সকল কাজ নিয়াতের উপর নির্ভরশীল

নিয়াত অর্থ মনন করা, মনে মনে সংকল্প বা ইচ্ছা পোষণ করা। ইহা এমন একটি অদৃশ্য বিষয় যা কেবল কোন ব্যক্তির ক্বলব বা অন্তরের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে। মানুষ যেমন ইচ্ছা করবে তার প্রতিদানও অনুরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা যখন বিচারের মাঠে বান্দার আমলের বিচার করবেন, তখন তিনি এই নিয়াতের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিচার কার্য পরিচালনা করবেন। নিয়াত হ’ল কর্মের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে,  إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّةِ، وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى اللهِ وَرَسُولِهِ […]

সকল কাজ নিয়াতের উপর নির্ভরশীল বিস্তারিত পডুন »

অধিকাংশ মানব সমাচার (৩য় কিস্তি)

__ মুহাম্মাদ লিলবর আল-বারাদী ৬. অধিকাংশ মানুষ মূর্খ ও পথভ্রষ্ট : সমাজটা দিনে দিনে সুশিক্ষার অভাবে বিবেক বর্জিত হয়ে খোঁড়া সমাজে পরিণত হচ্ছে। মানুষ মানুষকে সম্মান বা অসম্মান করে তার জ্ঞান ও বিবেকের মানদন্ডের ওপর। কিন্তু বর্তমানে বিবেক বর্জিত ও জ্ঞান খর্বিত জাতি মূর্খদের মত ক্ষমতা, সম্পদ ও সুন্দর ত্বকের মূল্যায়ন করে যাচ্ছে। মানুষের জ্ঞান ও বিবেক যেভাবে লোপ পাচ্ছে, ঠিক সেভাবেই জ্ঞানের ধারাবাহিকতা পরিহার করে মূর্খতাকে তালাশ করছে। মানুষ যখন শয়তানের বশীকরণ শৃংখলে আবদ্ধ হয়ে যায়, তখন তাদের সামনে যতই দ্বীনের মু‘জিযা দেখানো হোক

অধিকাংশ মানব সমাচার (৩য় কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

অধিকাংশ মানব সমাচার (২য় কিস্তি)

___ মুহাম্মাদ লিলবর আল-বারাদী ঘ. লোকের দোষ-ক্রটি তালাশকারী : মানুষের দোষ-ক্রটি তালাশ করা গর্হিত কাজ। সর্বদা অন্যের নয়, নিজের দোষ-ক্রুটি তালাশ করা উচিৎ। রাসূল (ছাঃ) মানুষের দোষ ও ছিদ্রান্বেষণ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি মানুষকে স্ব-স্ব দোষত্রুটি সংশোধনে আত্মনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেছেন। আল্লাহর কাছে যেসব কথাবার্তা-ধ্যানধারণার মূল্য নেই তা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সর্বোপরি মুসলিম ভাইয়ের ছিদ্রান্বেষণকারীর অন্তরে ঈমান থাকে না। আবূ বারযাহ আল-আসলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, يَا مَعْشَرَ مَنْ آمَنَ بِلِسَانِهِ وَلَمْ يَدْخُلِ الإِيمَانُ قَلْبَهُ لاَ تَغْتَابُوا الْمُسْلِمِينَ وَلاَ تَتَّبِعُوا عَوْرَاتِهِمْ فَإِنَّهُ

অধিকাংশ মানব সমাচার (২য় কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

অধিকাংশ মানব সমাচার

__ মুহাম্মাদ লিলবর আল-বারাদী আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা কুরআনুল কারীমের মধ্যে أَكْثَرَ (আকছারা) অর্থাৎ ‘অধিকাংশ’ বা ‘বেশির ভাগ’ (Almost) শব্দটি ব্যবহার করেছেন। ‘অধিকাংশ’ শব্দ ব্যবহার করে তিনি মানুষকে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অবহিত করেছেন। ‘অধিকাংশ’ সম্পর্কে বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ ‘কিন্তু অধিকাংশ মানুষ প্রকৃত ব্যাপার সম্পর্কে অবগত নয়’ (ইউসুফ ১২/৬৮), ‘অধিকাংশ অবহিত নয়’ (আন‘আম ৬/৩৭), ‘কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না’ (আরাফ ৭/১৩১), অন্যত্র তিনি বলেন, وَأَكْثَرُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ ‘আর তাদের অধিকাংশই জ্ঞান রাখে না’ (মায়িদা ৫/১০৩), কেননা,وَلَكِنَّ أَكْثَرَهُمْ يَجْهَلُونَ ‘তাদের অধিকাংশই মূর্খ’ (আন‘আম ৬/১১১)। বর্তমানে দুনিয়ার অবস্থা এমন এক

অধিকাংশ মানব সমাচার বিস্তারিত পডুন »

স্বহস্তে উপার্জন সর্বোৎকৃষ্ট রুযী :

— লিলবর আল-বারাদী হালাল রুযী তারাই গ্রহণ করবে যারা মুমিন বান্দা। আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে বলেন,   إِنَّمَا كَانَ قَوْلَ الْمُؤْمِنِيْنَ إِذَا دُعُوْا إِلَى اللهِ وَرَسُولِهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ أَنْ يَقُوْلُوْا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ- ‘অথচ মুমিনদের কথা তো কেবল এটাই হ’তে পারে যে, যখন তাদেরকে আল্লাহ ও তার রাসূলের দিকে ডাকা হয় তাদের মধ্যে ফায়ছালা করে দেওয়ার জন্য, তখন তারা বলবে আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম। আর এরাই হ’ল সফলকাম’ (নূর ২৪/৫১)।  ধনী-গরীবের মধ্যকার ব্যবধান আল্লাহ তা‘আলারই ব্যবস্থাপনা। তিনি যাকে খুশী অঢেল সম্পদ দিয়ে

স্বহস্তে উপার্জন সর্বোৎকৃষ্ট রুযী : বিস্তারিত পডুন »

দ্বীনী জ্ঞান ও জ্ঞানীর মর্যাদা

লিলবর আল-বারাদী http://www.tawheederdak.com/article_details/799জ্ঞানার্জনকারীর মর্যাদা : আল্লাহ তা‘আলাকে চেনার প্রথম স্তর হ’ল জ্ঞানার্জন করা। আল্লাহর নিকট থেকে যে অহির বিধান এসেছে তা হ’ল কিতাবুল্লাহ ও সুন্নাতে রাসূল অর্থাৎ পবিত্র কুরআন মাজীদ ও রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাহ। এই দুই কিতাবের জ্ঞানকে দ্বীনী জ্ঞান বা ইলম বলা হয়। এই ইলম অর্জনকারী সম্পর্কে অনেক ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় সমুন্নত করবেন।

দ্বীনী জ্ঞান ও জ্ঞানীর মর্যাদা বিস্তারিত পডুন »

দ্বীনী জ্ঞান ও জ্ঞানীর মর্যাদা

লিলবর আল-বারাদী  http://www.tawheederdak.com/writer_archive/18. সুশিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। সুশিক্ষা ব্যতীত বৈধ পন্থায় কোন জাতি উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারেনা। শিক্ষা বা জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক জাতির জন্যে বাধ্যতামূলক। কারণ আল্লাহ তা‘আলা আদি পিতা আদম (আঃ)-কে সৃষ্টির পরে সর্বপ্রথম বিশেষ পন্থায় শিক্ষা দেন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, وَعَلَّمَ آدَمَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلَائِكَةِ فَقَالَ أَنْبِئُونِي بِأَسْمَاءِ هَؤُلَاءِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ. ‘অনন্তর আল্লাহ আদমকে সকল বস্ত্তর নাম শিক্ষা দিলেন। অতঃপর সেগুলিকে ফেরেশতাদের সম্মুখে পেশ করলেন এবং বললেন, তোমরা আমাকে এগুলির নাম বলে দাও, যদি তোমরা (তোমাদের কথায়) সত্যবাদী হও’ (বাক্বারাহ

দ্বীনী জ্ঞান ও জ্ঞানীর মর্যাদা বিস্তারিত পডুন »

লায়লাতুল ক্বদর তালাশ করুন !

একজন মুমিন সারা বছর চাতকের মত রামাযানের প্রতীক্ষায় থাকে। অন্যদিকে রামাযান মাসের শেষ দশকে আগমনে ‘লায়লাতুল ক্বদর’ তথা ক্বদরের রাত্রী তালাশে ব্যাকুল হয়ে থাকে। ক্বদরের রাত একটি মহিমান্বিত ও বরকতময় রজনী। মহান আল্লাহ তা‘আলার কৃপায় এ রাতে সাধ্যমত ইবাদত করা এবং পাপ মোচন করিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে। এ রাত শেষে দশকের বিজোড় রাত্রীতে তালাশ করতে হয়। ১. লায়লাতুল ক্বদরের নামকরণ : ‘ক্বদর’ (اَلْقَدْرُ) অর্থ সম্মান, মর্যাদা। আর لَيْلَةُ الْقَدْرِ অর্থ মর্যাদার রাত্রি, বা মহিমান্বিত রজনী। যেমন আল্লাহ বলেন,إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنْذِرِيْنَ-

লায়লাতুল ক্বদর তালাশ করুন ! বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top