মানুষের সাথে কথা বলার আদব

আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে মানুষের সাথে একজন মুসলিম কীভাবে কথা বলবেন সে বিষয়ে ইসলাম কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম পদ্ধতি প্রণয়ন করে দিয়েছে। সর্বাবস্থায় একজন মুসলিমকে অটুট বিশ্বাস নিয়ে মনে রাখতে হবে যে, তার মুখ দিয়ে উচ্চারিত প্রতিটি শব্দের জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে। তিনি যদি উত্তম কিছু বলেন, তিনি পুরস্কৃত হবেন। আর তিনি যদি মন্দ কিছু বলেন, তবে সেই মন্দ কথার জন্য তাকে অবধারিতভাবেই শাস্তি ভোগ করতে হবে। আল্লাহ্‌ (সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা) বলেছেন : “মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তা লিপিবদ্ধ করার জন্য তৎপর প্রহরী তার সাথেই রয়েছে।” [সূরা […]

মানুষের সাথে কথা বলার আদব বিস্তারিত পডুন »

প্রগতির নামে প্রহসন : প্রগতিবাদ ও ইসলাম

সারা বিশ্বে প্রগতির লু হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে। সকলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একই। প্রগতিশীল সমাজবিজ্ঞানীদের ধারনা আমাদের সমাজটা পরিবর্তন করা উচিৎ। সেকেলের সমাজ ব্যবস্থায় সার্বিক অধিকার প্রতিষ্ঠা অসম্ভব, বিধায় প্রগতিশীল সমাজবিজ্ঞানী হিসেবে তা পরিবর্তন করা সমীচীন। প্রগতির উল্টোটা প্রতিক্রিয়া। আর প্রতিক্রিয়া সেই দর্শন বা মতবাদ যা মনে করে মানুষের ইতিহাস ক্রমে অবনতিশীল। মানুষ ও সভ্যতা ক্রমেই অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কেউ চিন্তা করেন, মুলত প্রগতির ধারণা মনে করে বর্তমান অতীতের চেয়ে শ্রেয় এবং বিশ্বাস করে যে ভবিষ্যৎ আরো ভালো হতে পারে এবং হবে। পক্ষান্তরে কেউ চিন্তা

প্রগতির নামে প্রহসন : প্রগতিবাদ ও ইসলাম বিস্তারিত পডুন »

জাতীয় প্রশ্ন : বিশ্বে সবচেয়ে বেশী মানুষ হত্যাকারীর কেউ মুসলিম নয়

বিশ্বে সবচেয়ে বেশী মানুষ হত্যাকারীর কেউ মুসলিম নয় !!! এর পরেও কেন মুসলিমরা আজ টেররিস্ট ?? ১. হিটলার, একজন অমুসলিম । ৬০ লক্ষ ইহুদি হত্যা করেছিলো । মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে খৃষ্টান টেররিস্ট !!! ২. জোসেফ স্ট্যালিন, একজন অমুসলিম । সে ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে, এবং ১৪. ৫ মিলিয়ন মানুষ অসুস্থ হয়ে ধুকে ধুকে মারা গেছে । মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে খৃষ্টান টেররিস্ট !!! ৩.মাও সে তুং একজন অমুসলিম । ১৪ থেকে ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে ! মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি

জাতীয় প্রশ্ন : বিশ্বে সবচেয়ে বেশী মানুষ হত্যাকারীর কেউ মুসলিম নয় বিস্তারিত পডুন »

আলোর পথ

ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব আল্লাহ বলেন, اللهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُمْ مِنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ أُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ – ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তিনি তাদেরকে অন্ধকার হ’তে আলোর দিকে বের করে আনেন। আর যারা অবিশ্বাস করেছে, শয়তান তাদের অভিভাবক। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। ওরা হ’ল জাহান্নামের অধিবাসী। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে’ (বাক্বারাহ ২/২৫৭)। ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, অত্র আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের খবর দিচ্ছেন যে, তার

আলোর পথ বিস্তারিত পডুন »

বিজ্ঞান ও ধর্মের কি একে অপরকে প্রয়োজন?

প্রারম্ভিকা : বিজ্ঞান ও ধর্ম এ দু’টি কি পরস্পর বিরোধী, না-কি একে অপরের পরিপূরক? এটা একটা কঠিন প্রশ্ন, তাই নয় কি? তবে হ্যাঁ, শুরুটাই হ্যাঁ দিয়ে করা যাক। ইসলাম একটি বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম এবং এ ধর্মের মহাগ্রন্থ আল-কুরআনও বিজ্ঞানময়। ইসলাম শুধু কিছু আচারসর্বস্ব ধর্ম নয়, বরং একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান (Complete code of Life)। এ জীবনের পালনীয়/নিষিদ্ধ যাবতীয় বিষয়াদি সর্বশক্তিমান, সৃষ্টিকর্তা, সকল বিজ্ঞানীর ঊর্ধ্বে মহাবিজ্ঞানী মহান আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ও শেখানো এবং তাঁর প্রেরিত রাসূল মুহাম্মাদ (ছাঃ) কর্তৃক শেখানো ও প্রচারকৃত। আধুনিক শিক্ষিত নাস্তিক্যবাদী বা অন্যান্য মতবাদের

বিজ্ঞান ও ধর্মের কি একে অপরকে প্রয়োজন? বিস্তারিত পডুন »

তাওহীদের গুরুত্ব ও শিরকের ভয়াবহতা

মানুষের জীবনে তাওহীদ অতীব গুরত্বপুর্ণ বিষয়। তাওহীদ বিশ্বাসের কারণেই মানুষ পরকালে মুক্তি লাভ করবে। তাওহীদ সম্পর্কে জানা ও নির্ভেজাল তাওহীদে বিশ্বাসী হওয়া প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশ্যক। তাওহীদের বিপরীত হ’ল শিরক। যার কারণে মানুষের জীবনের সকল পুণ্য বিনষ্ট হয়, পূর্বের সব আমল বাতিল হয়ে যায় এবং পরকালে জাহান্নাম অবধারিত হয়। তাই শিরক থেকে সতর্ক-সাবধান হওয়া সকল মানুষের জন্য অতি যরূরী। আলোচ্য নিবন্ধে তাওহীদ ও শিরক সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা পেশ করা হ’ল।- তাওহীদের পরিচয় ও প্রকারভেদ তাওহীদ ‘ওয়াহদাতুন’ ধাতু হ’তে উৎপন্ন। যার অর্থ একক। তাওহীদ-এর আভিধানিক অর্থ একক

তাওহীদের গুরুত্ব ও শিরকের ভয়াবহতা বিস্তারিত পডুন »

আল্লাহর উপর ভরসা

ভূমিকা : সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি সৃষ্টিকুলের প্রতিপালনকারী। ছালাত ও সালাম আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর, যিনি নবী ও রাসূলকুলের শ্রেষ্ঠ। সেই সঙ্গে ছালাত ও সালাম তাঁর পরিবার ও ছাহাবীগণের উপর। অতঃপর আমাদের এই ‘তাওয়াক্কুল’ (আল্লাহর উপরে ভরসা) পুস্তিকাটি ‘অন্তরের আমল সমূহ’ সিরিজের দ্বিতীয় রচনা। কোন এক জ্ঞান-গবেষণা মজলিসে আল্লাহ তা‘আলা আমাকে এটি উপস্থাপনের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এটি তৈরীতে একদল নিবেদিতপ্রাণ বিদ্যানুরাগী আমাকে সহায়তা করেছেন। এখন আল্লাহর রহমতে এটি পুস্তক আকারে মুদ্রিত হ’তে যাচ্ছে। আল্লাহর উপর ভরসা মানব জীবনে একটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ স্তর। এর প্রভাব-প্রতিপত্তিও সুদূরপ্রসারী।

আল্লাহর উপর ভরসা বিস্তারিত পডুন »

কুরআন অনুধাবন

ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِيَدَّبَّرُوا آيَاتِهِ وَلِيَتَذَكَّرَ أُولُو الْأَلْبَابِ-   অনুবাদ : ‘এটি এক কল্যাণময় কিতাব, যা আমরা তোমার প্রতি নাযিল করেছি। যাতে তারা এর আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং জ্ঞানীরা উপদেশ গ্রহণ করে’ (ছোয়াদ ৩৮/২৯)। অত্র  আয়াতে আল্লাহ মানুষকে কুরআন গবেষণা ও তার তাৎপর্য অনুধাবনের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। একই মর্মে কুরআনে বহু আয়াত এসেছে। যেমন বলা হয়েছে,أَفَلاَ يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللهِ لَوَجَدُوا فِيهِ اخْتِلاَفًا كَثِيرًا- ‘তারা কেন কুরআন নিয়ে গবেষণা করে না? যদি এটা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারু

কুরআন অনুধাবন বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top