আত্নশুদ্ধি

মদের মত হোমিও ওষুধ কী হারাম (?)

ইসলাম সকল প্রকার মাদক তথা নেশাদার দ্রব্য হারাম ঘোষণা করেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَ كُلُّ خَمْرٍ حَرَامٌ  ‘প্রত্যেক নেশাদার দ্রব্যই মদ আর যাবতীয় মদই হারাম’। [মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৩৮] অথচ এই মাদকের ভয়ংকর থাবায় আজ বিশ্বব্যাপী বিপন্ন মানব সভ্যতা। এর সর্বনাশা মরণ ছোবলে জাতি আজ অকালে ধ্বংস হয়ে যচ্ছে। ভেঙ্গে পড়ছে অসংখ্য পরিবার। বিঘ্নিত হচ্ছে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন। বৃদ্ধি পাচ্ছে চোরাচালানসহ মানবতা বিধ্বংসী অসংখ্য অপরাধ। মাদকাসক্তির কারণে সকল জনপদেই চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস বেড়ে গিয়ে মানুষের জান-মাল ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। সমাজের অধিকাংশ অপরাধের জন্য মুখ্যভাবে দায়ী এই মাদকতা। এজন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, لاَتَشْرَبِ […]

মদের মত হোমিও ওষুধ কী হারাম (?) বিস্তারিত পডুন »

পিওর ও পপুলার

—ড. মুহাম্মাদ  আসাদুল্লাহ আল-গালিব সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি মাসিক আত-তাহরীক মানুষের সৃষ্টিকাল থেকেই পিওর ও পপুলারের দ্বন্দ্ব চলছে। জান্নাতে ইবলীস আদম ও হাওয়াকে নিষিদ্ধ বৃক্ষের প্রতি প্রলুব্ধ করেছিল সেখানে তাদের চিরস্থায়ী হওয়ার লোভ দেখিয়ে। সেদিন ইবলীসের পপুলার প্রস্তাবের কাছে পিওরের অনুসারী আদম ভুলক্রমে পরাজিত হন। ফলে তাদেরকে জান্নাত থেকে বেরিয়ে আসতে হয় (ত্বোয়াহা ২০/১২০-২৩)। এভাবে সেদিন পিওরের প্রতি প্রথম হিংসা করেছিল ইবলীস। অতঃপর দুনিয়াতে আদমপুত্র হাবীলের পিওর ঈমানের প্রতি প্রথম হিংসা করেছিল পপুলার বড় ভাই ক্বাবীল। হাবীল তার মেষপালের সেরাটি আল্লাহর জন্য কুরবানী দিয়েছিল। অন্যদিকে ক্বাবীল

পিওর ও পপুলার বিস্তারিত পডুন »

ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব : প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ

—লিলবর আল-বারাদী মানব সমাজে ‘শিক্ষা’ হ’ল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জীবনের সফলতা ও বিকাশ লাভের অন্যতম বাহন হ’ল ‘শিক্ষা’। শিক্ষার মাধ্যমেই মানুষের মধ্যে জাগ্রত হয় বিবেক ও সুপ্রবৃত্তি। আর এ জন্যেই বলা হয়, শিক্ষাই হচ্ছে একটি সভ্য সমাজ ও জাতির মেরুদন্ড। সুতরাং শিক্ষা ব্যতিত কোন মানব, সমাজ ও জাতি কখনও উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম নয়। সভ্যতা, সম্মান, মর্যাদা এবং সকল প্রকার সাফল্য ও উন্নতির মূল চাবিকাঠি হ’ল শিক্ষা। শিক্ষার মানদন্ডে প্রত্যেকের স্ব স্ব মর্যাদা পরিলক্ষিত হয়। আর শিক্ষার মর্যাদার মানদন্ডে প্রকৃত মানুষ ও ইতর প্রাণির এ

ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব : প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ বিস্তারিত পডুন »

মানব জীবনে সূদের ক্ষতিকর প্রভাব

ভূমিকা : ইসলামে সূদ হারাম। কুরআন ও হাদীছ দ্বারা এটা প্রমাণিত। এই বিষয়টি জানার পরেও মানুষ সূদ খায়। সূদী লেনদেন করে। দুনিয়া ও আখিরাতে এর পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। এ সম্পর্কেই আলোচ্য নিবন্ধে আলোচনা করা হ’ল।- সূদের পরিচয় ও প্রকার : ‘রিবা’ অর্থ সূদ। ‘রিবা’ শব্দের আভিধানিক অর্থ অতিরিক্ত, বর্ধিত। মূলধনের অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করাকে সূদ বলে। মোটকথা বাকীতে কিংবা নগদে সমজাতীয় পণ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে মূল পণ্যের অতিরিক্ত যা কিছু গ্রহণ করা হয়, তাকে ইসলামী শরী‘আতে সূদ বলা হয়। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,اَلذَّهَبُ بِالذَّهَبِ وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ

মানব জীবনে সূদের ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তারিত পডুন »

হে মানুষ! আল্লাহকে লজ্জা কর

— মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- اسْتَحْيُوا مِنَ اللَّهِ حَقَّ الْحَيَاءِ. قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا لَنَسْتَحْيِى وَالْحَمْدُ لِلَّهِ. قَالَ : لَيْسَ ذَاكَ وَلَكِنَّ الاِسْتِحْيَاءَ مِنَ اللَّهِ حَقَّ الْحَيَاءِ أَنْ تَحْفَظَ الرَّأْسَ وَمَا وَعَى وَتَحْفَظَ الْبَطْنَ وَمَا حَوَى وَتَتَذَكَّرَ الْمَوْتَ وَالْبِلَى وَمَنْ أَرَادَ الآخِرَةَ تَرَكَ زِينَةَ الدُّنْيَا فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدِ اسْتَحْيَا مِنَ اللَّهِ حَقَّ الْحَيَاءِ- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, তোমরা আল্লাহকে লজ্জা কর সত্যিকারের লজ্জা। আমরা

হে মানুষ! আল্লাহকে লজ্জা কর বিস্তারিত পডুন »

মৃত্যুকে স্মরণ

প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ : جَاءَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ : يَا مُحَمَّدُ، عِشْ مَا شِئْتَ فَإِنَّكَ مَيِّتٌ، وَأَحْبِبْ مَنْ أَحْبَبْتَ فَإِنَّكَ مَفَارِقُهُ، وَاعْمَلْ مَا شِئْتَ فَإِنَّكَ مَجْزِيٌّ بِهِ. ثُمَّ قَالَ : يَا مُحَمَّدُ شَرَفُ الْمُؤْمِنِ قِيَامُ اللَّيْلِ وَعِزُّهُ اسْتِغْنَاؤُهُ عَنِ النَّاسِِ- رواه الحاكم بإسناد صحيح অনুবাদ : সাহল বিন সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, জিব্রীল এসে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বললেন, হে মুহাম্মাদ! যতদিন খুশী জীবন যাপন কর। কিন্তু মনে রেখ তুমি মৃত্যুবরণ

মৃত্যুকে স্মরণ বিস্তারিত পডুন »

পহেলা বৈশাখ মুসলমানদের সংস্কৃতি নয় : একটি পর্যালোচনা

-লিলবর আল-বারাদী ভূমিকা : মহান আল্লাহ মানব সৃষ্টি করে তাদের মধ্যে দুনিয়াবী স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছেন। সাথে সাথে জীবন পরিচালনার জন্য চিরন্তন সংবিধান কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ পাশে দিয়েছেন। যাতে করে মানুষ বিপথগামী না হয়। এই সংবিধান মতে যারা জীবন সংসার পরিচালনা করে তারা মুমিন। আর যারা নিজের প্রবৃত্তি অনুসারে চলে তারা মুমিন হতে পারবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَلاَ تَتَّبِعُواْ أَهْوَاءَ قَوْمٍ قَدْ ضَلُّواْ مِنْ قَبْلُ وَأَضَلُّواْ كَثِيْراً وَضَلُّواْ عَن سَوَاء السَّبِيْلِ  ‘তোমরা সেসব জাতির খেয়াল-খুশির অনুসরণ করো না, যারা আগেভাগেই পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে এবং

পহেলা বৈশাখ মুসলমানদের সংস্কৃতি নয় : একটি পর্যালোচনা বিস্তারিত পডুন »

জান্নাত লাভের কতিপয় উপায়

— ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম ভূমিকা : ইহকালীন জীবনে মানুষের কৃতকর্মের মাধ্যমে অর্জিত নেকী পরকালীন জীবনে পরিত্রাণ লাভের অসীলা হবে। তাই দুনিয়াতে অধিক নেক আমলের দ্বারা বেশী বেশী ছওয়াব লাভের চেষ্টা করা মুমিনের কর্তব্য। কিন্তু পার্থিব জীবনের মায়াময়তায় জড়িয়ে আমলে ছালেহ থেকে দূরে থাকলে পরকালীন জীবনে কষ্টভোগ করতে হবে। এজন্য রাসূল (ছাঃ) বলেন, حُلْوَةُ الدُّنْيَا مُرَّةُ الآخِرَةِ وَمُرَّةُ الدُّنْيَا حُلْوَةُ الآخِرَةِ– ‘পৃথিবীর মিষ্টতা পরকালের তিক্ততা। আর পৃথিবীর তিক্ততা পরকালের মিষ্টতা’।[1] তাই পরকালীন জীবনে আল্লাহর শাস্তির ভয়ে গোনাহ পরিহার করতে হবে এবং অফুরন্ত নে‘মত সমৃদ্ধ অমূল্য জান্নাত

জান্নাত লাভের কতিপয় উপায় বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top