নিজেকে চেনা

ষড়রিপু সমাচার (৬ষ্ঠ কিস্তি)

ছয়. মাৎসর্য রিপু : মাৎসর্য হলো ঈর্ষা, হিংসা, পরশ্রীকাতরতা, বিদ্বেষ, অপকার, হনন ইত্যাদি। মাৎসর্যের কোন প্রকার হিতাহিত বোধ নেই। মাৎসর্য উলঙ্গ, অন্ধ ও বিকৃত অবস্থাকে পূজা করে থাকে। মাৎসর্যান্ধ মানুষ নিজে কোন কাজেই কোনকালে সুখ পায় না। নিজের কোন কিছুর প্রতি যত্নবান হওয়া বা খেয়াল করার সুযোগও তার নেই। তার চোখে বুকে অপরের ভাল কাজের প্রতি প্রতিহিংসার আগুন জ্বলতে থাকে। অথচ তার নিজের পক্ষে তা সম্পন্ন করার ক্ষমতাও তার নেই। লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, নিজের স্বার্থকে জলাঞ্জলী দিয়েও সে মাৎসর্যে লিপ্ত হয়। এমনি এ […]

ষড়রিপু সমাচার (৬ষ্ঠ কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

ষড়রিপু সমাচার (৫ম কিস্তি)

পাঁচ. মদ রিপু : মদ হলো দম্ভ গর্ব, অহংকার, দর্প, মদ্য, প্রমত্ততা, বিহবলভাব ইত্যাদি। যে কোন ধর্মীয় বিধানে মদের কোন স্থান নেই; সে দম্ভ বা মদ্য যাই হোক। মদ মানুষকে তার প্রকৃত অবস্থা থেকে বিকৃত করে দেয়। তার আসল রূপটি লোপ পায়। মদান্ধ মানুষদের অধিকাংশই আত্মশ্লাঘায় ভোগে। এ আত্মশ্লাঘায় বা আত্মম্ভরিতা তার নিজের মধ্যে নিহিত আত্মবোধ বা আত্মদৃষ্টিকে ধ্বংস করে দেয়। ফলে সে পৃথিবীর সবকিছুই তুচ্ছ মনে করে ধরাকে সরাজ্ঞান করে থাকে। জীবনের অর্জিত বা সঞ্চিত যাবতীয় সম্পদকে সে এক ফুৎকারে ধ্বংস করে দিতে পারে।

ষড়রিপু সমাচার (৫ম কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

ষড়রিপু সমাচার (৪র্থ কিস্তি)

চার. মোহ রিপু : মোহ শব্দটি চিত্তের অন্ধতা, অবিদ্যা, মূর্খতা, মূঢ়তা, নির্বুদ্ধিতা, ভ্রান্তি, মুগ্ধতা, বিবেকহীনতা, মায়া, মূর্ছা, বুদ্ধিভ্রংশ ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আসলে মানব রিপুর মধ্যে এটি অন্যতম একটি রিপু। কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ ও হিংসা এসবক’টির উপর মোহ প্রভাব খাঁটিয়ে থাকে। অর্থাৎ মোহ দোষে দূষিত ব্যক্তি বাকি পাঁচটি রিপুকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাকে যে কোন রিপু অতি সহজেই গ্রাস করতে পারে। কারণ অজ্ঞতা বা নির্বুদ্ধিতা থেকেই বিবেকশূন্যতার সৃষ্টি হ’তে পারে। মায়া হ’ল মোহ রিপুর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। অতি মায়া বা দয়া ক্ষেত্র

ষড়রিপু সমাচার (৪র্থ কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

ষড়রিপু সমাচার (৩য় কিস্তি)

তিন. লোভ রিপু : লোভ হ’ল লিপ্সা বা কাম্য বস্ত্ত লাভের প্রবল ইচ্ছা। বিনা লোভে কোন কাজও হয়না আবার লোভ নেই এমন মানুষও নেই। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যত কাজকর্ম রয়েছে তার প্রতিটির পেছনে নিহীত রয়েছে লোভ। বিনা লোভে পৃথিবীতে কিছুই হয় না। লোভ আছে বলেই মানুষের বেঁচে থাকার স্পৃহা আছে, জাগতিক ও পারলৌকিক আশা-আকাংখা তথা অভিপ্রেত অনুভূতি আছে। তবে লোভের রকমফের রয়েছে। কথায় বলে, ‘অতি লোভে তাঁতী নষ্ট’। আসলে অতি লোভের পরিণাম হিসাবে আসে পাপ। পৃথিবীতে মানুষ যে লোমহর্ষক কর্মকান্ড করছে তার মূলে রয়েছে অতি

ষড়রিপু সমাচার (৩য় কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

ষড়রিপু সমাচার (২য় কিস্তি)

দুই. ক্রোধ রিপু ক্রোধ শব্দের প্রতিশব্দ হলো রাগ বা রোষ। কেবল মানুষই নয় প্রাণী মাত্রই ক্রোধ আছে। ক্রোধ শক্তি একজন মানুষকে অন্যজন থেকে আলাদা হ’তে সহায়তা করে। তবে ক্রোধের রয়েছে বহুবিধ গতি, প্রকৃতি। ‘কুল লক্ষণ’ বা একই জাতীয় অনেকগুলো গুণ আছে। সৎকুলের নয়টি গুণ রয়েছে। গুণগুলো হলো-আচার, বিনয়, বিদ্যা, প্রতিষ্ঠা, তীর্থদর্শন, নিষ্ঠা, আবৃত্তি, তপস্যা ও দান। আসলে ক্রোধান্ধ একজন মানুষের পক্ষে বোধকরি উপরে বর্ণিত নয়টি গুণের একটিতেও সফল হওয়া সম্ভব নয়। কারও মধ্যে এ গুণগুলো অনুপস্থিত থাকলে প্রকৃত প্রস্তাবেই সে আসল মানুষ থাকতে পারে না।

ষড়রিপু সমাচার (২য় কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

ষড়রিপু সমাচার

ভূমিকা : মানব জীবন বড়ই বন্ধুর। জীবনে নানা ঘাত-প্রতিঘাত জীবনকে প্রতিনিয়ত যেমনি শুধরিয়ে দেয় তেমনি আবার কলুষিতও করে থাকে। পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রাণীর মধ্যে মানুষই সর্বশ্রেষ্ঠ। এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পেছনে যে বিষয়গুলো সদা ক্রিয়াশীল তা হলো তার বিবেক, বুদ্ধি, বিচক্ষণতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা। বিবেক হলো মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তি যার দ্বারা ন্যায়, অন্যায়, ভালোমন্দ, ধর্মাধর্ম বিচার-বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জিত হয়। বুদ্ধি হলো তার ধীশক্তি বা বোধশক্তি যার দ্বারা তার জীবন ও জগতে সংগঠিত যাবতীয় ক্রিয়াকলাপে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়ার বিজ্ঞানময় দক্ষতা নির্ণীত হয়। বিচক্ষণতা হলো তার দূরদর্শীতা

ষড়রিপু সমাচার বিস্তারিত পডুন »

Scroll to Top