ই‘তিকাফ তাক্বওয়া অর্জনের একটি বড় মাধ্যম। এতে লায়লাতুল ক্বদর অনুসন্ধানের সুযোগ হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মসজিদে নববীতে রামাযানের শেষ দশকে নিয়মিত ই‘তিকাফ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর স্ত্রীগণও ই‘তিকাফ করেছেন’।[1] নারীদের জন্য বাড়ীর নিকটস্থ জুম‘আ মসজিদে ই‘তিকাফ করা উত্তম।[2]
ই‘তিকাফের জন্য জুম‘আ মসজিদ হওয়াই উত্তম। তবে নিয়মিত জামা‘আত হয় এরূপ ওয়াক্তিয়া মসজিদে ই‘তিকাফ করাও জায়েয। কারণ এ মর্মে আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত হাদীছটি একটি বর্ণনায় ‘জামে মসজিদ ব্যতীত ই‘তিকাফ হবে না’[3] আসলেও অন্য বর্ণনায় ‘জামা‘আত হয় এরূপ মসজিদে ই‘তিকাফ হবে’ এসেছে।[4] এছাড়া আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস এবং হাসান (রাঃ) হ’তে বর্ণিত হাদীছে এসেছে যে, ছালাত (তথা জামা‘আত) হয়, এরূপ মসজিদ ব্যতীত ই‘তিকাফ হবে না।[5] যেহেতু নারীদের জন্য জুম‘আর ছালাত ওয়াজিব নয়,[6] সেক্ষেত্রে তাদের জন্য ওয়াক্তিয়া মসজিদে ই‘তিকাফ করায় কোন বাধা নেই। যদি অভিভাবকের অনুমতি, পূর্ণ নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুবিধাদি মওজূদ থাকে।[7]
সময়কাল :
এটি বছরের যেকোন সময় করা যায়। যেমন একবার রাসূল (ছাঃ) শওয়ালের শেষ দশকে বিগত রামাযানের ক্বাযা ই‘তিকাফ করেছিলেন (বুখারী হা/২০৪১)। ওমর (রাঃ) একবার রাসূল (ছাঃ)-কে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! জাহেলী যুগে আমি মানত করেছিলাম যে, মাসজিদুল হারামে একরাত ই‘তিকাফ করব। উত্তরে রাসূল (ছাঃ) বললেন, তুমি তোমার মানত পূর্ণ কর’ (বুখারী হা/২০৪২)।
উত্তম হ’ল রামাযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করা। কেননা আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন,كَانَ النَّبِىُّ -صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- يَعْتَكِفُ فِى كُلِّ رَمَضَانَ عَشْرَةَ أَيَّامٍ، فَلَمَّا كَانَ الْعَامُ الَّذِى قُبِضَ فِيهِ اعْتَكَفَ عِشْرِينَ يَوْمًا- ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রতি রামাযানে দশদিন ই‘তিকাফ করতেন। কিন্তু যে বছর তিনি মারা যান, সে বছর বিশ দিন ই‘তিকাফ করেন’।[8]
কখন প্রবেশ করবে ও কখন বের হবে :
২০শে রামাযান সূর্যাস্তের পূর্বে ই‘তিকাফ স্থলে প্রবেশ করবে এবং ঈদের আগের দিন বাদ মাগরিব বের হবে।[9] তবে বাধ্যগত কারণে শেষ দশদিনের সময়ে আগপিছ করা যাবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন,اِلْتَمِسُوهَا فِى الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ -يَعْنِى لَيْلَةَ الْقَدْرِ- فَإِنْ ضَعُفَ أَحَدُكُمْ أَوْ عَجَزَ فَلاَ يُغْلَبَنَّ عَلَى السَّبْعِ الْبَوَاقِى- ‘তোমরা শেষ দশকে ক্বদর রাত্রি সন্ধান কর। যদি তোমাদের কেউ দুর্বল হয়ে পড়ে বা অক্ষম হয়ে পড়ে, তবে সে যেন বাকী সাত দিনের উপরে অক্ষম না হয়’ (মুসলিম হা/১১৬৫ (২০৯)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, তোমরা ক্বদর রাত্রি সন্ধান কর শেষ সাত রাতে’।[10] এর দ্বারা তাকীদ বুঝানো হয়েছে। যাতে ১০ দিনের স্থলে ৭ দিনের কম না হয়। এরপরেও বাধ্যগত কারণের বিষয়টি আলাদা। কেননা আল্লাহ বলেন, لاَ يُكَلِّفُ اللهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا، ‘আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যের অতিরিক্ত কাজে বাধ্য করেন না’ (বাক্বারাহ ২/২৮৬)।
শর্ত :
(ক) ই‘তিকাফ মসজিদে হ’তে হবে। আল্লাহ বলেন,وَأَنْتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ، ‘যখন তোমরা মসজিদ সমূহে ই‘তেকাফ অবস্থায় থাক’ (বাক্বারাহ ২/১৮৭)। (খ) এজন্য তাকে ছিয়াম রাখতে হবে। হযরত আয়েশা, ইবনু ওমর ও ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে এরূপ বর্ণিত হয়েছে।[11] রাসূল (ছাঃ) শওয়ালের শেষ দশকে রামাযানের যে ক্বাযা ই‘তিকাফ করেছিলেন (বুখারী হা/২০৪১), তখন তিনি ছায়েম ছিলেন কি-না, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বর্ণিত হয়নি। তবে তাঁর রীতি ছিল ছায়েম অবস্থায় ই‘তিকাফ করা। অতএব এটাই রীতি হিসাবে ধরে নিতে হবে (ফাৎহুল বারী ৪/২৭৬)।
ই‘তিকাফ অবস্থায় বৈধ বিষয় সমূহ :
(ক) মসজিদে বিছানা-পত্র ও ছোট চৌকি খাটানো। রাসূল (ছাঃ)-এর আদেশক্রমে আয়েশা (রাঃ) মসজিদে নববীতে রাসূল (ছাঃ)-এর জন্য পৃথক তাঁবু খাটিয়ে ছিলেন (বুখারী হা/২০৩৩)। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, তওবার খুঁটির পিছনে রাসূল (ছাঃ)-এর জন্য এটা করা হয়েছিল’।[12] আর এটি ছিল ক্বিবলার বিপরীত দিকে (ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ হা/২২৩৬)। এর দ্বারা বুঝা যায় যে, মসজিদের পশ্চাদ্ভাগে ই‘তিকাফ স্থল হওয়া উত্তম।
(খ) ই‘তিকাফকারী প্রাকৃতিক প্রয়োজনে নিজ বাড়ীতে প্রবেশ করতে পারবেন’।[13]
(গ) মসজিদে ই‘তিকাফ স্থলে স্ত্রী সাক্ষাত করতে পারেন এবং স্বামী বেরিয়ে এসে স্ত্রীকে কিছুদূর এগিয়ে দিতে পারেন। যেমন স্ত্রী ছাফিইয়া বিনতে হুয়াইকে রাসূল (ছাঃ) রাতের বেলা এগিয়ে দিয়েছিলেন।[14]
(ঘ) স্ত্রী তার স্বামীর সংক্ষিপ্ত সেবা করতে পারেন। যেমন হযরত আয়েশা (রাঃ) মসজিদে রাসূল (ছাঃ)-এর মাথার চুল অাঁচড়ে দিয়েছিলেন (বুখারী হা/২০৪৬)।
মহিলাদের ই‘তিকাফ : মহিলাগণ পৃথকভাবে ই‘তিকাফ করতে পারেন। যেমন হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রামাযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন, যতদিন না আল্লাহ তাকে মৃত্যু দান করেন। অতঃপর তাঁর স্ত্রীগণ ই‘তিকাফ করেন’।[15]
মসজিদে ই‘তিকাফ করতে হবে :
মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘ই‘তিকাফকারীর উপর সুন্নাত হ’ল, (১) সে কোন রোগীর সেবা করবে না (২) জানাযায় শরীক হবে না (৩) নারী স্পর্শ করবে না ও তার সাথে সহবাস করবে না (৪) বাধ্যগত প্রয়োজন ব্যতীত বের হবে না (৫) ছিয়াম ব্যতীত ই‘তিকাফ করবে না এবং (৬) জামে মসজিদ ব্যতীত ই‘তিকাফ হবে না’।[16] তবে আয়েশা (রাঃ) থেকে অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘জামা‘আত হয় এরূপ মসজিদে ই‘তিকাফ হবে’।[17]
ক্বদরের রাত্রিগুলিতে ও ই‘তিকাফ অবস্থায় ইবাদত করার নিয়মাবলী :
(ক) দীর্ঘ রুকূ ও সিজদার মাধ্যমে বিতরসহ ১১ রাক‘আত তারাবীহ বা তাহাজ্জুদ ছালাত আদায় করা।[18] (খ) প্রয়োজনে একই সূরা, তাসবীহ ও দো‘আ বারবার পড়ে ছালাত দীর্ঘ করা।[19] (গ) অধিকহারে কুরআন তেলাওয়াত করা (বায়হাক্বী, মিশকাত হা/১৯৬৩)। (ঘ) একনিষ্ঠ চিত্তে দো‘আ-দরূদ ও তওবা-ইস্তেগফার করা। ক্বদরের রাত্রিতে ক্ষমা প্রার্থনার বিশেষ দো‘আ اَللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّى-‘আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউভুন তুহিববুল ‘আফওয়া ফা‘ফু ‘আন্নী’ (হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল। তুমি ক্ষমা করতে ভালবাস। অতএব আমাকে ক্ষমা কর)[20] দো‘আটি বেশী বেশী পাঠ করা। (ঙ) তারাবীহ’র ৮ রাক‘আত ছালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا صَلَّى مَعَ الْإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ حُسِبَ لَهُ قِيَامُ لَيْلَةٍ- ‘ছালাত শেষ করা পর্যন্ত ইমামের সাথে ক্বিয়ামকারী ব্যক্তি সারা রাত্রি ক্বিয়ামের নেকী পায়’।[21]
(চ) জামা‘আতের সাথে ৮ রাক‘আত তারাবীহ শেষে খাওয়া-দাওয়া ও কিছুক্ষণ কুরআন তেলাওয়াতের পর ঘুমিয়ে যাবেন। অতঃপর শেষ রাতে উঠে টয়লেট সেরে এসে তাহিইয়াতুল ওযূ ও তাহিইয়াতুল মসজিদ বা অন্যান্য ছালাত যেমন ছালাতুত তওবাহ, ছালাতুল হাজত, ছালাতুল ইস্তিখারাহ ইত্যাদি নফল ছালাত শেষে অথবা কেবলমাত্র ১, ৩ বা ৫ রাক‘আত বিতর পড়বেন। অতঃপর সাহারী শেষে ফজরের দু’রাক‘আত সুন্নাত পড়বেন। অতঃপর জামা‘আতে এসে ফজরের ছালাত আদায় করবেন। এরপর ঘুমিয়ে যাবেন।
(ছ) সকালে ঘুম থেকে উঠে টয়লেট ও গোসল সেরে মসজিদে প্রবেশ করে দু’রাক‘আত তাহিইয়াতুল ওযূ ও দু’রাক‘আত তাহিইয়াতুল মসজিদ আদায় করবেন। এভাবে যতবার টয়লেটে যাবেন, ততবার করবেন। অতঃপর বেলা ১২-টার মধ্যে ২ অথবা দুই দুই করে সর্বোচ্চ ১২ রাক‘আত পর্যন্ত ছালাতুয যোহা বা চাশতের ছালাত আদায় করবেন। প্রতি ছালাতের শেষ বৈঠকে নিজের ও আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও উম্মতের কল্যাণ চেয়ে আল্লাহর নিকটে দো‘আ করবেন। উক্ত নিয়তেاَللَّهُمَّ رَبَّنَآ آتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِى الآخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ- ‘আল্লা-হুম্মা রববানা আ-তিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আ-খিরাতে হাসানাতাঁও ওয়া ক্বিনা আযা-বান্না-র’। অথবা আল্লা-হুম্মা আ-তিনা ফিদ্দুনিয়া…। ‘হে আল্লাহ! হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদেরকে দুনিয়াতে মঙ্গল দাও ও আখেরাতে মঙ্গল দাও এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচাও’ (বাক্বারাহ ২/২০১)। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, এ দো‘আটি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অধিকাংশ সময় পড়তেন।[22] এ সময় দুনিয়াবী চাহিদার বিষয়গুলি নিয়তের মধ্যে শামিল করবেন। কেননা আল্লাহ বান্দার অন্তরের খবর রাখেন ও তার হৃদয়ের কান্না শোনেন (মুমিন ৪০/১৯; ইব্রাহীম ১৪/৩৮)। দো‘আর সময় নির্দিষ্টভাবে কোন বিষয়ের নাম না করাই ভাল। কেননা ভবিষ্যতে বান্দার কিসে মঙ্গল আছে, সেটা আল্লাহ ভাল জানেন (ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ১২২ পৃ.)। রোগ আরোগ্যের জন্য বা অন্যান্য দো‘আ সমূহের জন্য দেখুন- ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ‘যরূরী দো‘আ সমূহ’ অধ্যায় ২৬৭-৩০০ পৃ.।
(জ) দিন-রাত কুরআন তেলাওয়াত, বিশুদ্ধ তাফসীর বা অন্যান্য দ্বীনী কিতাব সমূহ অধ্যয়নে রত থাকবেন। বিশেষ করে ‘ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)’ বইটি শেষ করুন এবং তাফসীরুল কুরআন (৩০তম পারা) থেকে কমপক্ষে সূরা ফাতিহা, নাবা, আছর ও সূরা তাকাছুর-এর তাফসীর পাঠ করুন। (ঝ) সশব্দে ইবাদত করবেন না এবং অন্যের ইবাদতে বিঘ্ন ঘটাবেন না।
(ঞ) ক্বদরের রাত্রিগুলিতে মসজিদে অপ্রয়োজনীয় আলোচনা ও দীর্ঘ ওয়ায মাহফিলের আয়োজন করা এবং বাড়তি খানাপিনা ও হৈ-হুল্লোড় করা ঠিক নয়। এতে ইবাদতের পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এবং লায়লাতুল ক্বদর অনুষ্ঠান সর্বস্ব হয়ে পড়ে। যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
………….. ‘ছিয়াম ও ক্বিয়াম’ বই থেকে নেয়া)…………..
[1]. বুখারী হা/২০২৬; মুসলিম হা/১১৭২; মিশকাত হা/২০৯৭, রাবী আয়েশা (রাঃ)।
[2]. ফাৎহুল বারী হা/২০৩৩-এর আলোচনা।
[3]. وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ فِى مَسْجِدٍ جَامِعٍ- আবুদাঊদ হা/২৪৭৩; মিশকাত হা/২১০৬।
[4]. وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ فِى مَسْجِدِ جَمَاعَةٍ- দারাকুৎনী হা/২৩৮৮, রাবী আয়েশা (রাঃ); ইরওয়াউল গালীল হা/৯৬৬।
[5]. বায়হাক্বী হা/৮৮৩৫, ৪/৩১৬; বিস্তারিত দ্র. মির‘আত হা/২১২৬-এর আলোচনা ৬/১৬৪-১৬৬ পৃ.।
[6]. আবুদাঊদ হা/১০৬৭; মিশকাত হা/১৩৭৭, রাবী ত্বারেক বিন শিহাব (রাঃ)।
[7]. মাসিক আত-তাহরীক, রাজশাহী, ১৯/১২ সংখ্যা সেপ্টেম্বর’১৬ প্রশ্নোত্তর ৩১/৪৭১।
[8]. বুখারী হা/২০৪৪; মিশকাত হা/২০৯৯।
[9]. সাইয়িদ সাবিক্ব, ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৪৩৬ ‘ই‘তিকাফ স্থলে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময়’ অনুচ্ছেদ।
[10]. বুখারী হা/২০১৫; মুসলিম হা/১১৬৫; মিশকাত হা/২০৮৪, রাবী আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ)।
[11]. মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/৮০৩৭ ও ৮০৩৩।
[12]. ইবনু মাজাহ হা/১৭৭৪; মিশকাত হা/২১০৭; আলবানী, তারাজু‘আত হা/৩২।
[13]. বুখারী হা/২০২৯; মুসলিম হা/২৯৭; মিশকাত হা/২১০০, রাবী আয়েশা (রাঃ)।
[14]. বুখারী হা/২০৩৫; মুসলিম হা/২১৭৫।
[15]. বুখারী হা/২০২৬; মুসলিম হা/১১৭২; মিশকাত হা/২০৯৭।
[16]. আবুদাঊদ হা/২৪৭৩; মিশকাত হা/২১০৬।
[17]. দারাকুৎনী হা/২৩৮৮; ইরওয়াউল গালীল হা/৯৬৬।
[18]. বুখারী হা/১১৪৭; মুসলিম হা/৭৩৮।
[19]. ইবনু মাজাহ হা/১৩৫০; আবুদাঊদ হা/৮১৬; মিশকাত হা/৮৬২, ১২০৫।
[20]. ইবনু মাজাহ হা/৩৮৫০; তিরমিযী হা/৩৫১৩; মিশকাত হা/২০৯১।
[21]. তিরমিযী হা/৮০৬; আবুদাঊদ হা/১৩৭৫; মিশকাত হা/১২৯৮।
[22]. বুখারী হা/৬৩৮৯; মুসলিম হা/২৬৯০; মিশকাত হা/২৪৮৭।