দুনিয়া ও আখিরাত/ আখেরাত

দরসে হাদীস : বিচার দিবসে আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (ছা.)-কে সন্তুষ্ট করে দেবেন

আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনুল আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন নবী (সা.) ইবরাহীম আলায়হিস সালাম-এর উক্তি সংবলিত এ আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন, (অর্থাৎ) “হে প্রভু! এ সকল মূর্তিগুলো বহু মানুষকে বিভ্রান্ত ও গোমরাহ করেছে, অতএব যে আমার অনুকরণ করবে সে-ই আমার দলভুক্ত, কিন্তু কেউ আমার অবাধ্য হলে তুমি তো ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু”- (সূরাহ ইব্রাহীম ১৪: ৩৬)।আর ’ঈসা আলায়হিস সালাম-এর উক্তিও পাঠ করলেন, অর্থাৎ “যদি তুমি তাদেরকে শাস্তি দাও, তারা তো তোমারই বান্দা”- (সূরাহ্ আল মায়িদাহ্ ৫:১১৮)। অতঃপর নবী (সা.) নিজের হস্তদ্বয় উঠিয়ে এ ফরিয়াদ করতে লাগলেন, […]

দরসে হাদীস : বিচার দিবসে আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (ছা.)-কে সন্তুষ্ট করে দেবেন বিস্তারিত পডুন »

গীবত থেকে নিজেকে রক্ষা করুন !

গীবত অর্থ হ’ল পরচর্চা, দোষচর্চা, পরনিন্দা এবং তোহমত অর্থ হ’ল মিথ্যা অপবাদ আরোপ করা। এ বিষয় দুটির কারণে সমাজে নানা বিশৃঙ্ক্ষলা সৃষ্টির হয়। অথচ উভয়টিই কবীরা গোনাহ ও বান্দার সাথে সংশ্লিষ্ট। বান্দা ক্ষমা না করলে আল্লাহ এ গোনাহ মাফ করবেন না। কারণ এর মাধ্যমে মানুষের ইয্যত-সম্মান নষ্ট হয়, তার হক্ব বিনষ্ট হয়। অনেকে দোষচর্চা করে মনে করেন তিনি সঠিক কথাইতো বলেছেন। সুতরাং তার দোষের হবে কেন? অথচ কারো মধ্যে থাকা দোষ-ত্রুটি তার অবর্তমানে আলোচনা করাই গীবত। গীবত বা দোষচর্চা থেকে আল্লাহ নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন,وَلَا

গীবত থেকে নিজেকে রক্ষা করুন ! বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : আল্লাহর সেবা

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন বলবেন, ১. হে বানী আদম! আমি অসুস্থ ছিলাম। তুমি আমাকে দেখতে আসোনি। সে বলবে, হে আমার রব! আমি তোমাকে কিভাবে দেখতে যাব? তুমি তো বিশ্বজাহানের রব! আল্লাহ বলবেন, أَمَّا عَلِمْتَ أَنَّ عَبْدِي فُلَانًا مَرِضَ فَلَمْ تَعُدْهُ؟ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّكَ لَوْ عُدْتَهُ لَوَجَدْتَنِي عِنْدَهُ؟ তুমি কি জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ ছিল? তুমি তাকে দেখতে যাওনি। তুমি কি জানতে না যে, তুমি যদি তাকে দেখতে যেতে, আমাকে অবশ্যই তার

দরসে হাদীস : আল্লাহর সেবা বিস্তারিত পডুন »

দ্বীন ইসলামে পিতা-মাতা ও সন্তানের গুরুত্ব

সন্তানরা পিতা-মাতার খিদমত করবে। তাদেরকে কষ্ট দিবে না, তাদের জন্য দো‘আ করবে।  পিতা-মাতার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ফরয। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ حُسْناً ‘আমরা মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি তার পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে’ (আনকাবূত ২৯/৮)। অন্যত্র তিনি আরো বলেন, وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَاناً إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيْماً، وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُل رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِيْ صَغِيْراً-  ‘তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন তিনি ব্যতীত অন্য

দ্বীন ইসলামে পিতা-মাতা ও সন্তানের গুরুত্ব বিস্তারিত পডুন »

সততা ও ক্ষমাশীলতার বিরল দৃষ্টান্ত

আল্লাহ ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমাশীলতাকে পসন্দ করেন। পৃথিবীতে যারা ক্ষমাশীলতা ও উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। তাদেরই একজন হ’লেন আববাসীয় খলীফা  মুক্তাফী লি-আমরিল্লাহ ও তাঁর পুত্র মুস্তানজিদের সময়ের সফল মন্ত্রী ইবনু হুবায়রাহ। আলোচ্য নিবন্ধে তাঁর মন্ত্রীত্ব লাভের ইতিহাস এবং সততা ও ক্ষমাশীলতার কিছু নমুনা তুলে ধরা হ’ল।- তাঁর পুরো নাম আইনুদ্দীন আবুল মুযাফফর ইয়াহইয়া বিন মুহাম্মাদ বিন সাঈদ হুবায়রাহ আশ-শায়বানী। তিনি বাগদাদের নিকটবর্তী ‘আদ-দূর’ মতান্তরে ‘সাওয়াদ’ গ্রামে ৪৯৯ হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন। অত্যন্ত নিরীহ ও দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন তিনি। তাঁর

সততা ও ক্ষমাশীলতার বিরল দৃষ্টান্ত বিস্তারিত পডুন »

অভাবী গভর্ণরের অনুপম দানশীলতা

ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর খেলাফতকাল ছিল ইসলামের ইতিহাসের এক সোনালী অধ্যায়। এ সময় খলীফা ও জনসাধারণের মাঝে ছিল গভীর সম্পর্ক। খলীফা তাদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি খুব বেশী দৃষ্টি রাখতেন। জনসাধারণও তাদের অভাব-অনটন ও দুঃখ-দুর্দশার কথা খলীফাকে বলার সুযোগ পেত। এমনকি সাধারণ মানুষ খলীফার নিকটে তাদের স্থানীয় আমীরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেও কোন ভয় পেত না। ওমর (রাঃ)-এর খেলাফতকালে বিভিন্ন স্থান জয় লাভের ফলে ইসলামী রাষ্ট্রের পরিধি ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছিল।  বিজয়ী অঞ্চল সমূহে গভর্ণর নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতেন। আল­াহভীরু ও যোগ্যতা সম্পন্ন লোকদেরকেই

অভাবী গভর্ণরের অনুপম দানশীলতা বিস্তারিত পডুন »

আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কথা বলুন !

মানুষ অনেক সময় মুখে এমন কথা উচ্চারণ করে যা খুবই কল্যাণকর কথা এবং আল্লাহর কাছে অতীব পছন্দনীয় বাক্য। কিন্তু সে জানে না আল্লাহ তার ঐ কথার কি মূল্য ও মর্যাদা। উচ্চারণকারী তাকে ক্ষীণ বা ছোট করেই দেখেছে, কিন্তু আল্লাহর নিকট ঐ কথার সাওয়াব তার জন্য দীর্ঘায়িত করে দেন এবং আল্লাহর সাথে তার সাক্ষাত পর্যন্ত স্বীয় সন্তষ্টি তার জন্য অবধারিত করে নেন। পক্ষান্তরে আল্লাহর অতীব অপছন্দনীয় এবং অসন্তুষ্টির কিছু কথা রয়েছে, যা তার বান্দা উচ্চারণ করে থাকে। উচ্চারণকারী সে নিজেও জানে না যে ঐ কথা আল্লাহর

আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কথা বলুন ! বিস্তারিত পডুন »

মুমিনের গুণাবলী

পবিত্র কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর আলোকে মুমিনের ১৬টি গুণাবলী বর্ণনা করা হয়েছে। তন্মধ্যে কুরআনে ১০টি মুমিনের গুণাবলী বর্ণিত হয়েছে। প্রকৃত মুমিন হতে গেলে যে দু’টি গুণাবলী অপরিহার্য সেই সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, إِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ الَّذِيْنَ آمَنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوْا وَجَاهَدُوْا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيْلِ اللهِ أُولَئِكَ هُمُ الصَّادِقُوْنَ- (سورت الحجرات ১৫)- ‘প্রকৃত মুমিন তারাই, ১. যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে। অতঃপর তাতে কোনরূপ সন্দেহ পোষণ করে না এবং ২. তাদের মাল ও জান দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে। বস্তুতঃপক্ষে

মুমিনের গুণাবলী বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top