দুনিয়া ও আখিরাত/ আখেরাত

ঈমানের নূর বৃদ্ধির উপায়

ঈমানের আভিধানিক অর্থ : ‘ঈমান’ অর্থ নিশ্চিন্ত বিশ্বাস, নিরাপত্তা দেওয়া, যা ভীতির বিপরীত। রাগেব আল-ইছফাহানী (রহঃ) বলেন, ঈমানের মূল অর্থ হচ্ছে আত্মার প্রশান্তি এবং ভয়-ভীতি দূর হয়ে যাওয়া (আল-মুফরাদাত, পৃঃ ৩৫)। সন্তান যেমন পিতা-মাতার কোলে নিশ্চিন্ত হয়, মুমিন তেমনি আল্লাহ্র উপরে ভরসা করে নিশ্চিন্ত হয়। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন, ঈমানের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হচ্ছে স্বীকারোক্তি এবং আত্মার প্রশান্তি। আর সেটা অর্জিত হবে অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ ও আমলের মাধ্যমে (আছ-ছারিম আল-মাসলূল, পৃঃ ৫১৯)। ঈমানের পারিভাষিক অর্থ : আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের মতে, ‘ঈমান’ […]

ঈমানের নূর বৃদ্ধির উপায় বিস্তারিত পডুন »

বাতিল কখনও হক্বকে নিশ্চিহ্ন করতে পারে না

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا عَلَیۡکُمۡ اَنۡفُسَکُمۡ ۚ لَا یَضُرُّکُمۡ مَّنۡ ضَلَّ اِذَا اهۡتَدَیۡتُمۡ ؕ اِلَی اللّٰهِ مَرۡجِعُکُمۡ جَمِیۡعًا فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ  হে মু’মিনগণ! তোমাদের দায়িত্ব তোমাদের উপর। যখন তোমরা সত্যপথ প্রাপ্ত হয়েছ তখন যারা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে তারা তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন আল্লাহর দিকে, অতঃপর তোমরা যা করছিলে সে সম্পর্কে তোমাদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে। (মায়েদা ৫/১০৫)। সা’য়ীদ ইবন মুসাইয়্যাব বলেন, এর অর্থ, যদি সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজে নিষেধ কর, তাহলে কেউ পথভ্রষ্ট হলে, তাতে তোমার ক্ষতি নেই,

বাতিল কখনও হক্বকে নিশ্চিহ্ন করতে পারে না বিস্তারিত পডুন »

শ্রেষ্ঠ্যত্ব আল্লাহর মনোনয়ন

 ইবাদত বেশী হলেই মানুষ শ্রেষ্ঠ্য নয়, দ্বীনের সঠিক বুঝ ও প্রজ্ঞার ফলেই মানুষ শ্রেষ্ঠ্য হয়। শ্রেষ্ঠ্যত্ব আল্লাহর ইচ্ছাধীন ও মনোনয়নের সাথে সম্পৃক্ত। মানুষ সর্বপ্রথম জান্নাতে বসবাস শুরু করে এবং নিজেদের ভুলের কারণে দুনিয়াতে প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরিত হয়। সারা পৃথিবী জুড়ে মানুষের সমারহ। কিন্তু এর মধ্যে শ্রেষ্ঠ্য মানুষ নবী-রাসূলগণ। এর পরে ঐসকল ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ্যত্ব অর্জন করবে যারা একান্তভাবে জান্নাতের পৌছাতে পারবে। অর্থাৎ- মুমিন মুত্তকী যারা সদা আল্লাহর ভয়ে ভীত থাকে এবং তাঁর বিধি-নিষেধ পালন করে, সৎ কাজের আদেশ দেন এবং মন্দ থেকে বিরত হতে বলে বা

শ্রেষ্ঠ্যত্ব আল্লাহর মনোনয়ন বিস্তারিত পডুন »

মানব ও জ্বীন জাতি ব্যতীত সকল সৃষ্টি কবরের আযাব শুনতে পায়

মানব ও জ্বীন জাতি ব্যতীত সকল সৃষ্টি কবরের আযাব শুনতে পায়। কবর পরোকালের প্রথম ধাপ বা বারযাখি জীবন অনেক কঠিন। এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেঁচে থাকার জন্য অধিক আমল করা উচিৎ। কবরের আযাব কত ভয়ানক তা নিম্নে আলোচনা করা হলো- যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানী নাজ্জার গোত্রের একটি বাগানে তাঁর একটি খচ্চরের উপর আরোহী ছিলেন এবং আমরাও তাঁর সাথে ছিলাম। হঠাৎ খচ্চরটি লাফিয়ে উঠল এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রায় মাটিতে ফেলে দেবার উপক্রম করল। দেখা

মানব ও জ্বীন জাতি ব্যতীত সকল সৃষ্টি কবরের আযাব শুনতে পায় বিস্তারিত পডুন »

দো‘আ কবূলের শর্তসমূহ

দো‘আ অর্থ :দো‘আ (دعاء) অর্থ ডাকা, কিছু চাওয়া, প্রার্থনা করা প্রভৃতি। বিনয়ের সাথে আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করা হ’ল দো‘আ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আমার নিকট দো‘আ করো, আমি তোমাদের দো‘আ কবূল করব’ (মুমিন ৪০/৬০)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, দো‘আ হ’ল ইবাদত’( আহমাদ, আবূদাঊদ, মিশকাত হা/২২৩০)। দো‘আ হ’ল আল্লাহ্র গুণগান করার মাধ্যমে বান্দা তার প্রভুর নিকট ইবাদতের ভেতরে ও বাহিরে নিজের আবেদন পেশ করে থাকে। দো‘আর গুরুত্ব : ইবাদতের ভেতরে ও বাহিরে দো‘আর গুরুত্ব অনেক বেশী। ‘যে আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করে না, আল্লাহ তার উপর ক্রোধান্বিত হন’(তিরমিযী ৫/৪৫৬,

দো‘আ কবূলের শর্তসমূহ বিস্তারিত পডুন »

ক্ষুধার্তকে না খাওয়ানোর শাস্তি

দুনিয়াতে জীবনোপকরণের স্বাচ্ছন্দ সৎ ও আল্লাহর প্ৰিয়পাত্র হওয়ার আলামত নয়। পক্ষান্তরে অভাব-অনটন ও দারিদ্রতা কারু জন্য প্রত্যাখ্যাত ও লাঞ্ছিত হওয়ার দলীল নয়। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যাপার সম্পূর্ণ উল্টো হয়ে থাকে। সীরাতুন নাবী অধ্যায়ন করলে অবগত হওয়া যায় যে, কোন কোন নবী-রাসূলগণ জীবন-যাপনে কঠিন ক্ষুধা ও দুঃখ-কষ্ট ভোগ করেছেন। আবার কোনও কোনও আল্লাহদ্রোহী আরাম-আয়েশে জীবন অতিবাহিত করে দিয়েছেন। [ইবন কাসীর] অতএব, ধন-সম্পদ যেমন বান্দার জন্য পরীক্ষা। অনুরূপ অভাব-অনটন ও দারিদ্রতাও বান্দার জন্য পরীক্ষা মাত্র। রাসূল (ছা.) পেট ভর্তি করে খেতেন না। অনাহার অর্ধাহারে জীভন-যাপন করতেন। আয়িশাহ্

ক্ষুধার্তকে না খাওয়ানোর শাস্তি বিস্তারিত পডুন »

শয়তান সম্পর্কে ধারনা

আদম (আঃ)-কে জান্নাত থেকে বের করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে সফলতা অর্জন করে। আদম (আঃ)-কে সিজদা না করায় মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ইবলীসের প্রতি ছিল চরম অভিশাপ। যার ফলশ্রুতিতে ইবলীস বা শয়তানের মানব জাতির সাথে চির শত্রুতা। জাত বা বংশ :  শয়তান মানুষ ও জিন উভয় শ্রেণীভুক্ত। তবে নেতা বা মূল সরদার হ’ল ইবলীস।[1] মহান আল্লাহ বলেন, وَكَذَلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوًّا شَيَاطِيْنَ الْإِنْسِ وَالْجِنِّ ‘এভাবে আমরা প্রত্যেক নবীর জন্য মানুষ ও জিনের মধ্য থেকে বহু শয়তানকে শত্রুরূপে নিযুক্ত করেছি। তারা প্রতারণার উদ্দেশ্যে একে অপরকে

শয়তান সম্পর্কে ধারনা বিস্তারিত পডুন »

শয়তানের কুমন্ত্রণা

শয়তান মানুষের ভিতরে-বাইরে, দিবা-নিশি সর্বাবস্থায় পথভ্রষ্ট করার জন্য যথাযথ কুমন্ত্রণা দেয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আদম (আঃ)-কে জান্নাত থেকে বের করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে সফলতা অর্জন করে। আদম (আঃ)-কে সিজদা না করায় মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ইবলীসের প্রতি ছিল চরম অভিশাপ। যার ফলশ্রুতিতে ইবলীস বা শয়তানের মানব জাতির সাথে চির শত্রুতা। আল্লাহ তা‘আলা শয়তানের অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন; বরং সর্বদা তার বিরোধিতা করতে বলেছেন। কারণ শয়তানই মানুষের চির দুশমন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,يَا بَنِي آدَمَ لاَ يَفْتِنَنَّكُمُ الشَّيْطَانُ كَمَا أَخْرَجَ أَبَوَيْكُم مِّنَ الْجَنَّةِ يَنْزِعُ عَنْهُمَا لِبَاسَهُمَا

শয়তানের কুমন্ত্রণা বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top