কালো জাদুর অস্তিত্ব ও এর প্রতিকার

কালো জাদু কী ? কালো জাদু বলতে এমন কিছু কাজ বুঝায়, যেগুলোর মাধ্যমে নিজ স্বার্থ হাছিল কিংবা অন্যের ক্ষতি সাধন করা হয়ে থাকে। যেমন বশীকরণ, তাবীয-কবয করা, বান মারা, জাদু-টোনা ইত্যাদি। এসব কাজকে যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন, তা জাদু হিসাবেই পরিগণিত হবে। কালো জাদু বা অন্ধকার জাদু হলো এমন এক ধরনের চর্চা যা অন্যের অনিষ্ট সাধনে কিংবা নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্যে করা হয়। এটি অতিমানবিক ও অশুভ শক্তির সংশ্লিষ্টতা । কালো জাদু সাধারনত অতিমানবিক শক্তি দ্বারা করা হয় । তবে অনেকে বলেন এতে ভূত, প্রেত, আত্মা, প্রেতাত্মা ব্যবহার করা হয় । অর্থাৎ বলা হয়ে […]

কালো জাদুর অস্তিত্ব ও এর প্রতিকার বিস্তারিত পডুন »

কিয়ামতের পূর্বের আলামত

✍️ শায়খ আব্দুল্লাহ শাহেদ আল মাদানী। কিয়ামতের পূর্বে অনেক ফিতনার আবির্ভাব হবে। কিন্তু বর্তমানে এসকল ফিতনা খুব দ্রুতই পেতে চলেছে। ফিতনা শব্দটি বিপদাপদ, বিশৃংখলা, পরীক্ষা করা ইত্যাদি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়ে থাকে। অতঃপর শব্দটি প্রত্যেক অপছন্দনীয় বস্তু ও বিষয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে।নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ‘‘এই উম্মতের প্রথম যুগের মুমিনদেরকে ফিতনা থেকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। আখেরী যামানায় এই উম্মতকে বিভিন্ন ধরণের ফিতনায় ও বিপদে ফেলে পরীক্ষা করা হবে। প্রবৃত্তির অনুসরণ ফির্কাবন্দী এবং দলাদলির কারণে ফিতনার সূচনা হবে। এতে সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্য করা

কিয়ামতের পূর্বের আলামত বিস্তারিত পডুন »

শাকওয়ান জিনের ঘটনা

ঘটানা-1 : জনৈক মহিলা তার স্বামীকে অত্যন্ত ঘৃণা করত। যার উপর যাদুর প্রভাব ও আলামত অনেক স্পষ্ট ছিল। এমনকি সে তার স্বামী এবং তার বাড়ির সংসারকে চরম ঘৃণা করত। আর তার স্বামীকে খুব ভয়ঙ্কর দৃষ্টিতে দেখত। পরিশেষে তার স্বামী তাকে এমন এক ব্যক্তির কাছে নিয়ে গেল; যে কুরআনে কারীমের মাধ্যমে চিকিৎসা করে। সেখানে জিন কথা বলা শুরু করল ও বললঃ সে যাদুকরের মাধ্যমে এসেছে, তার দায়িত্ব হলো এ লোকটি ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটান। এরপর চিকিৎসক তাকে অনেক পিটাই করল; কিন্তু তারপরও কোন ফল

শাকওয়ান জিনের ঘটনা বিস্তারিত পডুন »

খুবায়ব (রাঃ)-এর শাহাদাত

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবনু ‘উমার ইবনু খাত্তাবের নাতি আসিম ইবনু সাবিত আনসারীর পরিচালনায় দশজন সাহাবীর একটি দল গোয়েন্দা কাজের জন্য পাঠালেন। তাঁরা উসফান ও মক্কার মধ্যবর্তী স্থান হান্দায় পৌঁছলে হুযাইল গোত্রের একটি শাখা বানু লিহয়ানকে তাদের আগমনের কারণ সম্পর্কে জানানো হয়। (এ সংবাদ শুনে) তারা প্রায় একশ’ জন তীরন্দাজ প্রস্তুত হয়ে মুসলিমদের বিপক্ষে যুদ্ধ করার জন্য রওয়ানা হয়ে তাদের পদচিহ্ন ধরে পথ চলতে আরম্ভ করে। যেতে যেতে তারা এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যেখানে অবস্থান করে সাহাবীগণ খেজুর খেয়েছিলেন। তা দেখে

খুবায়ব (রাঃ)-এর শাহাদাত বিস্তারিত পডুন »

লেনদেনের সময় সাক্ষী ও লিখে রাখার নির্দেশ

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ لَا یَاۡبَ الشُّهَدَآءُ اِذَا مَا دُعُوۡا ؕ وَ لَا تَسۡـَٔمُوۡۤا اَنۡ تَكۡتُبُوۡهُ صَغِیۡرًا اَوۡ كَبِیۡرًا اِلٰۤی اَجَلِهٖ ؕ ذٰلِكُمۡ اَقۡسَطُ عِنۡدَ اللّٰهِ وَ اَقۡوَمُ لِلشَّهَادَۃِ وَ اَدۡنٰۤی اَلَّا تَرۡتَابُوۡۤا اِلَّاۤ اَنۡ تَكُوۡنَ تِجَارَۃً حَاضِرَۃً تُدِیۡرُوۡنَهَا بَیۡنَكُمۡ فَلَیۡسَ عَلَیۡكُمۡ جُنَاحٌ اَلَّا تَكۡتُبُوۡهَا ؕ وَ اَشۡهِدُوۡۤا اِذَا تَبَایَعۡتُمۡ ۪ وَ لَا یُضَآرَّ كَاتِبٌ وَّ لَا شَهِیۡدٌ ۬ؕ وَ اِنۡ تَفۡعَلُوۡا فَاِنَّهٗ فُسُوۡقٌۢ بِكُمۡ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ ؕ وَ یُعَلِّمُكُمُ اللّٰهُ ؕ وَ اللّٰهُ بِكُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ  ‘সাক্ষীরা যেন অস্বীকার না করে, যখন

লেনদেনের সময় সাক্ষী ও লিখে রাখার নির্দেশ বিস্তারিত পডুন »

গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ আমল

(‘ফযীলতপূর্ণ দো‘আ ও যিকির’ বই থেকে নেয়া)১. ওযূ শেষে পঠিতব্য বিশেষ দো‘আ ও ফযীলত : سُبْحَانَكَ أللهمّ وَبِحَمْدِكَ ، أَشْهَدُ أَنْ لَّآ إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ.উচ্চারণ : ‘সুবাহা-নাকা আল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা’।অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র এবং তোমার প্রশংসা। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আমি তোমার নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তওবা করে তোমার দিকে ফিরে যাচ্ছি’(ছহীহ আত-তারগীব হা/২২৫)। ফযীলত : আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন,

গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ আমল বিস্তারিত পডুন »

ইয়াজুজ-মাজুজ

ইয়াজূজ মাজূজ সম্প্রদায় আদম (আঃ)-এর বংশধর। তারা ক্বিয়ামতের প্রাক্কালে ঈসা (আঃ)-এর সময় পৃথিবীতে উত্থিত হবে। শাসক যুলক্বারনাইন তাদেরকে এখন প্রাচীর দিয়ে আটকিয়ে রেখেছেন (কাহফ ১৮/৯৪-৯৮)। ঐ প্রাচীর ভেঙ্গে তারা সেদিন বেরিয়ে আসবে এবং সামনে যা পাবে সব খেয়ে ফেলবে। তাদের সাথে কেউ লড়াই করতে পারবে না। এক সময় তারা বায়তুল মুক্বাদ্দাসের এক পাহাড়ে গিয়ে বলবে, দুনিয়াতে যারা ছিল তাদের হত্যা করেছি। এখন আকাশে যারা আছে তাদের হত্যা করব। তারা আকাশের দিকে তীর নিক্ষেপ করবে। আল্লাহ তাদের তীরে রক্ত মাখিয়ে ফেরত পাঠাবেন। একদা ঈসা (আঃ) তাদের জন্য

ইয়াজুজ-মাজুজ বিস্তারিত পডুন »

নারীর ফেৎনা

নারীর ফেৎনা মানুষকে বিবেকশূন্য, হিতাহিত জ্ঞান শূন্য, জ্ঞানীকে মূর্খ করে, জ্ঞানীর প্রজ্ঞা কেড়ে নেয়।  বনী ইসরাঈলদের আমলে নারীর ফেৎনার সূচনা হয় এবং এই নারীর ফেৎনার কারণে তাদের মধ্যে মহামারী ব্যাপকভাবে দেখা দেয়। বনী ইসরাঈলদের আমলে এক নারী জনৈক আলেমকে ডেকে যেনায় লিপ্ত হতে বলেন। কিন্তু তিনি তাতে রাজী হোন নাই। তখন নারীটি ছলনা করে ভয় দেখিয়ে বলে, তুমি মদ পান করো অথবা ঐ শিশুটিকে হত্যা করো অথবা আমার সাথে ব্যাভিচারে লিপ্ত হও। আলেম মদ পানে রাজি হলো এবং পান করার সাথে সাথে মতিভ্রম হয়ে শিশুটিকে

নারীর ফেৎনা বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top