সুন্নাত ও বিদ‘আত

তাহাজ্জুদ ও তারাবীহর ছালাত সম্পর্কে জ্ঞাতব্য

ফরয ছালাতের পরে সর্বোত্তম ছালাত হ’ল ‘ছালাতুল লায়িল’। ‘ছালাতুল লায়িল’ বলতে রাতের বিশেষ নফল ছালাত তাহাজ্জুদ ও তারাবীহ বুঝানো হয়েছে। রামাযান মাসে রাতের প্রথমাংশে এশার পরে তারাবীহ এবং রামাযানের বাহিরে রাতের এক তৃতীয়াংশে তাহাজ্জুদ ছালাত আদায় করা হয়। হযরত আয়িশা (রাঃ) বলেন, তিন রাকা‘আত বিতরসহ তাহাজ্জুদ ও তারাবীহর ছালাত মোট এগার রাকা‘আত।১।  ১. তাহাজ্জুদ ছালাতের পরিচয় : ‘ছালাতুল লায়িল’ বা রাতের বিশেষ নফল ছালাতকে তাহাজ্জুদ ও তারাবীহ বলা হয়। তাহাজ্জুদ : মূল ধাতু   هُجُوْدٌ (হুজূদুন) অর্থ : রাতে ঘুমানো বা ঘুম থেকে উঠা। সেখান থেকে  […]

তাহাজ্জুদ ও তারাবীহর ছালাত সম্পর্কে জ্ঞাতব্য বিস্তারিত পডুন »

উয়াইস কারণীর মর্যাদা

উমার (রা.) যখন খলীফা ছিলেন (১৩- ২৩ হি) তখন তাঁর কাছে ইয়ামানের সৈন্যদল আগমন করলে তিনি জিজ্ঞাসা করতেন? আপনাদের মধ্যে কি উয়াইস ইবনু আমির নামে কেউ আছেন? এভাবে একবার তিনি উয়াইসকে পেয়ে যান। তিনি বলেন: আপনি উয়াইস? উয়াইস বলেন: হাঁ, উমার বলেন: আপনি কারন গোত্রের শাখা মুরাদ গোত্রের মানুষ? তিনি বলেন: হাঁ। উমার বলেন: আপনার শরীরে কুষ্ঠ রোগ ছিল এবং শুধুমাত্র নাভীর কাছে একটি দিরহাম পরিমাণ স্থান ছাড়া বাকী সব আল্লাহ ভাল করে দিয়েছেন? তিনি বলেন: হাঁ। তিনি বলেন: আপনার আম্মা আছেন? তিনি বলেন: হাঁ।

উয়াইস কারণীর মর্যাদা বিস্তারিত পডুন »

আল্লাহর জন্য তাকবীর দেয়ার বিধান

তাকবীর দেয়া সওয়াবের কাজ। আমরা প্রত্যেক দলের শ্লোগান যখন বলি, তখন ইসলাম পন্থী দলগুলোও একটি শ্লোগান ঠিক করেছেন। কেহ নারায়ে তাকবীর, লিল্লাহে তাকবীর ইত্যাদি। নারায়ে (نعره) শব্দটি উর্দূ। অর্থ: ধ্বনী বা উচ্চ আওয়াজ। তাকবীর শব্দটি আরবী। যার অর্থ: আল্লাহর বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। আর লিল্লাহে আরবী শব্দ। যার অর্থ আল্লাহর জন্য। তবে জন সন্মুখে উচ্চস্বরে তাকবীর দেয়ার বিধান রয়েছে। তবে রাসূল (ছাঃ) এটাকে থামিয়েও দিয়ে ছিলেন। যেমন – আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খায়বার যুদ্ধের জন্য বের হলেন কিংবা

আল্লাহর জন্য তাকবীর দেয়ার বিধান বিস্তারিত পডুন »

গোঁড়ামি পরিহার করুন !

গোঁড়ামি কখনো ধর্মতত্ত্ব নয়, ধর্মে (দ্বীনে) কভু গোঁড়ামী নাই। মানুষ নিজের বুঝের উপরে অটল থাকতে চায়। সে যা ভাল মনে করে তাই করে। তার এই গোঁড়ামি তাকে হক্ব গ্রহণে বাঁধাগ্রস্ত করে। গোঁড়ামি ঈমান-আমল ও দ্বীনের জন্য অনেক ক্ষতিকর। ‘গোঁড়ামি’ (Bigotry, Oorthodoxy, Narrowness) শব্দটি বিশেষ্য পদ, যার আভিধানিক অর্থ- অন্ধবিশ্বাস, একান্ত রক্ষণশীলতা, অপ্রশস্ততা, সংকীর্ণতা প্রভৃতি। পারিভাষিক অর্থে, শরীয়তের মধ্যে কিংবা বাহিরে বিনা দলিলে কোন কথা ও কাজে অন্ধবিশ্বাস রেখে অন্তরে ইলমের সংকীর্ণতা গড়ে তোলাকে গোঁড়ামী বলে। সকলের উচিত গোঁড়ামি ছেড়ে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী

গোঁড়ামি পরিহার করুন ! বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : তওবার শেষ মূহূর্ত কোনটি (?)

’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘বান্দার প্রাণ (রূহ) ওষ্ঠাগত না হওয়া পর্যন্ত অবশ্যই আল্লাহ তার তওবা কবূল করেন। [ইবনু মাজাহ হা/৪২৫৩, সহীহ আল জামি‘ হা/১৯০৩, মিশকাত হা/২৩৪৩] ব্যাখ্যা: (إِنَّ اللّٰهَ يَقْبَلُ تَوْبَةَ الْعَبْدِ) কারী বলেন, বাহ্যিক দৃষ্টিতে হাদীসাংশে তাওবাহ্ কবূলের ব্যাপারটি মুত্বলাক বা সাধারণভাবে, আর কতিপয় হানাফী একে কাফিরের সাথে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছেন। আমাদের শায়খ বলেন, বাহ্যিকদৃষ্টিতে প্রথমটি নির্ভরযোগ্য। (مَا لَمْ يُغَرْغِرْ) অর্থাৎ- যতক্ষণ পর্যন্ত তার আত্মা কণ্ঠনালীতে না পৌঁছবে, অতঃপর তা ঐ বস্ত্তর স্থানে পরিণত না হবে

দরসে হাদীস : তওবার শেষ মূহূর্ত কোনটি (?) বিস্তারিত পডুন »

খুবায়ব (রাঃ)-এর শাহাদাত

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবনু ‘উমার ইবনু খাত্তাবের নাতি আসিম ইবনু সাবিত আনসারীর পরিচালনায় দশজন সাহাবীর একটি দল গোয়েন্দা কাজের জন্য পাঠালেন। তাঁরা উসফান ও মক্কার মধ্যবর্তী স্থান হান্দায় পৌঁছলে হুযাইল গোত্রের একটি শাখা বানু লিহয়ানকে তাদের আগমনের কারণ সম্পর্কে জানানো হয়। (এ সংবাদ শুনে) তারা প্রায় একশ’ জন তীরন্দাজ প্রস্তুত হয়ে মুসলিমদের বিপক্ষে যুদ্ধ করার জন্য রওয়ানা হয়ে তাদের পদচিহ্ন ধরে পথ চলতে আরম্ভ করে। যেতে যেতে তারা এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যেখানে অবস্থান করে সাহাবীগণ খেজুর খেয়েছিলেন। তা দেখে

খুবায়ব (রাঃ)-এর শাহাদাত বিস্তারিত পডুন »

পানি পানের বিধি-বিধান ও এর উপকারিতা

পৃথিবীর সকল কিছু সৃষ্টির মূল উপাদান পানি। এই মৌলিক উপাদান পৃথিবীর সকল জীবদেহের মধ্যে বিদ্যমান। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاءِ كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ ‘আর প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হ’তে’ (আম্বিয়া ২১/৩০)। জীব বিজ্ঞানের মতে, সাগরের অভ্যন্তরের পানিতে যে প্রোটোপ্লাজম বা জীবনের আদিম মূলীভূত উপাদান রয়েছে তা থেকেই সকল জীবের সৃষ্টি। আবার সকল জীবদেহ কোষ দ্বারা গঠিত। আর এই কোষ গঠনের মূল উপাদান হচ্ছে পানি। সুতরাং পরিস্কার পানির অপর নাম জীবন । প্রত্যেক দিন সর্বনিম্ন আট গ্লাস পানি পান করুন। তবে খাবার খাওয়ার ১৬/২০ মিনিট পূর্বে এক/দুই গ্লাস পানি পান করুন। এতে শারীরিক উপকার তিনটি রয়েছে।

পানি পানের বিধি-বিধান ও এর উপকারিতা বিস্তারিত পডুন »

সূরা ফাতিহার ফযীলত

(‘ফযীলতপূর্ণ দো‘আ ও যিকির’ বই থেকে নেয়)সূরা ফাতিহা (মুখবন্ধ) সূরা-১, মাক্কী :بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِاَلْحَمْدُ لِلہِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَﭐﺫ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِﭑﺫ مٰلِکِ یَوْمِ الدِّیْنِﭒﺚ اِیَّاکَ نَعْبُدُ وَاِیَّاکَ نَسْتَعِیْنُﭓﺚ اِھْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَﭔﺫ صِرَاطَ الَّذِیْنَ اَنْعَمْتَ عَلَیْھِمْﺃ غَیْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَیْھِمْ وَلَا الضَّا۬لِّیْنَﭖﺟউচ্চারণ : (১) আল হামদু লিল্লা-হি রাব্বিল আলামীন (২) আর রাহমা-নির রাহীম (৩) মা-লিকি ইয়াওমিদ্দ্বীন (৪) ইয়্যাকা না‘আবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাঈন (৫) ‘ইহ্দিনাছ ছিরা-ত্বাল মুস্তাক্বীম (৬) ছীরা-তাল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম (৭) গাইরিল মাগযূবি ‘আলাইহিম ওয়ালায্যল্লীন’।পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্র নামে (শুরু করছি)অনুবাদ : (১) ‘যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য,

সূরা ফাতিহার ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top