কিয়ামাত/কেয়ামত

দরসে হাদীস : আল্লাহকে দর্শন

আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন কতিপয় লোক প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসূল! কিয়ামতের দিন কি আমরা আমাদের প্রভুকে দেখতে পাব? তিনি (সা.) বললেন, হ্যাঁ, মেঘমুক্ত দ্বিপ্রহরের আকাশে তোমরা সূর্য দেখতে কি কষ্ট পাও? এবং মেঘমুক্ত আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে কি তোমাদের কোন সমস্যা হয়? তারা বলল, না, হে আল্লাহর রাসূল। তিনি (সা.) বললেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহকে দেখতে তোমাদের এর চেয়ে বেশি কোন সমস্যা হবে না যা এ দুটিকে দেখতে তোমাদের হয়ে থাকে। যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে, তখন একজন ঘোষক ঘোষণা দেবে, প্রত্যেক […]

দরসে হাদীস : আল্লাহকে দর্শন বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : বিচার দিবসে আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (ছা.)-কে সন্তুষ্ট করে দেবেন

আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনুল আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন নবী (সা.) ইবরাহীম আলায়হিস সালাম-এর উক্তি সংবলিত এ আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন, (অর্থাৎ) “হে প্রভু! এ সকল মূর্তিগুলো বহু মানুষকে বিভ্রান্ত ও গোমরাহ করেছে, অতএব যে আমার অনুকরণ করবে সে-ই আমার দলভুক্ত, কিন্তু কেউ আমার অবাধ্য হলে তুমি তো ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু”- (সূরাহ ইব্রাহীম ১৪: ৩৬)।আর ’ঈসা আলায়হিস সালাম-এর উক্তিও পাঠ করলেন, অর্থাৎ “যদি তুমি তাদেরকে শাস্তি দাও, তারা তো তোমারই বান্দা”- (সূরাহ্ আল মায়িদাহ্ ৫:১১৮)। অতঃপর নবী (সা.) নিজের হস্তদ্বয় উঠিয়ে এ ফরিয়াদ করতে লাগলেন,

দরসে হাদীস : বিচার দিবসে আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (ছা.)-কে সন্তুষ্ট করে দেবেন বিস্তারিত পডুন »

দাজ্জালের ফেতনা, ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ)-এর অবতরণ

আবূ উমামা আল-বাহিলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। আমাদের উদ্দেশে দেয়া তাঁর দীর্ঘ ভাষণের অধিকাংশ ছিলো দাজ্জাল প্রসঙ্গে। তিনি আমাদেরকে দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেন। তার সম্পর্কে তিনি তাঁর ভাষণে বলেনঃ আল্লাহ আদমের বংশধর সৃষ্টি করার পর থেকে দাজ্জালের ফেতনার চেয়ে মারাত্মক কোন ফেতনা পৃথিবীর বুকে সংঘটিত হবে না। আল্লাহ এমন কোন নবী পাঠাননি যিনি তাঁর উম্মাতকে দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেননি। আর আমি সর্বশেষ নবী এবং তোমরা সর্বশেষ উম্মাত। সে অবশ্যই তোমাদের মাঝে আত্মপ্রকাশ করবে। আমি তোমাদের মধ্যে

দাজ্জালের ফেতনা, ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ)-এর অবতরণ বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীছ : অধিকাংশ ব্যক্তির স্বভাবে ইহুদীদের সাদৃশ্যপূর্ণ

আমাদের গোত্র সাদৃশ্য হলে ভালো ব্যক্তি, আর সাদৃশ্য না হলেই সে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি। এহেন হীন মনোভাব প্রদর্শনকারী ব্যক্তিরা ইহুদীদের সাদৃশ্য স্বরূপ অপবাদ ও কুৎসারটনাকারী ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত হয়। আনাস (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু সালামের কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মদিনায় আগমনের খবর পৌঁছল, তখন তিনি তাঁর কাছে আসলেন। এরপর তিনি বলেছেন, আমি আপনাকে এমন তিনটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে চাই যার উত্তর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া আর কেও অবগত নয়। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কিয়ামতের প্রথম নিদর্শন কি? আর সর্বপ্রথম খাবার কি, যা জান্নাতবাসী

দরসে হাদীছ : অধিকাংশ ব্যক্তির স্বভাবে ইহুদীদের সাদৃশ্যপূর্ণ বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : কিয়ামত দিবসের একদিন সমান কত (?)

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, تَعۡرُجُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ وَ الرُّوۡحُ اِلَیۡهِ فِیۡ یَوۡمٍ کَانَ مِقۡدَارُهٗ خَمۡسِیۡنَ اَلۡفَ سَنَۃٍ ۚ ‘‘ফেরেশতা এবং রূহ (অর্থাৎ জিবরীল) আল্লাহর দিকে আরোহণ করে এমন এক দিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর’’ (মা‘আরিজ ৭০/০৪)। ইমাম ইবনে কাসীর (রঃ) চারটি উক্তি উল্লেখ করেছেন। প্রথম উক্তি হল, এ থেকে মহা আরশ থেকে সপ্ত যমীন (সর্বনিম্ন পাতাল) পর্যন্ত যে দূরত্ব ও ব্যবধান তার পরিমাপ বুঝানো হয়েছে। আর তা হল ৫০ হাজার বছরের পথ। দ্বিতীয় উক্তি হল, পৃথিবীর সর্বমোট বয়স। অর্থাৎ, পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে নিয়ে কিয়ামত সংঘটিত

দরসে কুরআন : কিয়ামত দিবসের একদিন সমান কত (?) বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : আরাফবাসী যারা

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ بَیۡنَهُمَا حِجَابٌ ۚ وَ عَلَی الۡاَعۡرَافِ رِجَالٌ یَّعۡرِفُوۡنَ کُلًّۢا بِسِیۡمٰهُمۡ ۚ وَ نَادَوۡا اَصۡحٰبَ الۡجَنَّۃِ اَنۡ سَلٰمٌ عَلَیۡکُمۡ ۟ لَمۡ یَدۡخُلُوۡهَا وَ هُمۡ یَطۡمَعُوۡنَ وَ اِذَا صُرِفَتۡ اَبۡصَارُهُمۡ تِلۡقَآءَ اَصۡحٰبِ النَّارِ ۙ قَالُوۡا رَبَّنَا لَا تَجۡعَلۡنَا مَعَ الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ- ‘যে সকল ব্যক্তির আমলনামা সমান হবে তাদেরকে কুরআনের ভাষায় বলা হয়েছে ‘আরাফবাসী’। ‘আরাফ’ জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যবর্তী একটি উঁচু স্থানের নাম। যা প্রাচীর স্বরূপ। যাদের নেকী সেই পরিমাণ হবে না যার ফলে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং গোনাহও সেই পরিমাণ হবে না

দরসে কুরআন : আরাফবাসী যারা বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : কবরে বারযাখী জীবন

একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাদের এক ব্যক্তির জানাযায় বের হয়ে কবর খুঁড়তে দেরী হচ্ছিল বলে সেখানে বসে গেলেন। তাঁর আশে-পাশে সকল সাহাবাগণও নিশ্চুপ, ধীর ও শান্তভাবে বসে গেলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতে একটি কাঠের টুকরা ছিল যার দ্বারা তিনি (চিন্তিত ব্যক্তিদের ন্যায়) মাটিতে দাগ কাটছিলেন। অতঃপর তিনি মাথা উঠালেন এবং বললেন, তোমরা আল্লাহর নিকট কবরের আযাব হতে পানাহ্ চাও। তিনি এ কথা দুই কি তিনবার বললেন। তারপর বললেন, মুমিন বান্দা যখন দুনিয়াকে ত্যাগ করতে এবং আখেরাতের দিকে অগ্রসর হতে থাকে, তখন

দরসে হাদীস : কবরে বারযাখী জীবন বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : কিয়ামতের নিদর্শনাবলী 

নাওয়াস ইবনে সামআন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সকালে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তাতে তিনি একবার নিম্ন স্বরে এবং একবার উচ্চ স্বরে বাক ভঙ্গিমা অবলম্বন করলেন। শেষ পর্যন্ত আমরা [প্রভাবিত হয়ে] মনে মনে ভাবলাম যে, সে যেন সামনের এই খেজুর বাগানের মধ্যেই রয়েছে। তারপর আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলাম, তখন তিনি আমাদের উদ্বিগ্নতা দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, ’’তোমাদের কি হয়েছে?’’ আমরা বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আপনি আজ সকালে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে এমন নিম্ন ও উচ্চ কণ্ঠে বর্ণনা করলেন, যার

দরসে হাদীস : কিয়ামতের নিদর্শনাবলী  বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top