বসবে। কেননা
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত দূরে বসবে, সে ব্যক্তি
জান্নাতে গেলেও দেরীতে
প্রবেশ করবে।[82]
কিন্তু রুকূ না পেলে এবং শেষ বৈঠকে যোগ দিলে চার রাক‘আত পড়বে’।[77] অর্থাৎ জুম‘আর নিয়তে ছালাতে যোগদান করবে
এবং যোহর হিসাবে শেষ করবে।[78] ‘এর মাধ্যমে সে জামা‘আতে যোগদানের পূরা নেকী পাবে’। [79] অবশ্য রুকূ পাওয়ার সাথে সাথে তাকে ক্বিয়াম ও ক্বিরাআতে ফাতিহা পেতে হবে। কেননা ‘সূরা ফাতিহা ব্যতীত
ছালাত সিদ্ধ হয় না’।[80] উল্লেখ্য যে, ‘যে ব্যক্তি তাশাহহুদ পেল, সে ব্যক্তি ছালাত পেল’ মর্মে মুছান্নাফ
ইবনু আবী শায়বাহ-তে ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বর্ণিত আছারটি যঈফ।[81]
(৪) খত্বীব মিম্বরে বসার পর মুছল্লীগণ
দ্রুত কাছাকাছি চলে আসবে ও খত্বীবের মুখোমুখি হয়ে বসবে। কেননা
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত দূরে বসবে, সে ব্যক্তি
জান্নাতে গেলেও দেরীতে
প্রবেশ করবে।[82]
(৫)
খুৎবার সময় মুছল্লীদের তিনমাথা হয়ে (الْحَبْوَة) অর্থাৎ দু’পা উঁচু করে দু’হাটুতে মাথা রেখে বসা নিষেধ।[83]
খুৎবার সময় মুছল্লীদের তিনমাথা হয়ে (الْحَبْوَة) অর্থাৎ দু’পা উঁচু করে দু’হাটুতে মাথা রেখে বসা নিষেধ।[83]
(৬) পিছনে এসে সামনের মুছল্লীদের ডিঙিয়ে যাওয়া উচিত নয়। বরং সেখানেই বসে পড়বে।[84] (৭) জুম‘আ
সহ কোন বৈঠকেই কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসতে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন।[85] তবে সকলকে বলবে,
إِفْسَحُوْا ‘আপনারা জায়গা ছেড়ে দিন’।[86]
(৮)
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, জুম‘আতে তিন ধরনের লোক আসে। (ক) যে ব্যক্তি
অনর্থক আসে, সে তাই পায় (খ) যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনার জন্য
আসে। আল্লাহ
চাইলে তাকে দেন, অথবা না দেন (গ) যে ব্যক্তি নীরবে আসে এবং কারু
ঘাড় মটকায় না ও কষ্ট দেয় না, তার জন্য এই জুম‘আ তার পরবর্তী জুম‘আ এমনকি
তার পরের তিনদিনের
(ছগীরা) গোনাহ সমূহের কাফফারা হয়ে থাকে। এ কারণেই আল্লাহ বলেছেন,
‘যে ব্যক্তি একটি নেকীর কাজ করে, তার জন্য দশগুণ প্রতিদান রয়েছে’ (আন‘আম ৬/১৬০)।[87]
সহ কোন বৈঠকেই কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসতে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন।[85] তবে সকলকে বলবে,
إِفْسَحُوْا ‘আপনারা জায়গা ছেড়ে দিন’।[86]
(৮)
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, জুম‘আতে তিন ধরনের লোক আসে। (ক) যে ব্যক্তি
অনর্থক আসে, সে তাই পায় (খ) যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনার জন্য
আসে। আল্লাহ
চাইলে তাকে দেন, অথবা না দেন (গ) যে ব্যক্তি নীরবে আসে এবং কারু
ঘাড় মটকায় না ও কষ্ট দেয় না, তার জন্য এই জুম‘আ তার পরবর্তী জুম‘আ এমনকি
তার পরের তিনদিনের
(ছগীরা) গোনাহ সমূহের কাফফারা হয়ে থাকে। এ কারণেই আল্লাহ বলেছেন,
‘যে ব্যক্তি একটি নেকীর কাজ করে, তার জন্য দশগুণ প্রতিদান রয়েছে’ (আন‘আম ৬/১৬০)।[87]
[1]
. মির‘আত ২/২৮৮; ঐ, ৪/৪৫১; ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ২/২১১।
. মির‘আত ২/২৮৮; ঐ, ৪/৪৫১; ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ২/২১১।
[2]
. ইবনু মাজাহ হা/১০৮২; সীরাতে ইবনে হিশাম ১/৪৯৪; যা-দুল মা‘আ-দ ১/৯৮।
. ইবনু মাজাহ হা/১০৮২; সীরাতে ইবনে হিশাম ১/৪৯৪; যা-দুল মা‘আ-দ ১/৯৮।
[3]
. ইবনু মাজাহ হা/১০৮২; আবুদাঊদ হা/১০৬৯ সনদ ‘হাসান’।
সীরাতে ইবনে হিশাম ১/৪৩৫; যা-দুল মা‘আ-দ ১/৩৬১; নায়ল ৪/১৫৭-৫৮; মির‘আত
৪/৪২০। ১১ নববী বর্ষের
হজ্জের মওসুমে (জুলাই ৬২০ খৃ:) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর হাতে
সর্বপ্রথম বায়‘আতকারী ৬ জন যুবকের কনিষ্ঠতম নেতা, যার নেতৃত্বে মদীনায়
সর্বপ্রথম ইসলাম
প্রচারিত হয় এবং পরবর্তী দু’বছরে ৭৩ জন পুরুষ ও ২ জন নারী
মক্কায় এসে বায়‘আত গ্রহণ করেন। অতঃপর ১৪শ নববী বর্ষের রবীউল আউয়াল মাসে
(সেপ্টেম্বর ৬২২)
হিজরত সংঘটিত হয় এবং ১ম হিজরী সনেই শাওয়াল মাসে অল্প বয়সে
তাঁর মৃত্যু হয় ও বাক্বী‘ গোরস্থানে ১ম ছাহাবী হিসাবে কবরস্থ হন
=আল-ইছাবাহ, ক্রমিক সংখ্যা
১১১।
. ইবনু মাজাহ হা/১০৮২; আবুদাঊদ হা/১০৬৯ সনদ ‘হাসান’।
সীরাতে ইবনে হিশাম ১/৪৩৫; যা-দুল মা‘আ-দ ১/৩৬১; নায়ল ৪/১৫৭-৫৮; মির‘আত
৪/৪২০। ১১ নববী বর্ষের
হজ্জের মওসুমে (জুলাই ৬২০ খৃ:) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর হাতে
সর্বপ্রথম বায়‘আতকারী ৬ জন যুবকের কনিষ্ঠতম নেতা, যার নেতৃত্বে মদীনায়
সর্বপ্রথম ইসলাম
প্রচারিত হয় এবং পরবর্তী দু’বছরে ৭৩ জন পুরুষ ও ২ জন নারী
মক্কায় এসে বায়‘আত গ্রহণ করেন। অতঃপর ১৪শ নববী বর্ষের রবীউল আউয়াল মাসে
(সেপ্টেম্বর ৬২২)
হিজরত সংঘটিত হয় এবং ১ম হিজরী সনেই শাওয়াল মাসে অল্প বয়সে
তাঁর মৃত্যু হয় ও বাক্বী‘ গোরস্থানে ১ম ছাহাবী হিসাবে কবরস্থ হন
=আল-ইছাবাহ, ক্রমিক সংখ্যা
১১১।
[4]
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৫৪ ‘জুম‘আ’ অনুচ্ছেদ-৪২; মির‘আত ৪/৪২১ পৃঃ ।
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৫৪ ‘জুম‘আ’ অনুচ্ছেদ-৪২; মির‘আত ৪/৪২১ পৃঃ ।
[5]
. মির‘আত ৪/৪১৯-২১ পৃঃ; ইবনু কাছীর, তাফসীর সূরা আ‘রাফ ৫৪।
. মির‘আত ৪/৪১৯-২১ পৃঃ; ইবনু কাছীর, তাফসীর সূরা আ‘রাফ ৫৪।
[6]
. ইবনু মাজাহ হা/১০৮২ ‘ছালাতে দাঁড়ানো’ অধ্যায়-৫, ‘জুম‘আ
ফরয হওয়া’ অনুচ্ছেদ-৭৮; আবুদাঊদ হা/১০৬৯ ‘ছালাত’ অধ্যায়-২, ‘গ্রামে জুম‘আ’
অনুচ্ছেদ-২১৬।
. ইবনু মাজাহ হা/১০৮২ ‘ছালাতে দাঁড়ানো’ অধ্যায়-৫, ‘জুম‘আ
ফরয হওয়া’ অনুচ্ছেদ-৭৮; আবুদাঊদ হা/১০৬৯ ‘ছালাত’ অধ্যায়-২, ‘গ্রামে জুম‘আ’
অনুচ্ছেদ-২১৬।
[7]
. জুম‘আ ৬২/৯; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২২৫।
. জুম‘আ ৬২/৯; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২২৫।
[8]
. আবুদাঊদ, দারাকুৎনী, মিশকাত হা/১৩৭৭, ১৩৮০ ‘জুম‘আ ওয়াজিব
হওয়া’ অনুচ্ছেদ-৪৩; ইরওয়া হা/৫৯২, ৩/৫৪, ৫৮; আর-রওযাতুন নাদিইয়াহ ১/৩৪১
পৃঃ।
. আবুদাঊদ, দারাকুৎনী, মিশকাত হা/১৩৭৭, ১৩৮০ ‘জুম‘আ ওয়াজিব
হওয়া’ অনুচ্ছেদ-৪৩; ইরওয়া হা/৫৯২, ৩/৫৪, ৫৮; আর-রওযাতুন নাদিইয়াহ ১/৩৪১
পৃঃ।
[9]
. মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/৫১০৮; ইরওয়া ৩/৬৬,
হা/৫৯৯-এর শেষে; ফাৎহুল বারী হা/৮৯২-এর আলোচনা দ্র: ২/৪৪১, ‘জুম‘আ’
অধ্যায়-১১, অনুচ্ছেদ-১১।
. মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/৫১০৮; ইরওয়া ৩/৬৬,
হা/৫৯৯-এর শেষে; ফাৎহুল বারী হা/৮৯২-এর আলোচনা দ্র: ২/৪৪১, ‘জুম‘আ’
অধ্যায়-১১, অনুচ্ছেদ-১১।
[10]
. নায়লুল আওত্বার ৪/১৫৯-৬১; মির‘আত ২/২৮৮-৮৯; ঐ, ৪/৪৪৯-৫০।
. নায়লুল আওত্বার ৪/১৫৯-৬১; মির‘আত ২/২৮৮-৮৯; ঐ, ৪/৪৪৯-৫০।
[11]
. ছিদ্দীক্ব হাসান খান ভূপালী, আর-রওযাতুন নাদিইয়াহ ১/৩৪২ পৃঃ।
. ছিদ্দীক্ব হাসান খান ভূপালী, আর-রওযাতুন নাদিইয়াহ ১/৩৪২ পৃঃ।
[12]
. মুওয়াত্ত্বা, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৩৯৮ ‘ছালাত’
অধ্যায়-৪, ‘পরিচ্ছন্নতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন’ অনুচ্ছেদ-৪৪।
. মুওয়াত্ত্বা, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৩৯৮ ‘ছালাত’
অধ্যায়-৪, ‘পরিচ্ছন্নতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন’ অনুচ্ছেদ-৪৪।
[13]
. বুখারী, মিশকাত হা/১৩৮১, অনুচ্ছেদ-৪৪।
. বুখারী, মিশকাত হা/১৩৮১, অনুচ্ছেদ-৪৪।
[14]
. নাসাঈ হা/৬৬১; আহমাদ, মিশকাত হা/১১০৪; ছহীহুল জামে‘ হা/১৮৩৯, ৪২।
. নাসাঈ হা/৬৬১; আহমাদ, মিশকাত হা/১১০৪; ছহীহুল জামে‘ হা/১৮৩৯, ৪২।
[15]
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৭০৪ ‘মসজিদ ও ছালাতের স্থানসমূহ’ অনুচ্ছেদ-৭।
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৭০৪ ‘মসজিদ ও ছালাতের স্থানসমূহ’ অনুচ্ছেদ-৭।
[16]
. মুসলিম, মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৩৫৮, ১৩৮৪, ৮৭।
. মুসলিম, মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৩৫৮, ১৩৮৪, ৮৭।
[17]
. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৮১-৮২; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২৩৬।
. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৮১-৮২; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২৩৬।
[18]
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৪১১ ‘খুৎবা ও ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৪৫; আবুদাঊদ হা/১১১৬।
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৪১১ ‘খুৎবা ও ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৪৫; আবুদাঊদ হা/১১১৬।
[19]
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৭৮ ‘জুম‘আ ওয়াজিব হওয়া’ অনুচ্ছেদ-৪৩।
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৭৮ ‘জুম‘আ ওয়াজিব হওয়া’ অনুচ্ছেদ-৪৩।
[20]
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৭০, অনুচ্ছেদ-৪৩।
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৭০, অনুচ্ছেদ-৪৩।
[21]
. আবু ইয়া‘লা, ছহীহ আত-তারগীব হা/৭৩৩; আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩৭১।
. আবু ইয়া‘লা, ছহীহ আত-তারগীব হা/৭৩৩; আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩৭১।
[22]
. ছহীহ ইবনু খুযায়মা হা/১৮৫৭; ছহীহ আত-তারগীব হা/৭২৬-২৮; মির‘আত ৪/৪৪৬।
. ছহীহ ইবনু খুযায়মা হা/১৮৫৭; ছহীহ আত-তারগীব হা/৭২৬-২৮; মির‘আত ৪/৪৪৬।
[23]
. ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৩৬৩ ‘জুম‘আ’ অনুচ্ছেদ-৪২।
. ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৩৬৩ ‘জুম‘আ’ অনুচ্ছেদ-৪২।
[24]
. আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩৬৭ ‘জুম‘আ’ অনুচ্ছেদ-৪২।
. আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩৬৭ ‘জুম‘আ’ অনুচ্ছেদ-৪২।
[25]
. আবুদাঊদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৩৬১, ১৩৬৩।
. আবুদাঊদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৩৬১, ১৩৬৩।
[26]
. মুসলিম, আবুদাঊদ, মুওয়াত্ত্বা, মিশকাত হা/১৩৫৬-৫৯ ও ১৩৬১
‘জুম‘আ’ অনুচ্ছেদ-৪২; তিরমিযী হা/৪৯০-৯১, শরহ আহমাদ মুহাম্মাদ শাকির
(বৈরূত ছাপা
১৪০৮/১৯৮৭) ২/৩৬১ ও ৩৬৩-৬৪ পৃঃ।
. মুসলিম, আবুদাঊদ, মুওয়াত্ত্বা, মিশকাত হা/১৩৫৬-৫৯ ও ১৩৬১
‘জুম‘আ’ অনুচ্ছেদ-৪২; তিরমিযী হা/৪৯০-৯১, শরহ আহমাদ মুহাম্মাদ শাকির
(বৈরূত ছাপা
১৪০৮/১৯৮৭) ২/৩৬১ ও ৩৬৩-৬৪ পৃঃ।
[27]
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৫৭, ‘জুম‘আ অনুচ্ছেদ-৪২।
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৫৭, ‘জুম‘আ অনুচ্ছেদ-৪২।
[28]
. তিরমিযী হা/৪৮৯; মিশকাত হা/১৩৬০, ‘জুম‘আ’ অনুচ্ছেদ-৪২।
. তিরমিযী হা/৪৮৯; মিশকাত হা/১৩৬০, ‘জুম‘আ’ অনুচ্ছেদ-৪২।
[29]
. ইবনুল ক্বাইয়িম, যা-দুল মা‘আদ ১/৩৮৬।
. ইবনুল ক্বাইয়িম, যা-দুল মা‘আদ ১/৩৮৬।
[30]
. মুসলিম, মিশকাত হা/৮৯৪ ‘সিজদা ও তার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ-১৪;
ঐ, হা/৮১৩ ‘তাকবীরের পর যা পড়তে হয়’ অনুচ্ছেদ-১১; মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন
হা/১৪২৪/১৭,
(বৈরূত ছাপা ১৪০৯/১৯৮৯) পৃঃ ৫৩৭।
. মুসলিম, মিশকাত হা/৮৯৪ ‘সিজদা ও তার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ-১৪;
ঐ, হা/৮১৩ ‘তাকবীরের পর যা পড়তে হয়’ অনুচ্ছেদ-১১; মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন
হা/১৪২৪/১৭,
(বৈরূত ছাপা ১৪০৯/১৯৮৯) পৃঃ ৫৩৭।
[31]
. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৮১-৮২, পরিচ্ছন্নতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে যাওয়া, অনুচ্ছেদ-৪৪।
. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৮১-৮২, পরিচ্ছন্নতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে যাওয়া, অনুচ্ছেদ-৪৪।
[32]
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৮৪, অনুচ্ছেদ-৪৪।
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৮৪, অনুচ্ছেদ-৪৪।
[33]
. তিরমিযী, আবুদাঊদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৩৮৮; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২৩৬; মির‘আত ৪/৪৭১।
. তিরমিযী, আবুদাঊদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৩৮৮; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২৩৬; মির‘আত ৪/৪৭১।
[34]
. বুখারী, মিশকাত হা/১৪০৪ ‘খুৎবা ও ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৪৫;
ফাৎহ ২/৪৫৮। ‘যাওরা বাজার’ বর্তমানে মসজিদে নববীর আঙিনার অন্তর্ভুক্ত।
. বুখারী, মিশকাত হা/১৪০৪ ‘খুৎবা ও ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৪৫;
ফাৎহ ২/৪৫৮। ‘যাওরা বাজার’ বর্তমানে মসজিদে নববীর আঙিনার অন্তর্ভুক্ত।
[35]
. মির‘আত ২/৩০৭; ঐ, ৪/৪৯২। উল্লেখ্য যে, যিয়াদ বিন আবীহি
ছিলেন মু‘আবিয়া (৪১-৬০/৬৬১-৬৮০ খৃঃ)-এর আমলে বছরার গভর্ণর। অন্যদিকে উমাইয়া
খলীফা আব্দুল
মালেক ইবনে মারওয়ানের আমলে (৬৫-৮৬/৬৮৫-৭০৫ খৃঃ) তার
সেনাপতি হাজ্জাজ বিন ইউসুফের হাতে হেজায, ইরাক, মিসর ও সিরিয়ার কিছু
অঞ্চলের ধর্মপ্রাণ খলীফা
(৬৪-৭৩ হিঃ) আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের (১-৭৩ হিঃ) মক্কায়
শহীদ হ’লে হাজ্জাজ (৪০-৯৫/৬৬০-৭১৪ খৃঃ) মক্কার শাসক নিযুক্ত হন।
. মির‘আত ২/৩০৭; ঐ, ৪/৪৯২। উল্লেখ্য যে, যিয়াদ বিন আবীহি
ছিলেন মু‘আবিয়া (৪১-৬০/৬৬১-৬৮০ খৃঃ)-এর আমলে বছরার গভর্ণর। অন্যদিকে উমাইয়া
খলীফা আব্দুল
মালেক ইবনে মারওয়ানের আমলে (৬৫-৮৬/৬৮৫-৭০৫ খৃঃ) তার
সেনাপতি হাজ্জাজ বিন ইউসুফের হাতে হেজায, ইরাক, মিসর ও সিরিয়ার কিছু
অঞ্চলের ধর্মপ্রাণ খলীফা
(৬৪-৭৩ হিঃ) আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের (১-৭৩ হিঃ) মক্কায়
শহীদ হ’লে হাজ্জাজ (৪০-৯৫/৬৬০-৭১৪ খৃঃ) মক্কার শাসক নিযুক্ত হন।
[36]
. তাফসীরে জালালায়েন, ৪৬০ পৃঃ, টীকা ১৯; কুরতুবী ১৮/১০০ পৃঃ, তাফসীর সূরা জুম‘আ, ৯ আয়াত।
. তাফসীরে জালালায়েন, ৪৬০ পৃঃ, টীকা ১৯; কুরতুবী ১৮/১০০ পৃঃ, তাফসীর সূরা জুম‘আ, ৯ আয়াত।
[37]
. মির‘ক্বাত শরহ মিশকাত (দিল্লী ছাপা : তাবি) ৩/২৬৩।
. মির‘ক্বাত শরহ মিশকাত (দিল্লী ছাপা : তাবি) ৩/২৬৩।
[38]
. ‘আওনুল মা‘বূদ শরহ আবুদাঊদ (কায়রো : ১৪০৭/১৯৮৭) ৩/৪৩৩-৩৪ পৃঃ, হা/১০৭৪-৭৫-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ।
. ‘আওনুল মা‘বূদ শরহ আবুদাঊদ (কায়রো : ১৪০৭/১৯৮৭) ৩/৪৩৩-৩৪ পৃঃ, হা/১০৭৪-৭৫-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ।
[39]
. ‘মিম্বরের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আযান দেওয়ার রেওয়াজ রাসূলের
যামানা থেকে নিয়মিতভাবে (بذلك جرى التوارث) চলে আসছে’ বলে প্রসিদ্ধ হানাফী
ফিক্বহ গ্রন্থ
‘হেদায়া’-র লেখক যে দাবী করেছেন, তা একেবারেই বাতিল ও
ভিত্তিহীন। দ্রঃ ‘আওনুল মা‘বূদ হা/১০৭৫-এর আলোচনা, ৩/৪৩৪-৩৭।
. ‘মিম্বরের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আযান দেওয়ার রেওয়াজ রাসূলের
যামানা থেকে নিয়মিতভাবে (بذلك جرى التوارث) চলে আসছে’ বলে প্রসিদ্ধ হানাফী
ফিক্বহ গ্রন্থ
‘হেদায়া’-র লেখক যে দাবী করেছেন, তা একেবারেই বাতিল ও
ভিত্তিহীন। দ্রঃ ‘আওনুল মা‘বূদ হা/১০৭৫-এর আলোচনা, ৩/৪৩৪-৩৭।
[40]
. ولم يثبت حرف واحد فى الأذان مستقبل الإمام محاذيًا به
عند المنبر ‘আওনুল মা‘বূদ ৩/৪৩৭, হা/১০৭৫-এর ব্যাখ্যা, ‘জুম‘আর দিনে আহবান’
অনুচ্ছেদ-২২২।
. ولم يثبت حرف واحد فى الأذان مستقبل الإمام محاذيًا به
عند المنبر ‘আওনুল মা‘বূদ ৩/৪৩৭, হা/১০৭৫-এর ব্যাখ্যা, ‘জুম‘আর দিনে আহবান’
অনুচ্ছেদ-২২২।
[41]
. ত্বাবারাণী কাবীর হা/১০২৪০; ছহীহুল জামে‘ হা/২২৩৪।
. ত্বাবারাণী কাবীর হা/১০২৪০; ছহীহুল জামে‘ হা/২২৩৪।
[42]
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০৫; আর-রওযাতুন নাদিইয়াহ ১/৩৪৫।
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০৫; আর-রওযাতুন নাদিইয়াহ ১/৩৪৫।
[43]
. ইবনু মাজাহ হা/১১০৯; ছহীহাহ হা/২০৭৬।
. ইবনু মাজাহ হা/১১০৯; ছহীহাহ হা/২০৭৬।
[44]
. ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২৩০; নায়ল ৪/২০১।
. ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২৩০; নায়ল ৪/২০১।
[45]
. আবুদাঊদ হা/১০৯৬; ইরওয়া হা/৬১৬, ৩/৭৮, ৯৯; নায়ল ৪/২১২।
. আবুদাঊদ হা/১০৯৬; ইরওয়া হা/৬১৬, ৩/৭৮, ৯৯; নায়ল ৪/২১২।
[46]
. জুম‘আ ৬২/১১; মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০৫, ১৫, ১৬ ‘খুৎবা ও
ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৪৫; নাসাঈ হা/১৪১৮, ‘২য় খুৎবায় ক্বিরাআত ও যিকর’
অনুচ্ছেদ-৩৫; আহমাদ,
ত্বাবারাণী, ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২৩৪; মির‘আত ২/৩০৮; ঐ,
৪/৪৯৪, ৫০৮-০৯।
. জুম‘আ ৬২/১১; মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০৫, ১৫, ১৬ ‘খুৎবা ও
ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৪৫; নাসাঈ হা/১৪১৮, ‘২য় খুৎবায় ক্বিরাআত ও যিকর’
অনুচ্ছেদ-৩৫; আহমাদ,
ত্বাবারাণী, ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২৩৪; মির‘আত ২/৩০৮; ঐ,
৪/৪৯৪, ৫০৮-০৯।
[47]
. নাসাঈ হা/১৪১৭-১৮, তিরমিযী হা/৫০৬, ‘জুম‘আ’ অধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-১১।
. নাসাঈ হা/১৪১৭-১৮, তিরমিযী হা/৫০৬, ‘জুম‘আ’ অধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-১১।
[48]
. মির‘আত ২/৩০৮, ৩১০; ঐ, ৪/৪৯৪, ৪৯৮-৯৯; মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০৯, অনুচ্ছেদ-৪৫।
. মির‘আত ২/৩০৮, ৩১০; ঐ, ৪/৪৯৪, ৪৯৮-৯৯; মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০৯, অনুচ্ছেদ-৪৫।
[49]
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০৫-০৬ ‘খুৎবা ও ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৪৫।
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০৫-০৬ ‘খুৎবা ও ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৪৫।
[50]
. মুসলিম হা/৭২৬৭ (২৮৯২), ‘ফিতান’ অধ্যায়-৫২, অনুচ্ছেদ-৬; মির‘আত ৪/৪৯৬।
. মুসলিম হা/৭২৬৭ (২৮৯২), ‘ফিতান’ অধ্যায়-৫২, অনুচ্ছেদ-৬; মির‘আত ৪/৪৯৬।
[51]
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৪১১; ‘খুৎবা ও ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৪৫; নায়ল ৪/১৯৩।
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৪১১; ‘খুৎবা ও ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৪৫; নায়ল ৪/১৯৩।
[52]
. তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২১২ ‘ইলম’ অধ্যায়-২।
. তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২১২ ‘ইলম’ অধ্যায়-২।
[53]
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০৭; মির‘আত ২/৩০৯; ঐ, ৪/৪৯৬-৯৭।
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০৭; মির‘আত ২/৩০৯; ঐ, ৪/৪৯৬-৯৭।
[54]
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০৫; মির‘আত হা/১৪১৮-এর আলোচনা দ্রঃ, ৪/৪৯৪-৯৫।
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০৫; মির‘আত হা/১৪১৮-এর আলোচনা দ্রঃ, ৪/৪৯৪-৯৫।
[55]
. তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৬৫৯ ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায়-২৫, ‘সালাম’ অনুচ্ছেদ-১।
. তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৬৫৯ ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায়-২৫, ‘সালাম’ অনুচ্ছেদ-১।
[56]
. নওয়াব ছিদ্দীক হাসান খান ভূপালী, আর-রওযাতুন নাদিইয়াহ ১/৩৪৫।
. নওয়াব ছিদ্দীক হাসান খান ভূপালী, আর-রওযাতুন নাদিইয়াহ ১/৩৪৫।
[57]
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৮৫ ‘পরিচ্ছন্নতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন’ অনুচ্ছেদ-৪৪।
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৮৫ ‘পরিচ্ছন্নতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন’ অনুচ্ছেদ-৪৪।
[58]
. মুসলিম, মিশকাত হা/৮৩৯-৪০ ‘ছালাতে ক্বিরাআত’ অনুচ্ছেদ-১২।
. মুসলিম, মিশকাত হা/৮৩৯-৪০ ‘ছালাতে ক্বিরাআত’ অনুচ্ছেদ-১২।
[59]
. আবুদাঊদ হা/৮১৮, ৮২০, ৮৫৯।
. আবুদাঊদ হা/৮১৮, ৮২০, ৮৫৯।
[60]
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৮৩৮।
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৮৩৮।
[61]
. তিরমিযী হা/৪৮৯; ঐ, মিশকাত হা/১৩৬০; তুহফা হা/৪৮৮-৮৯।
. তিরমিযী হা/৪৮৯; ঐ, মিশকাত হা/১৩৬০; তুহফা হা/৪৮৮-৮৯।
[62]
. শাওকানী, নায়লুল আওত্বার ৪/১৭২-৭৬।
. শাওকানী, নায়লুল আওত্বার ৪/১৭২-৭৬।
[63]
. তিরমিযী হা/৪৯১; আবুদাঊদ হা/১০৪৬; মুওয়াত্ত্বা, নাসাঈ, মিশকাত হা/১৩৫৯ ‘জুম‘আ’ অনুচ্ছেদ-৪২।
. তিরমিযী হা/৪৯১; আবুদাঊদ হা/১০৪৬; মুওয়াত্ত্বা, নাসাঈ, মিশকাত হা/১৩৫৯ ‘জুম‘আ’ অনুচ্ছেদ-৪২।
[64]
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৫৮, ‘জুম‘আ’ অনুচ্ছেদ-৪২।
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৫৮, ‘জুম‘আ’ অনুচ্ছেদ-৪২।
[65]
. আহমাদ মুহাম্মাদ শাকির, শরহ তিরমিযী ২/৩৬৩-৬৪, হা/৪৯০-৯১।
. আহমাদ মুহাম্মাদ শাকির, শরহ তিরমিযী ২/৩৬৩-৬৪, হা/৪৯০-৯১।
[66]
. তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩৯৪ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-৪৪।
. তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩৯৪ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-৪৪।
[67]
. সাইয়িদ সাবিক্ব, ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২২৭।
. সাইয়িদ সাবিক্ব, ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২২৭।
[68]
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মুক্বাদ্দামা মিশকাত হা/১।
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মুক্বাদ্দামা মিশকাত হা/১।
[69]
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, আহমাদ প্রভৃতি, মিশকাত হা/২৭৬২, ২৭৭৩ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়-১১।
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, আহমাদ প্রভৃতি, মিশকাত হা/২৭৬২, ২৭৭৩ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়-১১।
[70]
. দ্রঃ দুর্রে মুখতার ১/৩৬৭; হাক্বীক্বাতুল ফিক্বহ
(বোম্বাই : তাবি; সংশোধনে : দাঊদ রায), ২৫৩ পৃঃ; ফাতাওয়া নাযীরিয়াহ (দিল্লী
: ১৪০৯/১৯৮৮),
১/৫৭৫-৮০।
. দ্রঃ দুর্রে মুখতার ১/৩৬৭; হাক্বীক্বাতুল ফিক্বহ
(বোম্বাই : তাবি; সংশোধনে : দাঊদ রায), ২৫৩ পৃঃ; ফাতাওয়া নাযীরিয়াহ (দিল্লী
: ১৪০৯/১৯৮৮),
১/৫৭৫-৮০।
[71]
. মুসলিম, মিশকাত হা/১১৬৬ ‘সুন্নাত ছালাত সমূহ ও তার
ফযীলত’ অনুচ্ছেদ-৩০; তিরমিযী হা/৫২২-২৩ ‘জুম‘আ’ অধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-২৪;
মির‘আত ২/১৪৮; ঐ,
৪/১৪২-৪৩।
. মুসলিম, মিশকাত হা/১১৬৬ ‘সুন্নাত ছালাত সমূহ ও তার
ফযীলত’ অনুচ্ছেদ-৩০; তিরমিযী হা/৫২২-২৩ ‘জুম‘আ’ অধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-২৪;
মির‘আত ২/১৪৮; ঐ,
৪/১৪২-৪৩।
[72]
. মির‘আত ৪/২৫৭-৫৮।
. মির‘আত ৪/২৫৭-৫৮।
[73]
. ইবনু মাজাহ হা/১১২৯ ‘ছালাত’ অধ্যায়-২, ‘জুম‘আর পূর্বে ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৯৪।
. ইবনু মাজাহ হা/১১২৯ ‘ছালাত’ অধ্যায়-২, ‘জুম‘আর পূর্বে ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৯৪।
[74]
. ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২২৬-২৭।
. ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২২৬-২৭।
[75]
. ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২২৬; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৩৪, ‘সফরে ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৪১।
. ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২২৬; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৩৪, ‘সফরে ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৪১।
[76]
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৪১২, ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, ‘খুৎবা ও ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৪৫।
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৪১২, ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, ‘খুৎবা ও ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৪৫।
[77]
. মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ, বায়হাক্বী ৩/২০৪; ত্বাবারাণী কাবীর, সনদ ছহীহ; ইরওয়া ৩/৮২।
. মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ, বায়হাক্বী ৩/২০৪; ত্বাবারাণী কাবীর, সনদ ছহীহ; ইরওয়া ৩/৮২।
[78]
. ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২৩৫, টীকা দ্র:।
. ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২৩৫, টীকা দ্র:।
[79]
. বায়হাক্বী, ইরওয়া হা/৬২১; ৩/৮১-৮২।
. বায়হাক্বী, ইরওয়া হা/৬২১; ৩/৮১-৮২।
[80]
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৮২২; আলোচনা দ্রষ্টব্য : ‘সূরা ফাতিহা পাঠ’ অধ্যায়।
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৮২২; আলোচনা দ্রষ্টব্য : ‘সূরা ফাতিহা পাঠ’ অধ্যায়।
[81]
. আলবানী, ইরওয়াউল গালীল ৩/৮২।
. আলবানী, ইরওয়াউল গালীল ৩/৮২।
[82]
. আবুদাঊদ হা/১১০৮; ঐ, মিশকাত হা/১৩৯১, অনুচ্ছেদ-৪৪; তিরমিযী, মিশকাত হা/১৪১৪, অনুচ্ছেদ-৪৫।
. আবুদাঊদ হা/১১০৮; ঐ, মিশকাত হা/১৩৯১, অনুচ্ছেদ-৪৪; তিরমিযী, মিশকাত হা/১৪১৪, অনুচ্ছেদ-৪৫।
[83]
. তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৩৯৩ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-৪৪।
. তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৩৯৩ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-৪৪।
[84]
. আবুদাঊদ হা/১১১৮ ‘ছালাত’ অধ্যায়-২, অনুচ্ছেদ-২৩৮।
. আবুদাঊদ হা/১১১৮ ‘ছালাত’ অধ্যায়-২, অনুচ্ছেদ-২৩৮।
[85]
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৯৫ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-৪৪।
. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৯৫ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-৪৪।
[86]
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৮৬ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-৪৪।
. মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৮৬ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-৪৪।
[87]
. আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৩৯৬, অনুচ্ছেদ-৪৪।
. আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৩৯৬, অনুচ্ছেদ-৪৪।