ইসলাম সকল প্রকার মাদক তথা নেশাদার দ্রব্য হারাম ঘোষণা করেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ
وَ كُلُّ خَمْرٍ حَرَامٌ ‘প্রত্যেক নেশাদার দ্রব্যই মদ আর যাবতীয় মদই হারাম’। [মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৩৮] অথচ
এই মাদকের ভয়ংকর থাবায় আজ বিশ্বব্যাপী বিপন্ন মানব সভ্যতা। এর সর্বনাশা মরণ ছোবলে জাতি আজ অকালে ধ্বংস হয়ে যচ্ছে। ভেঙ্গে পড়ছে অসংখ্য পরিবার। বিঘ্নিত হচ্ছে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক
উন্নয়ন। বৃদ্ধি পাচ্ছে চোরাচালানসহ মানবতা বিধ্বংসী অসংখ্য অপরাধ। মাদকাসক্তির কারণে সকল জনপদেই চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস বেড়ে গিয়ে মানুষের জান-মাল ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। সমাজের অধিকাংশ অপরাধের জন্য মুখ্যভাবে দায়ী এই মাদকতা। এজন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, لاَتَشْرَبِ الْخَمْرَ، فَإِنَّهُ مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ. ‘মদ পান করো না। কেননা তা সকল অপকর্মের চাবিকাঠি’।[ইবনু মাজাহ হা/৩৩৭১, হাদীছ ছহীহ] অন্য হাদীছে এসেছে, اِجْتَنِبُوا الْخَمْرَ فَإِنَّهَا أُمُّ الْخَبَائِثِ. ‘তোমরা মদ থেকে বেঁচে থাক। কেননা তা অশ্লীল কাজের মূল’।[নাসাঈ হা/৫৬৬৭, হাদীছ ছহীহ]
আভিধানিক অর্থ : মাদকদ্রব্যের আরবী প্রতিশব্দ ‘খমর’ (خمر)। এর অর্থ- সমাচ্ছন্ন করা, ঢেকে দেয়া। এই সকল অর্থের সাথে সম্পর্কিত হওয়ার কারণেই মদ ও শরাবকে ‘খমর’ বলা হয়।
Cambridge Dictionary-তে বলা হয়েছে, An alcoholic drink which is usually made from grapes but can also be made from other fruits or flowers. It is made by FERMENTING, the fruit with water and sugar.
‘মদ হ’ল নেশাকর পানীয় যা সাধারণত আঙ্গুর থেকে তৈরী হয়। তবে অন্যান্য ফল ও ফুল থেকেও তৈরী হ’তে
পারে। এটা উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য চিনি ও পানির মাধ্যমে ফল দ্বারা তৈরী হয়’।
পারিভাষিক অর্থ : ‘যে সকল বস্ত্ত সেবনে মাদকতা সৃষ্টি হয় এবং বুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করে ফেলে অথবা বোধশক্তির
উপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে তাকে মাদকদ্রব্য বলে। কবি বলেন, شَرِبْتُ الْخَمْرَ حَتَّى ضَلَّ عَقْلِىْ + كَذَاكَ الْخَمْرُ تَفْعَلُ بِالْعُقُوْلِ. ‘মদ পান করে আমার বিবেক হারিয়ে গেছে। মদ এভাবেই বুদ্ধিকে নিয়ে খেল-তামাশা করে’। সাধারণত নেশা জাতীয় দ্রব্যসামগ্রী গ্রহণ করা বা পান করাই মাদকাসক্তি। এ মর্মে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর বাণী : وَ الْخَمْرُ مَا
خَامَرَ الْعَقْلَ ‘মদ বা মাদকদ্রব্য তাই, যা জ্ঞান-বুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করে’।[বুখারী; মিশকাত হা/৩৬৩৫ ‘হুদূদ’ অধ্যায়]
وَ كُلُّ خَمْرٍ حَرَامٌ ‘প্রত্যেক নেশাদার দ্রব্যই মদ আর যাবতীয় মদই হারাম’। [মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৩৮] অথচ
এই মাদকের ভয়ংকর থাবায় আজ বিশ্বব্যাপী বিপন্ন মানব সভ্যতা। এর সর্বনাশা মরণ ছোবলে জাতি আজ অকালে ধ্বংস হয়ে যচ্ছে। ভেঙ্গে পড়ছে অসংখ্য পরিবার। বিঘ্নিত হচ্ছে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক
উন্নয়ন। বৃদ্ধি পাচ্ছে চোরাচালানসহ মানবতা বিধ্বংসী অসংখ্য অপরাধ। মাদকাসক্তির কারণে সকল জনপদেই চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস বেড়ে গিয়ে মানুষের জান-মাল ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। সমাজের অধিকাংশ অপরাধের জন্য মুখ্যভাবে দায়ী এই মাদকতা। এজন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, لاَتَشْرَبِ الْخَمْرَ، فَإِنَّهُ مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ. ‘মদ পান করো না। কেননা তা সকল অপকর্মের চাবিকাঠি’।[ইবনু মাজাহ হা/৩৩৭১, হাদীছ ছহীহ] অন্য হাদীছে এসেছে, اِجْتَنِبُوا الْخَمْرَ فَإِنَّهَا أُمُّ الْخَبَائِثِ. ‘তোমরা মদ থেকে বেঁচে থাক। কেননা তা অশ্লীল কাজের মূল’।[নাসাঈ হা/৫৬৬৭, হাদীছ ছহীহ]
আভিধানিক অর্থ : মাদকদ্রব্যের আরবী প্রতিশব্দ ‘খমর’ (خمر)। এর অর্থ- সমাচ্ছন্ন করা, ঢেকে দেয়া। এই সকল অর্থের সাথে সম্পর্কিত হওয়ার কারণেই মদ ও শরাবকে ‘খমর’ বলা হয়।
Cambridge Dictionary-তে বলা হয়েছে, An alcoholic drink which is usually made from grapes but can also be made from other fruits or flowers. It is made by FERMENTING, the fruit with water and sugar.
‘মদ হ’ল নেশাকর পানীয় যা সাধারণত আঙ্গুর থেকে তৈরী হয়। তবে অন্যান্য ফল ও ফুল থেকেও তৈরী হ’তে
পারে। এটা উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য চিনি ও পানির মাধ্যমে ফল দ্বারা তৈরী হয়’।
পারিভাষিক অর্থ : ‘যে সকল বস্ত্ত সেবনে মাদকতা সৃষ্টি হয় এবং বুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করে ফেলে অথবা বোধশক্তির
উপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে তাকে মাদকদ্রব্য বলে। কবি বলেন, شَرِبْتُ الْخَمْرَ حَتَّى ضَلَّ عَقْلِىْ + كَذَاكَ الْخَمْرُ تَفْعَلُ بِالْعُقُوْلِ. ‘মদ পান করে আমার বিবেক হারিয়ে গেছে। মদ এভাবেই বুদ্ধিকে নিয়ে খেল-তামাশা করে’। সাধারণত নেশা জাতীয় দ্রব্যসামগ্রী গ্রহণ করা বা পান করাই মাদকাসক্তি। এ মর্মে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর বাণী : وَ الْخَمْرُ مَا
خَامَرَ الْعَقْلَ ‘মদ বা মাদকদ্রব্য তাই, যা জ্ঞান-বুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করে’।[বুখারী; মিশকাত হা/৩৬৩৫ ‘হুদূদ’ অধ্যায়]
মদ কেন হারাম :
মদ হারাম এ বিষয়ে আল্লাহ বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالأَنصَابُ وَالأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ- إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَن يُوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاء فِيْ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَن ذِكْرِ اللهِ
وَعَنِ الصَّلاَةِ فَهَلْ أَنْتُم مُّنْتَهُوْنَ– ‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, পূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ধারক শর সমূহ শয়তানের নাপাক কর্ম বৈ কিছুই নয়। অতএব এগুলো থেকে বিরত হও। তাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হবে’। ‘শয়তান তো কেবল চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে পরস্পরে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও ছালাত হ’তে তোমাদেরকে বাধা প্রদান করতে। অতএব তোমরা নিবৃত্ত হবে কি?’ (মায়েদাহ ৫/৯০-৯১)।
وَعَنِ الصَّلاَةِ فَهَلْ أَنْتُم مُّنْتَهُوْنَ– ‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, পূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ধারক শর সমূহ শয়তানের নাপাক কর্ম বৈ কিছুই নয়। অতএব এগুলো থেকে বিরত হও। তাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হবে’। ‘শয়তান তো কেবল চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে পরস্পরে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও ছালাত হ’তে তোমাদেরকে বাধা প্রদান করতে। অতএব তোমরা নিবৃত্ত হবে কি?’ (মায়েদাহ ৫/৯০-৯১)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, خَمِّرُوا الآنِيَةَ وَاذْكُرُوا اسْمَ اللهِ عَلَيْهَا ‘তোমরা তোমাদের পাত্র সমূহ ঢেকে রাখ এবং তার উপরে আল্লাহর নাম স্মরণ কর’।[মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪২৯৪; আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/১২৩৪] ওমর ফারূক (রাঃ) বলেন, الْخَمْرُ مَا خَامَرَ الْعَقْلَ ‘মদ তাই, যা মানুষের বিবেককে আচ্ছন্ন করে’।[বুখারী হা/৪৬১৯; মুসলিম হা/৩০৩২; মিশকাত হা/৩৬৩৫] সে সময় আরব দেশে আঙ্গুর, খেজুর, মধু, গম ও যব সহ পাঁচটি বস্ত্ত থেকে মদ তৈরী হ’ত।[বুখারী, আবূদাঊদ হা/৩৬৬৯] তবে প্রধানতঃ আঙ্গুর থেকেই সচরাচর মদ তৈরী হ’ত। যেমন বলা হয়েছে, النَّيُّ مِنْ مَاءِ الْعِنَبِ إِذَا غَلاَ وَاشْتَدَّ وَبَلَغَ حَدَّ الْإِسْكَارِ– ‘মদ হ’ল আঙ্গুরের কাঁচা রস যখন পচে গরম হয় এবং ফুলে ফেনা ধরে যায় ও চূড়ান্ত নেশাকর অবস্থায় পৌঁছে যায়’।
আঙ্গুরের কাঁচা রস পচে ফেনা ধরে গেলে তাতে নেশা সৃষ্টি হয়, যাতে মানুষের স্বাভাবিক বিবেক-বুদ্ধি লোপ
পেয়ে যায়। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পচা-সড়া জিনিষ দিয়ে মদ তৈরী হয়। যেমন বাংলাদেশে পচা পান্তা, পচা খেজুর রস, তালের রস ইত্যাদি দিয়ে দেশী মদ ও তাড়ি বানানো হয়। এছাড়াও রয়েছে তামাক, গাঁজা, আফিম প্রভৃতি বহু প্রাচীন মাদক সমূহ। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে হিরোইন, ফেন্সিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেট, পেথিড্রিন ইনজেকশন ইত্যাদি নানাবিধ নেশাকর বস্ত্ত নামে-বেনামে তৈরী হচ্ছে। যা সবই এক কথায় মাদক দ্রব্য বা মদ। মদ সাময়িকভাবে দেহের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করলেও চূড়ান্তভাবে তা মানুষকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করে।
পেয়ে যায়। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পচা-সড়া জিনিষ দিয়ে মদ তৈরী হয়। যেমন বাংলাদেশে পচা পান্তা, পচা খেজুর রস, তালের রস ইত্যাদি দিয়ে দেশী মদ ও তাড়ি বানানো হয়। এছাড়াও রয়েছে তামাক, গাঁজা, আফিম প্রভৃতি বহু প্রাচীন মাদক সমূহ। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে হিরোইন, ফেন্সিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেট, পেথিড্রিন ইনজেকশন ইত্যাদি নানাবিধ নেশাকর বস্ত্ত নামে-বেনামে তৈরী হচ্ছে। যা সবই এক কথায় মাদক দ্রব্য বা মদ। মদ সাময়িকভাবে দেহের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করলেও চূড়ান্তভাবে তা মানুষকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করে।
মদ নির্লজ্জতার উৎস :
মদকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ‘উম্মুল ফাওয়াহেশ’ বা ‘সকল নির্লজ্জতার উৎস’ বলেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صـ يَقُولُ : الْخَمْرُ أُمُّ الْفَوَاحِشِ وَأَكْبَرُ الْكَبَائِرِ مَنْ شَرِبَهَا وَقَعَ عَلَى أُمِّهِ وَعَمَّتِهِ وَخَالَتِهِ– ‘আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, মদ হ’ল সকল নির্লজ্জতার উৎস এবং সকল পাপের মধ্যে সবচেয়ে বড় পাপ। যে ব্যক্তি মদ পান করে, সে তার মা, খালা, ফুফু সকলের উপর পতিত হয়’।[নাসাঈ হা/৫৬৬৬-৬৭; বায়হাক্বী ৮/২৮৭-২৮৮]
কিছু ছাহাবী এসে মদের অপকারিতা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং এ বিষয়ে আল্লাহর নির্দেশ কামনা করেন। তখন নাযিল হয়, يَسْأَلُوْنَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ قُلْ فِيْهِمَا إِثْمٌ كَبِيْرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَإِثْمُهُمَا أَكْبَرُ مِن
نَّفْعِهِمَا- (البقرة ২১৯)- ‘তারা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। আপনি বলে দিন যে, এ দু’টির মধ্যে রয়েছে বড় পাপ ও মানুষের জন্য রয়েছে কিছু উপকারিতা। তবে এ দু’টির পাপ এ দু’টির উপকারিতার চাইতে অধিক’ (বাক্বারাহ ২/২১৯)। এ আয়াত নাযিলের ফলে বহু লোক মদ-জুয়া ছেড়ে দেয়। তবুও কিছু লোক থেকে যায়।
نَّفْعِهِمَا- (البقرة ২১৯)- ‘তারা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। আপনি বলে দিন যে, এ দু’টির মধ্যে রয়েছে বড় পাপ ও মানুষের জন্য রয়েছে কিছু উপকারিতা। তবে এ দু’টির পাপ এ দু’টির উপকারিতার চাইতে অধিক’ (বাক্বারাহ ২/২১৯)। এ আয়াত নাযিলের ফলে বহু লোক মদ-জুয়া ছেড়ে দেয়। তবুও কিছু লোক থেকে যায়।
অতঃপর (২) একদিন এক ছাহাবীর বাড়ীতে মেযবানী শেষে মদ্যপান করে একজন অজ্ঞান হয়ে পড়েন। অন্যজন ছালাতে ইমামতি করতে গিয়ে সূরা কাফিরূণে نَحْنُ نَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَপড়েন। যার অর্থ ‘আমরা ইবাদত করি তোমরা যাদের ইবাদত কর’।[তিরমিযী হা/৩০২৬] যাতে আয়াতের মর্ম একেবারেই পরিবর্তিত হয়ে যায়। তখন আয়াত নাযিল হয়,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاَةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ- (النساء 43)- ‘হে মুমিনগণ! তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছালাতের নিকটবর্তী হয়ো না। যতক্ষণ না তোমরা যা বল তা বুঝতে পার’ (নিসা ৪/৪৩)।
মদে নেশা হয়, হোমিও ওষুধেও কী (?) নেশা হয় :
১. জাবের (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ ‘প্রত্যেক নেশাকর বস্ত্ত হারাম’।[মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৩৯ ‘দন্ডবিধি সমূহ’ অধ্যায়-১৭ অনুচ্ছেদ-৬]
২. আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, كُلُّ شَرَابٍ أَسْكَرَ فَهُوَ حَرَامٌ ‘প্রত্যেক পানীয় যা নেশাগ্রস্ত করে, তা হারাম’।[মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৩৭]
৩. জাবের (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, مَا أَسْكَرَ كَثِيرُهُ فَقَلِيلُهُ حَرَامٌ ‘যার বেশীতে মাদকতা আনে, তার অল্পটাও হারাম’।[তিরমিযী, আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩৬৪৫]এই হাদীছের ওপর ভিত্তি করে কোন কোন ভাই ফতওয়া প্রদান করেন যে, হোমিও ওষূধ হারাম। কিন্তু কিছু কিছু বিদ্যান একে হালাল বলেছেন, হোমিও
ঔষধ সেবনে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। কেননা হোমিও সহ বিভিন্ন ঔষধে কেবল সংরক্ষণের জন্য সামান্য পরিমাণ পরিশোধিত এ্যালকোহল ব্যবহার করা হয়। যাতে মাদকতা আসে না এবং তা ছালাত ও যিকর হ’তে বিরতও রাখে না (ফাতাওয়া উছায়মীন ১১/২৫৬-২৫৯, ১৭/৩১)।
ঔষধ সেবনে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। কেননা হোমিও সহ বিভিন্ন ঔষধে কেবল সংরক্ষণের জন্য সামান্য পরিমাণ পরিশোধিত এ্যালকোহল ব্যবহার করা হয়। যাতে মাদকতা আসে না এবং তা ছালাত ও যিকর হ’তে বিরতও রাখে না (ফাতাওয়া উছায়মীন ১১/২৫৬-২৫৯, ১৭/৩১)।
মহান আল্লাহ মৃত পশু হারাম করেছেন। কিন্তু তীব্র ক্ষুধায় কাতর হলে ব্যতিক্রম হবে। অর্থাৎ জীবন বাঁচানোর তাগিদে।
তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস, যেসব জন্তু আল্লাহ্ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গকৃত হয়, যা কন্ঠরোধে মারা যায়, যা আঘাত লেগে মারা যায়, যা উচচ স্থান থেকে পতনের ফলে মারা যা, যা শিং এর আঘাতে মারা যায় এবং যাকে হিংস্র জন্তূ ভক্ষণ করেছে, কিন্তূ যাকে তোমরা যবেহ করেছ। যে জন্তূ যজ্ঞবেদীতে যবেহ করা হয় এবং যা ভাগ্য নির্ধারক শর দ্বারা বণ্টন করা হয়। এসব গোনাহর কাজ। আজ কাফেররা তোমাদের দ্বীন থেকে নিরাশ হয়ে গেছে। অতএব তাদেরকে ভয় করো না বরং আমাকে ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। অতএব যে ব্যাক্তি তীব্র ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে; কিন্তূ কোন গোনাহর প্রতি প্রবণতা না থাকে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা‘আলা ক্ষমাশীল। (মায়েদা ৫/৩)।
হোমিও ওষুধ মানুষ নেশা গ্রস্থ হওয়ার জন্যে সেবন করে না এটা সত্য এবং এটাও সত্য যে, অল্প পরিমাণ যে পরিশোধিত এ্যালকাহোল হোমিও ওষুধে ব্যবহার করা হয় তাতে মাদকতা বা নেশাও হয় না। তবে কেন হোমিও হালাল হবে না (?) তাই আমাদের জানা প্রয়োজন আমরা কোন উদ্দেশ্য,কতটুকু পরিমাণ তা পান করছি।আর এতে মতিভ্রম
কতটুকু হচ্ছে। বলতে চাই নেশার উদ্দেশ্য নিয়ে অধিক পরিমাণে পান করা হারাম। আর ওষুধের বা শেফা পাওয়ার উদ্দেশ্যে সেবন করা হালাল। আর হোমিও ওষুধের যে উপকারণ তার সাথে মিশিয়ে এটা সেবন করতে দেওয়া হয়।ধরুন সাপের বিষ মানুষের জন্যে উপকারী নয়। কিন্তু বিজ্ঞানের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার ফলে তা মানুষের নানা প্রকার উপকার করে চলেছে। যেমন ধরুন হোমিও ওষুধ ল্যাকেসিস তৈরী হয় সাপের বিষ থেকে। কিন্তু সেটা প্রক্রিয়া ও পরিশোধিত করে অতিব সুক্ষ মাত্রায় তা এ্যালকোহলের মধ্যে দিয়ে ওষুধ তৈরী করা হয়। আর সেই ওষুধ হোমিও ডাক্তারগণ পানি বা গ্লোবিউসের মাধ্যমে রোগীকে সেবন করতে বলে থাকেন।
কতটুকু হচ্ছে। বলতে চাই নেশার উদ্দেশ্য নিয়ে অধিক পরিমাণে পান করা হারাম। আর ওষুধের বা শেফা পাওয়ার উদ্দেশ্যে সেবন করা হালাল। আর হোমিও ওষুধের যে উপকারণ তার সাথে মিশিয়ে এটা সেবন করতে দেওয়া হয়।ধরুন সাপের বিষ মানুষের জন্যে উপকারী নয়। কিন্তু বিজ্ঞানের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার ফলে তা মানুষের নানা প্রকার উপকার করে চলেছে। যেমন ধরুন হোমিও ওষুধ ল্যাকেসিস তৈরী হয় সাপের বিষ থেকে। কিন্তু সেটা প্রক্রিয়া ও পরিশোধিত করে অতিব সুক্ষ মাত্রায় তা এ্যালকোহলের মধ্যে দিয়ে ওষুধ তৈরী করা হয়। আর সেই ওষুধ হোমিও ডাক্তারগণ পানি বা গ্লোবিউসের মাধ্যমে রোগীকে সেবন করতে বলে থাকেন।
৪. আবুদ্দারদা (রাঃ) বলেন, আমার বন্ধু (মুহাম্মাদ) আমাকে অছিয়ত করেছেন যে, তুমি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না, যদিও তোমাকে কেটে টুকরা টুকরা করা হয় বা আগুনে পুড়িয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তুমি ইচ্ছাকৃতভাবে ছালাত ত্যাগ করবে না। কেননা যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ছালাত ত্যাগ করে, তার উপর থেকে আল্লাহর যিম্মাদারী উঠে যায়। আর তুমি মদ্যপান করবে না। কেননা মদ হ’ল مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ ‘সকল অনিষ্টের মূল’।[ইবনু মাজাহ, সনদ
হাসান; মিশকাত হা/৫৮০ ‘ছালাত’ অধ্যায়]
হাসান; মিশকাত হা/৫৮০ ‘ছালাত’ অধ্যায়]
৫. আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মদের সাথে সম্পৃক্ত দশ ব্যক্তিকে লা‘নত করেছেন। (১) মদ প্রস্ত্ততকারী (২) মদের ফরমায়েশ দানকারী (৩) মদ পানকারী (৪) মদ বহনকারী (৫) যার প্রতি মদ বহন করা হয় (৬) যে মদ পান করায় (৭) মদ বিক্রেতা (৮) মদের মূল্য ভোগকারী (৯) মদ ক্রয়কারী (১০) যার জন্য মদ ক্রয় করা হয়’।[তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৭৭৬]
শিক্ষনীয় দুটি হাদীছ :
(১) ছাহাবী আনাস বিন মালেক (রাঃ) বলেন, যেদিন মদ হারাম ঘোষিত হয়, সেদিন আমি আবু ত্বালহার বাড়ীতে মেহমানদের মদ পরিবেশনের দায়িত্বে ছিলাম। সেদিন ‘ফাযীহ’ (الْفَضِيْخُ) নামক উন্নত মানের মদ পরিবেশিত হচ্ছিল। এমন সময় ঘোষণা শোনা গেল, أَلاَ إِنَّ الْخَمْرَ قَدْ حُرِّمَتْ ‘সাবধান হও! মদ হারাম করা হয়েছে’। সাথে সাথে মদের বড় বড়
কলসীগুলো সব রাস্তায় ফেলে দেওয়া হ’ল। বাড়ীওয়ালা আবু ত্বালহা বললেন, তুমি বের হও এবং ওগুলিকে জ্বালিয়ে দাও। তখন আমি সব জ্বালিয়ে দিলাম। এসময় মদীনার অলি-গলিতে মদের স্রোত বয়ে গেল। আমাদের কেউ ওযূ করল। কেউ গোসল করল। কেউ গলায় আঙ্গুল ঢুকিয়ে পেটের ভিতরকার সবকিছু বমি করে ফেলে দিল। অতঃপর আমরা সবাই মসজিদে গেলাম। তখন আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) আমাদেরকে সূরা মায়েদাহ ৯০ ও ৯১ আয়াত দু’টি পাঠ করে শুনালেন। তখন একজন বলে উঠল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে যারা মদ পান করেছে অথবা মৃত্যু বরণ করেছে, তাদের
উপায় কি হবে? তখন মায়েদাহ ৯৩ আয়াতটি নাযিল হয়। যেখানে বলা হয় لَيْسَ عَلَى الَّذِيْنَ آمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جُنَاحٌ فِيْمَا طَعِمُوْا إِذَا مَا اتَّقَوْا ‘যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে তাদের জন্য তাতে কোন গোনাহ নেই, যতটুকু
তারা খেয়েছে, যদি তারা সংযত হয়’… (মায়েদাহ ৫/৯৩)।[বুখারী হা/৪৬২০ ‘তাফসীর’ অধ্যায়; ইবনু জারীর হা/১২৫২৭; তাফসীর ইবনু কাছীর।]
কলসীগুলো সব রাস্তায় ফেলে দেওয়া হ’ল। বাড়ীওয়ালা আবু ত্বালহা বললেন, তুমি বের হও এবং ওগুলিকে জ্বালিয়ে দাও। তখন আমি সব জ্বালিয়ে দিলাম। এসময় মদীনার অলি-গলিতে মদের স্রোত বয়ে গেল। আমাদের কেউ ওযূ করল। কেউ গোসল করল। কেউ গলায় আঙ্গুল ঢুকিয়ে পেটের ভিতরকার সবকিছু বমি করে ফেলে দিল। অতঃপর আমরা সবাই মসজিদে গেলাম। তখন আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) আমাদেরকে সূরা মায়েদাহ ৯০ ও ৯১ আয়াত দু’টি পাঠ করে শুনালেন। তখন একজন বলে উঠল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে যারা মদ পান করেছে অথবা মৃত্যু বরণ করেছে, তাদের
উপায় কি হবে? তখন মায়েদাহ ৯৩ আয়াতটি নাযিল হয়। যেখানে বলা হয় لَيْسَ عَلَى الَّذِيْنَ آمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جُنَاحٌ فِيْمَا طَعِمُوْا إِذَا مَا اتَّقَوْا ‘যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে তাদের জন্য তাতে কোন গোনাহ নেই, যতটুকু
তারা খেয়েছে, যদি তারা সংযত হয়’… (মায়েদাহ ৫/৯৩)।[বুখারী হা/৪৬২০ ‘তাফসীর’ অধ্যায়; ইবনু জারীর হা/১২৫২৭; তাফসীর ইবনু কাছীর।]
(২) উক্ত মর্মে হযরত ওছমান গণী (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, اجْتَنِبُوا الْخَمْرَ فَإِنَّهَا أُمُّ الْخَبَائِثِ ‘তোমরা
মদ থেকে বেঁচে থাক। কেননা এটি হ’ল সকল নিকৃষ্ট কর্মের উৎস’। মনে রেখ তোমাদের পূর্বেকার একজন সাধু ব্যক্তি সর্বদা ইবাদতে রত থাকত এবং লোকালয় থেকে দূরে থাকত। একদা এক বেশ্যা মেয়ে তাকে প্রলুব্ধ করল। তার কাছে সে তার দাসীকে পাঠিয়ে দেয়। সে গিয়ে বলে যে, আমরা আপনাকে আহবান করছি একটি ব্যাপারে সাক্ষী থাকার জন্য। তখন সাধু লোকটি দাসীটির সাথে গেল। যখনই সে কোন দরজা অতিক্রম করত, তখনই তা পিছন থেকে তালাবদ্ধ করে দেওয়া হ’ত। এভাবে অবশেষে একজন সুন্দরী মহিলার কাছে তাকে পৌঁছানো হ’ল। যার কাছে একটি বালক ও এক পাত্র মদ ছিল। তখন ঐ মহিলাটি তাকে বলল, আমি আপনাকে সাক্ষ্য করার জন্য ডাকিনি। বরং ডেকেছি আমার সাথে যেনা করার জন্য। অথবা এই বালকটিকে আপনি হত্যা করবেন অথবা এই এক পেয়ালা মদ পান করবেন। সাধু লোকটি তখন মদ পান করল। অতঃপর বলল, আরো দাও। অতঃপর সে মাতাল হয়ে গেল। ফলে সে উক্ত নারীর সাথে অপকর্ম করল এবং ঐ বালকটিকেও হত্যা করল। অতএব তোমরা মদ থেকে বেঁচে থাক। فَإِنَّهَا وَاللهِ لاَ يَجْتَمِعُ الإِيْمَانُ وَالْخَمْرُ إِلاَّ لَيُوْشِكُ أَنْ يُخْرِجَ أَحَدُهُمَا صَاحِبَهُ ‘কেননা মদ ও ঈমান কখনো একত্রে থাকতে পারে না। বরং একটি আরেকটিকে বের করে
দেয়’।[ দারাকুৎনী হা/৪৫৬৫; ছহীহাহ হা/১৮৫৩।]
মদ থেকে বেঁচে থাক। কেননা এটি হ’ল সকল নিকৃষ্ট কর্মের উৎস’। মনে রেখ তোমাদের পূর্বেকার একজন সাধু ব্যক্তি সর্বদা ইবাদতে রত থাকত এবং লোকালয় থেকে দূরে থাকত। একদা এক বেশ্যা মেয়ে তাকে প্রলুব্ধ করল। তার কাছে সে তার দাসীকে পাঠিয়ে দেয়। সে গিয়ে বলে যে, আমরা আপনাকে আহবান করছি একটি ব্যাপারে সাক্ষী থাকার জন্য। তখন সাধু লোকটি দাসীটির সাথে গেল। যখনই সে কোন দরজা অতিক্রম করত, তখনই তা পিছন থেকে তালাবদ্ধ করে দেওয়া হ’ত। এভাবে অবশেষে একজন সুন্দরী মহিলার কাছে তাকে পৌঁছানো হ’ল। যার কাছে একটি বালক ও এক পাত্র মদ ছিল। তখন ঐ মহিলাটি তাকে বলল, আমি আপনাকে সাক্ষ্য করার জন্য ডাকিনি। বরং ডেকেছি আমার সাথে যেনা করার জন্য। অথবা এই বালকটিকে আপনি হত্যা করবেন অথবা এই এক পেয়ালা মদ পান করবেন। সাধু লোকটি তখন মদ পান করল। অতঃপর বলল, আরো দাও। অতঃপর সে মাতাল হয়ে গেল। ফলে সে উক্ত নারীর সাথে অপকর্ম করল এবং ঐ বালকটিকেও হত্যা করল। অতএব তোমরা মদ থেকে বেঁচে থাক। فَإِنَّهَا وَاللهِ لاَ يَجْتَمِعُ الإِيْمَانُ وَالْخَمْرُ إِلاَّ لَيُوْشِكُ أَنْ يُخْرِجَ أَحَدُهُمَا صَاحِبَهُ ‘কেননা মদ ও ঈমান কখনো একত্রে থাকতে পারে না। বরং একটি আরেকটিকে বের করে
দেয়’।[ দারাকুৎনী হা/৪৫৬৫; ছহীহাহ হা/১৮৫৩।]