আত্নশুদ্ধি

আল্লাহর ও তাঁর রাসূল সম্পর্কে সঠিক আক্বীদাহ

আল্লাহ নিরাকার সত্তা নন। বরং তাঁর নিজস্ব আকার রয়েছে। এটাই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের আক্বীদা। এতে কোন কল্পিত ব্যাখ্যা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ নেই। কেননা কুরআনের অসংখ্য আয়াত ও হাদীছে আল্লাহর হাত, পা, চেহারা তথা আকার-আকৃতির প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে তা সৃষ্টিজগতের কোন কিছুর সাথে তুলনীয় নয়। আল্লাহ আরশে সমুন্নীত এবং তিনি অবশ্যই অবতরণ করেন, যেভাবে অবতরণ করা তাঁর মর্যাদার উপযোগী হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ প্রতি রাতের তৃতীয় প্রহরে নিম্ন আকাশে অবতরণ করেন এবং ফজর পর্যন্ত বান্দাদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, কে আছ আমাকে […]

আল্লাহর ও তাঁর রাসূল সম্পর্কে সঠিক আক্বীদাহ বিস্তারিত পডুন »

ইশরাক্ব বা চাশতের ছালাত

শুরূক্ব অর্থ উদিত হওয়া। ‘ইশরাক্ব’ অর্থ চমকিত হওয়া। ‘যোহা’ অর্থ সূর্য গরম হওয়া। এই ছালাত সূর্যোদয়ের পরপরই প্রথম প্রহরের শুরুতে পড়লে একে ‘ছালাতুল ইশরাক্ব’ বলা হয় এবং কিছু পরে দ্বিপ্রহরের পূর্বে পড়লে তাকে ‘ছালাতুল যোহা’ বা চাশতের ছালাত বলা হয়। এই ছালাত বাড়ীতে পড়া মুস্তাহাব। এটি সর্বদা পড়া এবং আবশ্যিক গণ্য করা ঠিক নয়। কেননা আল্লাহ্র রাসূল (ছাঃ) কখনও পড়তেন, কখনো ছাড়তেন (মির‘আত)।১ ১. চাশতের ছালাতের নিয়ম :চাশতের ছালাত দু’রাকা‘আত আদায় করাই যথেষ্ট।২ তবে রাসূল (ছাঃ) ২, ৪, ৬, ও ৮ রাকা‘আত ছালাত আদায় করেছেন।

ইশরাক্ব বা চাশতের ছালাত বিস্তারিত পডুন »

আশুরায়ে মুহাররমের ফযীলত

ইসলামের নামে প্রচলিত অনৈসলামী পর্ব সমূহের মধ্যে একটি হ’ল ১০ই মুহাররম তারিখে প্রচলিত আশূরা পর্ব। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ পর্বের কোন অস্তিত্ব ছিল না। আল্লাহর নিকটে বছরের চারটি মাস হ’ল ‘হারাম’ বা মহা সম্মানিত (তওবা ৯/৩৬)। যুল-ক্বা‘দাহ, যুলহিজ্জাহ ও মুহাররম একটানা তিন মাস এবং তার পাঁচ মাস পর ‘রজব’, যা শা‘বানের পূর্ববর্তী মাস’।(বুখারী হা/৫৫৫০; মুসলিম হা/১৬৭৯; মিশকাত হা/২৬৫৯।)  জাহেলী যুগের আরবরা এই চার মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ করত না।(বুখারী হা/৫৩; মুসলিম হা/১৭; মিশকাত হা/১৭।) দুর্ভাগ্য যে, মুসলমান হয়েও আমরা অতটুকু করতে পারি না। আশূরার গুরুত্ব ও

আশুরায়ে মুহাররমের ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

হাদীছের প্রতি আনুগত্য, রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি আনুগত্যের শামীল

মুমিন সেই ব্যক্তি, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আনুগত্য রাখে। রাসূল (ছাঃ)-এর আনুগত্য করলে সে ব্যক্তি আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে আনুগত্য করবে না, তাকে পিটিয়ে দ্বীনে ভেড়ানো হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে বিমুখ হল, তবে আমি তোমাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক করে প্রেরণ করিনি’  (নিসা ৪/৮০)। তিনি অন্যত্র বলেন, ‘আর তোমরা আল্লাহর  আনুগত্য  কর এবং আনুগত্য কর রাসূলের আর সাবধান হও। তারপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তবে জেনে রাখ যে, আমার রাসূলের

হাদীছের প্রতি আনুগত্য, রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি আনুগত্যের শামীল বিস্তারিত পডুন »

দ্বীনের আদলে দুনিয়া গ্রহণ করুন এবং হারামকে না বলুন!

বাংলাদেশের আহলেহাদীছদের প্রাণপ্রিয় ব্যক্তিত্ব মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহিল কাফী আল-কোরায়শী ৭৫ বছর পূর্বে তাঁর লেখা ‘ইছলামি শাসনতন্ত্রের সূত্র’ বইয়ের ২১ নং পৃষ্ঠায় বলেছেন, ‘দ্বীন ও দুনিয়া বলিয়া দুইটা স্বতন্ত্র ও পৃথক বস্তুর ধারনা করিয়া লইয়াছেন, তাহার কারণ এই যে, তাহারা আখেরাত বা পরবর্তী জীবনকে দ্বীন বলিয়া ধরিয়া লইয়াছেন এবং দ্বীন শব্দের বুৎপত্তি, অর্থ ও প্রয়োগের প্রতি নিদারুণ অবহেলা প্রকাশ করিয়াছেন। দ্বীন ও দুনিয়া আলাদা কোন বিষয়বস্তু নয়। দ্বীন দ্বারা দুনিয়া একই রেখাতে পরিচালিত হবে। আর যারা আলাদা করেছে তারাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সুতরাং দুনিয়া নয়, দ্বীনকে আঁকড়ে ধরুন।

দ্বীনের আদলে দুনিয়া গ্রহণ করুন এবং হারামকে না বলুন! বিস্তারিত পডুন »

মুসলমানের মান-সম্মানের প্রতি হস্তক্ষেপ করার বিধান

মানুষ আল্লাহর কাংখিত সৃষ্টির সেরা জীব। সুতরাং একজন আরেকজনকে তুচ্ছজ্ঞান বা হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে না। যখন কোন ব্যক্তি কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে তখন স্বভাবতই সে নিজেকে তার চেয়ে শ্রেয় মনে করে,যা অহংকারের পর্যায়ভুক্ত। আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত একটি হাদীছে জনৈক ছাহাবীর এক প্রশ্নের উত্তরে অহংকারের ব্যাখ্যা দিয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেন, اَلْكِبْرُ بَطَرُ الْحَقِّ وَ غَمْطُ النَّاسِ. ‘অহংকার হচ্ছে সত্যকে অস্বীকার করা এবং লোকদের নীচুজ্ঞান করা’(মুসলিম, মিশকাত হা/৫১০৮)। এজন্য কথা, কর্ম বা আচরণের মাধ্যমে কাউকে তুচ্ছজ্ঞান করা বা হেয় প্রতিপন্ন করা নিষেধ। আবু

মুসলমানের মান-সম্মানের প্রতি হস্তক্ষেপ করার বিধান বিস্তারিত পডুন »

পায়ে হেঁটে হজ্জে যাওয়ার বিধান

কোন ব্যক্তি শুধু পায়ে হেঁটে হজ্জব্রত পালনে যেতে ইচ্ছা পোষণ করলে সে ভুল সিন্ধান্ত নিবে। কেননা দ্বীনের মধ্যে বাড়াবাড়ী সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বাহনে ও পায়ে হেঁটে যাওয়া সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ اَذِّنۡ فِی النَّاسِ بِالۡحَجِّ یَاۡتُوۡکَ رِجَالًا وَّ عَلٰی کُلِّ ضَامِرٍ یَّاۡتِیۡنَ مِنۡ کُلِّ فَجٍّ عَمِیۡقٍ  ‘‘আর মানুষের নিকট হজ্জের ঘোষণা দাও; তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং সর্ব প্রকার ক্ষীণকায় উষ্ট্রসমূহের পিঠে, তারা আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে‘’ (হজ্জ ২২/২৭)। শুধু পায়ে হেঁটে হজ্জে যাওয়ার মানত করে নিজেকে কষ্ট দেওয়া সমীচীন নহে। কেননা

পায়ে হেঁটে হজ্জে যাওয়ার বিধান বিস্তারিত পডুন »

স্বামী সম্পর্কে কন্যার প্রতি পিতার নছীহত

’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বহুদিন ধরে উৎসুক ছিলাম যে, আমি ’উমার ইব্নু খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞেস করব, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের মধ্যে কোন্ দু’জনের ব্যাপারে আল্লাহ্ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেছেনঃ ’’তোমরা দু’জন যদি অনুশোচনাভরে আল্লাহর দিকে ফিরে আস (তবে তা তোমাদের জন্য উত্তম), তোমাদের অন্তর (অন্যায়ের দিকে) ঝুঁকে পড়েছে।’’ (সূরাহ আত-তাহরীম ৬৬ঃ ৪) এরপর একবার তিনি [’উমার (রাঃ)] হাজ্জের জন্য রওয়ানা হলেন এবং আমিও তাঁর সঙ্গে হাজ্জে গেলাম। (ফিরে আসার পথে) তিনি ইস্তিনজার জন্য রাস্তা থেকে সরে গেলেন।

স্বামী সম্পর্কে কন্যার প্রতি পিতার নছীহত বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top