আক্বীদাহ বা বিশ্বাস

দরসে হাদীছ : আখিরাতে আল্লাহর বিচার ফয়সালা

আল্লাহ তা‘আলা যখন বিচারের মাঠে বান্দার আমলের বিচার করবেন, তখন তিনি এই নিয়াতের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিচার কার্য পরিচালনা করবেন। কেননা ইহা এমন একটি অদৃশ্য বিষয় যা কেবল কোন ব্যক্তির ক্বলব বা অন্তরের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে। মানুষ যেমন ইচ্ছা করবে তার প্রতিদানও অনুরূপ হবে। আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে কতিপয় সাহাবী তাঁকে বলেছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! কিয়ামত দিবসে আমরা কি আমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাব? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি আরো বললেনঃ দুপূরে মেঘমুক্ত […]

দরসে হাদীছ : আখিরাতে আল্লাহর বিচার ফয়সালা বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : সর্বশেষ জান্নাতি ব্যক্তি

তাওহীদের ঘোষনাকারী ও সিজদাকারী ব্যক্তি যে আল্লাহ্র সন্মূখে নিজেই নিজের সুপারিশ করবে এবং সবার শেষে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, ছাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা কি ক্বিয়ামতের দিন আমাদের রবকে দেখতে পাব? তিনি বললেন, ‘মেঘমুক্ত পূর্ণিমার রাতের চাঁদকে দেখার ব্যাপারে তোমরা কি সন্দেহ পোষণ করো?’ তাঁরা বললেন, না ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি বললেন, ‘মেঘমুক্ত আকাশে সূর্য দেখার ব্যাপারে কি তোমাদের কোন সন্দেহ আছে?’ সবাই বললেন, না। তখন তিনি বললেন, ‘নিঃসন্দেহে তোমাদেরকে আল্লাহ্ তা‘আলা বলবেন, যে যার উপাসনা করত সে যেন

দরসে হাদীস : সর্বশেষ জান্নাতি ব্যক্তি বিস্তারিত পডুন »

জান্নাতের হুর সম্পর্কে কিছু কথা

জান্নাতিদের বয়স হবে ৩০ অথবা ৩৩ বছর। সকলে হবেন যুবক-যুবতী। রাসূল (ছাঃ) বলেন, “‏ يَدْخُلُ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ جُرْدًا مُرْدًا مُكَحَّلِينَ أَبْنَاءَ ثَلاَثِينَ أَوْ ثَلاَثٍ وَثَلاَثِينَ سَنَةً ‏”‏ ‏ ‘জান্নাতীরা জান্নাতে প্রবেশের সময় তাদের শরীরে লোম থাকবে না, দাঁড়ি-গোফও থাকবে না এবং চোখে সুরমা লাগানো থাকবে। তারা হবে ত্রিশ অথবা তেত্রিশ বছরের যুবক’ (তিরমিযী হা/২৫৪৫)। হূর সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা পাওয়া যায় না। তবুও সংক্ষেপে আলোচনা করা হ’ল- প্রশ্ন : জান্নাতে পুরুষ পাবেন হুর, কিন্তু নারীরা কী পাবেন (?)‘হূর’ (حُوْرٌ) শব্দটি স্ত্রীলিঙ্গ। এটি জান্নাতী পুরুষদের জন্য

জান্নাতের হুর সম্পর্কে কিছু কথা বিস্তারিত পডুন »

আল্লাহর প্রিয় বান্দা হও, আল্লাহ তোমার হয়ে যাবে

 আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রিয় বান্দার সাথে কীরূপ ব্যবহার করেন সে সম্পর্কে বান্দার গুণাবলী ও তাঁর ভালবাসার রূপরেখা তুলে ধরেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোন প্রিয় বান্দার সাথে দুশমনী করল, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিলাম। আমি যেসব বিষয় ফরয করেছি, তার মাধ্যমে আমার নৈকট্য অনুসন্ধানের চাইতে প্রিয়তর অন্য কিছু আমার কাছে নেই। বান্দা বিভিন্ন নফল ইবাদতের মাধ্যমে সর্বদা আমার নৈকট্য হাছিলের চেষ্টায় থাকে, যতক্ষণ না আমি তাকে ভালবাসি। অতঃপর যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমিই তার কান হয়ে যাই

আল্লাহর প্রিয় বান্দা হও, আল্লাহ তোমার হয়ে যাবে বিস্তারিত পডুন »

হাদীছের প্রতি আনুগত্য, রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি আনুগত্যের শামীল

মুমিন সেই ব্যক্তি, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আনুগত্য রাখে। রাসূল (ছাঃ)-এর আনুগত্য করলে সে ব্যক্তি আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে আনুগত্য করবে না, তাকে পিটিয়ে দ্বীনে ভেড়ানো হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে বিমুখ হল, তবে আমি তোমাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক করে প্রেরণ করিনি’  (নিসা ৪/৮০)। তিনি অন্যত্র বলেন, ‘আর তোমরা আল্লাহর  আনুগত্য  কর এবং আনুগত্য কর রাসূলের আর সাবধান হও। তারপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তবে জেনে রাখ যে, আমার রাসূলের

হাদীছের প্রতি আনুগত্য, রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি আনুগত্যের শামীল বিস্তারিত পডুন »

ইয়াযীদ ইবনে মু‘আবিয়া ও কারবালার ঘটনার সার-সংক্ষেপ

ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়া (২৭-৬৪ হিঃ) তাবেঈ ছিলেন। কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার জন্য ইয়াযীদ দায়ী নন। এজন্য মূলতঃ দায়ী বিশ্বাসঘাতক কূফাবাসী ও নিষ্ঠুর গভর্ণর ওবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদ নিজে। কেননা ইয়াযীদ কেবল হুসায়েন (রাঃ)-এর আনুগত্য চেয়েছিলেন, তাঁর খুন চাননি। হুসায়েন (রাঃ) সে আনুগত্য দিতেও প্রস্ত্তত ছিলেন। ইয়াযীদ স্বীয় পিতার অছিয়ত অনুযায়ী হুসায়েনকে সর্বদা সম্মান করেছেন এবং তখনও করতেন। হুসায়েন (রাঃ)-এর ছিন্ন মস্তক ইয়াযীদের সামনে রাখা হ’লে তিনি কেঁদে বলে ওঠেন, ‘ওবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদের উপর আল্লাহ লা‘নত করুন। আল্লাহর কসম! যদি হুসায়েনের সাথে ওর রক্তের সম্পর্ক থাকত, তাহ’লে সে

ইয়াযীদ ইবনে মু‘আবিয়া ও কারবালার ঘটনার সার-সংক্ষেপ বিস্তারিত পডুন »

দ্বীনের আদলে দুনিয়া গ্রহণ করুন এবং হারামকে না বলুন!

বাংলাদেশের আহলেহাদীছদের প্রাণপ্রিয় ব্যক্তিত্ব মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহিল কাফী আল-কোরায়শী ৭৫ বছর পূর্বে তাঁর লেখা ‘ইছলামি শাসনতন্ত্রের সূত্র’ বইয়ের ২১ নং পৃষ্ঠায় বলেছেন, ‘দ্বীন ও দুনিয়া বলিয়া দুইটা স্বতন্ত্র ও পৃথক বস্তুর ধারনা করিয়া লইয়াছেন, তাহার কারণ এই যে, তাহারা আখেরাত বা পরবর্তী জীবনকে দ্বীন বলিয়া ধরিয়া লইয়াছেন এবং দ্বীন শব্দের বুৎপত্তি, অর্থ ও প্রয়োগের প্রতি নিদারুণ অবহেলা প্রকাশ করিয়াছেন। দ্বীন ও দুনিয়া আলাদা কোন বিষয়বস্তু নয়। দ্বীন দ্বারা দুনিয়া একই রেখাতে পরিচালিত হবে। আর যারা আলাদা করেছে তারাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সুতরাং দুনিয়া নয়, দ্বীনকে আঁকড়ে ধরুন।

দ্বীনের আদলে দুনিয়া গ্রহণ করুন এবং হারামকে না বলুন! বিস্তারিত পডুন »

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর তাৎপর্য

লেখক : নাফিয আল-মাহমূদ(‘আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী’-এর দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র)সম্পাদনা : লিলবর আল-বারাদী ভূমিকা : আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতীকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর একত্ববাদে সাক্ষ্য দেয়া ও ইবাদত করা জন্য। আমলের পূর্বে ঈমানের মজবুতি সুদৃঢ় করা উচিৎ। আর সেই ঈমানের প্রধান শাখা হ’ল لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ. অর্থাৎ- ‘নেই কোন ইলাহ্ (সত্য উপাস্য) আল্লাহ ব্যতীত’। এই বাক্যটির তাৎপর্য অপরিসীম। যা নিচে তুলে ধরা হ’ল- ১. নবী-রাসূলগণের দাওয়াতের প্রথম ধাপ :প্রত্যেক যুগের মানুষ যখনই তাওহীদ থেকে দীরে গিয়ে শিরকের ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে, তখনই আল্লাহ

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর তাৎপর্য বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top