পুরাতন ব্লগের প্রবন্ধ

❤ কুরআন মাজীদ হতে ১০০টি নির্দেশনা ❤

— লিলবর আল-বারাদী ০১. কথাবার্তায় কর্কশ হবেন না। (০৩ঃ১৫৯) ০২. রাগকে নিয়ন্ত্রণ করুন (০৩ঃ১৩৪)।০৩. অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। (০৪ঃ ৩৬)০৪. অহংকার করবেন না। (০৭ঃ ১৩)০৫. অন্যকে তার ভুলের জন্য ক্ষমা করুন (০৭ঃ ১৯৯)০৬. লোকদের সাথে ধীরস্থির হয়ে শান্তভাবে কথা বলুন। (২০ঃ ৪৪)০৭. উচ্চস্বরে কথা বলবেন না। (৩১ঃ ১৯)০৮. অন্যকে উপহাস করবেন না (৪৯ঃ ১১)০৯. পিতামাতার প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করুন। (১৭ঃ ২৩)১০. পিতামাতার প্রতি অসম্মানজনক শব্দ উচ্চারণ করবেন না। (১৭ঃ ২৩)১১. অনুমতি না নিয়ে পিতামাতার শোবার ঘরে প্রবেশ করবেন না। (২৪ঃ ৫৮)১২. ঋণ গ্রহণ করলে […]

❤ কুরআন মাজীদ হতে ১০০টি নির্দেশনা ❤ বিস্তারিত পডুন »

ষড় রিপু সমাচার : মোহ রিপু

–লিলবর আল-বারাদী চার. মোহ রিপু : মোহ শব্দটি চিত্তের অন্ধতা, অজ্ঞানতা, অবিদ্যা, মূর্খতা, মূঢ়তা, নির্বুদ্ধিতা, ভ্রান্তি, মুগ্ধতা, বিবেকহীনতা, মায়া, মূর্ছা, বুদ্ধিভ্রংশ ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আসলে মানব রিপুর মধ্যে এটি অন্যতম একটি রিপু। কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ ও মাৎসর্য এ সবকটির উপর মোহ প্রভাব খাঁটিয়ে থাকে। অর্থাৎ মোহ দোষে দূষিত ব্যক্তি বাঁকি পাঁচটি রিপুকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাকে যে কোন রিপু অতি সহজেই গ্রাস করতে পারে। কারণ অজ্ঞতা বা নির্বুদ্ধিতা থেকেই বিবেকশূন্যতার সৃষ্টি হতে পারে। মায়া হলো মোহ রিপুর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। অতিমায়া

ষড় রিপু সমাচার : মোহ রিপু বিস্তারিত পডুন »

ষড় রিপু সমাচার : লোভ রিপু

লোভ হলো লিপ্সা বা কাম্য বস্তু লাভের প্রবল ইচ্ছা। বিনা লোভে কোন কাজও হয়না আবার লোভ নেই এমন মানুষও নেই। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যত কাজকর্ম রয়েছে তার প্রতিটির পেছনে নিহীত রয়েছে লোভ। বিনা লোভে পৃথিবীতে কিছুই হয় না। লোভ আছে বলেই মানুষের বেঁচে থাকার স্পৃহা আছে, জাগতিক ও পারলৌকিক আশা-আকাংখা তথা অভিপ্রেত অনুভূতি আছে। তবে লোভের রকমফের রয়েছে। কথায় বলে-অতি লোভে তাঁতী নষ্ট। আসলে অতি লোভের পরিণাম হিসেবে আসে পাপ এবং পাপের পরিণতি মৃত্যু। পৃথিবীতে মানুষ যে লোমহর্ষক কর্মকান্ড করছে তার মূলে রয়েছে অতি লোভ।

ষড় রিপু সমাচার : লোভ রিপু বিস্তারিত পডুন »

ষড় রিপু সমাচার : ক্রোধ রিপু

ক্রোধ মানবজীবনের অবিচ্ছেদ্য ষড়রিপুর অন্যতম। ক্রোধ শব্দের প্রতিশব্দ হলো রাগ বা রোষ। কেবল মানুষই নয় প্রাণী মাত্রই ক্রোধ আছে। ক্রোধ শক্তি একজন মানুষকে অন্যজন থেকে আলাদা হতে সহায়তা করে। তবে ক্রোধের রয়েছে বহুবিধ চেহারা ও প্রকৃতি। ‘কুল লক্ষণ’ বলে একটি কথা আছে। কুল লক্ষণ অর্থাৎ সৎকুলের ন’টি গুণ রয়েছে। গুণগুলো হলো-আচার, বিনয়, বিদ্যা, প্রতিষ্ঠা, তীর্থদর্শন, নিষ্ঠা, আবৃত্তি, তপস্যা ও দান। আসলে ক্রোধান্ধ একজন মানুষের পক্ষে বোধকরি উপরে বর্ণিত ন’টি গুণের একটিতেও সফল হওয়া সম্ভব নয়। কারও মধ্যে এ গুণগুলো অনুপস্থিত থাকলে প্রকৃত প্রস্তাবেই সে আসল

ষড় রিপু সমাচার : ক্রোধ রিপু বিস্তারিত পডুন »

ষড় রিপু সমাচার : কাম রিপু

লিলবর আল-বারাদী ভূমিকা : মানব জীবন বড়ই বন্ধুর। জীবনে নানা ঘাত প্রতিঘাত জীবনকে প্রতিনিয়ত যেমনি শোধরিয়ে দেয় তেমনি আবার কলুষিতও করে থাকে। পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রাণীর মধ্যে মানুষই সর্বশ্রেষ্ঠ। এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পেছনে যে বিষয়গুলো সদা ক্রিয়াশীল তা হলো তার বিবেক, বুদ্ধি, বিচক্ষণতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা। বিবেক হলো মানুষের অন্তর্নিহীত শক্তি যার দ্বারা ন্যায়, অন্যায়, ভালোমন্দ, ধর্মাধর্ম বিচার-বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জিত হয়। বুদ্ধি হলো তার ধীশক্তি বা বোধশক্তি যার দ্বারা জীবন ও জগতে সংগঠিত যাবতীয় ক্রিয়াকলাপে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়ার বিজ্ঞানময় দক্ষতা নির্ণীত হয়। বিচক্ষণতা হলো

ষড় রিপু সমাচার : কাম রিপু বিস্তারিত পডুন »

ইসলামই চিরন্তন প্রগতিবাদ

-লিলবর আল-বারাদী      ভূমিকা : সারা বিশ্বে প্রগতিবাদের লু হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে। সকলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একই। প্রগতিশীল সমাজবিজ্ঞানীদের ধারনা আমাদের সমাজটা পরিবর্তন করা উচিৎ। সেকেলের সমাজ ব্যবস্থায় সার্বিক অধিকার প্রতিষ্ঠা অসম্ভব, বিধায় প্রগতিশীল সমাজবিজ্ঞানী হিসেবে তা পরিবর্তন করা সমীচীন। প্রগতির উল্টোটা প্রতিক্রিয়া। আর প্রতিক্রিয়া সেই দর্শন বা মতবাদ যা মনে করে মানুষের ইতিহাস ক্রমে অবনতিশীল। মানুষ ও সভ্যতা ক্রমেই অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কেউ চিন্তা করেন, মুলত প্রগতির ধারণা মনে করে বর্তমান অতীতের চেয়ে শ্রেয় এবং বিশ্বাস করে যে ভবিষ্যৎ আরো ভালো হতে

ইসলামই চিরন্তন প্রগতিবাদ বিস্তারিত পডুন »

দাওয়াত ও তাবলীগে নারীদের ভূমিকা

শরীফা বিনতে আব্দুল মতীন যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্ম ও সভ্যতায় নারী জাতি নানাভাবে উপেক্ষিত, নিগৃহীত ও লাঞ্ছিত হয়ে এসেছে। পুরুষরা নারীকে বাদ দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ও বাস্তবায়ন করেছে। চাই সমাজে শান্তি আসুক বা না আসুক। সতেরশ শতাব্দীতে রোম শহরে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যে বৈঠকের নাম ছিল Council of the wise ‘জ্ঞানীদের অধিবেশন’। উক্ত অধিবেশনে জ্ঞানীরা ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, Women has no soul ‘নারীদের আত্মা নেই’। নারীদের ব্যাপারে যখন রোমের জ্ঞানীদের এই ধারণা, তখন বোঝাই যায় সাধারণ

দাওয়াত ও তাবলীগে নারীদের ভূমিকা বিস্তারিত পডুন »

আক্বীক্বা (العقيقة)

সংজ্ঞা: شعر المولود من بطن امه او الذبيحة التى تُذْبَحُ عن المولود يوم سُبُوْعِهِ عند حلق شعره- ‘নবজাত শিশুর মাথার চুল অথবা সপ্তম দিনে নবজাতকের চুল ফেলার সময় যবহকৃত বকরীকে আক্বীক্বা বলা হয়’।[1] আক্বীক্বার প্রচলন (১) বুরায়দা (রাঃ) বলেন, জাহেলী যুগে আমাদের কারও সন্তান ভূমিষ্ট হ’লে তার পক্ষ হ’তে একটা বকরী যবহ করা হ’ত এবং তার রক্ত শিশুর মাথায় মাখিয়ে দেওয়া হ’ত। অতঃপর ‘ইসলাম’ আসার পর আমরা শিশু জন্মের সপ্তম দিনে বকরী যবহ করি এবং শিশুর মাথা মুন্ডন করে সেখানে ‘যাফরান’ মাখিয়ে দেই’ (আবুদাঊদ)। রাযীন

আক্বীক্বা (العقيقة) বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top