আত্নশুদ্ধি

ষড়রিপু সমাচার (৩য় কিস্তি)

তিন. লোভ রিপু : লোভ হ’ল লিপ্সা বা কাম্য বস্ত্ত লাভের প্রবল ইচ্ছা। বিনা লোভে কোন কাজও হয়না আবার লোভ নেই এমন মানুষও নেই। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যত কাজকর্ম রয়েছে তার প্রতিটির পেছনে নিহীত রয়েছে লোভ। বিনা লোভে পৃথিবীতে কিছুই হয় না। লোভ আছে বলেই মানুষের বেঁচে থাকার স্পৃহা আছে, জাগতিক ও পারলৌকিক আশা-আকাংখা তথা অভিপ্রেত অনুভূতি আছে। তবে লোভের রকমফের রয়েছে। কথায় বলে, ‘অতি লোভে তাঁতী নষ্ট’। আসলে অতি লোভের পরিণাম হিসাবে আসে পাপ। পৃথিবীতে মানুষ যে লোমহর্ষক কর্মকান্ড করছে তার মূলে রয়েছে অতি […]

ষড়রিপু সমাচার (৩য় কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

ষড়রিপু সমাচার (২য় কিস্তি)

দুই. ক্রোধ রিপু ক্রোধ শব্দের প্রতিশব্দ হলো রাগ বা রোষ। কেবল মানুষই নয় প্রাণী মাত্রই ক্রোধ আছে। ক্রোধ শক্তি একজন মানুষকে অন্যজন থেকে আলাদা হ’তে সহায়তা করে। তবে ক্রোধের রয়েছে বহুবিধ গতি, প্রকৃতি। ‘কুল লক্ষণ’ বা একই জাতীয় অনেকগুলো গুণ আছে। সৎকুলের নয়টি গুণ রয়েছে। গুণগুলো হলো-আচার, বিনয়, বিদ্যা, প্রতিষ্ঠা, তীর্থদর্শন, নিষ্ঠা, আবৃত্তি, তপস্যা ও দান। আসলে ক্রোধান্ধ একজন মানুষের পক্ষে বোধকরি উপরে বর্ণিত নয়টি গুণের একটিতেও সফল হওয়া সম্ভব নয়। কারও মধ্যে এ গুণগুলো অনুপস্থিত থাকলে প্রকৃত প্রস্তাবেই সে আসল মানুষ থাকতে পারে না।

ষড়রিপু সমাচার (২য় কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

ষড়রিপু সমাচার

ভূমিকা : মানব জীবন বড়ই বন্ধুর। জীবনে নানা ঘাত-প্রতিঘাত জীবনকে প্রতিনিয়ত যেমনি শুধরিয়ে দেয় তেমনি আবার কলুষিতও করে থাকে। পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রাণীর মধ্যে মানুষই সর্বশ্রেষ্ঠ। এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পেছনে যে বিষয়গুলো সদা ক্রিয়াশীল তা হলো তার বিবেক, বুদ্ধি, বিচক্ষণতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা। বিবেক হলো মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তি যার দ্বারা ন্যায়, অন্যায়, ভালোমন্দ, ধর্মাধর্ম বিচার-বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জিত হয়। বুদ্ধি হলো তার ধীশক্তি বা বোধশক্তি যার দ্বারা তার জীবন ও জগতে সংগঠিত যাবতীয় ক্রিয়াকলাপে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়ার বিজ্ঞানময় দক্ষতা নির্ণীত হয়। বিচক্ষণতা হলো তার দূরদর্শীতা

ষড়রিপু সমাচার বিস্তারিত পডুন »

সকল কাজ নিয়াতের উপর নির্ভরশীল

নিয়াত অর্থ মনন করা, মনে মনে সংকল্প বা ইচ্ছা পোষণ করা। ইহা এমন একটি অদৃশ্য বিষয় যা কেবল কোন ব্যক্তির ক্বলব বা অন্তরের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে। মানুষ যেমন ইচ্ছা করবে তার প্রতিদানও অনুরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা যখন বিচারের মাঠে বান্দার আমলের বিচার করবেন, তখন তিনি এই নিয়াতের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিচার কার্য পরিচালনা করবেন। নিয়াত হ’ল কর্মের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে,  إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّةِ، وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى اللهِ وَرَسُولِهِ

সকল কাজ নিয়াতের উপর নির্ভরশীল বিস্তারিত পডুন »

অধিকাংশ মানব সমাচার (৩য় কিস্তি)

__ মুহাম্মাদ লিলবর আল-বারাদী ৬. অধিকাংশ মানুষ মূর্খ ও পথভ্রষ্ট : সমাজটা দিনে দিনে সুশিক্ষার অভাবে বিবেক বর্জিত হয়ে খোঁড়া সমাজে পরিণত হচ্ছে। মানুষ মানুষকে সম্মান বা অসম্মান করে তার জ্ঞান ও বিবেকের মানদন্ডের ওপর। কিন্তু বর্তমানে বিবেক বর্জিত ও জ্ঞান খর্বিত জাতি মূর্খদের মত ক্ষমতা, সম্পদ ও সুন্দর ত্বকের মূল্যায়ন করে যাচ্ছে। মানুষের জ্ঞান ও বিবেক যেভাবে লোপ পাচ্ছে, ঠিক সেভাবেই জ্ঞানের ধারাবাহিকতা পরিহার করে মূর্খতাকে তালাশ করছে। মানুষ যখন শয়তানের বশীকরণ শৃংখলে আবদ্ধ হয়ে যায়, তখন তাদের সামনে যতই দ্বীনের মু‘জিযা দেখানো হোক

অধিকাংশ মানব সমাচার (৩য় কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

অধিকাংশ মানব সমাচার (২য় কিস্তি)

___ মুহাম্মাদ লিলবর আল-বারাদী ঘ. লোকের দোষ-ক্রটি তালাশকারী : মানুষের দোষ-ক্রটি তালাশ করা গর্হিত কাজ। সর্বদা অন্যের নয়, নিজের দোষ-ক্রুটি তালাশ করা উচিৎ। রাসূল (ছাঃ) মানুষের দোষ ও ছিদ্রান্বেষণ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি মানুষকে স্ব-স্ব দোষত্রুটি সংশোধনে আত্মনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেছেন। আল্লাহর কাছে যেসব কথাবার্তা-ধ্যানধারণার মূল্য নেই তা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সর্বোপরি মুসলিম ভাইয়ের ছিদ্রান্বেষণকারীর অন্তরে ঈমান থাকে না। আবূ বারযাহ আল-আসলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, يَا مَعْشَرَ مَنْ آمَنَ بِلِسَانِهِ وَلَمْ يَدْخُلِ الإِيمَانُ قَلْبَهُ لاَ تَغْتَابُوا الْمُسْلِمِينَ وَلاَ تَتَّبِعُوا عَوْرَاتِهِمْ فَإِنَّهُ

অধিকাংশ মানব সমাচার (২য় কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

অধিকাংশ মানব সমাচার

__ মুহাম্মাদ লিলবর আল-বারাদী আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা কুরআনুল কারীমের মধ্যে أَكْثَرَ (আকছারা) অর্থাৎ ‘অধিকাংশ’ বা ‘বেশির ভাগ’ (Almost) শব্দটি ব্যবহার করেছেন। ‘অধিকাংশ’ শব্দ ব্যবহার করে তিনি মানুষকে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অবহিত করেছেন। ‘অধিকাংশ’ সম্পর্কে বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ ‘কিন্তু অধিকাংশ মানুষ প্রকৃত ব্যাপার সম্পর্কে অবগত নয়’ (ইউসুফ ১২/৬৮), ‘অধিকাংশ অবহিত নয়’ (আন‘আম ৬/৩৭), ‘কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না’ (আরাফ ৭/১৩১), অন্যত্র তিনি বলেন, وَأَكْثَرُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ ‘আর তাদের অধিকাংশই জ্ঞান রাখে না’ (মায়িদা ৫/১০৩), কেননা,وَلَكِنَّ أَكْثَرَهُمْ يَجْهَلُونَ ‘তাদের অধিকাংশই মূর্খ’ (আন‘আম ৬/১১১)। বর্তমানে দুনিয়ার অবস্থা এমন এক

অধিকাংশ মানব সমাচার বিস্তারিত পডুন »

চেতনার সংঘাত (সম্পাদকীয়, জানুয়ারী ২০২১)

-প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব ————————————————–  তাওহীদের সাথে শিরকের সম্পর্ক যেমন ওযূর সাথে বায়ু নিঃসরণের সম্পর্ক। তাওহীদ থাকলে শিরক থাকবেনা, শিরক থাকলে তাওহীদ থাকবেনা। দু’টির মাঝে আপোষের কোন সুযোগ নেই। তাওহীদের চেতনা হ’ল সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর দাসত্বের অধীনে সকল মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা। আর শিরকের চেতনা হ’ল সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সাথে সৃষ্টির দাসত্ব করা। যেখানে শরীক হয় মুখ্য এবং আল্লাহ হন গৌণ। যেমন মক্কার মুশরিকরা কা‘বাগৃহ ত্বাওয়াফ করার সময় বলত, লাববাইকা লা শারীকা লাকা, ইল্লা শারীকান হুয়া লাক; তামলিকুহু ওয়া মা মালাক’ (আমি হাযির; তোমার কোন শরীক নেই, কেবল

চেতনার সংঘাত (সম্পাদকীয়, জানুয়ারী ২০২১) বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top