আল্লাহভীতি মানুষের জীবনের মূল ভিত্তি। অধিক কুরআন হাদীস জানাতে কোন বাহাদুরী নেই, বরং তাক্বওয়াশীল মানুষ হলো সর্বোত্তম মর্যাদাপূর্ণ। তাই সদা সকল কাজে আল্লাহকে ভয় করে চলতে হবে। আল্লাহর তাক্বওয়া অর্জনের হক্ক আদায় করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ তাকওয়ার ঐ স্তর অর্জন কর, যা তাক্বওয়ার হক। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, তাকওয়ার হক হল, প্রত্যেক কাজে আল্লাহর আনুগত্য করা, আনুগত্যের বিপরীতে কোন কাজ না করা, আল্লাহকে সর্বদা স্মরণে রাখা- কখনো বিস্মৃত না হওয়া এবং সর্বদা তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা- অকৃতজ্ঞ না হওয়া। [ইবন কাসীর]
তাক্বওয়া অর্থ ভয় করা, পরহেয করা। ইবনু কাছীর বলেন, তাক্বওয়ার মূল অর্থ হ’ল التوقي ما يكره ‘অপসন্দনীয় বিষয় থেকে বেঁচে থাকা’। ছোট ও বড় সকল পাপ পরিত্যাগ করাকে তাক্বওয়া বলে। আল্লাহ বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ حَقَّ تُقَاتِهِ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর সত্যিকারের ভয়’ (আলে ইমরান ৩/১০২)।
একদিন জনৈক ব্যক্তি আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে তাক্বওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন,أَخَذْتَ طَرِيْقًا ذَا شَوْكٍ؟ ‘তুমি কি কখনো কাঁটাযুক্ত পথে চলেছ? লোকটি বলল, হাঁ। তিনি বললেন, কিভাবে চলেছ? লোকটি বলল, إِذَا رَأَيْتُ الشَّوْكَ عَدَلْتُ عَنْهُ أَوْ جَاوَزْتُهُ أَوْ قَصُرْتُ عَنْهُ ‘আমি কাঁটা দেখলে তা এড়িয়ে চলি। অথবা ডিঙিয়ে যাই অথবা দূরে থাকি’। আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেন, ذَاكَ التَّقْوَى ‘এটাই হ’ল তাক্বওয়া’(বায়হাক্বী, যুহদুল কাবীর ১/৩৫০, সনদে হিশাম বিন যিয়াদ আছেন, যাঁর মধ্যে দূর্বলতা রয়েছে)।
তাক্বওয়া অন্তরে লুকানো বিষয় :
মানুষের পরহেযগারিতা নির্ভর করে মানুষের অন্তরের উপর। এখানে অন্তর ঠিক করার অর্থ হচ্ছে খালেছ অন্তরে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ভয় করা। আর যে অন্তর আল্লাহকে ভয় করে, তা গোপন-প্রকাশ্য সকল প্রকার পাপাচার হতে বিরত থাকে। নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘মনে রেখ নিশ্চয়ই মানুষের শরীরে একটি মাংস পিন্ড আছে যা, সঠিক থাকলে সমগ্র দেহই সঠিক থাকে। আর তার বিকৃতি ঘটলে সমস্ত দেহেরই বিকৃতি ঘটে। সে মাংসের টুকরাটি হল অন্তর’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৬৪২)।
পরহেযগারিতা মানুষের অন্তরের ব্যাপার। অন্তরে পরহেযগারিতা থাকলে কথা ও কাজে তা প্রকাশ পাবে। এজন্য নবী করীম (ছাঃ) তিনবার বুকের দিকে ইশারা করে বললেন, পরহেযগারিতা মানুষের বুকের মধ্যে রয়েছে। মন ভাল আছে, পরিষ্কার আছে এই দোহাই দিয়ে নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী একাকার হয়ে চলবে, অবাধে মেলামেশা করবে; পর্দা-পুশীদার ধার ধারবে না। এটা কোন মুসলিম সমাজের জন্য কাম্য নয়। বরং আল্লাহ প্রদত্ত পর্দার বিধান মেনে চলাই মন ভাল থাকার পরিচয়। যে মনে তাকওয়া থাকে, যে অন্তরে আল্লাহভীতি থাকে তাকেই ভাল মন ও ভাল অন্তর বলা যায়। এতদ্ব্যতীত কোন অন্তর ভাল অন্তর নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। কাজেই তার উপর অত্যাচার করবে না, তাকে লজ্জিত করবে না এবং তাকে তুচ্ছ মনে করবে না। আল্লাহর ভয় এখানে থাকে। একথা বলে তিনি তিনবার নিজের বক্ষের দিকে ইশারা করলেন’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৭৪২)।
তাক্বওয়াশীল ব্যক্তি সদা আল্লাহর প্রতি সুধারনা রাখেন :
আল্লাহর প্রতি সুধারনা হলো আল্লাহ তা‘আলার গুণাবলির প্রতি সুদৃঢ় বিশ্বাস রাখা এবং তাঁর সাথে কোন কিছুর শরীক না করা। যথা- আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সৃষ্টিকর্তা, আমাদের পালনকর্তা, দয়ালু, মেহেরবান, বিচার দিবসের মালিক, তিনি একমাত্র ক্ষমাকারী, সকল বিষয়ে ক্ষমতাধর, রাজাধিরাজ, সকল বিষয়ের হিসাব গ্রহণকারী, তিনি সব দেখেন ও শুনেন, তিনিই একমাত্র অভিভাবক দুনিয়া ও আখেরাতে সকল কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর ইত্যাদি। জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মৃত্যুর তিনদিন আগে এ কথা বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, «لَا يَمُوتَنَّ أَحَدُكُمْ إِلَّا وَهُوَ يُحْسِنُ الظَّنَّ بِاللَّه» ‘আল্লাহর ওপর ভাল ধারণা পোষণ করা ছাড়া তোমাদের কেউ যেন মৃত্যুবরণ না করে’ (মুসলিম হা/২৮৭৭,মিশকাত হা/১৬০৫)।
খাত্ত্বাবী বলেন, আল্লাহ সম্পর্কে ভালো ধারণা হল তা তার ভাল ‘আমল। তিনি আরও বলেন, তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে ভাল ধারণার মাধ্যমে তোমাদের ‘আমলকে সুন্দর কর। কারও আল্লাহ সম্পর্কে খারাপ ধারণা হলে তার ‘আমলও খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু তাক্বওয়াশীল ব্যক্তি সদা সুধারনা পোষণকারী এবং আমলকারী।
তাক্বওয়াশীল ব্যক্তির পরিচ্ছন্ন হৃদয় :
তাক্বওয়া বা আল্লাহকে ভক্তি সহকারে ভয় করে তাঁর সঠিক অনুগত ভক্ত হওয়ার ভাবার্থ হলো এই যে, মহান আল্লাহর ভয়, ভালোবাসা এবং অতিশয় শ্রদ্ধাসহকারে তাঁর আনুগত্য করা, তাঁর জন্য সতর্ক থাকা এবং তাঁর অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকা। প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা মোতাবেক মহান আল্লাহর প্রতি প্রকৃত ঈমান মানুষকে সৎলোক করে দেয়; সুতরাং তার গুণাবলি হয় ভালো, তার কর্ম হয় কল্যাণদায়ক, তার কথা হয় মঙ্গলদায়ক অতঃপর সে নিজেও হয়ে যায় সর্বোত্তম মানুষ। আর এসকল ব্যক্তি পরিচ্ছন্ন হৃদয় সম্পন্ন হয়ে থাকে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একবার রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’ল শ্রেষ্ঠ মানুষ কে? তিনি বললেন, كُلُّ مَخْمُوْمِ الْقَلْبِ صَدُوْقِ اللِّسَانِ ‘প্রত্যেক শুদ্ধহৃদয় ও সত্যভাষী ব্যক্তি’। লোকেরা বলল, সত্যভাষীকে আমরা চিনতে পারি। কিন্তু শুদ্ধহৃদয় ব্যক্তিকে আমরা কিভাবে চিনব? জবাবে তিনি বললেন, هُوَ التَّقِىُّ النَّقِىُّ لاَ إِثْمَ فِيْهِ وَلاَ بَغْىَ وَلاَ غِلَّ وَلاَ حَسَدَ ‘সে হবে আল্লাহভীরু ও পরিচ্ছন্ন হৃদয়; যাতে কোন পাপ নেই, সত্যবিমুখতা নেই, বিদ্বেষ নেই, হিংসা নেই’ (ইবনু মাজাহ হা/৪২১৬; মিশকাত হা/৫২২১)।
এছাড়াও যদি কোন ব্যক্তি নিজেকে মুমিন হিসাবে দাবী করলে অবশ্যই হিংসা ও বিদ্বেষ পরিহার করতে হবে এবং সত্যের নিকটে মাথানত করতে হবে। অন্তরে বিষ রেখে মুখে মিষ্টিভাষী। মনে রাখবেন আল্লাহ তা‘আলা আমাদের অন্তরের খবর রাখেন। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, إِنَّ اللهَ لاَ يَنْظُرُ إِلَى صُوَرِكُمْ وَأَمْوَالِكُمْ وَلَكِنْ يَنْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ وَأَعْمَالِكُمْ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের চেহারা ও মাল-সম্পদ দেখেন না। বরং তিনি দেখেন তোমাদের অন্তর ও আমল’ (মুসলিম হা/২৫৬৪, মিশকাত হা/৫৩১৪)।
তাক্বওয়াশীল ব্যক্তিকে আল্লাহ ভালবাসেন :
আল্লাহ তা‘আলা তাক্বওয়াকে সবচেয়ে উত্তম পাথেয় বলেছেন। আর আল্লাহ জ্ঞানী ব্যক্তিকে সম্বোধন করে বলেন, তোমরা আমার ব্যাপারে তাক্বওয়া অবলম্বন কর। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা পাথেয় সংগ্রহ কর। আর নিঃসন্দেহে সবচেয়ে উত্তম পাথেয় হচ্ছে তাক্বওয়া। হে জ্ঞানী মানুষ! তোমরা আমাকে ভয় কর’ (বাক্বারাহ ১৯৭)।
আল্লাহ তাক্বওয়াশীল ব্যক্তিদের সাথে থাকেন এবং তাদেরকে ভালোবাসেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَاعْلَمُوْا أَنَّ اللهَ مَعَ الْمُتَّقِيْنَ ‘আর জেনে রেখ, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাক্বওয়াশীল মানুষের সাথে থাকেন’ (বাক্বারাহ ১৯৪)। অন্যত্র বলেন, فَإِنَّ اللهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِيْنَ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাকওয়াশীল ব্যক্তিদের ভালবাসেন’ (আলে ইমরান ৭৬)।
হাদীছে এসেছে, عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قِيلَ يَا رَسُولَ اللهِ – আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, একবার রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হল, مَنْ أَكْرَمُ النَّاسِ قَالَ أَتْقَاهُمْ মানুষের মধ্যে সর্বাধিক মর্যাদাবান ব্যক্তি কে? তিনি বললেন, যে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে আল্লাহভীরু’ (বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন হা/৬৯)।
তাক্বওয়া মুমিনের একমাত্র সম্বল। যা মানুষকে সম্মানিত করে। তাক্বওয়াশীলদেরকেই আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ছাঃ) সবচেয়ে সম্মানিত বলেছেন। আল্লাহ বলেন,
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ ذَكَرٍ وَأُنْثَى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوْبًا وَّقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوْا إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللهِ أَتْقَاكُمْ إِنَّ اللهَ عَلِيْمٌ خَبِيْرٌ-
‘হে মানুষ সকল! আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ ও একজন নারী হতে সৃষ্টি করেছি। তারপর আমি তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত করেছি যেন তোমরা পরস্পরকে চিনতে পার। নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক সম্মানি সে, যে তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী পরহেযগার। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সবকিছু জানেন এবং সব বিষয়ে অবহিত’ (হুজুরাত ১৩)।
তাক্বওয়াশীল ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে :
তাক্বওয়াশীল মানুষই জান্নাতে যাবে। এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে গিয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘গাভীর বাট থেকে দুধ বের করে তা পুনরায় ভিতরে ঢোকানো যেমন অসম্ভব, আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনকারী ব্যক্তির জাহান্নামে যাওয়া তেমনি অসম্ভব। এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَيَخِرُّوْنَ لِلْأَذْقَانِ يَبْكُوْنَ وَيَزِيْدُهُمْ خُشُوْعًا ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে নত মুখে লুটিয়ে পড়ে এবং কান্নার শব্দ শুনে তাদের নিবিড় আনুগত্য আরো বৃদ্ধি পায়’ (ইসরা ১০৯)। আল্লাহ অন্যত্র বলেন, أَفَمِنْ هَذَا الْحَدِيْثِ تَعْجَبُوْنَ، وَتَضْحَكُوْنَ وَلَا تَبْكُوْنَ، وَأَنْتُمْ سَامِدُوْنَ، فَاسْجُدُوْا لِلَّهِ وَاعْبُدُوْا- ‘তোমরা ক্বিয়ামতের বিভীষিকাময় কথা শুনে আশ্চর্য হচ্ছ, হাসছ অথচ কাঁদছ না? আর গান-বাজনায় মত্ত হয়ে এসব এড়িয়ে যাচ্ছ। আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য ধুলায় লুটিয়ে পড় এবং তাঁর ইবাদতে মগ্ন হও’ (নাজম ৫৯-৬২)।
তাক্বওয়াশীল ব্যক্তিকে মুত্তাকী বলে :
তাক্বওয়া ধারনকারী ব্যক্তিকে মুত্তাক্বী বলে। মুত্তক্বীদের পরিচয় দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, الَّذِيْنَ يُؤْمِنُوْنَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيْمُوْنَ الصَّلاَةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُوْنَ ‘যারা গায়েবে বিশ্বাস করে ও ছালাত কায়েম করে এবং আমরা তাদেরকে যে রূযী দান করেছি, তা থেকে ব্যয় করে’ (বাক্বারাহ ২/৩)। অত্র আয়াতে মুত্তাক্বীদের অন্যতম তিনটি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন। যথা- ১. অদৃশ্যে বিশ্বাস ২. সালাত কায়েম করা এবং ৩. আল্লাহর পথে ব্যয় করা।
যাদের ইলমের সঠিক বুঝ রয়েছে, কেবল তারাই দ্বীনের জ্ঞানী ব্যক্তি। আল্লাহ বলেন, إِنَّمَا يَخْشَى اللهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ ‘বান্দাগণের মধ্যে আল্লাহকে ভয় করে কেবল তারাই যারা জ্ঞানী’ (ফাত্বির ৩৫/২৮)। আর এই সঠিক বুঝ মুত্তাক্বী ব্যক্তিরাই অর্জন করে থাকেন। আর এদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও পুরস্কার। আল্লাহ বলেন, إِنَّ الَّذِيْنَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَيْبِ لَهُمْ مَغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ كَبِيْرٌ ‘নিশ্চয়ই যারা তাদের প্রভুকে না দেখে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার’ (মুলক ৬৭/১২)।
একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) সাহাবীগণের মাঝে অবস্থানকালে বলেন,وَدِدْتُ أَنِّيْ لَقِيْتُ إِخْوَانِيْ ‘আমি আমার ভাইদের সাথে সাক্ষাতের আকাংখা পোষণ করছি।’ ছাহাবীগণ বললেন, আমরা কি আপনার ভাই নই? তিনি বললেন,أَنْتُمْ أَصْحَابِيْ وَلَكِنْ إِخْوَانِيْ الَّذِيْنَ آمَنُوْا بِيْ وَلَمْ يَرَوْنِيْ ‘তোমরা আমার সাথী। আর আমার ভাই হ’ল তারা, যারা আমাকে না দেখেই আমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে’(আহমাদ হা/১২৬০১; ছহীহাহ হা/২৮৮৮)।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে পরিপূর্ণ তাক্বওয়াশীল মুসলিম বান্দা হিসেবে কবূল করুন, আমীন।