উপদেশ

দরসে হাদীছ : মিরাজের রাতের ঘটনাবলী

সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অভ্যাস ছিল তিনি ফজরের সালাত শেষে প্রায়ই আমাদের দিকে মুখ করে বসতেন এবং জিজ্ঞেস করতেন, তোমাদের কেউ আজ রাতে কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? রাবী বলেন, আমাদের কেউ কোন স্বপ্ন দেখে থাকলে তাঁর নিকট বলত। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর হুকুম মোতাবেক তার তা’বীর করতেন। যথারীতি একদিন সকালে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের কেউ (আজ রাতে) কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? আমরা বললাম, না। অতঃপর তিনি বললেন, কিন্তু আমি দেখেছি, আজ রাতে দু’ ব্যক্তি আমার নিকট এলো এবং তারা উভয়ে […]

দরসে হাদীছ : মিরাজের রাতের ঘটনাবলী বিস্তারিত পডুন »

খোলা তালাক্ব

— (’’তালাক্ব ও তাহলীল’’ বই থেকে নেয়া)……….. ‘খোলা’ (الْخُلْعُ) অর্থ : কাপড় খুলে ফেলা। পবিত্র কুরআনে স্বামী-স্ত্রীকে ‘পরস্পরের জন্য পোষাক’ (বাক্বারাহ ২/১৮৭) স্বরূপ বলা হয়েছে। স্বামীর নিকট থেকে স্ত্রী কোন কিছুর বিনিময়ে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নেওয়াকেই শারঈ পরিভাষায় ‘খোলা’ বলা হয়।[1] মুনাফিক নেতা আব্দুল্লাহ বিন উবাইয়ের কন্যা জামীলা কিংবা সাহ্ল আনছারী (রাঃ)-এর কন্যা হাবীবাহ নাম্নী জনৈকা মহিলা একদিন ফজরের অন্ধকারে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর দরবারে এসে তার স্বামী ছাবিত বিন ক্বায়েস বিন শাম্মাস-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করল যে, সে তাকে মেরেছে ও অঙ্গহানি করেছে। সে বলল, আল্লাহর কসম!

খোলা তালাক্ব বিস্তারিত পডুন »

শহীদের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য

শহীদের পরিচয় : শহীদ আরবী: شهيد‎‎ (šahīd) বহুবচনে: شُهَدَاء শুহাদাʾ ; শব্দটি হলো কুরআনের আরবী শব্দ। যার অর্থ হলো সাক্ষী। এছাড়াও এর অন্য অর্থ হলো আত্ম-উৎসর্গ করা। ইসলামী বিশ্বাসের সাক্ষ্যদানে যে সচেতনভাবে গ্রহণযোগ্য মৃত্যু কামনা করে এবং আত্ম-উৎসর্গ করে তার উপাধি স্বরূপ শহীদ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। মদ্দা কথা, যারা তাওহীদের কালেমাকে সমুন্নত করার খালেছ নিয়তে আল্লাহর পথে লড়াই করে মারা যাবে, তারাই হচ্ছে প্রকৃত শহীদ। আর শহীদের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য হবে এই যে, সে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে লড়াই করবে না, তাকে বাহাদুর বলা হবে এ উদ্দেশ্যে বা লোককে শুনানোর উদ্দেশ্যে

শহীদের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য বিস্তারিত পডুন »

গালমন্দ ও উপহাসকারী ব্যক্তি ফাসিক্ব

ফাসিক (فاسق‎‎) একটি আরবী শব্দ, যার দ্বারা শারঈ বিধান লঙ্ঘিত হয়। তাছাড়া ইসলামী আইন ভঙ্গকারী ব্যক্তিকে বোঝানো হয়। একজন ফাসিক ব্যক্তিকে অবিশ্বাসযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ইসলামিক আদালতে একজন ফাসিক ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় না। গালমন্দ করা : একজন মুসলিম ভাইকে গাল দেওয়াকে ফাসেকী বলা হয়েছে। আর ফাসেকী হলো আল্লাহর আনুগত্য থেকে বের হয়ে যাওয়া। আর যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইকে হত্যা করে সে অবশ্যই কাফির হয়ে যাবে এবং মুসলিম হওয়া থেকে বের হয়ে যাবে যদি সে হত্যা করাকে বৈধ বলে বিশ্বাস করে। আর যদি কোন

গালমন্দ ও উপহাসকারী ব্যক্তি ফাসিক্ব বিস্তারিত পডুন »

বেশী বেশী গাছ লাগান, নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাঁচান

দান-সাদাক্বাহ করলে মানুষ জাহান্নাম থেকে বাঁচতে পারে। আর গাছ লাগানো হ’ল সাদাক্বাহ। জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, : «ما من مسلم يَغرس غَرسا إلا كان ما أُكل منه له صدقة، وما سُرق منه له صدقة، ولا يَرْزَؤُهُ أحد إلا كان له صدقة». وفي رواية: «فلا يَغرس المسلم غَرسا فيأكلَ منه إنسان ولا دَابَة ولا طير إلا كان له صدقة إلى يوم القيامة»، وفي رواية: «لا يَغرس مسلم غرسا، ولا يزرع زرعًا، فيأكل منه إنسان ولا دَابَة ولا شيء، إلا كانت له صدقة».   “যে কোনো মুসলিম কোনো গাছ

বেশী বেশী গাছ লাগান, নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাঁচান বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : আল্লাহর রাস্তায় খরচ করার ফযীলত

(১) কল্যাণ চিরদিন কল্যাণ বয়ে আনে। কখনও অকল্যাণ নেই। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে দাঁড়ালেন এবং বললেন, আমি আমার পর তোমাদের জন্য ভয় করি এ ব্যাপারে যে, তোমাদের জন্য দুনিয়ার কল্যাণের (মঙ্গলের) দরজা খুলে দেয়া হবে। তারপর তিনি দুনিয়ার নিয়ামতের উল্লেখ করেন। এতে তিনি প্রথমে একটির কথা বলেন, পরে দ্বিতীয়টির বর্ণনা করেন। এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করল, ’ইয়া রাসূলাল্লাহ! কল্যাণও কি অকল্যাণ বয়ে আনবে? ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নীরব রইলেন, আমরা বললাম, তাঁর উপর ওহী নাযিল হচ্ছে। সমস্ত

দরসে হাদীস : আল্লাহর রাস্তায় খরচ করার ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : যাকাত না দেয়ার ফলাফল

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সোনা রূপার (নিসাব পরিমাণ) মালিক হবে অথচ তার হক (যাকাত) আদায় করবে না তার জন্য কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন (তা দিয়ে) আগুনের পাত বানানো হবে। এগুলোকে জাহান্নামের আগুনে এমনভাবে গরম করা হবে যেন তা আগুনেরই পাত। সে পাত দিয়ে তার পাঁজর, কপাল ও পিঠে দাগ দেয়া হবে। তারপর এ পাত পৃথক করা হবে। আবার আগুনে উত্তপ্ত করে তার শরীরে লাগানো হবে। আর লাগানোর সময়ের মেয়াদ হবে পঞ্চাশ হাজার বছর। (এ অবস্থা চলবে)

দরসে হাদীস : যাকাত না দেয়ার ফলাফল বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : ইলাহী গযব নাযিলের বিধি, কারণ ও করণীয়

—- প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব —– ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِي النَّاسِ لِيُذِيقَهُم بَعْضَ الَّذِي عَمِلُوا لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ- অনুবাদ: ‘স্থলে ও জলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের কৃতকর্মের দরুন। এর দ্বারা আল্লাহ তাদের কিছু কিছু কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা (সরল পথে) ফিরে আসে’ (রূম ৩০/৪১)। সূরা রূম মাক্কী সূরা। আলোচ্য আয়াতটিও মক্কাতে নাযিল হয়েছে। বর্ণনাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যেন ঐ সময়েই কেবল সারা পৃথিবীতে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছিল। যেজন্য কুরআন নাযিল করে মানুষকে ছিরাতে মুস্তাক্বীমের দিকে আহবান জানানো হয়েছে। বিষয়টি মূলতঃ

দরসে কুরআন : ইলাহী গযব নাযিলের বিধি, কারণ ও করণীয় বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top