উপদেশ

দরসে হাদীস : ধোঁকাব্যঞ্জকের যুগে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন!

আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) বলেন, একদিন নবী (ছাঃ) আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, (হে ’আবদুল্লাহ!) তখন তোমার কিরূপ হবে? যখন তুমি নিকৃষ্ট ও ইতর লোকদের মধ্যে যাবে, তাদের (দ্বীনের ব্যাপারে) অস্বীকার ও আমানতের মাঝে ভেজাল এসে যাবে এবং পরস্পরে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে পড়বে। তাদের অবস্থা হবে এরূপ এবং (এ কথা বলে) উভয় হাতের অঙ্গুলিসমূহকে পরস্পরের মধ্যে ঢুকালেন। ’আবদুল্লাহ বললেন, ফেৎনার সময় আমার কর্তব্য কি হবে? আপনিই আমাকে নির্দেশ করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, عَلَيْكَ بِمَا تَعْرِفُ وَدَعْ مَا تُنْكِرُ وَعَلَيْكَ بِخَاصَّةِ نَفْسِكَ وَإِيَّاكَ وَعَوَامِّهِمْ […]

দরসে হাদীস : ধোঁকাব্যঞ্জকের যুগে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন! বিস্তারিত পডুন »

মৃত্যু অপ্রিয় সত্য

মৃত্যু অবধারিত এর কোন ছাড় নেই। এই পেয়ালা সকল প্রাণীকে পান করতে হবে। রাতের আধারে বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে একটি বার চিন্তা করুন, গত হয়েগেছে কত শত প্রিয় আপনজন পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, নানা-নানী, ভাই-ভগ্নী, কত বন্ধুবর ইত্যাদি। আমাকে আপনাকেও চলে যেতে হবে বিনা নোটিশে দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে নতুন জীবনে। সুতরাং মৃত্যু থেকে কেহ রেহায় পাবে না। আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় নবীকে বলেন, إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ ‘নিশ্চয়ই তুমি মরবে এবং তারাও মরবে’ (যুমার ৩৯/৩০)। মৃত্যুকে বেশী বেশী স্মরণ করা উচিৎ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,أَكْثِرُوا ذِكْرَ هَاذِمِ

মৃত্যু অপ্রিয় সত্য বিস্তারিত পডুন »

মূর্তি পূজার উৎপত্তি এবং এ বিষয়ে সর্তকতা

নূহ (আঃ)-এর জাতির সেই লোকেরা নিম্নোক্ত মূর্তিগুলোর ইবাদত করত। এঁরা এত প্রসিদ্ধি লাভ করেছিলেন যে, আরবেও তাঁদের পূজা শুরু হয়েছিল। তাই وَدٌّ (অদ্দ) ‘দূমাতুল জানদল’এর কালব গোত্রের, سُوَاعٌ (সুআ) সমুদ্র উপকুলবর্তী গোত্র ‘হুযায়েল’-এর, يَغُوْثَ (য়্যাগূস) ইয়ামানের সাবার সন্নিকটে ‘জুরুফ’ নামক স্থানের ‘মুরাদ’ এবং ‘বানী গুত্বায়েফ’ গোত্রের, يَعُوْقَ (য়্যাঊক) হামদান গোত্রের এবং نَسْرٌ (নাসর) হিম্‌য়্যার জাতির ‘যুল কিলাআ’ গোত্রের উপাস্য ছিলেন। (ইবনে কাসীর, ফাতহুল ক্বাদীর)।আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ قَالُوۡا لَا تَذَرُنَّ اٰلِهَتَکُمۡ وَ لَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَّ لَا سُوَاعًا ۬ۙ وَّ لَا یَغُوۡثَ وَ یَعُوۡقَ وَ

মূর্তি পূজার উৎপত্তি এবং এ বিষয়ে সর্তকতা বিস্তারিত পডুন »

ফিলিস্তীনে ইহুদীবাদের জন্ম ও তাদের দাবীর যথার্থতা

বিশ্ব মানচিত্রে ফিলিস্তীন রাষ্ট্রের অবস্থান মুসলিম বিশ্বের নিকটে এক জাতিগত প্রাণস্পন্দন স্বরূপ। কেননা সেখানে অসংখ্য নবী ও রাসূলের আগমন ঘটেছে। বিশেষ করে মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর আগমন ফিলিস্তীনের প্রতি সমগ্র মুসলিম জাতির এক বিরাট হৃদ্যতার কারণ। কিন্তু খ্রিষ্টান ও ইহুদী সাম্রাজ্যবাদ মুসলিম বিশ্বকে বিমূঢ় ও হতবাক করে ১৯১৮ সালে ফিলিস্তীন ভূখন্ডের একাংশকে ইহুদীদের ‘স্বাধীন আবাসভূমি’ হিসাবে ঘোষণা করে। শুরু হয় মুসলিমদের উপর অত্যাচারের স্টীমরোলার। ঘোষিত হয় ফিলিস্তীনে মুসলমান উজাড়ের পরিকল্পনা। অবশেষে জোটবদ্ধ হয় পাশ্চাত্যের সকল দেশ ও জাতি। নিম্নে ফিলিস্তীনে ইহুদীবাদের জন্ম ও তাদের দাবীর যথার্থতা কতটুকু তা বিশ্লেষণ করা হ’ল। ইহুদীবাদের পরিচয়: ইহুদী সম্প্রদায় বিভিন্ন খেতাবে পরিচিত। মহান আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে তাদেরকে বনী ইসরাঈল, আহলে কিতাব ও ইহুদী বলে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন- ‘হে

ফিলিস্তীনে ইহুদীবাদের জন্ম ও তাদের দাবীর যথার্থতা বিস্তারিত পডুন »

মুমিন ব্যক্তির স্বপ্ন

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়ই তাঁর সাহাবীদেরকে বলতেন, তোমাদের কেউ কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? রাবী বলেন, যাদের ক্ষেত্রে আল্লাহর ইচ্ছা, তারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে স্বপ্ন বর্ণনা করত। তিনি একদিন সকালে আমাদেরকে বললেনঃ গত রাতে আমার কাছে দু’জন আগন্তুক আসল। তারা আমাকে উঠাল। আর আমাকে বলল, চলুন। আমি তাদের সঙ্গে চললাম। আমরা কাত হয়ে শুয়ে থাকা এক লোকের কাছে আসলাম। দেখলাম, অন্য এক লোক তার নিকট পাথর নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সে তার মাথায় পাথর নিক্ষেপ করছে। ফলে তার মাথা ফেটে যাচ্ছে। আর পাথর নিচে

মুমিন ব্যক্তির স্বপ্ন বিস্তারিত পডুন »

সূরা তাকাছুরের মৌলিক শিক্ষা

সূরা তাকাছুর বা অধিক পাওয়ার আকাংখা।أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ- حَتَّى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ- كَلاَّ سَوْفَ تَعْلَمُونَ- ثُمَّ كَلاَّ سَوْفَ تَعْلَمُونَ- كَلاَّ لَوْ تَعْلَمُونَ عِلْمَ الْيَقِينِ- لَتَرَوُنَّ الْجَحِيمَ- ثُمَّ لَتَرَوُنَّهَا عَيْنَ الْيَقِينِ- ثُمَّ لَتُسْأَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيمِ-অনুবাদ : (১) অধিক পাওয়ার আকাংখা তোমাদের (পরকাল থেকে) গাফেল রাখে, (২) যতক্ষণ না তোমরা কবরে উপনীত হও। (৩) কখনই না। শীঘ্র তোমরা জানতে পারবে। (৪) অতঃপর কখনই না। শীঘ্র তোমরা জানতে পারবে (৫) কখনই না। যদি তোমরা নিশ্চিত জ্ঞান রাখতে (তাহ’লে কখনো তোমরা পরকাল থেকে গাফেল হ’তে না)। (৬) তোমরা অবশ্যই জাহান্নাম

সূরা তাকাছুরের মৌলিক শিক্ষা বিস্তারিত পডুন »

সূরা আছরের মৌলিক শিক্ষা

অধিকাংশ মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, وَالْعَصْرِ. إِنَّ الْإِنْسَانَ لَفِي خُسْرٍ. ‘কালের শপথ! নিশ্চয়ই সকল মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে’ (আছর ১০৩/১-২)। আল্লাহ তা‘আলা কালের শপথ এই জন্য বলেছেন যে, মানুষের কৃতকর্মের সময়কাল অতীব স্বল্প পরিসরে। আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত যতটুকু সময় ঠিক ততটুকু সময় মানুষের জীবনে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতকাল সম্পর্কিত যা বান্দার ভাল-মন্দ সকল কর্মই শামিল হবে।তাছাড়া আছরের ওয়াক্ত হ’তে কুরায়েশ নেতারা ‘দারুন নাদওয়াতে’ পরামর্শসভায় বসত এবং বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে ভাল-মন্দ সিদ্ধান্ত

সূরা আছরের মৌলিক শিক্ষা বিস্তারিত পডুন »

ইখলাছের গুরুত্ব

আল্লাহ মানুষকে তার ইখলাছের উপর সম্মানিত অথবা লাঞ্চিত করেন। ইখলাছ সঠিক করুন সম্মানিত হবেন, ইনশাআল্লাহ। যারা নিজেদের ঈমান-বিশবাস, ইবাদত-বন্দেগীকে আল্লাহর জন্য বিশুদ্ধ করে নিবে, সবকিছু যখন শুধু আল্লাহর জন্যই নিবেদন করবে, তখন তাদের বিভ্রান্ত করতে শয়তান কোন পথ খুঁজে পাবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, قَالَ رَبِّ بِمَا أَغْوَيْتَنِيْ لَأُزَيِّنَنَّ لَهُمْ فِي الْأَرْضِ وَلَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِيْنَ، إِلاَّ عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِيْنَ- ‘শয়তান বলল, হে আমার প্রতিপালক! আপনি যে আমাকে বিপথগামী করলেন সেজন্য আমি পৃথিবীতে মানুষের নিকট পাপকর্মকে অবশ্যই শোভন করে দিব এবং আমি তাদের সকলকে বিপথগামী করব, তবে

ইখলাছের গুরুত্ব বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top