ইসলামে তাক্বলীদের বিধান

ভূমিকা : চোখ বন্ধ করে, চিন্তা-ভাবনা ছাড়া, দলীল ও প্রমাণ ব্যতীত নবী ছাড়া অন্য কারো কথা মানাকে (এবং সেটাকে নিজের উপর আবশ্যিক মনে করাকে) তাক্বলীদ (মুত্বলাক বা নিঃশর্ত তাক্বলীদ) বলা হয়। তাক্বলীদের একটি প্রকার হ’ল তাক্বলীদে শাখছী। যাতে মুক্বাল্লিদ প্রকারান্তরে (আমলের ক্ষেত্রে) এই বিশ্বাস পোষণ করে যে, ‘মুসলমানদের উপর চার ইমামের (মালেক, শাফেঈ, আহমাদ ও আবূ হানীফা) মধ্য থেকে শুধুমাত্র একজন ইমামের (যেমন- পাক-ভারতে ইমাম আবূ হানীফার) (দলীলবিহীন এবং ইজতিহাদী রায়সমূহের) তাক্বলীদ ওয়াজিব। আর অবশিষ্ট তিন ইমামের তাক্বলীদ হারাম’। তাক্বলীদের এ দু’টি প্রকার[1] বাতিল এবং প্রত্যাখ্যাত। […]

ইসলামে তাক্বলীদের বিধান বিস্তারিত পডুন »

ঈদে মীলাদুন্নবী

সংজ্ঞা : ‘জন্মের সময়কাল’কে আরবীতে ‘মীলাদ’ বা  ‘মাওলিদ’ বলা হয়। সে হিসাবে ‘মীলাদুন্নবী’-র অর্থ দাঁড়ায় ‘নবীর জন্ম মুহূর্ত’। নবীর জন্মের বিবরণ, কিছু ওয়ায ও নবীর রূহের আগমন কল্পনা করে তার সম্মানে উঠে দাঁড়িয়ে ‘ইয়া নাবী সালামু আলায়কা’ বলা ও সবশেষে জিলাপী বিতরণ- এই সব মিলিয়ে ‘মীলাদ মাহফিল’ ইসলাম প্রবর্তিত ‘ঈদুল ফিতর’ ও ‘ঈদুল আযহা’ নামক দু’টি বার্ষিক ঈদ উৎসবের বাইরে ‘ঈদে মীলাদুন্নবী’ নামে তৃতীয় আরেকটি ধর্মীয়(?) অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। উৎপত্তি : ক্রুসেড বিজেতা মিসরের সুলতান ছালাহুদ্দীন আইয়ূবী (৫৩২-৫৮৯ হিঃ) কর্তৃক নিযুক্ত ইরাকের ‘এরবল’ এলাকার গভর্ণর

ঈদে মীলাদুন্নবী বিস্তারিত পডুন »

অমর বাণী

সংকলনে : আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব পিএইচ.ডি. গবেষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ১. ইমাম মালেক রাহেমাহুল্লাহ (৯৩-১৭৯ হি.)-এর নিকটে বিশ বছর অধ্যয়নকারী ছাত্র আব্দুল্লাহ ইবনু ওয়াহাব (১২৫-১৯৬ হি./৭৪৩-৮১২ খৃ.) বলেন,نَذَرتُ أَنِّي كُلَّمَا اغْتَبْتُ إِنْسَاناً أَنْ أَصُوْمَ يَوْماً فَأَجْهَدَنِي فَكُنْتُ أَغْتَابُ وَأَصُوْمُ، فَنَوَيْتُ أَنِّي كُلَمَّا اغْتَبتُ إِنْسَاناً أَنْ أَتَصَدَّقَ بِدِرْهَمٍ فَمِنْ حُبِّ الدَّرَاهِمِ تَرَكتُ الغِيْبَةَ ‘একবার আমি শপথ করলাম যে, কারো গীবত করলেই আমি একদিন ছিয়াম রাখব। কিন্তু এটা আমাকে খুব কষ্টে ফেলল। এরপরেও আমি গীবত করতাম ও ছিয়াম রাখতাম। অতঃপর আমি নিয়ত করলাম যে কারো গীবত করলেই একটি করে দিরহাম

অমর বাণী বিস্তারিত পডুন »

ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ

‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ’ ঐ মতাদর্শকে বলা হয়, যা কোন ধর্মের অপেক্ষা রাখে না। অর্থাৎ যে মতাদর্শের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। ‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ’-কে ইংরেজীতে ‘সেক্যুলারিজম’ (Secularism) ও ফ্রেঞ্চ ভাষায় ‘সেক্যুলারাইট’ (Secularite) বলা হয়। কিন্তু আরবীতে ‘ইলমা-নিয়াহ’ (العِلْمانية ) বলা হয় নিয়ম বিরুদ্ধভাবে। কেননা এই শব্দটির সাথে ‘ইল্ম’ (العلم )-এর কোন সম্পর্ক নেই। আরবী ‘ইল্ম’ শব্দটি ইংরেজী ও ফ্রেঞ্চ ভাষায় Science বা ‘বিজ্ঞান’ অর্থে ব্যবহৃত হয়। এরপরে তার সাথে ان যোগ করা হয়েছে মূল অর্থকে জোরদার করার জন্য। যেমন রূহানীয়াহ, রববানীয়াহ, জিসমানীয়াহ, নূরানীয়াহ ইত্যাদি। এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকাতে Secularism-এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, Any movement in

ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বিস্তারিত পডুন »

ছবি ও মূর্তি

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ سَمِعْتٌ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ: إِنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَذَاباً عِنْدَ اللهِ الْمُصَوِّرُوْنَ، متفق عليه- ১. অনুবাদ: আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রাযিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহে ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকটে সর্বাধিক আযাব প্রাপ্ত লোক হবে ছবি প্রস্ত্ততকারীগণ।[1] ২. ব্যাখ্যাঃ হাদীছে تَصَاوِيْرُ، تَمَاثِيْلُ، تَصَالِيْبُ তিনটি বহুবচনের শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। যেগুলির একবচনের অর্থ হ’লঃ যথাক্রমে ছবি, মূর্তি ও ক্রুশযুক্ত ছবি। তবে ‘ছবি’ বলতে সবগুলিকেই বুঝায়। ‘মূর্তি’ বলতে মাটি, পাথর বা অন্য কিছু দিয়ে তৈরী মূর্তি, প্রতিকৃতি, তৈলচিত্র

ছবি ও মূর্তি বিস্তারিত পডুন »

আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ

আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় ও অকল্পনীয় সত্তা। তাঁর সৌন্দর্যের কোন তুলনা নেই। তাঁর অবয়বের বর্ণনা দেয়ার কোন ক্ষমতা কারো নেই। তাঁকে কেউ কোন দিন দেখেনি। তিনি একমাত্র মহাপবিত্র সত্তা, তাঁর সত্তার সঠিক বা আনুমানিক বর্ণনা দেয়ার কোন অবকাশ নেই। তাঁর সুন্দর সুন্দর নাম, সৌন্দর্য, পবিত্রতা ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রভৃতির বর্ণনা রয়েছে পবিত্র কুরআনে। এগুলো মহাজ্ঞানী মহান আল্লাহর সত্তার সুনিশ্চিত প্রমাণ। যারা আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে কিংবা আল্লাহর কোন আকার নেই (নিরাকার) বলে মনে করে, আল্লাহর অস্তিত্বে অবিশ্বাস করে, তারা মুমিন নয়। তাদের ভ্রান্ত ধারণা দূরীকরণার্থে

আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ বিস্তারিত পডুন »

ইসলামে হালাল ব্যবসা ও অর্থনীতির রূপরেখা

ইসলাম একটি শাশ্বত, সার্বজনীন ও পূর্ণাঙ্গ জীনব ব্যবস্থা। সৃষ্টি জগতে এমন কোন দিক ও বিভাগ নেই, যেখানে ইসলাম নিখুঁত ও স্বচ্ছ দিক-নির্দেশনা প্রদান করেনি। মহান আল্লাহ বলেন, مَا فَرَّطْنَا فِي الْكِتَابِ مِنْ شَيْءٍ ‘আমরা এ কিতাবে কোন কিছুই অবর্ণিত রাখিনি’ (মায়েদাহ ৫/৩৮)। মানবতার মুক্তির দিশারী মুহাম্মাদ (ছাঃ) অন্ধকারাচ্ছন্ন, পাপ-পঙ্কিলতাময় এ বসুন্ধরায় জাহেলিয়াতের সকল অন্যায়-অত্যাচার, অবিচার-অশান্তি, অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বিশেষ করে মানব নিষ্পেষণ ও সমাজ বিধ্বংসী অন্যতম মাইন সূদ, ঘুষ, লটারী ও মজুতদারী প্রভৃতি তিরোহিত করেন। আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ অহি-র আলোকে হালাল ব্যবসা ভিত্তিক একটি সর্বোত্তম,

ইসলামে হালাল ব্যবসা ও অর্থনীতির রূপরেখা বিস্তারিত পডুন »

মুমিনের অতিবাহিত রাত

ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম মুমিনের সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর জন্য নিবেদিত হবে। তার প্রতিটি মুহূর্ত অতিবাহিত হবে আল্লাহর স্মরণে এবং তাঁর বিধান পালনের মাধ্যমে। তার সকল কর্ম সম্পাদিত হবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অনুসরণ-অনুকরণের মধ্য দিয়ে। যেমনভাবে মুমিনের দিন অতিবাহিত করার আদব শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, অনুরূপভাবে রাত্রি অতিবাহিত করার আদব বা শিষ্টাচার ইসলাম বিশেষভাবে শিক্ষা দিয়েছে। ঐসব আদব কুরআন ও হাদীছে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। যাতে মুমিন প্রতিটি রাত আল্লাহর রেযামন্দী ও সন্তোষে অতিবাহিত করে সফলকাম ও কামিয়াব হ’তে পারে। এখানে আমরা পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে মুমিনের রাত্রি

মুমিনের অতিবাহিত রাত বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top