আক্বীদাহ বা বিশ্বাস

সম্মিলিত মুনাজাতের বিধান

ফরয ছালাত শেষে সালাম ফিরানোর পরে ইমাম ও মুক্তাদী সম্মিলিতভাবে হাত উঠিয়ে ইমামের সরবে দো‘আ পাঠ ও মুক্তাদীদের সশব্দে ‘আমীন’ ‘আমীন’ বলার প্রচলিত প্রথাটি দ্বীনের মধ্যে একটি নতুন সৃষ্টি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম হ’তে এর পক্ষে ছহীহ বা যঈফ সনদে কোন দলীল নেই। বলা আবশ্যক যে, আজও মক্কা ও মদীনার দুই মসজিদে উক্ত প্রথার কোন অস্তিত্ব নেই। আর যা দ্বীনের মধ্যে নেই তা পালনের প্রশ্নই আসে না। তবে মনে রাখা আবশ্যক, কিয়ামত পর্যন্ত একমাত্র মদীনাতেই সঠিক দ্বীন বহাল থাকবে, ইনশাআল্লাহ। ছালাতের সংজ্ঞা : ‘ছালাত’ […]

সম্মিলিত মুনাজাতের বিধান বিস্তারিত পডুন »

ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে আখেরাত বিশ্বাসের ফলাফল

 — প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব মুহতারাম আমীর, আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَا لِي وَلِلدُّنْيَا؟ وَمَا أَنَا وَالدُّنْيَا إِلَّا كَرَاكِبٍ اسْتَظَلَّ تَحْتَ شَجَرَةٍ، ثُمَّ رَاحَ وَتَرَكَهَا- হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘দুনিয়ায় আমার কি? আমি ও দুনিয়া তো একজন পথিকের মত। যে একটি গাছের ছায়া তলে বসে আছে। ছায়া চলে যাবে এবং তাকে ছেড়ে যাবে’।[1] এর দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, দুনিয়া ও আখেরাতের তুলনা সেতুর এ প্রান্ত ও

ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে আখেরাত বিশ্বাসের ফলাফল বিস্তারিত পডুন »

চেতনার সংঘাত (সম্পাদকীয়, জানুয়ারী ২০২১)

-প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব ————————————————–  তাওহীদের সাথে শিরকের সম্পর্ক যেমন ওযূর সাথে বায়ু নিঃসরণের সম্পর্ক। তাওহীদ থাকলে শিরক থাকবেনা, শিরক থাকলে তাওহীদ থাকবেনা। দু’টির মাঝে আপোষের কোন সুযোগ নেই। তাওহীদের চেতনা হ’ল সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর দাসত্বের অধীনে সকল মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা। আর শিরকের চেতনা হ’ল সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সাথে সৃষ্টির দাসত্ব করা। যেখানে শরীক হয় মুখ্য এবং আল্লাহ হন গৌণ। যেমন মক্কার মুশরিকরা কা‘বাগৃহ ত্বাওয়াফ করার সময় বলত, লাববাইকা লা শারীকা লাকা, ইল্লা শারীকান হুয়া লাক; তামলিকুহু ওয়া মা মালাক’ (আমি হাযির; তোমার কোন শরীক নেই, কেবল

চেতনার সংঘাত (সম্পাদকীয়, জানুয়ারী ২০২১) বিস্তারিত পডুন »

সালাফীবাদ নয় সালাফী পথ

ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব আমীর, আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ (সম্পাদকীয়, আত-তাহরীক, মে 2018 সংখ্যা) ‘সালাফী’ অর্থ পূর্বসূরীদের অনুসারী। ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের তরীকার অনুসারী। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ইহূদীরা ৭১ ফের্কায়, নাছারারা ৭২ ফের্কায় এবং আমার উম্মত ৭৩ ফের্কায় বিভক্ত হবে। তার মধ্যে মুক্তিপ্রাপ্ত দল হবে মাত্র একটি। যারা আমার ও আমার ছাহাবীগণের তরীকার উপরে চলবে’ (তিরমিযী হা/২৬৪১; ইবনু মাজাহ হা/৩৯৯২)। এক্ষণে সেই হকপন্থী জামা‘আত বা নাজী ফের্কা কোনটি, সে সম্পর্কে সালাফে ছালেহীন বিদ্বানগণ এক বাক্যে বলেছেন যে, তারা হ’ল আহলুল হাদীছ-এর

সালাফীবাদ নয় সালাফী পথ বিস্তারিত পডুন »

পহেলা বৈশাখ মুসলমানদের সংস্কৃতি নয় : একটি পর্যালোচনা

-লিলবর আল-বারাদী ভূমিকা : মহান আল্লাহ মানব সৃষ্টি করে তাদের মধ্যে দুনিয়াবী স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছেন। সাথে সাথে জীবন পরিচালনার জন্য চিরন্তন সংবিধান কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ পাশে দিয়েছেন। যাতে করে মানুষ বিপথগামী না হয়। এই সংবিধান মতে যারা জীবন সংসার পরিচালনা করে তারা মুমিন। আর যারা নিজের প্রবৃত্তি অনুসারে চলে তারা মুমিন হতে পারবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَلاَ تَتَّبِعُواْ أَهْوَاءَ قَوْمٍ قَدْ ضَلُّواْ مِنْ قَبْلُ وَأَضَلُّواْ كَثِيْراً وَضَلُّواْ عَن سَوَاء السَّبِيْلِ  ‘তোমরা সেসব জাতির খেয়াল-খুশির অনুসরণ করো না, যারা আগেভাগেই পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে এবং

পহেলা বৈশাখ মুসলমানদের সংস্কৃতি নয় : একটি পর্যালোচনা বিস্তারিত পডুন »

ইসলামই চিরন্তন প্রগতিবাদ

সারা বিশ্বে প্রগতিবাদের লু হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে। সকলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একই। প্রগতিশীল সমাজবিজ্ঞানীদের ধারনা আমাদের সমাজটা পরিবর্তন করা উচিৎ। সেকেলের সমাজ ব্যবস্থায় সার্বিক অধিকার প্রতিষ্ঠা অসম্ভব, বিধায় প্রগতিশীল সমাজবিজ্ঞানী হিসেবে তা পরিবর্তন করা সমীচীন। প্রগতির উল্টোটা প্রতিক্রিয়া। আর প্রতিক্রিয়া সেই দর্শন বা মতবাদ যা মনে করে মানুষের ইতিহাস ক্রমে অবনতিশীল। মানুষ ও সভ্যতা ক্রমেই অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কেউ চিন্তা করেন, মুলত প্রগতির ধারণা মনে করে বর্তমান অতীতের চেয়ে শ্রেয় এবং বিশ্বাস করে যে ভবিষ্যৎ আরো ভালো হতে পারে এবং হবে। পক্ষান্তরে কেউ চিন্তা

ইসলামই চিরন্তন প্রগতিবাদ বিস্তারিত পডুন »

শিয়ারা কেন কাফের ?

আমি আগে অনেকবার হিজবুল্লাহর নাম শুনেছি। যে দল নাকি ঈসরাইলকে লেবাননে পরাজিত করেছিল। তখন থেকে আমি হিজবুল্লাহর প্রতি খুব আকৃষ্ট ছিলাম কিন্তু ইদানিং যখন সিরিয়ায় সরকার হঠানোর যুদ্ধ শুরু হল, তখন হিজবুল্লাহর আসল চেহারা দেখতে পেলাম। হিজবুল্লাহ কমিউনিস্ট আসাদের পক্ষ নিয়ে মুসলমানদেরকে খুবই নির্মম ভাবে হত্যা করছে। নিচে আমি হিজবুল্লাহ এবং শিয়ারা কেন কাফের তা বর্ণনা করেছি। যারা শিয়াকে মুসলমান বলে দাবি করেন বা মুসলমান ভাই বলেন তাদেরকে নোটটি ভাল ভাবে পড়ার জোর অনুরোধ করছি– শিয়াদেরকে রাফেজীও বলা হয়। কারো মতে শিয়া বা রাফেজীরা ২০

শিয়ারা কেন কাফের ? বিস্তারিত পডুন »

হযরত ওমর (রা.) নীলনদকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠি

ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর রা.-এর শাসনামলে বিখ্যাত সাহাবি আমর ইবনুল ‘আছ রা.-এর নেতৃত্বে সর্বপ্রথম মিসর বিজিত হয়। মিসরে তখন প্রবল খরা। নীলনদ পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। তখন সেনাপতি আমরের নিকট সেখানকার অধিবাসীরা অভিযোগ তুলল, হে আমীর! নীলনদ তো একটি নির্দিষ্ট নিয়ম পালন ছাড়া প্রবাহিত হয় না। তিনি বললেন, সেটা কি? তারা বলল, এ মাসের ১৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমরা কোন এক সুন্দরী যুবতীকে নির্বাচন করব। তারপর তার পিতা- মাতাকে রাযী করিয়ে তাকে সুন্দরতম অলংকারাদি ও উত্তম পোশাক পরিধান করানোর পর নীলনদে নিক্ষেপ করব। আমর

হযরত ওমর (রা.) নীলনদকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠি বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top