দরসে কুরআন : আসমান-যমীন সৃষ্টির সময়কাল

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, اِنَّ رَبَّکُمُ اللّٰهُ الَّذِیۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ فِیۡ سِتَّۃِ اَیَّامٍ ثُمَّ اسۡتَوٰی عَلَی الۡعَرۡشِ یُدَبِّرُ الۡاَمۡرَ ؕ مَا مِنۡ شَفِیۡعٍ اِلَّا مِنۡۢ بَعۡدِ اِذۡنِهٖ ؕ ذٰلِکُمُ اللّٰهُ رَبُّکُمۡ فَاعۡبُدُوۡهُ ؕ اَفَلَا تَذَکَّرُوۡنَ ‘নিশ্চয়ই তোমাদের রব আল্লাহ। যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে, তারপর আরশে উঠেছেন। তিনি সব বিষয় পরিচালনা করেন। তার অনুমতি ছাড়া সুপারিশ করার কেউ নেই। তিনিই আল্লাহ, তোমাদের রব। সুতরাং তোমরা তাঁর ইবাদাত কর। তারপরও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না? (ইউনুস ১০/৩)।

অন্যত্র বলেন,  اِنَّ رَبَّکُمُ اللّٰهُ الَّذِیۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ فِیۡ سِتَّۃِ اَیَّامٍ ثُمَّ اسۡتَوٰی عَلَی الۡعَرۡشِ ۟ یُغۡشِی الَّیۡلَ النَّهَارَ یَطۡلُبُهٗ حَثِیۡثًا ۙ وَّ الشَّمۡسَ وَ الۡقَمَرَ وَ النُّجُوۡمَ مُسَخَّرٰتٍۭ بِاَمۡرِهٖ ؕ اَلَا لَهُ الۡخَلۡقُ وَ الۡاَمۡرُ ؕ تَبٰرَکَ اللّٰهُ رَبُّ الۡعٰلَمِیۡنَ ‘নিশ্চয়ই তোমাদের রব আসমানসমূহ ও যমীন ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আরশে উঠেছেন। তিনি রাত দ্বারা দিনকে ঢেকে দেন। প্রত্যেকটি একে অপরকে দ্রুত অনুসরণ করে। আর (সৃষ্টি করেছেন) সূর্য, চাঁদ ও তারকারাজী, যা তাঁর নির্দেশে নিয়োজিত। জেনে রাখ, সৃষ্টি ও নির্দেশ তাঁরই। আল্লাহ মহান, যিনি সকল সৃষ্টির রব। (আরাফ ৭/৫৪)।

সূরা আ‘রাফের ৫৪ নং আয়াত। অত্র আয়াতে ‘দিন’ অর্থ সময়কাল। যার দৈর্ঘ্য হ’ল আখেরাতের হিসাবে হাযার বছর (সাজদাহ ৩২/৫) অথবা পঞ্চাশ হাযার বছরের সমান (মাআরেজ ৭০/৪)। কেননা তখন সূর্য ছিল না। তাই দুনিয়াবী ২৪ ঘণ্টার হিসাব অচল। আর সবই হয়েছে আল্লাহর ইচ্ছায়। এতে বান্দার কোন হাত নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল এবং এ দু’য়ের মধ্যেকার সবকিছুকে সৃষ্টি করেছি ছয় দিনে। অথচ এতে আমাদের কোনরূপ ক্লান্তি স্পর্শ করেনি’ (ক্বা-ফ ৫০/৩৮)। আর এই ছয়দিন হ’ল রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার। শুক্রবারে আছরের পূর্বেই সবকিছু শেষ করেন। অতঃপর আছর থেকে দিনের শেষ মুহূর্তে আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করেন (মুসলিম হা/২৭৮৯; মিশকাত হা/৫৭৩৪)। আব্দুল্লাহ বিন সালাম (রাঃ) বলেন, আল্লাহ রবিবার ও সোমবারে পৃথিবী সৃষ্টি করেন। মঙ্গলবার ও বুধবারে আকাশ সমূহ সৃষ্টি করেন। বুধবার ও বৃহস্পতিবারে খাদ্য সমূহ এবং পৃথিবীর অন্যান্য বস্ত্ত সমূহ সৃষ্টি করেন। শুক্রবারে আছরের পূর্বেই সবকিছু শেষ করেন (বায়হাক্বী হা/১৮১৬১, ৯/৩ পৃ.; কুরতুবী, তাফসীর সূরা আনআম ১ আয়াত)।  এই ছয় দিনের তাৎপর্য সম্পর্কে এতটুকুই বলা যায় যে, আল্লাহ তা‘আলা চাইলে এক নিমিষেই সবকিছু ‘হও’ বলে সৃষ্টি করতে পারতেন। তবে বিশেষ হিকমতের কারণে তিনি তা করেননি। বরং প্রকৃতির সবকিছুকে ধারাবাহিক ও নিয়মবদ্ধভাবে করেছেন, যাতে তা মানুষের জন্য শিক্ষণীয় হয়। তাছাড়া আল্লাহর নিকট প্রত্যেকটি বস্ত্তর একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে (কুরতুবী, তাফসীর সূরা আরাফ ৫৪ আয়াত)

আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার হাত ধরে বললেন, «خلق الله الْبَريَّة يَوْمَ السَّبْتِ وَخَلَقَ فِيهَا الْجِبَالَ يَوْمَ الْأَحَدِ وَخلق الشّجر يَوْم الِاثْنَيْنِ وَخلق الْمَكْرُوه يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ وَخَلَقَ النُّورَ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ وَبَثَّ فِيهَا الدَّوَابَّ يَوْمَ الْخَمِيسِ وَخَلَقَ آدَمَ بَعْدَ الْعَصْرِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فِي آخِرِ الْخَلْقِ وَآخِرِ سَاعَةٍ مِنَ النَّهَارِ فِيمَا بَيْنَ الْعَصْرِ إِلى اللَّيْل»  আল্লাহ তা’আলা জমিন সৃষ্টি করেছেন শনিবারে, পাহাড়-পর্বত সৃষ্টি করেছেন রবিবারে, গাছ-গাছালি সৃষ্টি করেছেন সোমবারে, খারাপ জিনিসসমূহ বানিয়েছেন মঙ্গলবারে, আলো বা জ্যোতি সৃষ্টি করেছেন বুধবারে, জীবজন্তু ও প্রাণিজগৎকে সৃষ্টি করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন বৃহস্পতিবারে, আর আদম আলায়হিস সালামকে সৃষ্টি করেছেন জুমু’আর দিন ’আসরের সময়ের পরে। মূলত এটাই সর্বশেষ সৃষ্টি, দিনের শেষ সময়েই সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ ’আসর ও রাত্রির মধ্যবর্তী সময়ে। (মুসলিম হা/ ২৭৮৯, মিশকাত হা/৫৭৩৪, হাদীসের মান যঈফ)

আব্বাস ইবনু ’আবদুল মুত্ত্বালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন তিনি একদল লোকসহ মুহাসসাব উপত্যকায় বসেছিলেন এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) -ও তাদের মাঝে উপবিষ্ট ছিলেন। এমন সময় একখণ্ড মেঘ তাদের ওপর দিয়ে অতিক্রম করল। লোকেরা তার দিকে তাকাল, তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরা এটাকে কি নামে আখ্যায়িত কর? তারা বলল, ’সাহাবা। তিনি (সা.) বললেন, এবং ’মুযন’ও বল? লোকেরা বলল, ’মুন’ও বলা হয়।
তিনি বললেন, তাকে ’আনান’ও বল? লোকেরা বলল, ’আনান’ও বলা হয়। অতঃপর তিনি (সা.) বললেন, তোমরা কি জান, আকাশ ও জমিনের মধ্যবর্তী দূরত্ব কত? লোকেরা বলল, আমরা জানি না। তিনি (সা.) বললেন, উভয়টির মাঝখানে একাত্তর, বাহাত্তর অথবা তেহাত্তর বছরের দূরত্ব। আর সেই আকাশ হতে তার পরের আকাশের দূরত্বও অনুরূপ। এভাবে তিনি সাত আকাশ পর্যন্ত গণনা করলেন। তারপর বললেন, সপ্তম আসমানের উপর রয়েছে একটি সমুদ্র। তার উপর ও নিচের পানির স্তরের মধ্যবর্তী দূরত্ব যেমন দূরত্ব দুই আকাশের মাঝখানে রয়েছে। অতঃপর সে সমুদ্রের উপরে আছে আটটি বিশেষ আকারের পাঠা (অনুরূপ আকৃতির ফেরেশতা) এবং তাদের পায়ের খুর ও কোমরের মাঝখানে দূরত্ব হলো দুই আকাশের মধ্যবর্তী দূরত্বের মতো। অতঃপর তাদের পিঠের উপর রয়েছে ’আরশ। তার নীচ ও উপরের মধ্যবর্তী দূরত্ব হলো দুই আকাশের মধ্যবর্তী দূরত্বের মতো। অতঃপর তার উপরেই রয়েছেন আল্লাহ তা’আলা। (আবু দাউদ হা/৪৭২৩, মিশকাত হা/৫৭২৬, হাদীসের মান যঈফ)

ব্যাখ্যা: (السَّحَابَ. الْمُزْنَ. الْعَنَانَ) সাহাবা, মুযন ও ‘আনান- এসবগুলো মেঘের নাম। তবে (الْمُزْنَ) মেঘ বা মেঘের সাদা অংশকে বলা হয়। এখানে প্রশ্নের উদ্দেশ্য জানতে চাওয়া নয়। বরং সম্বোধিত ব্যক্তির কাছ থেকে এগুলোর এই নামের স্বীকৃতি নেয়া। প্রথমে জানা বিষয়ে প্রশ্ন করে ধীরে ধীরে অজানা বিষয়ের দিকে যাওয়া এবং সৃষ্টি থেকে স্রষ্টার দিকে যাওয়ার জন্য এভাবে প্রশ্নের মাধ্যমে জানার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি উদ্দেশ্য।
(إِنَّ بُعْدَ مَا بَيْنَهُمَا إِمَّا وَاحِدَةٌ وَإِمَّا اثْنَتَانِ أَوْ ثَلَاثٌ وَسَبْعُونَ سَنَةً) অর্থাৎ আসমান ও জমিনের দূরত্ব সত্তর বা একাত্তর বা বাহাত্তর বছরের রাস্তা। ৭১ বা ৭২ বা ৭৩ এটা বর্ণনাকারীর সন্দেহ হতে পারে। অর্থাৎ রাসূল (সা.) এই তিনটির যে কোন একটি বলেছেন। আবার প্রকার বর্ণনার জন্য হতে পারে। অর্থাৎ জমিনের উঁচু স্থান ও নিম্নস্থানের পার্থক্যের ভিত্তিতে দূরত্বের এই পার্থক্য হতে পারে। এর আলোকে ‘আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) যা বলেন সেটার বিশুদ্ধতা প্রকাশ পায়। তিনি বলেন, সত্তর দ্বারা উদ্দেশ্য আধিক্য বুঝানো। নির্ধারিত দূরত্ব নয়; কেননা আসমান জমিনের মাঝে পাঁচশত বছরের দূরত্বের কথা বর্ণিত হয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

ইবনু হাজার (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, উভয় বর্ণনার মতভেদের মাঝে সমন্বয় হলো, ধীর গতিতে চলা যেমন হেঁটে চলার ক্ষেত্রে পাচশত বছরের রাস্তা এবং দ্রুত চলার বেলায় সত্তর বছরের রাস্তা। সত্তরের উপরের অতিরিক্ত সংখ্যার উল্লেখ না থাকলে আমরা সত্তর দ্বারা অধিক দূরত্ব বুঝানো হয়েছে বলে ধরে নিলে পাঁচশত বছরের বর্ণনার সাথে সাংঘর্ষিক হত না। (ফাতহুল বারী হা. ১৩/৪১৩)
(حَتَّى عَدَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ) “এমনকি রাসূল (সা.) সাতটি আসমানের গণনা করেন।” অর্থাৎ আসমান ও জমিনের মধ্যে যে পরিমাণ দূরত্ব সেই পরিমাণ দূরত্ব একটি আসমান থেকে অপর আসমান পর্যন্ত। এভাবে সাতটি আসমান। প্রতিটির দূরত্ব অপরটি থেকে জমিন ও আসমানের দূরত্বের সমপরিমাণ।
(بَين أَعْلَاهُ وأسفله) এটি সপ্তম আসমানের উপর অবস্থিত সাগরের গভীরতার বিবরণ। অর্থাৎ সাগরের উপর ও নিচের মধ্যে আসমান ও জমিনের দূরত্ব বা গভীরতা রয়েছে।
( ثَمَانِيَة أَو عَال) أَو عَال শব্দটি (وَعْلٌ) এর বহুবচন। যার অর্থ মাদী হরিণ, মাদী ছাগল বা পাহাড়ী ছাগল। পরবর্তীতে ছাগলের নিতম্ব ও ক্ষুরের বিবরণ তাদের বড়ত্ব ও বিশালতার পরিমাপ সম্পর্কে কিছুটা হলেও আচ
করা যায়। কারো কারো মতে, আট ছাগল দ্বারা মূলত এই আকৃতির মালাক (ফেরেশতা) উদ্দেশ্য। কেননা পরবর্তী বাক্য (عَلَى ظُهُورِهِنَّ الْعَرْشُ) “তাদের পিঠের উপর ‘আরশ” এই অর্থকে সমর্থন করে। আর কুরআনে রয়েছে, (اَلَّذِیۡنَ یَحۡمِلُوۡنَ الۡعَرۡشَ وَ مَنۡ حَوۡلَهٗ یُسَبِّحُوۡنَ بِحَمۡدِ رَبِّهِمۡ) “যারা ‘আরশ বহন করে এবং যারা তার চারপাশে আছে, তারা তাদের পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করে”- (সূরাহ আল গাফির ৪০ : ৭)।

(ثُمَّ اللَّهُ فَوْقَ ذَلِكَ) “তারপর আল্লাহ তার ওপর রয়েছেন। আল্লাহ তা’আলা ‘আরশের উপর রয়েছেন এই বিষয়টি কুরআন হাদীসের অগণিত দলীল দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। যেখানে ব্যাখ্যার কোন সুযোগ নেই। অন্যান্য দলীলের মতো এটিও একটি স্পষ্ট দলীল। তবে আল্লাহ তা’আলার সিফাতের ব্যাপারে যতটুকু বিবরণ কুরআন হাদীসে রয়েছে আমাদেরকে ততটুকুই অবিকল সেভাবে বিশ্বাস করতে হবে। এর বাহিরে চিন্তা করে কিছু বলার আমাদের কোন সুযোগ নেই। আমরা স্পষ্ট ও অকাট্যভাবে জানতে পারি যে, আল্লাহ তা’আলা ‘আরশের উপর রয়েছেন। আমাদেরকে এতটুকু বিশ্বাস করতে হবে। কিন্তু কিভাবে রয়েছেন, কোন অবস্থায় রয়েছেন এসব চিন্তা করা না আমাদের জন্য বৈধ, আর না আমরা চিন্তা করে কোন সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারব। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)।

আল্লাহ প্রথমে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আসমান সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই সেই সত্তা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবকিছু। অতঃপর তিনি মনঃসংযোগ করেন আকাশের দিকে। অতঃপর তাকে সপ্ত আকাশে বিন্যস্ত করেন। আর তিনি সকল বিষয়ে জ্ঞাত’ (বাক্বারাহ ২/২৯)। তিনি আরো বলেন, আপনি বলে দিন, তোমরা কি তাঁকে অস্বীকার করবে যিনি দু’দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন? …তারপর তিনি আসমানের দিকে মনোনিবেশ করেন। তা ছিল ধোঁয়া।..’ (ফুছছিলাত/হামীম সাজদাহ ৪১/৯-১১)। ইবনু কাছীর, শাওকানীসহ জমহূর মুফাসসিরগণ বলেন, আল্লাহ প্রথমে পৃথিবী সৃষ্টি করেন তারপর আসমান সৃষ্টি করেন। কারণ যমীন হ’ল ভিত্তি। আর কোন কিছুর ভিত্তি প্রথমে স্থাপন করা হয়, তারপর ছাদ’ (তাফসীর উক্ত আয়াত)

তবে সূরা নাযি‘আতে এর বিপরীত বর্ণিত হয়েছে। সেখানে এসেছে, তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন, না আকাশের সৃষ্টি? যা তিনি নির্মাণ করেছেন। তিনি তার ছাদকে সুউচ্চ করেছেন। অতঃপর তাকে বিন্যস্ত করেছেন। … পৃথিবীকে এর পরে তিনি বিস্তৃত করেছেন। সেখান থেকে তিনি নির্গত করেছেন পানি…’ (নাযিআত ৭৯/২৭-৩২)। প্রথমোক্ত আয়াতদ্বয়ের সাথে এ আয়াতটির বাহ্যিক বিরোধ সম্পর্কে মুফাসসিরগণ বলেন, আল্লাহ তা‘আলা প্রথমে যমীনকে অবিস্তৃত আকারে সৃষ্টি করেন। অতঃপর আসমান সৃষ্টি করেন। এরপর যমীনকে প্রসারিত করে তাতে পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, গাছ-পালা ইত্যাদি স্থাপন করেন’ (কুরতুবী, তাফসীর সূরা বাক্বারাহ ২৯ আয়াত; শানক্বীতী, আযওয়াউল বায়ান, তাফসীর সূরা ফুছছিলাত ১০ আয়াত)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

loader-image

Scroll to Top