মুসলমানদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য

আহলেহাদীছের পরিচয় (تَعَارُفُ أَهْلِ الْحَدِيْثِ)

ফারসী সম্বন্ধ পদে ‘আহলেহাদীছ’ এবং আরবী সম্বন্ধ পদে ‘আহলুল হাদীছ’-এর আভিধানিক অর্থ : হাদীছের অনুসারী। পারিভাষিক অর্থ : পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের নিরপেক্ষ অনুসারী। যিনি জীবনের সর্বক্ষেত্রে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের সিদ্ধান্তকে নিঃশর্তভাবে মেনে নিবেন এবং রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ছাহাবায়ে কেরামের তরীক্বা অনুযায়ী নিজের সার্বিক জীবন গড়ে তুলতে সচেষ্ট হবেন, কেবলমাত্র তিনিই এ নামে অভিহিত হবেন। ছাহাবায়ে কেরাম হ’লেন জামা‘আতে আহলেহাদীছের প্রথম সারির সম্মানিত দল, যাঁরা এ নামে অভিহিত হ’তেন। যেমন- (১) প্রখ্যাত ছাহাবী আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) (মৃঃ ৭৪হিঃ) […]

আহলেহাদীছের পরিচয় (تَعَارُفُ أَهْلِ الْحَدِيْثِ) বিস্তারিত পডুন »

বন্ধুত্ব

লিলবর আল-বারাদী একটি ভালো বন্ধু, জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ। সৎ বন্ধু গ্রহণ ও অসৎ বন্ধু ত্যাগ করতে হবে। কোন ব্যক্তিকে জানতে ও বুঝতে চাইলে তার বন্ধুমহল কেমন তা দেখতে হবে। সৎ বন্ধু দ্বারা সামান্যতম হলেও ভালো কিছু আসা করা যায়। এমনকি যদি তার অজান্তে কোন ক্ষতি হয়, তবে সে বন্ধু ব্যথিত হয়ে তার সমাধান করার চেষ্টা করে, শান্তনা দেয়। তাই সৎ বন্ধুদের আর সত্যবাদী সাথীদের সাথে থাকার নির্দেশ দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَكُوْنُواْ مَعَ الصَّادِقِيْنَ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে

বন্ধুত্ব বিস্তারিত পডুন »

কুরবানীর মাসায়েল

(১) চুল-নখ না কাটা : উম্মে সালামাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী দেওয়ার এরাদা রাখে, তারা যেন যিলহজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর হ’তে কুরবানী সম্পন্ন করা পর্যন্ত স্ব স্ব চুল ও নখ কর্তন করা হ’তে বিরত থাকে’।[1](২) কুরবানীর পশু : এটা তিন প্রকার- উট, গরু ও ছাগল। দুম্বা ও ভেড়া ছাগলের মধ্যে গণ্য। প্রত্যেকটির নর ও মাদি। এগুলির বাইরে অন্য পশু দিয়ে কুরবানী করার প্রমাণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে পাওয়া যায় না। তবে অনেক বিদ্বান গরুর উপরে

কুরবানীর মাসায়েল বিস্তারিত পডুন »

আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের শত্রুদের পরিণাম

ভূমিকা: তিনিই (আল্লাহ) তাঁর রাসূরকে প্রেরন করেছেন হিদায়েত ও সত্য দ্বীনসহ সকল দিনের শ্রেষ্ঠত্ব দানের জন্য। (সূরা  সাফফাত-৯ ও ফাতহ-২৮)। দ্বীন  ইসলাম সুপ্রতির্ষ্ঠিত করার লক্ষ্যে প্রত্যেক জাতির জন্যে যুগে যুহে নবী রাসূল প্রেরিত হয়েছে । আমাদের আখেরী নবী (ছাঃ)  উম্মাতে মুহাম্মাদীর জন্য রহমত স্বরুপ। (আম্বিয়া-১০৭)। দ্বীন ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম, অমানুষিক নির্যাতন, অকথ্য নির্যাতন নিরবে নিভৃতে সহ্য করেছেন । যদিও এ ব্যপারে মহান আল্লাহ হুঁসিয়ার উল্লেখ করে বলেন, আমি তো তোমাকে সমাত্র মানব জাতির প্রতি সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারী

আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের শত্রুদের পরিণাম বিস্তারিত পডুন »

হযরত ওমর (রা.) নীলনদকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠি

ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর রা.-এর শাসনামলে বিখ্যাত সাহাবি আমর ইবনুল ‘আছ রা.-এর নেতৃত্বে সর্বপ্রথম মিসর বিজিত হয়। মিসরে তখন প্রবল খরা। নীলনদ পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। তখন সেনাপতি আমরের নিকট সেখানকার অধিবাসীরা অভিযোগ তুলল, হে আমীর! নীলনদ তো একটি নির্দিষ্ট নিয়ম পালন ছাড়া প্রবাহিত হয় না। তিনি বললেন, সেটা কি? তারা বলল, এ মাসের ১৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমরা কোন এক সুন্দরী যুবতীকে নির্বাচন করব। তারপর তার পিতা- মাতাকে রাযী করিয়ে তাকে সুন্দরতম অলংকারাদি ও উত্তম পোশাক পরিধান করানোর পর নীলনদে নিক্ষেপ করব। আমর

হযরত ওমর (রা.) নীলনদকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠি বিস্তারিত পডুন »

জন্ম নিয়ন্ত্রণের কুফল ও বিধান

জন্ম নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনের পটভূমি : জন্ম নিয়ন্ত্রণ (Birth control) আন্দোলন আঠারো শতকের শেষাংশে ইউরোপে সূচনা হয়। সম্ভবত: ইংল্যান্ডের বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ম্যালথাসই (Malthus) এর ভিত্তি রচনা করেন। এ আন্দোলনের আসল উদ্দেশ্য হ’ল বংশ বৃদ্ধি প্রতিরোধ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির উচ্চহার দেখে মি. ম্যালথাস হিসাব করেন, পৃথিবীতে আবাদযোগ্য জমি ও অর্থনৈতিক উপায়-উপাদান সীমিত। কিন্তু বংশবৃদ্ধির সম্ভাবনা সীমাহীন। ১৭৯৮ সালে মি. ম্যালথাস রচিত An essay on population and as it effects, the future improvement of the society.  (জনসংখ্যা ও সমাজের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে এর প্রভাব) নামক গ্রন্থে সর্বপ্রথম তার মতবাদ প্রচার

জন্ম নিয়ন্ত্রণের কুফল ও বিধান বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top