দরসে কুরআন

মানুষের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি যারা

আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‏كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ ‘তোমরাই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি, তোমাদেরকে মানবজাতির কল্যাণের জন্য বের করা হয়েছে। (আলে ইমরান  ১১০) কিয়ামতের মাঠে মুমিন বান্দা তথা নাজি ফির্কার লোক প্রতি হাযারে একজন হবে এবং জান্নাতের একশত বিশ কাতারে আশি কাতার হবেন মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর জান্নাতি উম্মত। মুসলিম উম্মতকে ‘শ্রেষ্ঠতম সম্প্রদায়’ হওয়ার কারণ হলো যে, মানব জাতির উপকারার্থে সমুত্থিত হয়েছে। মানব জাতি তাদের নিজেদের আধ্যাত্মিক ও চারিত্রিক সংশোধনের চেষ্টা করাই প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। পূর্ববর্তী সম্প্রদায়সমূহের তুলনায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মাধ্যমে সৎকাজে আদেশ দান এবং অসৎকাজে নিষেধ করার দায়িত্ব […]

মানুষের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি যারা বিস্তারিত পডুন »

বিশুদ্ধ অন্তর দেহে স্থাপন করুন!

আল্লাহ তাআলা বলেন, اِلَّا مَنۡ اَتَی اللّٰهَ بِقَلۡبٍ سَلِیۡمٍ ‘কেবল (সাফল্য লাভ করবে) সে ব্যক্তি যে বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে আল্লাহর নিকট আসবে’ (শুআরা ২৬/৮৯)। বিশুদ্ধ অন্তর বলতে শিরক-বিদআত, হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, দম্ভ-অহংকার, এমনকি দুনিয়াপ্রীতি থেকে মুক্ত ও অল্পে তুষ্ট পাখিদের মত আত্মা এমন মুমিন ব্যক্তির অন্তরকে বুঝানো হয়েছে। কেননা কাফের ও মুনাফিকের অন্তর হয় অসুস্থ রোগাক্রান্ত ব্যাধীযুক্ত। আর এসবের মাধ্যমে পার্থিব ভোগ-বিলাসী হয়ে পড়ে এবং মূর্খতার অন্ধকার ও নৈতিক অধঃপতনে জড়িয়ে পড়ে। কারণ মু’মিনের অন্তর উক্ত সকল প্রকার রোগ-ব্যাধী ও নিফাক্বীর অপবিত্রতা থেকে মুক্ত থাকেন। মুমিন

বিশুদ্ধ অন্তর দেহে স্থাপন করুন! বিস্তারিত পডুন »

বিচার দিবসে মুনাফেক্ব ব্যক্তির অবস্থা

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, یَوۡمَ یَقُوۡلُ الۡمُنٰفِقُوۡنَ وَ الۡمُنٰفِقٰتُ لِلَّذِیۡنَ اٰمَنُوا انۡظُرُوۡنَا نَقۡتَبِسۡ مِنۡ نُّوۡرِكُمۡ ۚ قِیۡلَ ارۡجِعُوۡا وَرَآءَكُمۡ فَالۡتَمِسُوۡا نُوۡرًا ؕ فَضُرِبَ بَیۡنَهُمۡ بِسُوۡرٍ لَّهٗ بَابٌ ؕ بَاطِنُهٗ فِیۡهِ الرَّحۡمَۃُ وَ ظَاهِرُهٗ مِنۡ قِبَلِهِ الۡعَذَابُ  সেদিন মুনাফিক্ব পুরুষ ও মুনাফিক্ব নারীরা তাদেরকে বলবে যারা ঈমান এনেছে, ‘তোমরা আমাদের জন্য একটু থাম, যাতে আমরা তোমাদের নূরের কিছু গ্ৰহণ করতে পারি। বলা হবে, তোমরা তোমাদের পিছনে ফিরে যাও ও নূরের সন্ধান কর। তারপর উভয়ের মাঝামাঝি স্থাপিত হবে একটি প্রাচীর যাতে একটি দরজা থাকবে, যার ভিতরে থাকবে রহমত

বিচার দিবসে মুনাফেক্ব ব্যক্তির অবস্থা বিস্তারিত পডুন »

লেনদেনের সময় সাক্ষী ও লিখে রাখার নির্দেশ

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ لَا یَاۡبَ الشُّهَدَآءُ اِذَا مَا دُعُوۡا ؕ وَ لَا تَسۡـَٔمُوۡۤا اَنۡ تَكۡتُبُوۡهُ صَغِیۡرًا اَوۡ كَبِیۡرًا اِلٰۤی اَجَلِهٖ ؕ ذٰلِكُمۡ اَقۡسَطُ عِنۡدَ اللّٰهِ وَ اَقۡوَمُ لِلشَّهَادَۃِ وَ اَدۡنٰۤی اَلَّا تَرۡتَابُوۡۤا اِلَّاۤ اَنۡ تَكُوۡنَ تِجَارَۃً حَاضِرَۃً تُدِیۡرُوۡنَهَا بَیۡنَكُمۡ فَلَیۡسَ عَلَیۡكُمۡ جُنَاحٌ اَلَّا تَكۡتُبُوۡهَا ؕ وَ اَشۡهِدُوۡۤا اِذَا تَبَایَعۡتُمۡ ۪ وَ لَا یُضَآرَّ كَاتِبٌ وَّ لَا شَهِیۡدٌ ۬ؕ وَ اِنۡ تَفۡعَلُوۡا فَاِنَّهٗ فُسُوۡقٌۢ بِكُمۡ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ ؕ وَ یُعَلِّمُكُمُ اللّٰهُ ؕ وَ اللّٰهُ بِكُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ  ‘সাক্ষীরা যেন অস্বীকার না করে, যখন

লেনদেনের সময় সাক্ষী ও লিখে রাখার নির্দেশ বিস্তারিত পডুন »

বাতিল কখনও হক্বকে নিশ্চিহ্ন করতে পারে না

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا عَلَیۡکُمۡ اَنۡفُسَکُمۡ ۚ لَا یَضُرُّکُمۡ مَّنۡ ضَلَّ اِذَا اهۡتَدَیۡتُمۡ ؕ اِلَی اللّٰهِ مَرۡجِعُکُمۡ جَمِیۡعًا فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ  হে মু’মিনগণ! তোমাদের দায়িত্ব তোমাদের উপর। যখন তোমরা সত্যপথ প্রাপ্ত হয়েছ তখন যারা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে তারা তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন আল্লাহর দিকে, অতঃপর তোমরা যা করছিলে সে সম্পর্কে তোমাদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে। (মায়েদা ৫/১০৫)। সা’য়ীদ ইবন মুসাইয়্যাব বলেন, এর অর্থ, যদি সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজে নিষেধ কর, তাহলে কেউ পথভ্রষ্ট হলে, তাতে তোমার ক্ষতি নেই,

বাতিল কখনও হক্বকে নিশ্চিহ্ন করতে পারে না বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : আসমান-যমীন সৃষ্টির সময়কাল

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, اِنَّ رَبَّکُمُ اللّٰهُ الَّذِیۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ فِیۡ سِتَّۃِ اَیَّامٍ ثُمَّ اسۡتَوٰی عَلَی الۡعَرۡشِ یُدَبِّرُ الۡاَمۡرَ ؕ مَا مِنۡ شَفِیۡعٍ اِلَّا مِنۡۢ بَعۡدِ اِذۡنِهٖ ؕ ذٰلِکُمُ اللّٰهُ رَبُّکُمۡ فَاعۡبُدُوۡهُ ؕ اَفَلَا تَذَکَّرُوۡنَ ‘নিশ্চয়ই তোমাদের রব আল্লাহ। যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে, তারপর আরশে উঠেছেন। তিনি সব বিষয় পরিচালনা করেন। তার অনুমতি ছাড়া সুপারিশ করার কেউ নেই। তিনিই আল্লাহ, তোমাদের রব। সুতরাং তোমরা তাঁর ইবাদাত কর। তারপরও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না? (ইউনুস ১০/৩)। অন্যত্র বলেন,  اِنَّ رَبَّکُمُ

দরসে কুরআন : আসমান-যমীন সৃষ্টির সময়কাল বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : ভালবাসায় শিরক

(অন্ধভাবে) আলেম, বজুর্গ ও নেতাদের আনুগত্য করলো, সে মূলত তাদেরকে রব হিসেবে গ্রহণ করে বা মান্য করে থাকে। আল্লাহ তা’আলা বলেন : اِتَّخَذُوۡۤا اَحۡبَارَهُمۡ وَ رُهۡبَانَهُمۡ اَرۡبَابًا مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ وَ الۡمَسِیۡحَ ابۡنَ مَرۡیَمَ ۚ وَ مَاۤ اُمِرُوۡۤا اِلَّا لِیَعۡبُدُوۡۤا اِلٰـهًا وَّاحِدًا ۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ؕ سُبۡحٰنَهٗ عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ তারা আল্লাহকে ছেড়ে তাদের পন্ডিত ও সংসার-বিরাগীদের* রব হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং মারইয়ামপুত্র মাসীহকেও। অথচ তারা এক ইলাহের ইবাদত করার জন্যই আদিষ্ট হয়েছে, তিনি ছাড়া কোন (হক) ইলাহ নেই। তারা যে শরীক করে তিনি

দরসে কুরআন : ভালবাসায় শিরক বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : সৎ কাজের আদেশের উদ্দেশ্য হবে কল্যাণকামিতা

উত্তম আচরণের মাধ্যমে হক্ব জানিয়ে দেয়া বা উপদেশ প্রদান করা হ’ল কল্যাণকামিতা। কেননা, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,  وَ لَا تَسۡتَوِی الۡحَسَنَۃُ وَ لَا السَّیِّئَۃُ ؕ اِدۡفَعۡ بِالَّتِیۡ هِیَ اَحۡسَنُ فَاِذَا الَّذِیۡ بَیۡنَکَ وَ بَیۡنَهٗ عَدَاوَۃٌ کَاَنَّهٗ وَلِیٌّ حَمِیۡمٌ ‘ভাল আর মন্দ সমান নয়। উৎকৃষ্ট দিয়ে মন্দকে দূর কর। তখন দেখবে, তোমার আর যার মধ্যে শত্রুতা আছে সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু’ (হা-মিম-সাজদা ৪১/৩৪)। এখানে অতীব গুরুত্বপূর্ণ এক চারিত্রিক শিক্ষা যে, মন্দকে দূরীভূত কর ভাল দ্বারা। যা উৎকৃষ্ট তা দিয়ে নিকৃষ্ট প্রতিহত কর। অর্থাৎ, অন্যায়ের বদলা নাও ন্যায়

দরসে কুরআন : সৎ কাজের আদেশের উদ্দেশ্য হবে কল্যাণকামিতা বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top