❤ কুরআন মাজীদ হতে ১০০টি নির্দেশনা ❤

— লিলবর আল-বারাদী ০১. কথাবার্তায় কর্কশ হবেন না। (০৩ঃ১৫৯) ০২. রাগকে নিয়ন্ত্রণ করুন (০৩ঃ১৩৪)।০৩. অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। (০৪ঃ ৩৬)০৪. অহংকার করবেন না। (০৭ঃ ১৩)০৫. অন্যকে তার ভুলের জন্য ক্ষমা করুন (০৭ঃ ১৯৯)০৬. লোকদের সাথে ধীরস্থির হয়ে শান্তভাবে কথা বলুন। (২০ঃ ৪৪)০৭. উচ্চস্বরে কথা বলবেন না। (৩১ঃ ১৯)০৮. অন্যকে উপহাস করবেন না (৪৯ঃ ১১)০৯. পিতামাতার প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করুন। (১৭ঃ ২৩)১০. পিতামাতার প্রতি অসম্মানজনক শব্দ উচ্চারণ করবেন না। (১৭ঃ ২৩)১১. অনুমতি না নিয়ে পিতামাতার শোবার ঘরে প্রবেশ করবেন না। (২৪ঃ ৫৮)১২. ঋণ গ্রহণ করলে […]

❤ কুরআন মাজীদ হতে ১০০টি নির্দেশনা ❤ বিস্তারিত পডুন »

জামা‘আতবদ্ধ জীবন-যাপনের সুফল (২য় কিস্তি)

—লিলবর আল-বারাদী ৪. ইসলামী পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত হওয়া : পারিবারিক জীবন ব্যাতিরেকে মানব সভ্যতা কল্পনা করা যায় না। মানুষের অস্তিত্বের জন্য পারিবারিক জীবন অপরিহার্য। সমাজের শান্তি-শৃংঙ্খলা, স্থিতিশীলতা, উন্নতি-অগ্রগতি ইত্যাদি সুষ্ঠু পারিবারিক ব্যবস্থার উপরে অনেকাংশে নির্ভরশীল। পারিবারিক জীবন অশান্ত ও নড়বড়ে হ’লে, তাতে ভাঙ্গন ও বিপর্যয় দেখা দিলে সমাজ জীবনে নানা অশান্তি ও বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি হ’তে বাধ্য। তাই বলা হয়, পরিবার মানব সমাজের মূল ভিত্তি। উত্তম পরিবারের জন্য চাই উত্তম পরিবার প্রধান। ইসলামী পরিবারে পিতা হ’লেন পরিবার-প্রধান এবং মাতা হ’লেন গৃহকত্রী। সন্তানরা বড় হ’লে তারা হবে পিতা-মাতার

জামা‘আতবদ্ধ জীবন-যাপনের সুফল (২য় কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

জামা‘আতবদ্ধ জীবন-যাপনের সুফল (প্রথম কিস্তি)

— লিলবর আল-বারাদী ভূমিকা : মানুষ সামাজিক জীব। তাই সমাজ ও সামাজিকতার বলয়ে বসবাসে মানুষ অভ্যস্ত। ফলে জামা‘আতী যিন্দেগীর বাস্তব ও অকৃত্রিম বন্ধনে পরস্পর পরস্পরে জড়িয়ে রয়েছে। জামা‘আতের শাব্দিক উৎস সম্পর্কে শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, الْجَمَاعَةُ هِيَ الِاجْتِمَاعُ وَضِدُّهَا الْفُرْقَةُ؛ وَإِنْ كَانَ لَفْظُ الْجَمَاعَةِ قَدْ صَارَ اسْمًا لِنَفْسِ الْقَوْمِ الْمُجْتَمِعِينَ ‘জামা‘আত হ’ল সমাজবদ্ধতা। এর বিপরীত হ’ল বিচ্ছিন্নতা। যদিও জামা‘আত শব্দটি স্বয়ং ঐক্যবদ্ধ জাতির নামে পরিণত হয়েছে’।[1] ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেছেন, وَتَفْسِيرُ الْجَمَاعَةِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ هُمْ أَهْلُ الْفِقْهِ وَالْعِلْمِ وَالْحَدِيثِ ‘বিদ্বানগণের নিকটে জামা‘আতের ব্যাখ্যা

জামা‘আতবদ্ধ জীবন-যাপনের সুফল (প্রথম কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

তিনটি প্রশ্নের জবাব

ভূমিকা : মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আর এই সেরা হবার পেছনে যার অবদান তা হলো বিবেক। যার বিবেক নেই, সে মানব সমাজে মানুষের মত চলাফেরা করলেও প্রকৃতপক্ষে সে মানুষ নয়। তাই মানুষ মাত্রই হবে বিবেক সম্পন্ন। কারো বিবেক থাকে জাগ্রত, আবার কারো হয় মৃত। সেই জন্যে মনীষীরা বলেন, ‘বিবেক যেখানে উপস্থিত, সুখ সেখানে তিরোহিত’। ‘সুখ যেখানে উপস্থিত, বিবেক সেখানে তিরোহিত’। আর বিবেক আছে বলেই মানব মনে নানা ধরনের প্রশ্নের অবতারণা হবে এটাই স্বাভাবিক। অনুরূপভাবে আমাদের তিনটি প্রশ্নের জবাব জেনে রাখা অতিব জরুরী। প্রশ্নগুলো হলো- ১.

তিনটি প্রশ্নের জবাব বিস্তারিত পডুন »

ষড় রিপু সমাচার : মোহ রিপু

–লিলবর আল-বারাদী চার. মোহ রিপু : মোহ শব্দটি চিত্তের অন্ধতা, অজ্ঞানতা, অবিদ্যা, মূর্খতা, মূঢ়তা, নির্বুদ্ধিতা, ভ্রান্তি, মুগ্ধতা, বিবেকহীনতা, মায়া, মূর্ছা, বুদ্ধিভ্রংশ ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আসলে মানব রিপুর মধ্যে এটি অন্যতম একটি রিপু। কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ ও মাৎসর্য এ সবকটির উপর মোহ প্রভাব খাঁটিয়ে থাকে। অর্থাৎ মোহ দোষে দূষিত ব্যক্তি বাঁকি পাঁচটি রিপুকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাকে যে কোন রিপু অতি সহজেই গ্রাস করতে পারে। কারণ অজ্ঞতা বা নির্বুদ্ধিতা থেকেই বিবেকশূন্যতার সৃষ্টি হতে পারে। মায়া হলো মোহ রিপুর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। অতিমায়া

ষড় রিপু সমাচার : মোহ রিপু বিস্তারিত পডুন »

মদের মত হোমিও ওষুধ কী হারাম (?)

ইসলাম সকল প্রকার মাদক তথা নেশাদার দ্রব্য হারাম ঘোষণা করেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَ كُلُّ خَمْرٍ حَرَامٌ  ‘প্রত্যেক নেশাদার দ্রব্যই মদ আর যাবতীয় মদই হারাম’। [মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৩৮] অথচ এই মাদকের ভয়ংকর থাবায় আজ বিশ্বব্যাপী বিপন্ন মানব সভ্যতা। এর সর্বনাশা মরণ ছোবলে জাতি আজ অকালে ধ্বংস হয়ে যচ্ছে। ভেঙ্গে পড়ছে অসংখ্য পরিবার। বিঘ্নিত হচ্ছে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন। বৃদ্ধি পাচ্ছে চোরাচালানসহ মানবতা বিধ্বংসী অসংখ্য অপরাধ। মাদকাসক্তির কারণে সকল জনপদেই চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস বেড়ে গিয়ে মানুষের জান-মাল ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। সমাজের অধিকাংশ অপরাধের জন্য মুখ্যভাবে দায়ী এই মাদকতা। এজন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, لاَتَشْرَبِ

মদের মত হোমিও ওষুধ কী হারাম (?) বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : মুত্তাক্বীর পরিচয়

– মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব  الٰم– ذَلِكَ الْكِتَابُ لاَ رَيْبَ فِيْهِ هُدًى لِلْمُتَّقِيْنَ- الَّذِيْنَ يُؤْمِنُوْنَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيْمُوْنَ الصَّلاَةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُوْنَ- وَالَّذِيْنَ يُؤْمِنُوْنَ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ وَبِالْآخِرَةِ هُمْ يُوْقِنُوْنَ– أُولَئِكَ عَلَى هُدًى مِنْ رَبِّهِمْ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ– ১. আলিফ লাম মীম। (এর অর্থ কেবলমাত্র আল্লাহ অবগত)। ২. এই কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই। যা আল্লাহভীরুদের জন্য পথ প্রদর্শক। ৩. যারা গায়েবে বিশ্বাস করে ও ছালাত কায়েম করে এবং আমরা তাদেরকে যে রূযী দান করেছি, তা থেকে ব্যয় করে। ৪. যারা বিশ্বাস স্থাপন করে

দরসে কুরআন : মুত্তাক্বীর পরিচয় বিস্তারিত পডুন »

ষড় রিপু সমাচার : লোভ রিপু

লোভ হলো লিপ্সা বা কাম্য বস্তু লাভের প্রবল ইচ্ছা। বিনা লোভে কোন কাজও হয়না আবার লোভ নেই এমন মানুষও নেই। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যত কাজকর্ম রয়েছে তার প্রতিটির পেছনে নিহীত রয়েছে লোভ। বিনা লোভে পৃথিবীতে কিছুই হয় না। লোভ আছে বলেই মানুষের বেঁচে থাকার স্পৃহা আছে, জাগতিক ও পারলৌকিক আশা-আকাংখা তথা অভিপ্রেত অনুভূতি আছে। তবে লোভের রকমফের রয়েছে। কথায় বলে-অতি লোভে তাঁতী নষ্ট। আসলে অতি লোভের পরিণাম হিসেবে আসে পাপ এবং পাপের পরিণতি মৃত্যু। পৃথিবীতে মানুষ যে লোমহর্ষক কর্মকান্ড করছে তার মূলে রয়েছে অতি লোভ।

ষড় রিপু সমাচার : লোভ রিপু বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top