মনীষী চরিত

মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (রহঃ)-এর জীবনী ও কতিপয় শিক্ষণীয় ঘটনা

লেখক : ড. নূরুল ইসলাম, ভাইস প্রিন্সিপাল, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী। মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (১৮৬৮-১৯৪৮) উপমহাদেশের একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ইসলামী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি গভীর জ্ঞানের অধিকারী আলেমে দ্বীন, অবিসংবাদিত ধর্মতাত্ত্বিক, অপ্রতিদ্বন্দ্বী মুনাযির, অনলবর্ষী বাগ্মী, মুহাদ্দিছ, মুফাস্সির, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সংগঠক, সম্পাদক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তবে মুনাযির বা তার্কিক হিসাবেই তাঁর খ্যাতি বিশ্বময়। ‘শেরে পাঞ্জাব’ (পাঞ্জাবের সিংহ) ও ‘ফাতিহে কাদিয়ান’ (কাদিয়ান বিজয়ী) মুনাযির খ্যাত মাওলানা অমৃতসরী বাহাছ-মুনাযারার ইমাম ও মুকুটহীন সম্রাট ছিলেন। এক হাযারের অধিক মুনাযারায় অংশগ্রহণ করে তিনি এক বিরল নযীর স্থাপন করেছিলেন। খ্রিষ্টান, কাদিয়ানী সহ যেকোন […]

মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (রহঃ)-এর জীবনী ও কতিপয় শিক্ষণীয় ঘটনা বিস্তারিত পডুন »

নেতৃত্বের চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়

অজ্ঞ, অক্ষম, যালেম, খেয়ানতকারী, অযোগ্য নেতার নেতৃত্বের চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়। নেতৃত্ব গ্রহণের পূর্বে আল্লাহ তা‘আলাকে যথাযথ ভয় করা উচিৎ। নেতা হয়ে যা ইচ্ছে তাই করার চেয়ে বা যথাযথ দায়িত্ব পালণে অক্ষম হলে এর চেয়ে মৃত্যু কাম্য। কেননা দায়িত্ব যেমন শ্রেষ্ঠ্যত্ব প্রকাশ করে, তেমনি দায়িত্ব সম্পর্কে ছোট বড় সকল হিসেব আল্লাহ বিচার দিবসে গ্রহণ করবেন। নিজের দায়িত্ব নেয়া সহজ, কিন্তু অন্যের দায়িত্ব নেয়া বেশ কঠিন। কেননা আল্লাহ তা‘আলা মানুষের হাতে নেতৃত্বের ক্ষমতা দিয়ে চেয়ে থাকেন বান্দা কী আমলটা করে। অতএব সাবধান! নেতৃত্ব পেয়ে দায়িত্ব যথাসাধ্য পালনে

নেতৃত্বের চেয়ে মৃত্যু শ্রেয় বিস্তারিত পডুন »

অভাবী গভর্ণরের অনুপম দানশীলতা

ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর খেলাফতকাল ছিল ইসলামের ইতিহাসের এক সোনালী অধ্যায়। এ সময় খলীফা ও জনসাধারণের মাঝে ছিল গভীর সম্পর্ক। খলীফা তাদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি খুব বেশী দৃষ্টি রাখতেন। জনসাধারণও তাদের অভাব-অনটন ও দুঃখ-দুর্দশার কথা খলীফাকে বলার সুযোগ পেত। এমনকি সাধারণ মানুষ খলীফার নিকটে তাদের স্থানীয় আমীরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেও কোন ভয় পেত না। ওমর (রাঃ)-এর খেলাফতকালে বিভিন্ন স্থান জয় লাভের ফলে ইসলামী রাষ্ট্রের পরিধি ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছিল।  বিজয়ী অঞ্চল সমূহে গভর্ণর নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতেন। আল­াহভীরু ও যোগ্যতা সম্পন্ন লোকদেরকেই

অভাবী গভর্ণরের অনুপম দানশীলতা বিস্তারিত পডুন »

ইবনুল মুবারক (রহঃ)-এর জীবনী থেকে কতিপয় শিক্ষণীয় ঘটনা

আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (১১৮-১৮১ হি.) খোরাসান তথা বর্তমান তুর্কমেনিস্তানের মার্ভ শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং এই শহরেই তিনি বেড়ে ওঠেন। তিনি ছিলেন একাধারে মুহাদ্দিছ, ফক্বীহ, আলেম, মুজতাহিদ, কবি, সাহিত্যিক, দানশীল এবং একজন সাহসী বীর মুজাহিদ। তিনি ‘আমীরুল মুমিনীন ফিল হাদীছ’ উপাধিতে ভূষিত হন। আবূ উসামা (রহঃ) বলেন,ما رأيت رجلًا أطلب للعلم من ابن المبارك، وهو في المحدِّثين مثلُ أمير المؤمنين في الناس، ‘আমি আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারকের চেয়ে অধিক ইলম অন্বেষী ব্যক্তি আর কাউকে দেখিনি। মানুষের মাঝে আমীরুল মুমিনীনের মর্যাদা যেমন, মুহাদ্দিছগণের মাঝে তিনি তেমন’।[1] ইবনু হিববান বলেন,

ইবনুল মুবারক (রহঃ)-এর জীবনী থেকে কতিপয় শিক্ষণীয় ঘটনা বিস্তারিত পডুন »

ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর জীবনী

লেখক : ড. নূরুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী।  [ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর রচনা সমূহ] ২. আত-তাযকিরাহ বি-আহওয়ালিল মাওতা ওয়া উমূরিল আখিরাহ : ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর গ্রন্থ সমূহের মাঝে তাফসীরে কুরতুবীর পর এটি সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ও বহুল পঠিত। শায়খ মুহাম্মাদ মাখলূফ (মৃঃ ১৩৬০ হিঃ) উক্ত গ্রন্থের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, كتاب ليس له مثيل فى بابه ‘এটি এমন একটি গ্রন্থ, যার তুলনীয় কোন গ্রন্থ নেই’।[1] হাজী খলীফা বলেন, هو كتاب مشهور فى مجلد ضخم ‘বৃহৎ একটি খন্ডে সংকলিত এটি একটি প্রসিদ্ধ গ্রন্থ’।[2] শায়খ শিহাবুদ্দীন করাফী

ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর জীবনী বিস্তারিত পডুন »

ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর জীবনী

লেখক : ড. নূরুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী। ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর রচনা সমূহ : ইমাম কুরতুবী (রহঃ) সর্বদা ইবাদত-বন্দেগী ও জ্ঞান সাধনায় নিয়োজিত থাকতেন। তিনি শহরের কোলাহলমুক্ত নির্ঝঞ্ঝাট গ্রামীণ পরিবেশে নীরবে রচনা করে গেছেন তাঁর সুবিশাল সাহিত্যকর্ম।[1] এসব রচনা বিভিন্ন শাস্ত্রে তাঁর অগাধ পান্ডিত্য ও গভীর জ্ঞানের পরিচয় বহন করে। তাইতো ঐতিহাসিকগণ বলেছেন,لَهُ تصانيف مفيدة تدل على كَثْرَة اطلاعه ووفور فضله ‘তাঁর অনেক উপকারী গ্রন্থ রয়েছে। যা তাঁর অধিক অধ্যয়ন ও অনন্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর বহন করে’।[2] আধুনিক গবেষক মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান বিন

ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর জীবনী বিস্তারিত পডুন »

ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর জীবনী

লেখক : ড. নূরুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী। কর্মজীবন : ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর কর্মজীবন সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায় না। তিনি যেসব শহরে-নগরে অবস্থান করেছিলেন, সে সকল স্থানে দরস প্রদানের কোন তথ্যও ইতিহাস ও জীবনীগ্রন্থগুলিতে পাওয়া যায় না। আসলেই কি তার দরসের কোন হালাকা ছিল না? এর সঠিক উত্তর দেওয়া বেশ মুশকিল। কারণ তাঁর যুগের ইলমী পরিবেশ দরস ও সংলাপে গুঞ্জরিত থাকত। তাছাড়া শেষ জীবনে তিনি মিসরের ‘মুনয়াতু বানী খাছীব’ নামক যে স্থানে বসবাস করতেন তা ইলমে দ্বীন চর্চার কেন্দ্রস্থল ও আলেম-ওলামার

ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর জীবনী বিস্তারিত পডুন »

ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর জীবনী

লেখক : ড. নূরুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী। ভূমিকা : ইমাম কুরতুবী (রহঃ) হিজরী ৭ম শতকের একজন প্রখ্যাত স্প্যানিশ মুফাস্সির, ফকীহ ও ধর্মতাত্ত্বিক। কর্ডোভার পতনের পর এই অনন্য ইলমী প্রতিভার দ্যুতি নীলনদ বিধেŠত মিসরে বিচ্ছুরিত হয়। নিরলস জ্ঞানসাধনার মাধ্যমে তিনি রচনা করেন তাঁর জগদ্বিখ্যাত তাফসীর ‘আলে-জামে লি-আহকামিল কুরআন’। যা ‘তাফসীরে কুরতুবী’ নামে খ্যাত। আহকামুল কুরআন বিষয়ক এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ও অসাধারণ তাফসীর। তাফসীর সাহিত্যের দিগ্বলয়ে এটি চির ভাস্বর। নাম ও বংশ পরিচয় : ইমাম কুরতুবীর আসল নাম মুহাম্মাদ। কুনিয়াত বা উপনাম আবু

ইমাম কুরতুবী (রহঃ)-এর জীবনী বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top